sohid-jotindranath-das-golper-question-answers

শহিদ যতীন্দ্রনাথ দাশ গল্পের প্রশ্নের উত্তর । ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা

WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শহিদ যতীন্দ্রনাথ দাশ গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরগুলি  অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।

শহিদ যতীন্দ্রনাথ দাশ গল্পের প্রশ্নের উত্তর । ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা : 

 

১) আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় কোন খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন?

উঃ আশিজকুমার মুখোপাধ্যায় ফুটবল খেলার ইংরাজি ধারাভাষ্যকার ছিলেন।

২) তার লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উঃ তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম হল ‘স্বাধীনতার রূপকার নেতাজি সুভাষ’।  

৩) যতীন্দ্রনাথ দাস কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

উঃ ১৯০৪ সালের ২৭ অক্টোবর উত্তর কলকাতার শিকদার বাগান অঞ্চলে মামার বাড়িতে যতীন দাশ জন্মগ্রহণ করেন। 

৪) যতীন দাশের পিতার নাম কী ছিল ?

উঃ যতীন দাশের পিতার নাম ছিল বঙ্কিমবিহারী দাশ। 

৫) যতীন দাশের পিতা কোথায় চাকরি করতেন ?

উঃ যতীন দাশের পিতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে চাকরি করতেন। 

৬) যতীন দাশের ছদ্মনাম কী ছিল ?

উঃ যতীন দাশের ছদ্মনাম ছিল ‘রবীন’ ও ‘কালীবাবু’। 

৭) হিন্দ নওজোয়ান সভা কে প্রতিষ্ঠা করেন ?

উঃ বিপ্লবী ভগৎ সিংহ হিন্দ নওজোয়ান সভা প্রতিষ্ঠা করেন। 

৮) মি. প্যাট্রি কে ছিলেন ?

উঃ মি. প্যাট্রি তৎকালীন ইংরেজ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিলেন। 

৯) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের কোন্ জেলে বদলি করা হয় ?

উঃ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের লাহোর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। 

১০) কারা যতীনের জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করেন ?

উঃ যতীনের পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশ ও তাঁর ছোটোভাই কিরণচন্দ্র দাশ জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করেন। 

১১) যতীন দাশের পিতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন কেন? এর ফল কী হয়েছিল ?

উঃ ১৯০১ সালের দশহারার দিনে যতীন দাশের বাবা বঙ্কিমবাবু সপরিবারে গঙ্গাস্নান করে একটা ফিটন গাড়ি চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রেড রোডে কয়েকটি ব্রিটিশ টমি তাঁদের জোর করে ওই গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে নিজে গাড়িটি চেপে চলে যায়। বঙ্কিমবাবুকে ছেলেমেয়ে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। ওই কারণে তিনি মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

এর ফলে তিনি একটা স্টেশনারি দোকান খুলে সংসার চালাতেন। সেজন্য তাঁকে দুঃখ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। 

১২) ‘তোমার মতো মহান বিপ্লবীর জন্যও একটা কাজ আমায় অবশ্যই করতে হবে’- কে, কাকে একথা বলেছিলেন ? 

উঃ বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাশ একথা বলেছিলেন। তিনি বিপ্লবী বীর ভগৎ সিংকে একথা বলেছিলেন।

১৩) কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে কী ঘটেছিল ?

উঃ ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল নিমিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন চলছিল। সেই অধিবেশন যখন চলছিল তখন সভ্যদের আসনের পাশে বিপ্লবী বীর ভগৎ সিং ও বাটকেশ্বর দত্ত একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তাদেরকে ওখানে গ্রেফতার করা হয়। 

১৪) ১৫জুন ১৯২৯ যতীন দাশকে কেন গ্রেফতার করা হয় ?

উঃ তদানীন্তন ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মি. প্যাটি নিজে তদন্ত করে ত্রিশটি নামের একটি তালিকা বার করেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন যতীন দাশ। কালবিলম্ব না করে অন্যতম অভিযুক্ত আসামি হিসেবে কলকাতার প্রকাশ্য রাজপথ থেকে যতীন দাশকে গ্রেফতার করা। 

১৫) ১৯২৯ সালের ১৩ জুলাই অনশন শুরু হয় কেন ?

