abohoman-question-answers

আবহমান কবিতা প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আবহমান কবিতা প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। বাংলা বিষয়ের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এছারাও শিক্ষার্থীরা আমাদের Class Note বিভাগ থেকে বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেখে নিতে পারবে।

আবহমান কবিতা প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা : 

 

আবহমান কবিতা MCQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থ – অন্ধকার বারান্দা 

২) ‘আবহমান’ কবিতাটির কবি – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 

৩) কবি ‘আবহমান’ কবিতায় পাঠককে দাঁড়াতে বলেছেন – লাউমাচাটার পাশে  

৪) নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না – বাসি 

৫) এখনও সেই ফুল দুলছে, ফুল দুলছে, ফুল – সন্ধ্যার বাতাসে 

৬) কে এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড় – অনুরাগে 

৭) নটে গাছটি বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু – মুড়য় না

৮) ‘কে এইখানে এসেছিল ______ বছর আগে’ – অনেক বছর আগে 

৯) ‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে…’ – তারা ফিরে আসে – মাটিকে আর হাওয়াকে ভালোবেসে 

১০) ‘নেভে না তার’ – যন্ত্রণা  

 

আবহমান কবিতা MCQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) আবহমান’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উঃ ‘আবহমান’ কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা অন্ধকার বারান্দা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ওই কাব্যগ্রন্থের তিরিশ সংখ্যক কবিতা।

২) ‘আবহমান’ কবিতায় কবি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন?

উঃ ‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার গরিবের উঠোনে লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন।

৩) কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?  

উঃ কবি লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন কারণ পল্লিবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজসরল জীবনকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।

৪) কোন্ ফুল দুলছে? 

উঃ পল্লিবাংলায় উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দুলছে।

৫) কোথায় ছােট্ট ফুল দুলছে?

উঃ ‘আবহমান’ কবিতায় গ্রামবাংলায় গরিবের উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দোলার কথা বলা হয়েছে।

৬) লাউফুল কখন দোলে? 

উঃ সন্ধ্যার মৃদুমন্দ বাতাসে লাউফুল দোলে |

৭) ‘আবহমান’ কবিতায় অনেক বছর আগে কার আসার কথাবলা হয়েছে?

উঃ অনেক বছর আগে বাংলায় আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের আসার কথা বলা হয়েছে, যারা এদেশেরই বাসিন্দা হয়ে গেছে।

৮) ‘আবহমান’ কবিতায় বাংলার ভূখণ্ডে এসে মানুষ কী করেছিল বলা হয়েছে?

উঃ বাংলার ভূখন্ডে এসে মানুষ এই দেশকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসে এখানেই ঘর বেঁধে বাস করতে শুরু করেছে।

৯) ‘আবহমান’ কবিতায় মানুষের হারিয়ে গিয়েও আবার কেন ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?

উঃ গ্রামবাংলার মাটিকে, তার জলহাওয়াকে ভালােবাসে বলেই মানুষ হারিয়ে গিয়েও আবার বাংলার বুকে ফিরে আসে।

১০) ‘এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে’ – ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহারের যুক্তি কী?

উঃ প্রকৃতির বুকে মানুষ একদিন বন কেটে বসতি গড়েছিল। নাগরিক ক্লান্তিতে মানুষ পরে সেই প্রকৃতির কাছেই ফিরে যেতে চেয়েছে। আবার শব্দটিতে তারই ব্যঞ্জনা রয়েছে।

১১) কবির মতে কোন্ গাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না?

উঃ কবির মতে নটেগাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না।

১২) ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না’ – ‘মুড়য় না’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? 

উঃ ‘মুড়য় না’ বলতে বােঝানাে হয়েছে যে, কখনােই শেষ হয়ে যায় না। 

১৩) ‘আবহমান’ কবিতায় মানুষের কোথায় হারিয়ে গিয়েও আবার কোথায় ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?

উঃ গ্রামবাংলার নতুন প্রজন্মের মানুষরা নাগরিক যন্ত্রসভ্যতায় হারিয়ে গিয়েও আবার বাঁচার জন্য গ্রামবাংলার বুকেই ফিরে আসে। 

১৪) ‘আবহমান’ কবিতায় কাকে একগুঁয়ে বলা হয়েছে?

উঃ যে মানুষ তার নাগরিক জীবনকে পিছনে ফেলে গ্রাম এবং মাটির কাছাকাছি ফিরে আসে, তাকেই একগুঁয়ে বলা হয়েছে। 

১৫) ‘আবহমান’ কবিতায় কার যন্ত্রণা নেভে না? 

