আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্নের উত্তর । ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই আশীর্বাদ গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্নের উত্তর । ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা :
১) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত ?
উঃ রূপকথা, উপকথা এবং লোককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।
২) তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ?
উঃ তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
৩) বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?
উঃ বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জল থই থই করে।
৪) পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উঃ বন্যার সময় পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আত্মরক্ষার্থে আশ্রয় নিয়েছিল।
৫) বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?
উঃ বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাঁপছিল।
৬) পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল ?
উঃ নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিঁপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।
৭) পিঁপড়ে কখন “বাপ্! বাঁচলেম” বলে উঠল ?
উঃ বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়াল। তখন পিঁপড়ে ‘বাপ বাঁচলেম’ বলে উঠল।
৮) জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল ?
উঃ খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
৯) ‘বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের’- কেন এমন হল ?
উঃ পিঁপড়ে জলবৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে। তাই পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
১০) ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে পরুক’- কে এমনটি কামনা করেছিল ?
উঃ শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।
১১) সন্ধি বিচ্ছেদ করোঃ
উঃ
নিশ্বাস– নিঃ + শ্বাস
বৃষ্টি-বৃষ্ + তি
নিশ্চয়- নিঃ + চয়
আশীর্বাদ- আশিঃ + বাদ
১১) ‘চোখ’ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনাঃ
উঃ
চোখ (দর্শনের ইন্দ্রিয়)- সে জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পারে না।
চোখ (নজর)- চোরটিকে পুলিশ চোখে চোখে রাখছে।
১২) পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে ? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।
বর্ষা ঋতুর উদাহরণঃ বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। জলে দেশ থই থই করছে।
শরৎ ঋতুর উদাহরণঃ শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।
১৩) পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে ?
উঃ পাতা গাছের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। সূর্যের আলোকে ধরে খাদ্য তৈরির কাজে এবং সালোকসংশ্লেষের জন্য পাতার প্রয়োজন হয়।
১৪) পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখো।
উঃ পিঁপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। সারাদিন ধরে তার কাজ হল খাদ্য সংগ্রহ করা তাই সে সর্বদা ব্যস্ত। দিনের শেষে তারা তাদের মাটির গর্তে ফিরে যায়। তারা ভাবে মাটিটা তাদের আর বাকি পৃথিবী অন্য প্রাণীর।
১৫) বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে ?
উঃ বৃষ্টির কাছ পাতা হল বন্ধু। তাই বৃষ্টি পাতাকে তার সবুজ বন্ধু আখ্যায় ভূষিত করেছে।
১৬) সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল ?
উঃ সবার কথা শোনার পর পিঁপড়ের মনে হল পৃথিবী আবার তার হবে এবং পৃথিবী কেবলমাত্র তার প্রকার নয় সে সকলেরই আশ্রয়স্থল।
১৭) প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?
উঃ ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘোষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।
১৮) বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো।
উঃ বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কাল। বর্ষার বারিধারায় পুষ্ট হয়ে আমাদের চারিদিকের প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করে।
গ্রীষ্মকালের প্রখর দাবদাহে যেসব গাছ মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল তারা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা প্রকৃতি যৌবনবতী হয়ে ওঠে। তার নতুন প্রাণে হাওয়ার দোলা দেয় এবং সে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।
১৯) পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?
উঃ প্রকৃতিতে বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। বর্ষার ফলশ্রুতিতে পিঁপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
২০) পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল ?
উঃ বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। তাই পাতা বন্ধু পিঁপড়েকে জোর করে তার শরীরকে কামড়ে ধরতে বলেছিল।
২১) পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল ? ‘কাজে আসে না কোনোটাই’—এখানে তার কোন্ কাজে না আসার আসার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ পিঁপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিঁপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিঁপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিঁপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
২২) “তাই আজ বেঁচে গেলাম”- বক্তার ‘আজ’ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী ?
উঃ সওপরে সংকলিত অংশটুকুর বক্তা হল পিঁপড়ে। সেদিনের বর্ষায় সারা পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল। তখন পিঁপড়ে বন্ধু ঘাসের পাতাকে কামড়ে ধরে জলের হাত থেকে অব্যাহতি লাভ করেছিল।
২৩) পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উঃ প্রকৃতিতে বর্ষা নেমেছে। দেশে বন্যা হবার ফলে সারা দেশে জল থই থই করছে। নিরাশ্রয় পিঁপড়ে প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে একটি ঘাসের পাতাকে অবলম্বন করেছে। হাওযার দোলায় দুর্বল ঘাসের পাতা কাঁপছে। হেলছে এবং এলিয়ে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। পিঁপড়ে ঘাসের শিরাটাকে জোরে কামড়ে ধরে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে ঘাস তো চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা ঝুলে বাঁচতে পারে না। বর্ষার অবসানে জল।
নেমে গেলে পিঁপড়ে তার জীবন রক্ষা করার জন্য পাতাকে ধন্যবাদ জানায়। পাতা যেহেতু স্থির, সে চলাফেরা করতে পারে না। তাই তাকে রৌদ্রে পুড়ে শুকিয়ে ধুলোয় পরিণত হতে হয়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে তারা নতুন জীবন লাভ করে। কোনোকিছুতেই তার কোনো ভয় নেই।
২৪) ‘মাটি সবারই’—পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে ?
উঃ পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সম অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সকলের সমানাধিকার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃতি সকলকে তার সম্পদ সমভাবে বণ্টন করে দেয়।
২৫) মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল ? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল ?
উঃ বৃষ্টি মেঘের আড়ালে অবস্থান করে পাতা ও পিঁপড়ের কথোপকথন মনোযোগসহকারে শুনছিল। উভয়ের
কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিঁপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।
২৬) পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল তা আলোচনা করো।
উঃ ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মতো করে পিঁপড়ের
মনে সাহস জোগান দিয়েছিল। পাতা পিঁপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে। বৃষ্টির জল পিঁপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোনো অবস্থাতেই বিপদ পড়লে ভয়
না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।