প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা
দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির লক্ষ্যে WWW.WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবেদনগুলি তৈরি করে তাদের বাংলা বিষয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা :
প্রতিবেদন রচনাঃ
সহজ অথচ আকর্ষণীয় ভাষায় পরিবেশিত খবর হল প্রতিবেদন। এর ইংরেজি নাম রিপাের্টিং। অবশ্য ব্যাপক অর্থে সংবাদ ছাড়াও সাক্ষাধর্মী লেখা, ফিচার, সম্পাদকীয় রচনা সবই প্রতিবেদন। প্রতিবেদন রচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,তাই প্রতিবেদককে বিশেষ দায়িত্ব ও সচেতনতার সঙ্গে প্রতিবেদন রচনা করতে হয়। সংবাদদাতা কোনাে ঘটনাকে চাক্ষুষ দেখে প্রতিবেদন রচনা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তার সামনে একটা বাস্তব পরিস্থিতি পরিদৃশ্যমান হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের যে প্রতিবেদন রচনা করতে দেওয়া হয়, তা একটা কাল্পনিক বিষয়। ছাত্রছাত্রীদের মনে মনে সেই বিষয়টির একটা বাস্তব রূপ দান করতে হবে।‘প্রতিবেদন’শব্দের অর্থ হল বিবরণী বা রিপাের্ট। সাধারণত সংবাদপত্রে খবররূপে প্রকাশের উদ্দেশ্যে কোনাে বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় বা তুলে ধরা হয়, তাকেই প্রতিবেদন বলা হয়ে থাকে। যিনি এই প্রতিবেদন রচনা করেন, তাকে বলা হয় প্রতিবেদক।সংবাদপত্রে প্রকাশের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্যান্য কারণেও প্রতিবেদন রচিত হতে পারে। যেমন, কোনাে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের বিভিন্ন কাজের বিবরণ দিয়েও প্রতিবেদন রচিত হয়ে থাকে। সেগুলি ওই প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সদস্যদের সামনে কোনাে সভায় পাঠ করা হয় কিংবা তাদের মুখপত্রে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন নানারকমের হতে পারে। যেমন—রাজনৈতিক, পরিবেশমূলক, খেলাধূলা বিষয়ক, অপরাধ বিষয়ক, অনুসন্ধানমূলক, শিল্পসংস্কৃতি বিষয়ক প্রভৃতি।
প্রতিবেদন রচনার নিয়মঃ
• প্রতিবেদনের ভাষা হবে সহজসরল।
• প্রতিবেদন হবে কোনাে বিষয় বা ঘটনার যথাযথ বিবরণ রচনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না।
• নিজস্ব মতামত প্রকাশ বা সমালােচনা করা যাবেনা।
• তথ্যবিকৃতি না ঘটিয়ে প্রতিবেদনটিকে আকর্ষণীয় ও সুখপাঠ্য করে তুলতে হবে।
• বিশেষ কোনাে রাজনৈতিক দল বা ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত বা বিরূপতা যেন প্রতিবেদনে প্রকাশ না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
• প্রতিবেদনে অবশ্যই একটি শিরােনাম যােগ করতে হবে।
শিরােনামের মধ্যে দিয়ে প্রতিবেদনের বক্তব্য সম্পর্কে পাঠক যেন আগ্রহী হয়ে ওঠেন, সেকথা মাথায় রাখতে হবে।
• প্রতিবেদনটি আয়তনে যদি বড়াে হয় তাহলে রচনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রয়ােজনীয় অনুচ্ছেদ-বিভাজন করে নিতে হবে।
• লক্ষ রাখতে হবে প্রতিবেদনে একই কথা যেন বারবার বলা না হয়।
• যে-কোনাে প্রতিবেদনে ভাববাচ্যের প্রাধান্য থাকাই বাঞ্ছনীয়।
• প্রতিবেদন যেন বিভ্রান্তিকর ও সামাজিকভাবে ক্ষতিকর না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
• বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিবেদনের একটি শিরােনাম দিতে হবে।
• পরীক্ষার উত্তরপত্রে প্রতিবেদন রচনা পর্ষদনির্দেশিত শব্দসীমার (কমবেশি ১৫০ শব্দ) মধ্যে রাখা আবশ্যিক।
১) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির
হলদিবাড়ীতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ
গতকাল হলদিবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড ভবনে হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিড়ের আয়োজন করা হয়। হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির এই মহান কর্মযজ্ঞে এগিয়ে আসে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক বিভাগ। তাদের যৌথ উদ্যোগে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হলদিবাড়ী বাস স্ট্যান্ড ভবনে এই রক্তদান শিবিড় অনুষ্ঠিত হয়। হলদিবাড়ী পৌরসভার পুরপিতা এই শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। তিনি ছাড়াও সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হলদিবাড়ি অঞ্চলের বি.ডি.ও, হলদিবাড়ী থানার ও.সি, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বি.এম.ও.