pother-pachali-first-unit-test-question-answers

পথের পাঁচালী প্রথম ইউনিট টেস্ট প্রশ্নের উত্তর । অষ্টম শ্রেণির বাংলা

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত পথের পাঁচালী প্রথম ইউনিট টেস্ট প্রশ্নের উত্তর । অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অষ্টম শ্রেণির বাংলা পথের পাঁচালী অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর –গুলি সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

পথের পাঁচালী প্রথম ইউনিট টেস্ট প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) অপু কোন মাঠে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উঃ অপু কুটির মাঠে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

২) আলকুশি কী ?

উঃ বনে জঙ্গলে গজিয়ে ওঠা এক ধরনের গাছ। শুঁয়ো ফুটে গেলে জ্বালা করে। হাতে গায়ে পায়ে লাগলে চুলকানি হয়। ফোঁসকা পড়ে।

৩) পথের পাঁচালী উপন্যাস এর শুরুতে কোন ঋতুর উল্লেখ আছে ?

উঃ পথের পাঁচালী উপন্যাসের শুরুতে শীত ঋতু বা মাঘ মাসের উল্লেখ আছে।

৪) “বালক অবাক হইয়া লুব্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিল”– কে কি দেখছিল ?

উঃ অপু কুঠির মাঠে নিচু নিচু কুল গাছে অনেক কুল পেকে আছে, অবাক হয়ে সে লুব্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখছিল। 

৫) “সেকালের কুঠিটা প্রাগৈতিহাসিক যুগের অতিকায় হিংস্র জন্তুর কঙ্কালের মতো”– কোন কুঠির কথা বলা হয়েছে ?

উঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের অদূরে অবস্থিত সাহেবদের কুঠি অর্থাৎ ইংরেজদের নীলকুঠির কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় লোকেরা একে কুঠির মাঠ বলে। 

৬) কোন বাজারে দুধের গোলদারি দোকান পুড়েছিল ?

উঃ আষাঢ়ুর বাজারে বাজারে দুধের গোলদারি দোকান পুড়েছিল। 

৭) অপু ও দুর্গা আমের কুশি খাওয়ার ঘটনাটি কেমন ভাবে ধরা পড়ল ?

উঃ অপূ মা এর সামনে চাল ভাজা খেতে গিয়ে যখন সে আম খেয়ে দাঁত টকে যাওয়ার কথা বলে। 

৮) অপু গ্রামের বাইরে বাবার সঙ্গে কোন পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উঃ অপু গ্রামের বাইরে বাবার সঙ্গে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

৯) অপুর গ্রামের নাম কী ?

উঃ অপুর গ্রামের নাম নিশ্চিন্দিপুর।

১০) অপু কোন দিন পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উঃ অপু সরস্বতী পুজোর দিন পাখি দেখতে গিয়েছিল।

১১) অপুর বয়স কত ?

উঃ অপুর বয়স ছয় সাত বছর। 

১২) পথে যেতে যেতে অপু কোন প্রাণী দেখেছিল ?

উঃ পথে যেতে যেতে অপু খরগোশ দেখেছিল।

১৩) নবীন পালিত মহাশয় মাঠের উত্তর অংশের জমিতে কী চাষ করেছিলেন ?

উঃ নবীন পালিত মহাশয় মাঠের উত্তর অংশের জমিতে শাঁক আলু চাষ করেছিলেন।

১৪) কোন ফলে হাত চুলকে ফোসকা হবে ?

উঃ আলকুশি ফলে হাত চুলকে ফোসকা হবে। 

১৫) নিশ্চিন্দিপুরের লোক কখন নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে যাচ্ছিল ?

উঃ সরস্বতী পুজোর বিকেলে হরিহর ও অপু-সহ নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে বেরিয়েছিল।

১৬) নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক কবে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল ?

উঃ নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক মাঘ মাসের শেষে সরস্বতীপুজার বিকেলে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল।

১৭) অপু কোন বইয়ে খরগোশের ছবি দেখেছিল ?

উঃ অপু বর্ণ পরিচয় বইতে খরগোশের ছবি দেখেছিল।

১৮) “এই দেখো এখন, বাবলা গাছে এক্ষুনি এসে বসবে।”– এখানে কী বসার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ এখানে নীলকন্ঠ পাখির বসার কথা বলা হয়েছে।

১৯) অপু বাবার সাথে সরস্বতী পূজার বিকেলে কোন্ পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উঃ সরস্বতী পূজার বিকেলে অপু, বাবা ও কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে ‘নীলকণ্ঠ’ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

২০) আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিত, মা, ওদিকে কি সেই কুঠি ?”– কোন কুঠির কথা বলা হয়েছে ?

উঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের অদূরে অবস্থিত সাহেবদের কুঠির কথা বলা হয়েছে।

২১) হরিহর কার সঙ্গে মৎস্য-শিকারের পরামর্শ করছিলেন ?

উঃ হরিহর নবীন পালিতের সঙ্গে মৎস্য শিকারের পরামর্শ করছিলেন।

২২) অপু কাদের মুখে কুঠির মাঠের কথা শুনেছিল ?

উঃ সে তার বাবার মুখে, দিদির মুখে, আরো পাড়ার কত লোকের মুখে কুঠির মাঠের কথা শুনেছিল।

২৩) নীল কুঠি সাহেবদের জ্বালঘরের ভগ্নাশয় দেখতে কেমন ?

উঃ নীল কুঠি সাহেবদের জ্বালঘরের ভগ্নাশয় দেখতে বড় ইটের পাঁজার মত।

২৪) নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাইরের নদীর ধারের মাঠটি কী নামে পরিচিত ?

উঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাইরের নদীর ধারের মাঠটি কুঠির মাঠ নামে পরিচিত।

২৫) জীবন্ত খরগোশ দেখে অপুর মনোভাব কেমন ছিল ?

উঃ প্রথমবার খরগোশ দেখে অপু ভীষণ উত্তেজিত হয়েছিল। এর আগে সে বইয়ের ছবিতে খরগোশ দেখেছিল। এখন সে দেখল একেবারে কানখাড়া সত্যিকারের খরগোশ।

২৬) ইঁটের পাঁজার মত জিনিসটি কী ?

উঃ ইঁটের পাঁজার মতো জিনিসটি ছিল নীলকুঠির জ্বালঘরের ভগ্নাবশেষ।

২৭) “বালক অবাক হইয়া চারিদিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিতেছিল”– কোন্ বালক কী দেখছিল ?

উঃ বালক অপু চারদিকে চেয়ে চেয়ে দেখছিল। তার ছয় বছরের জীবনে প্রথম সে বাড়ি থেকে এত দূরে নীলকুঠি দেখতে এসেছিল। তাই সে অবাক হয়ে সবকিছু দেখছিল।

২৮) “ইহাই ছিল তাহার জগতের সীমা”– অপুর জগতের সীমা কত দূর ছিল ?

উঃ অপুর জগতের সীমা ছিল নেড়াদের বাড়ি, নিজেদের বাড়ির সামনেটা, বড়জোর রানুদিদিদের বাড়ি।

২৯) অপুর খেলার সম্পত্তি কোথায় থাকতো ?

উঃ অপুর খেলার সম্পত্তি একটি ছোট টিনের বাক্সে থাকতো।

৩০) অপুর টিনের বাক্সের মধ্যে কী ছিল ?

উঃ অপুর টিনের বাক্সের মধ্যে চার পয়সা দামের রং ওঠা কাঠের ঘোড়া, একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি এবং কতগুলি কড়ি, একটা দু পয়সা দামের পিস্তল, কতকগুলো শুকনো নাটা ফল, খান কতক খাপরার কুচি ছিল।

৩১) অপু তার কড়িগুলো কোথায় পেয়েছিল ?

উঃ অপু তার কড়িগুলো মায়ের লক্ষ্মী পূজার কড়ির চুপড়ি থেকে খুলে নিয়েছিল।

৩২) অপুর রং ওঠা কাঠের ঘোড়াটির দাম কত ?

উঃ অপুর রং ওঠা কাঠের ঘোড়াটির দাম চার পয়সা।

৩৩) খাপরার কুচি দিয়ে অপু কি খেলতো?

উঃ খাপরার কুচি দিয়ে অপু গঙ্গা যমুনা খেলা খেলতো।

৩৪) অপুর খেলনা পিস্তলটার দাম কত ?

উঃ অপুর খেলনা পিস্তলটার দাম দুপয়সা।

৩৫) দুর্গা দিদি কোথা থেকে অপুকে ডাকলো ?

উঃ দুর্গা দিদি কাঁঠালতলা থেকে অপুকে ডাকলো।

৩৬) দুর্গা দিদির ডাক শুনে অপু কোন জিনিস লুকিয়ে রাখল ?

উঃ দুর্গা দিদির ডাক শুনে অপু লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলল।

৩৭) অপুর দিদির নাম কী ?

উঃ অপুর দিদির নাম দুর্গা।

৩৮) অপুর দিদির বয়স কত ?