উঃ ‘আবহমান’ কবিতায় গ্রাম এবং প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষের যন্ত্রণা নেভে না |

১৬) ‘নেভে না তার যন্ত্রণা’ – কীসের যন্ত্রণা? 

উঃ এখানে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে।

১৭) ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া, / লাউমাচাটার পাশে’ – কবিতায় এই অংশটি কতবার ব্যবহার করা হয়েছে?

উঃ কবিতায় এই অংশটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে।  

 

আবহমান কবিতা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া’ – উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে কী চোখে পড়বে? ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে যা চোখে পড়বেঃ  

কবি বলছেন যে, ঘর থেকে বেরিয়ে এলে লাউ মাচা দেখতে পাওয়া যাবে। লাউ মাচায় ফুল হয়েছে। সন্ধ্যাবেলা নদীর উপর থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া ভেসে আসে। সেই হাওয়া নাড়া দিয়ে যায় এই লাউ ফুলগুলিকে এবং হাওয়ায় ফুলগুলি দুলতে থাকে। কবির বক্তব্য অনুযায়ী উঠোনে গিয়ে দাঁড়ালে লাউমাচা ও সান্ধ্যকালীন হাওয়াতে দোদল্যমান লাউফুলটিকে দেখতে পাওয়া যাবে। 

 

২) ‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে’ – ‘আবার ফিরে আসা’র প্রসঙ্গ উচ্চারিত হয়েছে কেন? ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গঃ 

মানুষের ঘর বাঁধার স্বপ্ন চিরন্তন। বহু বছর আগে মানুষ যখন গোষ্ঠী বদ্ধভাবে বাঁচা শুরু করে তখন থেকেই সে ঘর বাঁধে অতন্ত্য ভালোবাসার সঙ্গে। এই গ্রামবাংলার বুকে মানুষ কতবার ঘর বেঁধেছে ভালোবাসার সঙ্গে। সেখানে তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে পরম মমতায়। অনেক সময় অনেক কারণে তাকে সেই ভালোবাসার ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে বহুদূরে। কিন্তু তার জায়গায় আবার অন্য কেউ এসে ঘর বেঁধেছে, জীবন শুরু করেছে। আবার কোনো কারণে কেউ যদি এই ভালোবাসার ঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, তাহলে সে এই মাটির টানে আবারো ফিরে এসেছে। এই যাওয়া এবং আসা বারংবার চলতেই থাকে। তাই এখানে ‘আবার ফিরে আসার’ প্রসঙ্গটি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

৩) ‘সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে’ – উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে। 

তাৎপর্যঃ

জন্মভূমির আকর্ষণর চিরন্তন। যদি কোনো ব্যাক্তি তার দেশকে ছেড়ে যায়, তবুও সে বারবার সেই স্থানে ফিরে আসতে চায়। কারণ সেই জায়গার সঙ্গে তার আত্মার যোগ। সেই স্থানের প্রতিটি ধুলিকণা, প্রতিটি গাছ, প্রতিটি ঘাস তার একান্ত প্রিয়। সব কিছুর মধ্যে মিশে আছে তার ভালোবাসা ভরা জন্মভূমির স্মৃতি। মনে সবসময় তার প্রবল ইচ্ছা থাকে মাতৃভূমির বুকে ফিরে আসার জন্য। যখন সে এসে পৌঁছাতে পারে তার মাতৃভূমির কাছে তখন সে প্রকৃতির মধ্যে খুঁজে নিতে চায় তার পুরোনো সময়ের সুগন্ধ। আপন মনে স্মৃতিচারনায় সে থাকে নিমগ্ন। সেই মাটির মধ্যে সে নিজেকে খুঁজে পায়। তাই কবি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন। 

 

৪) ‘এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে’ – এই মাটি হাওয়াকে আবার ভালোবাসার কারণ কী? ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