এইচ মহাশয়। গতকাল এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে মোট ৫৪৩ জন সহৃদয় ব্যক্তি রক্তদান করেছেন। জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারীকেরা জানিয়েছেন যে, এই প্রকারের উদ্যোগ তাদের রক্তের চাহিদা অনুসারে যোগান বজায় রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকার উদ্যোগ হলদিবাড়ীর বুকে পুনরায় গ্রহণ করা হলে তারা আবারো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক সমিতির সভাপতি উমেশবাবু জানান, “বরাবরই আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে সমাজ কল্যাণে বিবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এবারেও আমরা সেই প্রচেষ্টাই করেছি। হলদিবাড়ীবাসীর এই আগ্রহ আমাদের ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা প্রদান করলো।”
২) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
বিবিধ বিনোদনের রমরমায় হারিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাস
বই বিমুখ আধুনিক জনসমাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ
বর্তমান যুবসমাজের কাছে বইয়ের নামান্তর হয়ে উঠেছে পাঠ্যবই। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, সোশাল মিডিয়ার বিনোদনের যুগে তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে বইয়ের এক বিশাল ভান্ডার রয়েছে তা যেন ভুলতে বসেছে। আর স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের অবসর সময়ে পত্র-পত্রিকা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রভৃতি অসংখ্য বইয়ের ভান্ডারকে অবজ্ঞা করে ডিজিটাল বিনোদনের জগতে নিজেদের শৈশব ও যৌবনকে হারিয়ে ফেলছে। শুধু ছোটরাই নয়, বর্তমানে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের মধ্যেও বইকে দূরে ঠেলে টিভি, ওটিটি মাধ্যমের বিনোদনে সারাদিনের ক্লান্তিকে দূর করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।
অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভরতা শিক্ষার্থীদের আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, শিশু-কিশোর ও তরুণদের সিলেবাসের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের করতে পারে পাঠাগার। দেশে পাঠাগারের সংখ্যা বেড়েছে, বইও বেরোচ্ছে প্রচুর, তবে কমেছে পাঠক। অল্প বয়সীদের বেশির ভাগই বইবিমুখ।
অতীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বই-প্রেমী মানুষদের উপস্থিতিতে সরগরম থাকত সমস্ত পাঠাগারগুলো। আর বর্তমানে পাঠকের অভাবে এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত প্রাচীন পাঠাগারগুলি। বইমেলাগুলিও বর্তমানে অনেকাংশেই তাদের জৌলুস হারিয়েছে।
আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে, বিনোদনের আড়ম্বরপূর্ণ মেকি জগতের বাইরে বইয়ের অকৃত্রিম বাস্তবের স্পর্শ আজ তাই খুবই প্রয়োজন। বর্তমান আধুনিক সমাজ কি সেই সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে কালের গর্ভেই।
৩) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
বিদ্যালয়ে আয়ােজিত বিজ্ঞান প্রদর্শনী
বিদ্যালয়ে আয়ােজিত বিজ্ঞান প্রদর্শনী
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ
কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি পৌরসভার অন্তর্গত হলদিবাড়ী উচ্চমাধ্যমিক দিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষাকর্মী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত উদ্যোগে এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীটি প্রতিবছরই যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে আয়ােজিত হয়ে থাকে। এ বছর বিদ্যালয়ের তিনটি ঘরে এই প্রদর্শনীর আয়ােজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের উপর নিজেদের তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মডেল প্রদর্শনীতে রেখেছেন। প্রদর্শনীটির সময় সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীটিকে ঘিরে প্রতি বছরের মতাে এ বছরেও এলাকায় বেশ সাড়া পড়ে গেছে। ১১ই জুন মাননীয় সাংসদ এই প্রদর্শনীর উদবােধন করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের প্রদর্শনী পাঠ্যবিষয়কে আরও ভালােভাবে বুঝতে সাহায্য করে। ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসারেও এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছাত্রছাত্রীদেরই দিতে চেয়েছেন। আশেপাশের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সমবেতভাবে উপস্থিত হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রদর্শনীটি দেখছে এবং চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান করছে। আগামী বছর প্রদর্শনীটি আরও আকর্ষণীয় করে তােলার কথা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
