করণ কারক কাকে বলে? করণ কারক কত প্রকার ও কি কি?
আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা ব্যাকরণের অন্তর্ভুক্ত কারক থেকে করণ কারক কাকে বলে? করণ কারক কত প্রকার ও কি কি? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনাগুলি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই করণ কারক ও তার শ্রেণিবিভাগ থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
করণ কারক কাকে বলে? করণ কারক কত প্রকার ও কি কি? :
করণকারকঃ
কর্তা যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ বলে। করণ বাচক পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের যে সম্পর্ক তাকেই করণ কারক বলে।
যেমনঃ
আমরা কলম দিয়ে লিখি।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার করণকারকের সংজ্ঞাসহ উদাহরণ দেওয়া হল-
যন্ত্রাত্মক করণঃ
কোনো বস্তু বা যন্ত্র দ্বারা ক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাকে যন্ত্রাত্মক করণ বলে।
যেমনঃ
কুড়ুল দিয়ে কাঠ কাটে।
হাওয়ায় মেঘ উড়ে যায়।
রং-তুলি দিয়ে ছবি আঁকা হয়।
লক্ষণাত্মক করণঃ
যে করণ বাচক পদটি কোনো লক্ষণ বা চিহ্ন হিসেবে প্রযুক্ত হয় তাকে লক্ষণাত্মক করণ বলে।
যেমনঃ
কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত।
চোখে মানুষের মন বোঝা যায়।
পোশাকে ভদ্রলোক চেনা যায়।
উপায়াত্মক করণঃ
ক্রিয়া সম্পাদনের উপায় যেখানে বাস্তব তথা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় সেক্ষেত্রে এই কারককে বলা হয় উপায়াত্মক করণ।
যেমনঃ
আনন্দে তার চোখ থেকে জল পড়ছে।
ব্যায়ামে শরীর ভালো হয়।
বিবিধ কৌশলে কাজ হাসিল করল।
কালাত্মক করণঃ
কাল বা সময়ের সঙ্গে বাক্যের ক্রিয়াপদের করণ সম্পর্ক স্থাপিত হলে উক্ত করণ বাচক পদকে কালাত্মক করণ বলা হয়।
যেমনঃ
একদিনের ঝগড়া শেষ।
সাত দিনে এক সপ্তাহ হয়।
দুদিনেই কাজ মিটে গেল।
বীপ্সাসূচক করণঃ
ক্রিয়া সম্পাদনের উপায় যদি যুগপৎ ব্যাপ্তি অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বীপ্সাসুচক করণ বলা হয়।
যেমনঃ
রোগে রোগে শীর্ণ দেহ।
কথায় কথায় আঘাত করে।
ফুলে ফুলে গাছটা ভরে গেছে।
হেতুবাচক করণঃ
করণ বাচক পদটি যদি ক্রিয়াপদের কারণ বা হেতু হিসেবে প্রতিপন্ন হয় তবে তাকে হেতুবাচক বা হেত্বর্থক করণ বলে।
যেমনঃ
লোকটা ঋণে জর্জরিত।
তৃষ্ণায় প্রাণ যাবার উপক্রম।
তারা দুঃখে কাতর হয়ে পড়লেন।
সমধাতুজ করণঃ
যদি কোনো বাক্যের করণ বাচক পদ এবং ক্রিয়াপদ একই ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হয় তখন তাকে সমধাতুজ করণ বলে।
যেমনঃ
যে বাঁধনে বেঁধেছ।
লেখনি দিয়ে লেখা হয়।
লোকটি কাটারি দিয়ে এক বোঝা কাঠ কাটল।
অসমাপিকা ক্রিয়ারূপী করণঃ
বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া করণের ভূমিকা পালন করলে তাকে অসমাপিকা ক্রিয়ারূপী করণ বলে।
যেমনঃ
মেয়েটা হেসে হেসেই সব কাজ করে।
সে গেয়ে গেয়ে অর্থ উপার্জন করে।
পায়ে পায়ে অনেকটা পথ চলে এলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
করণ কারকে শূণ্য বিভক্তির প্রয়োগ = ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
করণ কারকে অনুসর্গের প্রয়োগ = বোকামির দ্বারা সফলতা অর্জন করা যায় না।