আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশ্ন উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান
যে সকল শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা প্রদান করে দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছো তাদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তোমাদের তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশ্ন উত্তর :
১) মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন আমেরিকার সিনেটে ‘ওয়ার্ল্ড লিগ ফর পিস’ সম্বন্ধে ভাষণ দিয়েছিলেন – ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে
২) আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি হল – জাতিসংঘ
৩) ‘League of Nation’ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
৪) জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল – প্যারিস সম্মেলনে
৫) প্যারিস শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
৬) বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সংগঠনটি হল – জাতিসংঘ বা লিগ অফ নেশনস্
৭) জাতিসংঘের সদর দফতর অবস্থিত ছিল – জেনেভায়
৮) জাতিসংঘের বিলুপ্তি ঘটে যে আন্তর্জাতিক ঘটনার সূচনার পর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
৯) আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের বিলুপ্তি ঘটেছে – ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে
১০) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে
১১) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মলাভ করে – ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর
১২) জাতিপুঞ্জের সদর দফতরটি অবস্থিত – নিউ ইয়র্কে
১৩) ‘United Nations’ শব্দটি কার মস্তিষ্কপ্রসূত – রুজভেল্ট
১৪) ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ’ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ ছিল – আটল্যান্টিক সনদ
১৫) আটল্যান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয় – ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট
১৬) আটল্যান্টিক সনদে স্বাক্ষরিত হয় – ৮টি ধারা
১৭) আটল্যান্টিক সনদকে অনুমোদন করে – ওয়াশিংটন ঘোষণা, ১৯৪২
১৮) ওয়াশিংটন ঘোষণা ঘোষিত হয় – ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে
১৯) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি কতগুলি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ওয়াশিংটনে সম্মিলিত হয়েছিলেন – ২৬টি
২০) যে সম্মেলনে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কথাটি প্রথম ব্যবহার করা হয় – ওয়াশিংটন সম্মেলনে
২১) প্রথম সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কথাটি ব্যবহার করেন – রুজভেল্ট
২২) যে সম্মেলন ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঘোষণা’ নামেও পরিচিত – ওয়াশিংটন সম্মেলন
২৩) মস্কো ঘোষণা হয় – ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে
২৪) মস্কো ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়েছিল – সোভিয়েত ইউনিয়নে
২৫) তেহেরান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ১ ডিসেম্বর
২৬) তেহেরান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ইরানে
২৭) সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদের গঠন সম্পর্কে আলোচনা হয় – ডাম্বারটন ওকস্ সম্মেলনে
২৮) ‘ডাম্বারটন ওকস্’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে
২৯) ইয়াল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯৪৫-এর ফেব্রুয়ারিতে
৩০) জাতিপুঞ্জের সনদ গৃহীত হয়েছিল – সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে
৩১) সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় – ১৯৪৫-এর এপ্রিলে
৩২) সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন – ৫০টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবর্গ
৩৩) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাংবিধানিক দলিলটি যে নামে পরিচিত – সনদ
৩৪) জাতিপুঞ্জের সনদে স্বাক্ষর করেছিল – ৫১টি রাষ্ট্র
৩৫) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে ধারার সংখ্যা – ১১৩টি
৩৬) জাতিপুঞ্জের সনদ মোট কটি প্রস্তাবনা ও অধ্যায় নিয়ে গঠিত – একটি প্রস্তাবনা ও ১৯টি অধ্যায়
৩৭) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ গৃহীত হয় – ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে
৩৮) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদর দফতর অবস্থিত – নিউ ইয়র্কে
৩৯) আধুনিক বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সংগঠনটি হল – সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ
৪০) জাতিপুঞ্জ দিবস হিসেবে পালিত হয় বছরের যে দিনটি – ২৪ অক্টোবর
৪১) জাতিপুঞ্জের মূল লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে – প্রস্তাবনায়
৪২) জাতিপুঞ্জের সনদের ১নং ধারায় বর্ণিত রয়েছে জাতিপুঞ্জের – নীতি
৪৩) বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে জাতিপুঞ্জের সনদের – ১নং ধারায়
৪৪) জাতিপুঞ্জের সনদে মোট কয়টি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে – চারটি
৪৫) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধানতম উদ্দেশ্য হল – আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা
৪৬) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য হওয়া প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য – আবশ্যিক নয়
৪৭) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বর্তমান সদস্যসংখ্যা হল – ১৯৩টি
৪৮) ভারত জাতিপুঞ্জের সদস্য হয় – ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে
৪৯) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান সংস্থার সংখ্যা – ৬টি
৫০) জাতিপুঞ্জের সর্বশেষ যোগদানকারী সদস্যরাষ্ট্র হল – দক্ষিণ সুদান
৫১) সাধারণ সভায় পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রগুলি – ভোটদান করতে পারে না
