মন ভালো করা কবিতার প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মন ভালো করা কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
মন ভালো করা কবিতার প্রশ্নের উত্তর :
১) নিম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১) শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন্ কলেজের ছাত্র ছিলেন ?
উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
১.২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল – ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ এবং ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’।
২) বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনাঃ
উত্তর :
হ্রস্ব – দীর্ঘ (দীর্ঘ তালগাছটি গ্রামের নিশানা)
খর – নরম (নরম মনের মানুষ বিমলবাবুকে সবাই দুঃখ দেয়)
শান্ত – অশান্ত (অশান্ত ছেলেটিকে ঘরে রাখা যায় না)
৩) নীচের শব্দগুলি কোন মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখোঃ
উত্তর :
রোদ্দুর = রোদ
গা = শরীর
8) “হাওয়ায়-বাতাসে পাতারাও নড়ে”–হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ করো।
উত্তর :
বিপদ-আপদ = বিপদ-আপদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিমাইবাবু বিপদতারিণী পূজা করছেন।
হাট-বাজার = ময়লা আবর্জনার কারণে আজকাল হাট-বাজারে চলাফেরা করাই দায়।
চোর-ডাকাত = চোর-ডাকাতের উপদ্রবে কোথাও ঘুরতে গিয়েও শান্তি নেই।
হাসি-খুশি = তোমার হাসি-খুশি মুখটাই আমি আজীবন দেখতে চাই।
দায়-দায়িত্ব = সংসারের দায়-দ্বায়িত্ব অল্প বয়সেই রহিমকে কেমন বৃদ্ধ করে তুলেছে।
৫) মন ভালো করা, নীল-নীলান্ত’র মতো একাধিক শব্দ বন্ধ তৈরি করো।
উত্তর :
‘মন-ভালো-করা’-র মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ নিম্নরূপ –
বসে আঁকো-প্রতিযোগিতা
নাম-না-জানা-পাখি
সবুজ-বাঁচাও-কমিটি ইত্যাদি।
“নীল-নীলান্ত’ব মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ নিম্নরূপ –
দূর-দুরান্ত
দিগ্-দিগন্ত
ডুব-ডুবন্ত
হাওয়া-বাতাস
দেনা-পাওনা ইত্যাদি।
৬) গদ্যে লেখো :
মন ভালো করা রোদ্দুর কেন/মাছরাঙাটির গায়ের মতন?
উত্তর : মন ভালো করা রোদ কেন মাছরাঙার গায়ের মতো?
৭) পদ পরিবর্তনঃ
উত্তর :
দীর্ঘ – দৈর্ঘ্য
নীল – নীলাভ
রং – রঙিন
আলো – আলোকিত
৮) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
৮.১) কবিতায় কবিমনে কোন্ কোন্ প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর :
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবির মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। প্রথমত, মন ভালো করা রোদ্দুর কেন মাছরাঙার গায়ের রঙের মতো? দ্বিতীয়ত, কেন মাছরাঙার রঙ উগ্র ও শান্ত, লাল-হলুদ-সবুজ কেন? তৃতীয়ত, বন কেন লাল, হলুদ ও সবুজাভ।
৮.২) মন ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?
উত্তর :
মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙার গায়ের রঙের সাথে তুলনা করেছেন।
৮.৩) মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?
উত্তর :
কবির ভাষায় মাছরাঙার রং গাঢ় নীল উজ্জ্বল; কোথাও রয়েছে লাল, হলুদ, সবুজ রঙেরও ছড়াছড়ি।
৮.৪) গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবি কল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর :
গাছে বসে আছে উজ্জ্বল গাঢ় নীল রঙা পাখি। তার ঘন উজ্জ্বল রং কবিকে নানাভাবে আকর্ষণ করছে। এই পাখিটির নাম মাছরাঙা। কবিকে শুধু আকর্ষণ নয়, নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল। কবির মনে হয়েছে মন ভালো করা রোদের রং নীল, মাছরাঙাটির গায়ে আলো পড়লে তবে হাওয়ায় বাতাসে পাতারাও নড়ে। মাছরাঙার রং ঘন হলেও নীল-আকাশ জুড়ে তা একেবারেই শান্তরূপ ধারণ করেছে। কবির মনে বারবার প্রশ্ন জেগেছে কেন মন ভালো করা রোদ্দুর মাছরাঙাটির গায়ের মতো।
৮.৫) ‘মন ভালো-করা’ কবিতাটির এমন নাম করণের কারণ কী ?
উত্তর:
মাছরাঙা পাখির গায়ে নানা রঙের সমাহার – লাল, হলুদ, নীল, সবুজ। কবি মাছরাঙার গায়ের রঙের সঙ্গে রোদেরও যথেষ্ট মিল পেয়েছেন। সকালে রোদের রং লাল, দুপুরে কবির চোখে রোদের রং হলুদ আবাব সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে পড়া রোদকে কবি সবুজ দেখেছেন। রোদ কবির চোখে অসাধারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মাছরাঙার গায়ের রং আর রোদ মিলে কবির মনকে ভালোলাগায় ভরিয়ে তুলেছে। তাই মন ভালো-করা নামকরণটি উপযুক্তই হয়েছে।
৮.৬) কেন ওর রং খর ও শান্ত’–এই শব্দ কয়টি দ্বারা কীভাবে মাছরাঙা ও রোদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর :
বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে মাছরাভার শরীরের রং অতি উজ্জ্বল কিন্তু তা স্নিগ্ধ বা শান্ত। একইভাবে রোদও কখনও খর আবার কখনও শান্ত। দুপুরের রোদ প্রখর ও তীব্র কিন্তু সকালের ও বিকালের রোদ শান্ত বা স্নিগ্ধ।