৪) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
নদী ভাঙ্গন রোধে করনীয় সর্ম্পকে একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করো।
ত্রান নয়, বাঁধ চাই
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়িঃ
প্রতিবছরই বর্ষায় বেলতলীর তিস্তা পারের মানুষদের দুঃখ কষ্টের খবর পাওয়া যায়। তিস্তার জল বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়তে থাকে তিস্তা পারের বেলতলীর মানুষদের কষ্ট।
প্রতি বছরই ভাঙ্গে তিস্তার পার। ভিটেমাটি হারা হয় মানুষজন। ত্রান সামগ্রীও আসে। চলে দু একদিন ত্রান বিতরণ উৎসব। জল কমতে থাকে ভাঙ্গনকবলীত মানুষদের খোঁজ নেবার মত আর কেউ থাকে না। বছর ঘুরে আবার আসে বর্ষাকাল আবারো ভাঙ্গে তিস্তা, নিস্ব হয় আরো কিছু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি কখনোই।
সর্বশেষ গত মাসে পুনরায় ভয়াবহ নদীভাঙ্গন দেখা দেয়, এতে ভিটে মাটি হারায় হাজার হাজার মানুষ। তিস্তার ভাঙ্গনে নিঃস্ব এই খেটেখাওয়া মানুষগুলো আর ত্রান চা্য় না। তারা চায় নদী ভাঙ্গন রোধে একটি স্বায়ী সমাধান। তাদের দাবি একটি পোক্ত বাঁধ নির্মান করার।
প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা :
৫) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
এলাকায় বৃক্ষরোপণ উৎসব
এলাকায় বৃক্ষরোপণ উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা, নবগঞ্জ, ২১শে জুলাই : আকাশে বাদলের মেঘ। বর্ষায় স্নাত ধারা। সবুজ সতেজ উদ্ভিদ জগৎ। বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময় এই জুলাই মাস। নবগঞ্জের প্রকৃতি বাঁচাও মঞ্চ এই অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নানান সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত এই নবগঞ্জের প্রকৃতি বাঁচাও মঞ্চ। রক্তদান শিবির, দাতব্য চিকিৎসালয়, নিরক্ষরতা দূরীকরণ করেছে বিগত কয়েক বছরে। বর্তমান বছরে তাদের কর্মসূচি ‘দাও ফিরে সে অরণ্য; লও এ নগর’।
বীজ বপন করা হয়েছিল পূর্বেই। বর্ষার প্রথম জল পেয়ে চারাগুলি সবুজ সতেজ হয়ে উঠেছিল। বিগত দুদিন ধরে চলছে এই বৃক্ষরোপণ উৎসব। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শিশু থেকে বড়োদের নিয়ে শোভাযাত্রা, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এই উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অনুষ্ঠানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। অঞ্চলের যুবক-যুবতি-বড়োরা মিলে প্রায় কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়েছে দুদিনে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবার উপস্থিতিতে উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
৬) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
বইমেলায় প্রথম দিন
বইমেলায় প্রথম দিন
নিজস্ব সংবাদদাতা, রতনপুর, ২৩শে জুলাই, ২০২৪: বই মানুষের প্রাণের সম্পদ। এখানে ছোটো-বড়ো সবার মনের খোরাক থাকে। মনের রসদ জোগাতে রতনপুরে অনুষ্ঠিত হল বইমেলা। উদবোধন করেন এলাকার বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন রতনপুর কলেজের অধ্যক্ষ ও আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বিধায়ক বলেন, যুবকদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমানোর ক্ষেত্রে বই একটি কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। বাড়াতে হবে শিক্ষার প্রসার। বই শুধু আলমারিতে সাজিয়ে রাখলে হবে না। ছোটোদের পড়ার অভ্যাস ও ইচ্ছা জাগ্রত করতে হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জেও মেলার পরিধি ছড়িয়ে দিতে হবে। রতনপুর কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, বর্তমানে বইয়ের দাম অত্যন্ত বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। প্রকাশকদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। দাম বাড়ার ফলে বই কেনার আগ্রহ কমছে। বিশেষত সাধারণ বাড়ির ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হচ্ছে। বইমেলার উদ্দেশ্য এতে ব্যাহত হচ্ছে। বইমেলা প্রাঙ্গণে বই যেমন রয়েছে স্তূপাকারে তেমনই রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। লোকনৃত্য, লোকসংগীত, কবিতাপাঠ ও শ্রুতিনাটকের ব্যবস্থা রয়েছে। রতনপুরের এই বইমেলা চলবে পাঁচদিন। মেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অধিবাসী তথা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে।