উঃ অপুর দিদির বয়স দশ-এগারো বছর।

৩৯) দুর্গা দেখতে কেমন ছিল ?

উঃ গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফর্সা নয়, একটু চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখগুলি বেশ ডাগর ডাগর।

৪০) দুর্গা কাঁচা আম কোথায় পেয়েছিল?

উঃ পটলিদের বাগানে সিন্দুরকোটোর তলায় পড়েছিল। সেখান থেকে সে কাঁচা আম পেয়েছিল।

৪১) অপুর দিদি আমের কুশি কী কী দিয়ে বানিয়ে ছিল ?

উঃ লবণ, লঙ্কা ও তেল দিয়ে অপুর দিদি আমের কুশি বানিয়ে ছিল।

৪২) ‘মা আসতে এখন ঢের দেরি।’– অপুর মা কোথায় গিয়েছিল ?

উঃ অপুর মা পুকুরে ক্ষার অর্থাৎ জামা কাপড় কাচতে গিয়েছিল।

৪৩) “তুই এতগুলো খাবি দিদি।”– এখানে কে কাকে এ কথা বলেছিল ? কি খাবার কথা বলা বলেছে ?

উঃ অপু দুর্গাকে এ কথা বলেছিল। এখানে কচি আম খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৪৪) ছোটদের পথের পাঁচালী গল্পে নীলমণি রায়ের পরিচয় দাও।

উঃ হরিহর রায়ের জ্ঞাতি-ভ্রাতা ছিলেন নীলমণি রায়। তিনি গত বছর মারা গেছেন। তার স্ত্রী, পুত্র কন্যা নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন।

৪৫) হরিহরের বাড়িটি কেমন ছিল?

উঃ হরিহরের বাড়ির সামনের দিকের রোয়াক ভাঙ্গা, ফাটলে বন বিছুটি ও কালমেঘ গাছের বন গজিয়েছে, ঘরের দোর জানলার কপাট সব ভাঙ্গা, নারকেলের দড়ি দিয়ে গরাদের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৪৬) “মুখটা মুছে ফেল না বাঁদর”– দুর্গা কেন অপুকে মুখটা মুছে ফেলতে বলেছিল ?

উঃ দুর্গা অপুকে মুখ মুছে ফেলতে বলেছিল কারণ দুই ভাই বোনে আম মাখানো খেতে গিয়ে অপুর মুখে নুন লেগেছিল।

৪৭) মা বাড়ি ফিরে আসায় দুর্গা অবশিষ্ট আম গুলি নিয়ে কি করেছিল ?

উঃ দুর্গা কাঁঠাল গাছের কাছে সরে গিয়ে গুড়ির আড়ালে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট আম গুলি সে গোগ্রাসে খেয়ে ফেলেছিল।

৪৮) আম খাওয়ার পর খালি মালাটা দুর্গা কোথায় ফেলে দিয়েছিল ?

উঃ খালি মালাটা দুর্গা টান মেরে ভেরেন্ডা-কচার বেড়া পার করে নীলমণি রায়ের ভিটের দিকে জঙ্গলের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল।

৪৯) আপুদের বাড়িতে কে গাই দুইতে আসে ?

উঃ আপুদের বাড়িতে স্বর্ণ গোয়ালিনী গাই দুইতে আসে।

৫০) অপুর মুখে নুনের গুঁড়ো কেন লেগেছিল ?

উঃ অপু তেল, নুন ও লঙ্কা মিশিয়ে কাঁচা আম খাচ্ছিল, তাই তার মুখে নুনের গুঁড়ো লেগেছিল।

৫১) অপুদের বাড়ির পাশে কার ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল ?

উঃ অপুদের বাড়ির পাশে নীলমণি রায়ের ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল।

৫২) হরিহর কার বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে ?

উঃ হরিহর অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে।  

৫৩) অপুদের বাড়ির কিছু দূরে খুব বড় কী গাছ ছিল ?

উঃ অপুদের বাড়ির কিছু দূরে খুব বড় একটা অশ্বত্থ গাছ ছিল।

৫৪) কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে অপুর মা কী মাছ রান্না করছিল ?

উঃ কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে অপুর মা চিংড়ি মাছ রান্না করছিল।

৫৫) কখনো কখনো দুপুরে খাবার পর অপূর মা সুর করে কী পড়ত ?

উঃ কখনো কখনো দুপুরে খাবার পর অপূর মা সুর করে মহাভারত পড়ত।

৫৬) বাড়ির কাছাকাছি নারকেল গাছটাতে কোন পাখি ডাকত ?

