ছুটি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ছুটি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধান করলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
ছুটি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার :
১) “দেওয়ালের মধ্যে আটকা পরিয়া কেবলই তাহার সেই গ্রামের কথা মনে পড়িত”- কার, কেন তার গ্রামের কথা মনে পড়তো? ৫
উৎসঃ
বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “ছুটি” ছোটগল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
যার গ্রামের কথা মনে পড়তোঃ
পাঠ্য গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফটিকের তার গ্রামের কথা মনে পড়তো।
গ্রামের কথা মনে পড়ার কারণঃ
গ্রাম থেকে মামার সঙ্গে হঠাৎ কলকাতায় গিয়ে ফটিকের তার গ্রামের কথা খুব মনে পড়তো। তেরো-চোদ্দ বছরের দামাল অবাধ্য গ্রাম্য বালক ফটিক কলকাতায় গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কলকাতার ইট-পাথরের দেওয়ালের বাড়িতে নিজেকে বন্দী বলে তার মনে হতে থাকে। তার মধ্যে মামিমার অনাদর অবহেলা তাকে আরো নিরাশ করে তোলে। এমত অবস্থায় তাই ফটিকের ফেলে আসা গ্রামের কথা বারবার মনে পড়তো।
গ্রামের বালক ফটিক যেখানে সারাদিন ছুটে বেড়াতো সেই মাঠের স্মৃতি তার মনে ভেসে উঠত। সেই মাঠে সে প্রকাণ্ড একটা ঘুড়ি নিয়ে বোঁ-বোঁ শব্দে ছুটে বেড়াতে বেড়াতে বলতো- ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’। তার মনে পড়তো অকারণে ছুটে বেড়ানো নদীতীরের কথা। দিনের মধ্যে যখন-তখন সে ঝাঁপ দিতো সেই নদীতে। ফটিক সাঁতার কাটতো তার গ্রামের সেই সংকীর্ণ নদীতে। তারপর সেই সব দলবল, উপদ্রব এবং অবাধ স্বাধীনতা ফটিক শহরে এসে হারিয়ে ফেলেছিল। আর তার সেই ‘অত্যাচারিনী অভাগিনী’ মার মুখ বার বার মনে পড়তো- “সর্বোপরি সেই অত্যাচারিণী অবিচারিণী মা অহর্নিশি তাহার নিরুপায় চিত্তকে আকর্ষণ করিত”।
লেখকের সুনিপুণ তুলির টানে এভাবেই বালক ফটিকের স্মৃতিপটে তার প্রিয় গ্রামের ছবি ফুঁটে উঠেছে।
LINK TO VIEW PDF
২) “অতএব, এমন অবস্থায় মাতৃভবন ছাড়া আর-কোনো অপরিচিত স্থান বালকের পক্ষে নরক।”- কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ২+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “ছুটি” ছোটগল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
গ্রাম বাংলায় বড়ো হয়ে ওঠা দুরন্ত, দামাল ফটিককে দস্যিপণা ও উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের জন্য তার মা মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চায়। মামার স্বভাবসিদ্ধ ঔদার্যে, স্নেহে ও ভালোবাসায় আপ্লুত ফটিক মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে কলকাতায় মামার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। তবে যে স্নেহ ও ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষায় ফটিক ঘর ছেড়েছিল, মামার বাড়িতে মামির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই তা দূরীভূত হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর কারণে মামির তিরস্কার ও গঞ্জনা মামার বাড়িকে করে তোলে নরকসম।
তাৎপর্যঃ
বয়ঃসন্ধিকালের ফটিকের প্রয়োজন ছিল সামান্য স্নেহ ও ভালোবাসা। কিন্তু তার দুর্ভাগ্যে স্নেহ ও ভালোবাসা তো দুরস্ত, বরং জুটল মামির তিরস্কার ও গঞ্জনা। গ্রাম বাংলার নির্মল পরিবেশে বড়ো হয়ে ওঠা ফটিকের আবদার অভিমান ও অভিযোগের একমাত্র স্থান ছিল তার মা। অথচ মামার সামান্য স্নেহের স্পর্শ পেয়ে সেই মাকে ছেড়ে ফটিক দূর শহরে পাড়ি দিতে এতটুকু দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি।