৭) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি
অগ্নিমূল্যে বেহাল জনসাধারণ
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ী, ২৫শে জুলাইঃ বিগত বেশ কিছিদিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অনবরত দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে জনমানসে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভের। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আলুর দাম ছাড়িয়েছে পঞ্চাশের গন্ডী! অন্যান্য সবজি ক্রয় করতেও মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে। বিবিধ ডাল, তেল, মশলা, দুধ, কসমেটিক্স প্রভৃতি সব কিছুরই দাম আর নিয়ন্ত্রণের গন্ডী মানছে না। কেন্দ্র বা রাজ্য কোনো সরকারের পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে কোনো সদর্থক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে না। শুধু দোষারোপ করেই নেতৃবৃন্দ সময় অতিবাহিত করে চলেছেন। এ বিষয়ে সরকারের বিরোধী পক্ষে যাঁরা জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন তারাও কোনো ব্যাপক প্রতিবাদ-আন্দোলন সংগঠিত করতে পারছেন না। ফলত, কোনো ব্যবসায়ীই জিনিসপত্রের দাম কমানোর দিকে সামান্যতম ভ্রূক্ষেপ না করায়, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জনমানসে তাই বিপুল বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ জনসাধারণ কমিটির পক্ষ থেকে তাই আগামীকাল শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ অবরোধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে তাই শহরজুড়ে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
৮) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
রক্তদান, জীবনদান
রক্তের মূল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ২৭শে জুলাই: হলদিবাড়ি নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল এক রক্তদান শিবির। গত ২৬শে জুলাই স্থানীয় সীমান্ত ভবনে এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মেখলিগঞ্জ মহকুমার বিধায়ক মহাশয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সম্পাদক অনুপম ধর জানান যে, এই বছর ৫৬ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেছেন। সংখ্যাটা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে তিনি জানান। এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ এবং রক্তদান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই সাফল্যের কারণ বলে তাঁর অভিমত। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, হলদিবাড়ি নাগরিক মঞ্চের রক্তদান শিবির এবার তৃতীয় বছরে পড়ল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বনভিভাগের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারীক তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিজয় সেন মনে করিয়ে দেন যে, প্রতিটি ক্লাব তথা সংগঠনেরই নিজেদের এলাকায় এরকম একটি করে সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক। প্রচণ্ড গরমে ব্লাড ব্যাংকগুলিতে যখন রক্তের আকাল তখন এই ধরনের উদ্যোগ যে বহু বিপন্ন মানুষের প্রাণ রক্ষা করবে সে কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। সমগ্র রক্তদান শিবিরটিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেছিলেন জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিকবৃন্দ। এই উদ্যোগ হলদিবাড়িতে এমন আরো সামাজিক কর্মকান্ডের পাথেয় হয়ে থাকলো বলেই এলাকাবাসীর অভিমত।
৯) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