৫২) সাধারণ সভা প্যালেস্তাইনকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা প্রদান করেছে – ২০১২ সালে
৫৩) প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র সাধারণ সভায় অনধিক প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে – ৫ জন
৫৪) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্ধ-আইনসভা হল – সাধারণ সভা
৫৫) বিশ্বের সর্ববৃহৎ নাগরিক সভা হল – সাধারণ সভা
৫৬) সাধারণ সভার সদস্যরা ভোট প্রদান করে – একটি
৫৭) সাধারণ সভার সভাপতি ও সহ-সভাপতির সংখ্যা হল যথাক্রমে – ১ জন সভাপতি ও ২১ জন সহ-সভাপতি
৫৮) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ প্রস্তাব গ্রহণ করে যে সংস্থা সেটি হল – সাধারণ সভা
৫৯) ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ প্রস্তাবের মাধ্যমে শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটিয়েছে – সাধারণ সভার
৬০) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল – নভেম্বর ৩, ১৯৫০
৬১) যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সভায় প্রথম ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ প্রস্তাব গৃহীত হয় – কোরিয়া যুদ্ধ
৬২) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে বাজেট প্রস্তুত করে – সাধারণ সভা
৬৩) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কোষাগারের দায়িত্ব থাকে – সাধারণ সভার হাতে
৬৪) জাতিপুঞ্জের বাজেট অনুমোদন করে – সাধারণ সভা
৬৫) কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি সময়মতো তার দেয় অর্থ প্রদান করতে অসমর্থ হয় তাহলে সাধারণ সভা সেই রাষ্ট্রের – ভোটাধিকার বাতিল করতে পারে
৬৬) সাধারণ সভার প্রথম ভারতীয় সভাপতি ছিলেন – বিজয়া লক্ষ্মী পণ্ডিত
৬৭) জাতিপুঞ্জের যে বিভাগ সনদ সংশোধন করতে পারে – সাধারণ সভা
৬৮) জাতিপুঞ্জের সনদ সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের যত অংশের সম্মতি প্রয়োজন হয় – দুই-তৃতীয়াংশ
৬৯) বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হয় – ১৯৪৮-এর ১০ ডিসেম্বর
৭০) বিশ্ব ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয় প্রতিবছর – ১০ ডিসেম্বর
৭১) সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন বসে প্রতি বছর – সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
৭২) সাধারণ সভা জরুরি অধিবেশন আহবান করতে পারে – ২৪ ঘণ্টার নোটিশে
৭৩) বছরে সাধারণ সভার অধিবেশন বসে – ১ বার
৭৪) সাধারণ সভার অধিবেশন পরিচালনা করেন – সভাপতি
৭৫) সাধারণ সভার প্রথম অধিবেশন বসে – ১০ জানুয়ারি, ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে
৭৬) সাধারণ সভায় বিশেষ অধিবেশন আহবান করতে পারেন – মহাসচিব
৭৭) ‘বিশ্ব বিবেকের প্রতিনিধি সভা’ বলা হয় – সাধারণ সভাকে
৭৮) সাধারণ সভাকে ‘বিশ্ব-বিবেকের কণ্ঠস্বর’ বলেছেন – মার্কিন রাষ্ট্রপতি অস্টিন
৭৯) জাতিপুঞ্জের পার্লামেন্ট বা ‘বিশ্ব আইনসভা’ বলা হয় – সাধারণ সভাকে
৮০) সাধারণ সভাকে ‘বিশ্ব নাগরিক সভা’ বলেছেন – গেটেল
৮১) সাধারণ সভাকে ‘কূটনীতিবিদদের সম্মেলন’ বলেছেন – সুম্যান
৮২) ‘কূটনৈতিক বিশ্বের আয়না’ বলে অভিহিত করা হয় – সাধারণ সভাকে
৮৩) বিশ্বের বৃহত্তম বিতর্ক সভা হল – সাধারণ সভা
৮৪) ‘প্রচারের জন্যই সাধারণ সভার সৃষ্টি’ কথাটি বলেছেন – নিকোলাস
৮৫) ‘আধা-আইন প্রণয়নমূলক সংস্থা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয় – সাধারণ সভাকে
৮৬) সাধারণ সভাকে ‘আধা-আইন প্রণয়নমূলক সংস্থা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন – লটারপ্যাক্ট
৮৭) নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত – নিউ ইয়র্কে
৮৮) মূল সনদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্যসংখ্যা ছিল – ১১
৮৯) নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্যসংখ্যা হল – ১৫
৯০) নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রের ভোটদান থাকে – ১টি
৯১) নিরাপত্তা পরিষদে ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে – স্থায়ী সদস্যরা
৯২) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতাকে বলা হয় – ভিটো
৯৩) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের প্রয়োগের ক্ষমতা আছে – ভিটো
৯৪) নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসংখ্যা হল – ১০
৯৫) সনদ সংশোধনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ৬ থেকে ১০ করা হয়েছে – ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে
৯৬) নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের কার্যকাল – ২ বছর
৯৭) নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচিত করে – সাধারণ সভা
৯৮) ভিটো ক্ষমতাহীন সদস্যসংখ্যা নিরাপত্তা পরিষদে কতজন – দশ জন
৯৯) জাতিপুঞ্জের কার্যনির্বাহক সংস্থা হল – নিরাপত্তা পরিষদ
১০০) নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যরাষ্ট্রগুলি প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে – ১ জন করে
১০১) নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কর্মস্থল – নিউ ইয়র্কে
১০২) জাতিপুঞ্জের যত নং অধ্যায়ে নিরাপত্তা পরিষদের কথা বলা হয়েছে – ৫ নং অধ্যায়ে
১০৩) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব – নিরাপত্তা পরিষদের
১০৪) শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রেরণ করতে পারে – নিরাপত্তা পরিষদ
১০৫) নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ১১ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হয় – ১৯৬৫ খ্রিঃ
১০৬) নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল – ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৭ই জানুয়ারি
১০৭) নিরাপত্তা পরিষদে সর্বাধিক ভিটো প্রদানকারী রাষ্ট্র হল – রাশিয়া
১০৮) নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা একই বিষয়ে দু’বার ভিটো প্রয়োগ করলে তাকে বলে – দ্বৈত ভিটো
১০৯) সচিবালয়ের কার্যালয় অবস্থিত – নিউ ইয়র্কে
১১০) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন – মহাসচিব