উঃ ২ জুলাই, ১৯২৯ যতীন দাশ গোপনে বটুকেশ্বর দত্ত সিং এর সঙ্গে দেখা করে বলেন যে, সেই জেলে তাঁদের ওপর যে অমানুষিক পুলিশি নির্যাতন চলছে, তার প্রতিবাদে তাঁরা ১৬ জন সমবেতভাবে অনশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই ১৯২৯, ১৩ জুলাই থেকে অনশন শুরু হয়। 

১৬) অনশন করার আগে যতীন তাঁর সহযোদ্ধাদের কী অলীকার করাল। তিনি অনশন ভঙ্গ করাখেন না কেন ?

উঃ অনশন আরম্ভ করার ঠিক দু-এক দিন আগে যতীন তাঁর সহযোবাদের অঙ্গীকার করিয়ে নেন যে, তাদের দাবিগুলোর যথাযথ মীমাংসা হয়ে গেলে তাঁরা অবশ্যই অনশন ভঙ্গ করবেন। যতীন দাশ মনে করতেন তাঁর পক্ষে এই অনশনই হবে মাতৃভূমির শৃঙ্খলামোচনের এক অভাবনীয় সুযোগ। একই তাঁর ছেলেবেলার স্বপ্ন এবং এ বিষয়ে তাঁর পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশের অনুমতি আগেই তিনি পেয়ে গেছেন। তাই তিনি অনশন ভঙ্গ করবেন না। 

১৭) জেলে অনশনের সময় যতীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কেন ?

উঃ আট দিনের পর যতীনের অনশন ভালোর জন্য ভোরবেলা জেল সুপার, জেল-ডাক্তারও আটজন বেশ হৃষ্টপুট পাঠানকে সঙ্গে নিয়ে যতীনের সেলে প্রবেশ করেন। তার একটি তীরে মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দুধ ঢালতে শুরু করে দেন। আর কোনো উপায় না দেখে যতীন ইচ্ছাকৃতভাবে জোরে জোরে কাশতে থাকেন। ফলে ওই নলটির মুখ খাদ্যনালি থেকে সরে গিয়ে শ্বাসনালির মধ্যে ঢুকে যায় এবং কিছুটা ঢুকে যাওয়ায় যতীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। 

১৮) জেলে ফীন দাশের পাশে প্লেট পেনসিল রাখা হয়েছিল কেন ?

উঃ জ্ঞান ফিরে পাবার পর যতীন দাশের গলার আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। সে জীবনে কথা বলতে পারবেন না। তাই তাঁকে এই মেট পেনসিলের ব্যবহার করে পেনসিল লিখে জানতে হবে। তাই যতীন দাশের পাশে প্লেট পেনসিল রাখা হয়েছিল।  

১৯) কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়েছিল কেন ?

উঃ জেলে যতীন দাশের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। গলা দিয়ে তাঁর কোনো বেরুচ্ছে না। যতীনের এই শোচনীয় অবস্থা উপলব্ধি করে বড়োলটি লর্ড আরউইন দেখাশোনা করার জন্যই যতীনের ভাই কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে আনিয়ে নিয়েছিলেন। 

২০) যতীন দাশের সহযোদ্ধারা পথ অবরোধ করে শুয়েছিলেন কেন ? 

উঃ এক সর্বজন নিন্দিত গুপ্তচরের জামিনে যতীনকে মুক্ত করা হয়। পরের দিন একেবারে কাকভোরে ডাক্তার ও জেল সুপার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নিয়ে জেলে আসেন। তাঁরা যাতে যতীনের কাছে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় যতীনকে তুলে নিয়ে না যেতে পারে, তাই তার সহযোদ্ধারা চারপাশে ব্যারিকেড রচনা করে পথ অবরোধ করে শুয়েছিলেন। 

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

শহিদ যতীন্দ্রনাথ দাশ গল্পের প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top