নিজস্ব সংবাদদাতা, মুরারই, ২৮শে জুলাই:হলদিবাড়িমুখী ১৫২৩ ডাউন দার্জিলিং মেইলের দুটি এসি কোচ এবং সেই সংলগ্ন তিনটি স্লিপার কোচ বেলাইন হল। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে ট্রেনটি হলদিবাড়ি স্টেশনে ঢোকার সময়। ঘটনাস্থল থেকে হলদিবাড়ি স্টেশন ছিল খুবই নিকটে। যদিও দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনটির গতি আস্তে থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে দুর্ঘটনার জেরে হলদিবাড়ি থেকে এঞ্জিপিগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে চলে এবং জলপাইগুড়ি থেকে আগত এঞ্জিপি-হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে জলপাইগুড়ি স্টেশনেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। রেলের জেনারেল ম্যানেজার বিনয় কুমারসহ পদস্থ রেলকর্তারা ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসেন। রেলপুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তের পরে সন্দেহ করা হচ্ছে লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইতিপূর্বে এই শাখাতেই কলকাতামুখী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ভয়ংকর দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছিল। অল্পকিছুদিনের ব্যবধানের মধ্যেই দার্জিলিং মেইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও যাত্রীবোঝাই ট্রেনের কামরা বেলাইন হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা এই বাড়তে থাকা রেলদুর্ঘটনার জন্য আধিকারিকদের কর্তব্যের গাফিলতিকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। রেলের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার অঙ্গীকার জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা :
১০) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
মোবাইল ফোন কানে রাস্তা পার হওয়া বিপজ্জনক
মোবাইল যখন প্রাণনাশক
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ২৯শে জুলাই: মোবাইল ফোন ক্রমশই আধুনিক মানুষের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। নানা সার্ভিস প্রোভাইডারকে নামমাত্র মূল্যে নানা সুযোগসুবিধাপ্রদান, হ্যান্ডসেটের দাম কমে যাওয়া – এসব কারণে গরিব বড়োলোক নির্বিশেষে এখন সকলের হাতেই মুঠোফোন। শুধু তো কথা বলা বা শোনা নয়, ইনটারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো নানাবিধ সোশ্যাল মিডিয়ার নেশাতেও মজেছে আপামর বাঙালি। আর সেই নেশা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে যখন তখন। আজ বিকালে কালীবাড়ি মোড়ে এরকমই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মোবাইলের হেডফোন কানে গুঁজে সিগন্যাল না দেখেই রাস্তা পার হওয়ার সময়ে জলপাইগুড়ি থেকে আসা একটি বাসে চাপা পড়েন এক স্থানীয় যুবক। তাকে স্থানীয় লোকেরা দ্রুত হলদিবাড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালসূত্রে জানা গিয়েছে তার নাম তপেশ বসু, বাড়ি হলদিবাড়ি পশ্চিম পাড়ায়। তার অবস্থা এখনও যথেষ্ট সংকটজনক। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালায় এবং এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। হলদিবাড়ি থানার আই.সি জয়ন্ত কুমার জানিয়েছেন যে, পথ নিরাপত্তা নিয়ে বিবিধ প্রচার চালানো হলেও জনমানসে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরজুড়ে আরো বেশি মাত্রায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
১১) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আনন্দপুর বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা, আনন্দপুর, ৪ঠা আগষ্ট: কোচবিহার জেলার আনন্দপুরের কেন্দ্রে অবস্থিত আনন্দপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এ বছর তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদ্যাপন করছে। গত ২রা আগস্ট বর্ষব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক নিখিলেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. অনিকেত বসু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ইতিহাস নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ একটি স্মারক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। সকাল ৭ টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। ছেলেদের ব্যাম্বু ড্যান্স সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিনীত নাটক “অবাক জলপান” প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও আবৃত্তি, গান, নাচ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এক চিত্তাকর্ষক সন্ধ্যা উজ্জাপন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহনবাবু বলেন যে, ক্রিকেট-ফুটবল-ভলিবল প্রতিযোগিতা এবং ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সারাবছর ধরে চলবে। স্থানীয় সকলেই এই অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস করছেন।
