পঁচিশে বৈশাখ । পঞ্চতন্ত্র – সৈয়দ মুজতবা আলি । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঁচিশে বৈশাখ । পঞ্চতন্ত্র – সৈয়দ মুজতবা আলি । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধান করলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
পঁচিশে বৈশাখ । পঞ্চতন্ত্র – সৈয়দ মুজতবা আলি । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার :
১) “তার স্নিগ্ধছায়ায় বিশ্বজন একদিন সুখময় নীড় লাভ করবে সে বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই।”- ‘তার স্নিগ্ধছায়ায়’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন এবং ‘সুখময় নীড়’টি কেমন তা বর্ণনা করো। বিশ্বজনের সুখময় নীড় লাভ করার বিষয়ে লেখকের কোনো সন্দেহ নেই কেন? ২+৩=৫
উৎসঃ
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক “সৈয়দ মুজতবা আলী” রচিত “পঞ্চতন্ত্র” প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত “পঁচিশে বৈশাখ” শীষর্ক প্রবন্ধ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
‘তার স্নিগ্ধছায়ায়’ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ
প্রাবন্ধিক ‘তার স্নিগ্ধছায়ায়’ বলতে রবীন্দ্রনাথ নির্মিত শান্তিনিকেতনের আশ্রমের কথা বলেছেন।
সুখময় নীড়ের পরিচয়ঃ
১৮৬৩ সালে (১২৭০ বঙ্গাব্দ) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিংহের কাছ থেকে দুটি ছাতিম গাছ-সহ ২০ একর জমি বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছে ইজারায় কিনে নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একটি অতিথিশাল নির্মাণ করেন এবং তার নাম দেন ‘শান্তিনিকেতন’। তিনি সেখানে একটি উপাসনালয়ও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ খ্রিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানেই ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামে একটি গুরুকুল শিক্ষালয় স্থাপন করেন, যা ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত হয়। গাছের তলায় প্রকৃতির মাঝে এখানে শিক্ষাদান করা হত। প্রতিষ্ঠার বছরেই যে ক-জন ছাত্রছাত্রী বিশ্বভারতীতে প্রবেশ করেছিলেন, সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ‘সুখময় নীড়’ নির্মাণ বলতে এখানে তিনি এই বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার কথাই বলেছেন।
সন্দেহ না থাকার কারণঃ
শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করে শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশের লক্ষ্যে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে একটি আদর্শ শিক্ষায়তন গড়ে তুলেছিলেন। মুখস্থসর্বস্ব ও আচারনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তীব্র কটাক্ষবাণ নিক্ষেপ করেছেন তাঁর বিভিন্ন রচনায়। ‘অসন্তোষের কারণ’ রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “যে শিক্ষা বাহিরের উপকরণ তাহা, বোঝায় করিয়া আমরা বাঁচিব না, যে শিক্ষা অন্তরের অমৃত তাহার সাহায্যেই আমরা মৃত্যুর হাত এড়াইব।”
ভারত ও বিশ্বকে একসূত্রে বাঁধতে পারবে এমন এক পাঠকেন্দ্রের পরিকল্পনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ-যে শিক্ষাকেন্দ্রে ব্যাবহারিক, প্রয়োজনের উপযোগী শিক্ষার থেকে জীবনের পাঠ, আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষাদানই হবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাবনারই ফলশ্রুতি শান্তিনিকেতনের ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’। সঙ্গত কারণেই তাই প্রাবন্ধিক বলেছেন যে, শান্তিনিকেতনের, স্নিগ্ধচ্ছায়ায় বিশ্বজন একদিন ‘সুখময় নীড়’ লাভ করবে।
LINK TO VIEW PDF 
PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS
১) “…একদিন সে ভুবন আমার নিতান্ত আপন হয়ে উঠবে।” – কোন্ ভুবনের কথা বলা হয়েছে? কীভাবে তা লেখকের আপন হয়ে উঠবে? ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
২) “গান যখন সাঙ্গ হয়…”- গান কীভাবে সাঙ্গ হয়? লেখক তখন কী উপলব্ধি করেন? ৩+২=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৩) “এ গান আর অন্য কোন রূপ নিতে পারতো না…”- কখন প্রাবন্ধিকের এই উপলব্ধি হয়েছে? নিজের ধারণাটিকে তিনি কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন? ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৪) “লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই” – কী লক্ষ্য করার কথা বলা হয়েছে? এ বিষয়ে লেখকের অভিমত কী? ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৫) “….তার কারণ অনুসন্ধান করলে অধিকাংশ স্থলেই দেখতে পাবেন,” – কীসের কারণ? অনুসন্ধানের ফলে কী দেখা যাবে? ২+৩
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৬) “এ অলৌকিক কর্ম যিনি করতে পারেন তিনিই ‘বিশ্বকর্মা মহাত্মা’।”- কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? এরূপ মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো। ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৭) ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী গান ছাড়া রবীন্দ্রনাথের অন্য কোন্ কোন্ গুণের উল্লেখ করেছেন? তাঁর কাছে কবির গান অসম্পূর্ণ রূপে প্রতিভাত হয় না কেন? ২+৩=৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের সকল নোট দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে