ঘাস ফড়িং কবিতার প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঘাস ফড়িং কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
ঘাস ফড়িং কবিতার প্রশ্নের উত্তর :
১) কবি অরুণ মিত্র কোন বিদেশি ভাষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন?
উঃ কবি অরুণ মিত্র ফরাসি ভাষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
২) তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম- ‘ঘনিষ্ঠ তাপ’ এবং ‘প্রান্তরেখা’।
৩) বাক্য পরিবর্তনঃ
ক) সবজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাসফড়িং। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ ঘাসফড়িং সবুজ মাথা তুলল এবং কত খেলা দেখাল।
খ) একটা ঘাসফড়িং এর সঙ্গে আমার গলায় গলায় ভাব হয়েছে। (জটিল বাক্যে)
উঃ একটা ঘাসফড়িং ছিল, তার সঙ্গে আমার গলায় গলায় ভাব হয়েছে।
গ) যেই ঝিরঝির বৃষ্টি থেমেছে অমনি আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি। (সরল বাক্যে)
উঃ ঝিরঝির বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি।
ঘ) আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ আমার ঘরের দরজা আছে কিন্তু এখন তা সবুজে সবুজ।
৪) শব্দ বিভক্তি এবং অনুসর্গঃ
ক) তার কাছ থেকে চলে আসার সময় আমার কী মন খারাপ।
উঃ অনুসর্গ—থেকে। শব্দবিভক্তি—আমার—‘র’।
খ) আমি কথা দিয়ে এসেছি।
উঃ অনুসর্গ—‘দিয়ে’।
গ) ঝিরঝির বৃষ্টির পর আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি।
উঃ অনুসর্গ—পর। শব্দবিভক্তি—বৃষ্টির—‘র’। ঘাসে-‘এ’।
ঘ) ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
উঃ শব্দবিভক্তি—ঘাসের = ‘এর’। আমাকে—‘কে’।
৫) কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং এর নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল?
উঃ ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর কবি যখন ভিজে ঘাসের ওপর পা দিয়েছেন তখন ঘাসফড়িং সবুজ মাথা তুলে বহু খেলা দেখাল। এই দৃশ্য দেখে কবি মুগ্ধ হলেন এবং ঘাস ফড়িং এর সঙ্গে নতুন আত্মীয়তা গড়ে উঠল।
৬) কবির কৌতূহল ও ভালোলাগায় ঘাসফড়িং কীভাবে সাড়া দিল বলে তোমার মনে হয়?
উঃ সবুজ ঘাসের মধ্যে একটি ছোটো ঘাস ফড়িংকে দেখে কবির মনে কৌতূহল জেগেছিল এবং তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। ঘাসফড়িং ভালোবাসায় খুশি হয়ে সবুজমাথা তুলে অনেক খেলা দেখিয়ে কবির মন কেড়ে নিয়েছিল।
৭) ঘাসফড়িং এর কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মন খারাপ হল কেন বুঝিয়ে দাও।
উঃ ঘাসফড়িং এর সঙ্গে কবির নতুন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।ঘাসফড়িরের সবুজ মাথা তুলে নাচ কবিকে মুগ্ধ করেছিল ।কাজের তাগিদে কবিকে সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছিল। চলে আসার সময় খুব স্বভারত কারণেই কবির মন খারাপ হল।
৮) ‘বলে এলাম আমি আবার আসব’—পঙ্ক্তিটির মধ্যে দিয়ে কবির কোন্ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
উঃ ঘাসফড়িং এর সবুজ মাথা তুলে অনেক নাচের দৃশ্য দেখে কবি আনন্দিত ও মুগ্ধ হয়েছিলেন। ঘাসফড়িং এর সঙ্গে কবির নতুন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সময়ের অভাবে কবি যখন ফিরতে বাধ্য হলেন তখন তাকে কথা দিয়েছিলেন আবার তার কাছে ফিরে আসবেন। এখানে কবির প্রকৃতিপ্রেমিক মনের ও ক্ষুদ্র পতঙ্গের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
৯) ‘আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ’।—কবির এরূপ সবুজের সমারোহ দেখার কারণ কী?
উঃ বর্ষার ঝিরঝিরে সৃষ্টি পেয়ে কবির বাড়ির দরজার সামনে খোলা মাঠে ঘাসেরা সবুজ রূপ ধারণ করেছে। তাছাড়া কবির মনেও সবুজের ছোঁয়া লেগেছে; সেই সঙ্গে কবির ঘাসফড়িং এর সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে ওঠার কথা মনে পড়ছিল। তাই কবি এরূপ সবুজের সমারোহ দেখেছেন।
১০) ‘ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।’—কোন্ ভিজে ঘাসের ওপর কবিকে ফিরতেই হবে? সেখানে তিনি যেতে চান কেন?
উঃ বর্ষার ঝিরঝির বৃষ্টির জল পেয়ে যে ঘাস সবুজ হয়ে উঠেছিল যার উপর পা দিয়ে কবি প্রথম ঘাসফড়িং এর সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখানোর দৃশ্য দেখেছিলেন। সেই খোলা মাঠের সবুজ ঘাসের ওপর কবিকে ফিরতেই হবে। সেখানে কবি যেতে চান কারণ ঘাস ফড়িং এর সঙ্গে তাঁর নতুন এক গভীর আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল। ভালোবাসার টানেই কবিকে আবার সেখানে ভিজে ঘাসের ওপর যেতে চান।
১১) প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার নিবিড় টান কীভাবে কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাস ফড়িং’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ প্রকৃতি প্রেমিক কবি অরুণ মিত্র একদিন ঝিরঝির বৃষ্টির পর খোলা মাঠে সবুজ ঘাসের ওপর তাঁর চোখে পড়ে একটি ছোটো সবুজ পতঙ্গ নাম ঘাসফড়িং। ঘাসফড়িং মনের আনন্দে অনেক শেষ কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং এর একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠল। কবি এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছে সমারোহ। সবুজ প্রকৃতি কবির মনকেও স্পর্শ করেছে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার নিবিড় টানেই কবি ঘাসফড়িংকে কথা
দিয়েছেন- ‘ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার’।