১২) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
পাঠাগার উদ্বোধন
নিশিপুরে গ্রন্থাগার উদ্বোধন
নিজস্ব সংবাদদাতা, নিশিপুর, ১০ই আগস্ট: মেখলিগঞ্জ মহকুমার নিশিপুর গ্রামের মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হল গ্রামীণ গ্রন্থাগার। গত ৯ই আগস্ট এই গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীলকান্ত সমাদ্দার। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব মজুমদার। এলাকায় একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নিশিপুর গ্রামে কোনো গ্রন্থাগার ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা রামদুলাল রায়ের দেওয়া জমিতে গড়ে উঠেছে এই গ্রন্থাগার। আপাতত, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ মিলিয়ে প্রায় তিনহাজার বই এখানে স্থান পেয়েছে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও নিজস্ব সংগ্রহের বই গ্রন্থাগারে দান করেছেন। গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির সম্পাদক সন্দিপন দাসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য দুটি বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এ ছাড়া গ্রন্থাগারের সদস্যদের দ্বারা একটি দেয়াল পত্রিকাও নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক নীলকান্ত সমাদ্দার আশা প্রকাশ করেন যে, এলাকার মানুষের শিক্ষা ও চেতনার মান উন্নয়নে এই গ্রন্থাগার বিশেষ ভূমিকা নেবে। কর্মাধ্যক্ষ তার ভাষণে বলেন, গ্রন্থাগারের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন। স্থানীয় সংগীত শিল্পী কিশোর বিশ্বাসের গান দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি করা হয়।
১৩) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
অরণ্য-সপ্তাহ পালন
হলদিবাড়িতে অরণ্য-সপ্তাহ
বিশেষ সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ১২ই আগস্ট: হলদিবাড়ির বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গত ৫ই আগস্ট থেকে ১১ই আগস্ট পর্যন্ত অরণ্য-সপ্তাহ পালন করে। সপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকগণ এবং এলাকার বিধায়ক, পুরপিতা ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। ৫ই আগস্ট হলদিবাড়ি বাস স্ট্যান্ড মোড় থেকে জয়ী সেতু পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান পালিত হয়। ১১ই আগস্ট সন্ধ্যায় রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক নাটক ‘এসো গাছ লাগাই’ পরিবেশিত হয়। এলাকার বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এবং এ-বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান পরিবেশদূষণ থেকে হলদিবারিকে মুক্ত করার সংকল্প ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে, ক্রমশ বেড়ে চলা প্রাকৃতিক দূষণের কথা বলতে গিয়ে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসতে বলেন। অঞ্চলের প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের তিনি এই বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। হলদিবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সমবেত সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করে।
১৪) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহরের জনজীবন
জলনিকাশের সমস্যায় জলপাইগুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৫ই জুলাই: তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা জলপাইগুড়িতে বেশ অনেকদিন ধরেই। বৃষ্টিতে এখানাকার বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা এতটাই বেহাল হয় যে, যে-কোনো সময় বড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রশাসনিক দফতর বারবার এই সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও সমস্যার কোনোরকম সমাধান আজও হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুরপ্রধান বলেছেন, পুরসভার যে-দুটি পথ দিয়ে জল বের করা হয় তা পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। ওই কাজ করার জন্য পঞ্চায়েত ৪০ শতাংশ ও পুরকর্তৃপক্ষ ৬০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে। আর সেভাবেই কাজ হয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন পুরপ্রধান অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে, যেখানে কাজ হয়েছে সেখানেও ভালো