এই মাটি হাওয়াকে আবার ভালোবাসার কারণঃ 

জীবন সৃষ্টির শুরু থেকে মাটি ও হাওয়ার উপরেই নির্ভর করেই জীবন গড়ে উঠেছে। মাটি তার বাসস্থান, বাতাস তার শ্বাসবায়ু। বহু বহু বছর আগে মানুষ যখন প্রথম ঘর বাঁধতে শিখেছিল তখন সে কোনো এক ভূখণ্ডেরর উপরে তৈরি করেছিল তার থাকার আশ্রয়। তার পর কতযুগ চলে গেছে; কিন্তু মানুষের ঘর বাধার আকাঙ্ক্ষা এখনো অটুট আছে। যে জন্মভূমির মাটিতে সে বড় হয়ে উঠেছে, সেই মাটিতে ফিরে আসার তাঁর ইচ্ছা চিরন্তন। বারংবার এই মাটির টানে মানুষ ফিরে আসে, ভালোবেসে ঘর বাঁধে। বারংবার এই ঘর বাঁধার তাগিদ, জন্মভিটের টান – এগুলো বোঝাতেই কবি ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

 

৫) ‘ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা’ – কোন পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে? ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

যে পিপাসাকে দুরন্ত বলা হয়েছেঃ

পিপাসা কথার অর্থ হল তৃষ্ণা। কবিতা অনুযায়ী পিপাসা বলতে বলা হয়েছে জন্মভূমির প্রতি টান যা মানুষের কাছে অমোঘ, যা মানুষ কখনো অস্বীকার করতে পারে না। 

পিপাসাকে দুরন্ত বলার কারণঃ 

গাছের শিকড় যেমন মাটির তলায় থাকে, কোনো ব্যাক্তি যেখানে বড় হয়ে ওঠে সেখানে তার শিকড় প্রোথিত হয়ে যায়। যদি কোনো কারণে জন্মভূমির সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে, তবুও সে বারবার তাঁর জন্মভিটেতে ফিরে আসতে চায়। কারণ সেই জন্মস্থানের মাটির সঙ্গে তার আত্মিক যোগাযোগ। তাই তাঁর এই পিপাসা দুরন্ত।

 

৬) ‘কে এই খানে ঘর বেঁধেছে’ – ‘ঘর বেঁধেছে’ কথাটির অর্থ কী? ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

‘ঘর বাঁধার’ অর্থঃ 

মানুষের জীবনধারণের প্রাথমিক তিনটি চাহিদা হল অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থান। আশ্রয়ের প্রয়ােজনে মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করে। কিন্তু ঘর বাধা কথাটি ব্যাপকতর অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ শুধু ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে বাসস্থান তৈরি করা নয়। এর ভিত তৈরি হয় স্নেহ-মমতা মাখা সম্পর্কের উষ্ণতা দিয়ে এবং আপন করে নেওয়ার চেষ্টা থেকেই। বাংলায় আসা মানুষজনও সেভাবেই এদেশকে ভালােবেসে এখানে ঘর বেঁধেছে। 

 

৭) ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না!’ – পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করাে। ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

ব্যাখ্যাঃ

কবি দেখিয়েছেন যে, একসময় মানুষ নিবিড় ভালােবাসায় ঘর বেঁধেছিল গ্রামবাংলায়। পরবর্তীকালে গ্রামসভ্যতার সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে যায় নাগরিক সভ্যতার আগ্রাসনে। কিন্তু প্রকৃতি সেখানে নিজের হাতে একইভাবে সাজিয়ে রাখে, জীবন বয়ে চলে স্বচ্ছন্দ সহজ গতিতে। আর শহরের ক্লান্ত মানুষেরা শান্তির খোঁজে বারবার ফিরে আসে গ্রামবাংলার বুকে। নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে; কিন্তু ‘মুড়য় না’ অর্থাৎ তার গ্রহণযােগ্যতা শেষ হয় না।

 

৮) ‘কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে’ – পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। ৩ 

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

তাৎপর্যঃ 

যে মানুষ একদিন গভীর অনুরাগ দিয়ে গ্রামসভ্যতা গড়ে তুলেছিল, সেই মানুষই নগরসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য আর সমৃদ্ধির টানে গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু শহরজীবন ঐশ্বর্য আর সমৃদ্ধি দিলেও মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। তাই গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষ আবার শান্তির খোঁজে গ্রামেই ফিরে আসে।

 

আবহমান কবিতা বড়ো প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দ্বারা”- কবি কাদের, কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? ২+৩   

উৎসঃ

গ্রামবাংলার রূপকার কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের “আবহমান” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গঃ

গ্রামবাংলার যেসকল সন্তানেরা তাদের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মাতৃভূমি ত্যাগে বাধ্য হয় সেই প্রবাসী বঙ্গবাসীদের উদ্দেশ্য করে কবি প্রশ্নোক্ত পরামর্শটি প্রদান করেছেন।