কিন্তু মামির ব্যবহারে ও মামাতো ভাইদের আচরণে শহরের প্রতি তার সমস্ত ভালোবাসা দূরীভূত হয়ে যায়। অপরিচিত কলকাতা শহর ছেড়ে সে ফিরতে চায় গ্রামের রাঙামাটির পথে। বন্ধ শহর তাকে দেয় নরক যন্ত্রণা। অপার মাতৃস্নেহ যে কী, সে অনুভব করে মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে এসে। তাই ফটিক ছুটি চেয়েছে, তার মাতৃভবনে ফেরার জন্য ছুটি।
LINK TO VIEW PDF
৩) “স্কুলের ছুটি হোক।”- কথাগুলি কে কাকে বলেছে? স্কুলের ছুটি হলে কার, কোন্ আশা পূর্ণ হত? ২+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “ছুটি” ছোটগল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তা ও শ্রোতাঃ
ফটিকের মামা বিশ্বম্ভরবাবু প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা। তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন তার ভাগ্নে ফটিকে উদ্দেশে করে।
স্কুলের ছুটি ও ইচ্ছাপূরণঃ
পল্লি জীবন থেকে শহর জীবনে এসে ফটিক তার বন্দিত্ব মেনে নিতে পারেনি। গণ্ডিবদ্ধ জীবন থেকে খানিক মুক্তি চেয়েছে সে। উপরন্তু মামার বাড়িতে মামির অবহেলা, অনাদর ও তিরস্কার তার শহর জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছিল। স্বভাবতই পড়াশোনায় মন বসেনি তার। শিক্ষকদের তিরস্কার ও বেত্রাঘাত ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তার কোনো খেলার সঙ্গী ছিল না।
তাই ছেলেদের যখন খেলার ছুটি হত তখন দ্বিপ্রহরে উদাস চোখে তাকিয়ে ছেলেমেয়েদের খেলা দেখত ফটিক। তখনই তার মন অধীর হয়ে উঠত গ্রামের জন্য। মাকে দেখার ইচ্ছায় ব্যাকুল হয়ে উঠত তার কিশোর হৃদয়। তাই কার্তিক মাসে পুজোর ছুটি পড়লে সে গ্রামে ফিরে যাবে এই আশায় দিন গুণতে থাকে।
LINK TO VIEW PDF
PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS
৪) “মা এখন আমার ছুটি হয়েছে মা, এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি”- কে কাকে বলেছিল? বক্তা ছুটি হয়েছে বলতে কি বুঝিয়েছিল? ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৫) “সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে, পৃথিবীর কোথাও সে খাপ খাইতেছে না”- এখানে সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোথাও কেন ঠিক খাপ খাচ্ছিল না? ১+৪=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৬) “দাও ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও”। – কে, কাকে, কেন বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে? ১+১+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৭) “ফটিক, তোর মাকে আনতে পাঠিয়েছি” – বক্তা কে ? ফটিকের মাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কেন ? ১+৪=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৮) ছুটি গল্প অবলম্বনে ফটিক চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
I want class xi 2nd semester Bengali notes
Welcome to our Educational world. Please follow the website.
I am Siddharth dalapati
Welcome to our Educational world.
Thi am a tution master
Welcome to our Educational world.
I want Class Xi 2nd Semester Bengali Notes.
Thanks for connecting with us. Please follow the website and subscribe to get all the notes.
I want to class 11 bengoli note
একাদশ শ্রেণির সম্পূর্ণ নোট সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের হোয়াটস্যাপ নম্বরে (7001880232)। ধন্যবাদ।