কাজ হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ সমর্থন করে তিনি বলেছেন অঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডেই নিকাশিব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে। প্রতি বর্ষাতেই এই অঞ্চলকে এইভাবে ডুবতে হয়। যদিও অঞ্চলের বাসিন্দাদের পুরসভাপ্রধান আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁরা জলপাইগুড়ি শহরকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। জলনিকাশি ব্যবস্থা-সহ আগামী কয়েক বছরে উন্নত পরিসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পৌরসভা কাজ করছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা :
১৫) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
জলা বুজিয়ে, সবুজ ধ্বংস করে আবাসন নয়
জলা বোজানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ১৫ই আগস্ট: আবাসন আবশ্যক কিন্তু জলা বুজিয়ে বা সবুজ ধ্বংস করে নয় ১৫ই আগস্ট এই সিদ্ধান্তই জানালেন হলদিবাড়ি শহরের মানুষ। প্রতি বছরের মতো এ-বছরেও হলদিবাড়ি মুক্ত নাগরিক মঞ্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন পরিবেশ বিষয়ক এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আলোচনাসভা। এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জলা বুজিয়ে সবুজ ধ্বংস করে আবাসন নয়’।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহুরে জীবনে যে আবাসনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে তা আজ আর কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। কিন্তু পুকুর বোজানোর এবং নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন করার পরিণাম যে অত্যন্ত ভয়ংকর, সে-কথা বোঝার সময় সবার এসেছে। এর ফলে ক্রমে ক্রমে আমরা পরিবেশকে আমাদের বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি। আলোচনাসভায় এসব ব্যাপারেই বিষদ আলোচনা করেন পরিবেশবিজ্ঞানী শ্রীবীরেন ঘোষ মহাশয়, হলদিবাড়ি মুক্ত নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক শ্রীকমল নাগ মহাশয়, সহ-সম্পাদক শ্রীপার্থসারথী দাস মহাশয়। এক শ্রেণির অসাধু আবাসন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন অনেকেই। জলাভূমি বুজিয়ে এবং সবুজ ধ্বংস করে বহুতল বাড়ি নির্মাণের বিরুদ্ধে সভায় সকলে ক্ষোভ দেখান। হলদিবাড়ি পৌর এলাকা ও সংলগ্ন পঞ্চায়েত অঞ্চলকে পরিবেশদূষণ থেকে মুক্ত করার সংকল্প ঘোষিত হয় হলদিবাড়ি মুক্ত নাগরিক মঞ্চের সম্পাদকের কণ্ঠে। হলদিবাড়িকে দূষণমুক্ত করার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
১৬) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
ডাইনি সন্দেহে এক বৃদ্ধাকে নিপীড়ন করার বিরুদ্ধে গ্রামের একদল যুবকের প্রতিবাদ
ডাইনি সন্দেহে নির্যাতিতা বৃদ্ধা
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ২২শে আগস্ট: গতকাল দুপুরে হলদিবাড়ির পাবনাকলোনী এলাকায় এক বৃদ্ধাকে ডাইনি সন্দেহে নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানায় স্থানীয় একদল যুবক। স্বামী ও একমাত্র সন্তান মারা যাওয়ার পর থেকে বিমলা মন্ডল (৯০ বছর) নামে ওই মহিলা তাঁর বাড়িতে একাই থাকতেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে সেই অঞ্চলের কাউন্সিলর রমেনবাবুর ছোটো মেয়ে হঠাৎই অজানা জ্বরে মারা যায়। এ কথা জানাজানি হওয়ার পর এলাকার বেশ কিছু লোক উন্মত্তের মতো লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে চড়াও হয় এবং তাঁকে প্রচণ্ড মারধোর করতে থাকে। সেই সময়ে সেখানকার একদল যুবক খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছোয় এবং বৃদ্ধাকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে। হলদিবাড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তারা। বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা ভালো বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুবকদের পুরস্কৃত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় থানার আইসি জগজীবন থাপা। এই যুবকদের অন্যতম প্রবীর বিশ্বাস বলেন যে, স্থানীয় শিক্ষিত মানুষের সাহায্যে এলাকার লোকের মন থেকে কুসংস্কার দূর করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।
প্রতিবেদন রচনা । দশম শ্রেণির বাংলা :
১৭) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতার প্রয়াস
প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতার প্রয়াস