পরামর্শ প্রদানের কারণঃ

বঙ্গ প্রকৃতির সাথে তার সন্তানদের যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তাদের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিস্থাপিত হয়, তাকে দূরত্বের ব্যবধান কখনোই ছিন্ন করতে পারে না। তাই গ্রামবাংলার বুকে হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের পুনরায় ফিরে আসার আবহমানতাকে নির্দেশ করেই কবি প্রশ্নোক্ত পরামর্শটি প্রদান করেছেন।

নামকরণ ও কবির পরামর্শের সম্পর্কঃ   

একজন সাহিত্যিক তার সাহিত্য রচনার ভাবনা ও আদর্শবোধকে পাঠকমনে সঞ্চারিত করে তাদের সাহিত্য পাঠে আকর্ষিত করতে যথার্থ নামকরণের ব্যবহার করে থাকেন। আমাদের পাঠ্য “আবহমান” কবিতাটির মধ্য দিয়ে কবি গ্রামবাংলাকে ভালোবেসে তার সন্তানদের যুগে যুগে বারংবার প্রত্যাবর্তনের কাহিনিকেই তার কবিপ্রতিভার স্বাভাবিক দক্ষতায় উপস্থাপন করেছেন।

গ্রামজীবনের সঙ্গে তথা বঙ্গপ্রকৃতির সাথে সংলগ্ন মানুষের বেঁচে থাকার অকৃত্তিম বাসনা কখনোই অবলুপ্ত হয় না। তাই তো গ্রামবাংলায় ফিরে এসে তারা-

“সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে

   সারাটা রাত তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।”

বাংলার মাটিতে তার সন্তানদের বারংবার ফিরে আসাকে কবি প্রতীকায়িত করতে যেমন সূর্যের আলো-ছায়ার পরম্পরার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন, ঠিক তেমনি তাদের যাওয়া-আসার কাহিনিকে “আবহমান” নামকরণটির মাধ্যমে রূপায়িত করতে একাধিকবার প্রশ্নোক্ত অংশটিকে সার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন। 

২) ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল বক্তব্যটি বুঝিয়ে দাও। ৫ 

উৎসঃ

বাংলা আধুনিক যুগের অন্যতম বিশিষ্ট্য কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “আবহমান” কবিতায় কবি গ্রামীন পরিবেশের পটভূমিতে বঙ্গপ্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে চিত্রিত করেছেন।

মূল বক্তব্যঃ

বাংলার মাটি, হাওয়া তথা সমগ্র গ্রামীন পরিবেশ তার সন্তানদের স্নেহের পরশে লালিত-পালিত করে। সেই নিবিড় অনুরাগের স্পর্শ তাদের অন্তঃকরণে রয়ে যায় বলেই তারা জীবিকার প্রয়োজনে তাদের মাতৃভূমিকে ছেড়ে দূরে চলে গেলেও তার টানকে উপেক্ষা করতে পারে না। আর তাই তো তারা বারংবার ফিরে আসে তাদের শৈশবকালের স্মৃতিজড়িত গ্রামবাংলার বুকে-

“কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে”

গ্রামবাংলায় ফিরে এসে তারা পুরোন স্মৃতিকে ফিরে পেয়ে-

“সারাটা দিন আপন মনে ঘাষের গন্ধ মাখে,

সারাটা রাত তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।”

নদীমাতৃক বাংলামায়ের ভালোবাসার পরশ পেতে কবি নদীতীরের স্নিগ্ধ-শীতল হাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন-

“নামলে আবার ছুটে আসে সান্ধ্য নদীর হাওয়া”

এই বাংলার মাটিতে তার সন্তানদের বারংবার প্রত্যাবর্তনকে প্রতীকায়িত করতে কবি সূর্যের আলো-ছায়ার উপমাটিকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন-

“তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া”

বঙ্গসন্তানদের এই ফিরে আসার কাহিনি কখনোই সমাপ্ত হয় না। আর তাই তো কবি কবিতায় বলেছেন-

“ফুরয় না, তার কিছুই ফুরোয় না,

নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে কিন্তু মুড়য় না।”

অতএব আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায়, আবহমান কবিতাটি গ্রামবাংলার বুকে তার সন্তানদের যুগে যুগে ফিরে আসার অসমাপ্ত কাহিনি।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)আবহমান কবিতা

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

৩) আবহমান কবিতায় গ্রামীণ চিত্র আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৪) “নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসি”- তাৎপর্য আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৫) “ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা”- তাৎপর্য লেখো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

নবম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class nine bengali note

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top