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ী, ৫ই আগস্ট :বর্তমান যুগের অন্যতম পরিবেশ দূষক হলো প্লাস্টিক। আর সেই প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যত্রতত্র ১২০ মাইক্রনের কম পুরুত্ব সম্পন্ন প্লাস্টিক নির্বিচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্লাস্টিক এমনই এক দূষক যাকে খুব সহজে বিনষ্ট করা যায় না এবং তা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে থাকে। আর তাই এই ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে সমগ্র শহরবাসীকে সচেতন করার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। মঞ্চের পক্ষ থেকে হলদিবাড়ী থানা মোড়ে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সচেতনতা শিবিরে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করা হয়। হলদিবাড়ী সচেতন নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক শ্রীযতীন রায় জানান যে, তারা এই সচেতনতামূলক প্রচার নিয়মিত চালিয়ে যাবেন। হলদিবাড়ী পৌরসভার পৌরপিতা শ্রীতপন বিশ্বাস তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশ্বাস প্রদান করেছেন যে, হলদিবাড়ী পৌরসভা এই মহান উদ্যোগে তাদের সর্বোতভাবে সহায়তা প্রদান করবে।
১৮) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কর্মশালার আয়োজন
বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কর্মশালা
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি, ৫ই সেপ্টেমবর: বিগত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হলদিবাড়ি রবীন্দ্রভনন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল স্বল্প ও বিনামূল্যের সামগ্রী দিয়ে ‘হাতেকলম বিজ্ঞান’ শীর্ষক কর্মশালা। হলদিবাড়ি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও বিজ্ঞানমনষ্ক নাগরিকবৃন্দের সহযোগিতায় এবং জলপাইগুড়ি বিজ্ঞান পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই কর্মশালা। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিড়লা তারামন্ডলের প্রাক্তন অধিকর্তা ত্রিপুরেশ ভট্টাচার্য ও নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শ্রীযোগেশ্চন্দ্র গুহ মহাশয়। এই কর্মশালায় পার্শবর্তী ৩টি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে পরিত্যক্ত বোতল এবং হাতের সামনে পাওয়া নানা জিনিস ও অত্যন্ত কমদামের কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে ত্রিপুরেশবাবু শেখালেন যে, হাতেকলমেই নানান পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার নানা নিয়ম-নিউটনের গতিসূত্র, ঘর্ষণ, চুম্বকত্ব, চাপ, বল, আলোক, আর্কিমিডিসের সূত্র, বানৌলি নীতি, তরলের সমোচ্চশীলতা ধর্ম, মাধ্যাকর্ষণ-প্রভৃতি বিষয় কত সহজে এবং নির্ভুল পদ্ধতিতে শেখানো যায়। সবশেষে, বিষয়টিকে কীভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায় ও প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণ করানো যায়, তা নিয়েও বিষদ আলোচনা করা হয়।
১৯) প্রতিবেদন রচনা করোঃ
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বহু মানুষ মৃত
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা, দেরাদুন, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ : ২০১৩ সালের স্মৃতি উসকে উত্তরাখণ্ডে আবার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও কাদাধসে কমপক্ষে ৭০জনের মৃত্যু ঘটেছে। বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না। কেন্দ্রের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে গিয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় ও চামোলি জেলায় ধস নামে। সেখানকার সাতটি গ্রামের বাড়িগুলি প্রায় নিশ্চিহ্ন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বিষয়টি নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করেছেন। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ইন্দোতিব্বত সীমান্ত পুলিশ; জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী মিলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিংহালি, ওগলা ও তাল গ্রাম। এখানকার বাড়িগুলি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। বৃষ্টির দাপট যদি না কমে তাহলে পরিস্থিতি চরম অবস্থায় পৌঁছে যাবে।
LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