উঃ বাড়ির কাছাকাছি নারকেল গাছটাতে শঙ্খচিল পাখি ডাকত।

৫৭) ‘অনেক দূরে মাটি হইতে রথের চাকা দুই হাতে প্রানপনে টানিয়া তুলিতেছে’– কে রথের চাকা টেনে তুলছে ?

উঃ মহাভারতের এক চরিত্র কর্ণ রথের চাকা টেনে তুলছে।

৫৮) অপুর কল্পনায় গুরু দ্রোণ কার ভিটার দিকে জঙ্গলের ধারে বিপদে পড়েছিলেন ?

উঃ অপুর কল্পনায় গুরু দ্রোণ নীলমণি রায়ের ভিটার দিকে জঙ্গলের ধারে বিপদে পড়েছিলেন।

৫৯) ‘এখন কি করে পাড়া যায় বল দেখি’– কী পাড়ার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ নোনা ফল পাড়ার কথা বলা হয়েছে

৬০) ‘মাথায় করিয়া খাবার ফেরি করে।’— কে মাথায় করে খাবার ফেরি করে ?

উঃ চিনিবাস মাথায় করে খাবার ফেরি করে।

৬১) যুদ্ধের কথায় প্রভাবিত হয়ে অপু কোন জিনিসটা অস্ত্র ভেবে বাঁশ বাগানের পথে ঘুরে বেড়ায় ?

উঃ বাখারি কিংবা হালকা কোন গাছের ডাল।

৬২) অপুর দিদি কোন ফুলের নোলক পড়তে পছন্দ করে ?

উত্তরঃ অপুর দিদি ওড়্-কলমি ফুলের নোলক পড়তে পছন্দ করে।

৬৩) মহাভারতের চরিত্রদের মধ্যে অপুর কোন্ চরিত্রটি ভালো লাগে ?

উঃ মহাভারতের চরিত্রদের মধ্যে অপুর কর্ণের চরিত্র ভালো লাগে।

৬৪) দুর্গার বাড়ি থেকে কে কে তার টিনের পুতুলের বাক্স বার করে এনেছিল ?

উঃ দুর্গার বাড়ি থেকে টুনু ও সতু তার টিনের পুতুলের বাক্স বার করে এনেছিল। 

৬৫) দুর্গার বাক্সে অনুসন্ধান করে কী পাওয়া গিয়েছিল ?

উঃ পুঁতির মালা ও আমের গুটি পাওয়া গিয়েছিল। 

৬৬) কার পুতুলের বাক্স থেকে পুঁতির মালা চুরি গিয়েছিল বলে দুর্গার ওপর দোষ দেওয়া হয়েছিল ?

উঃ টুনুর পুতুলের বাক্স থেকে পুঁতির মালা চুরি গিয়ছিল বলে দুর্গার ওপর দোষ দেওয়া হয়েছিল। 

৬৭) দিদিকে খুঁজতে গিয়ে অপু দিদির কথা কাকে প্রথম জিজ্ঞেস করেছিল ?

উঃ রাজকৃষ্ণ পালিতের স্ত্রীকে অপু তার দিদির কথা প্রথম জিজ্ঞেস করেছিল। 

৬৮) ‘সেখানে দুর্গা প্রায়ই থাকে।’– এখানে বলতে কোথায় ?

উঃ এখানে দুর্গার বকুলতলায় প্রায়শই থাকার কথা বলা হয়েছে। 

৬৯) অপু কোন শ্রেণিতে পড়ে ?

উঃ অপু তৃতীয় ভাগে পড়ে।  

৭০) অপুর কাছে কার রচিত পাঁচালী ছিল ?

উঃ অপুর কাছে দাশু রায়ের রচিত পাঁচালী ছিল। 

৭১) ‘মিষ্টি যেন গুড়।’- দুর্গা এখানে কোন ফলের কথা বলেছে ?

উঃ দুর্গা এখানে কামরাঙা ফলের কথা বলেছে। 

৭২) ‘ওদের তুমি মঙ্গল করো’ কে সন্তানদের জন্য মঙ্গল কামনা করেছিল ?

উঃ সর্বজয়া তার সন্তানদের জন্য মঙ্গল কামনা করেছিল। 

৭৩) ‘কবিরাজি ঔষধের তালিকা’ রয়েছে কার কাছে ?

উঃ অপুর কাছে ‘কবিরাজি ঔষধের তালিকা’ রয়েছে। 

৭৪) অপু কিসের উপর হাতের লেখা লেখে? 

উঃ অপু তাল পাতায় হাতের লেখা লেখে।

৭৫) দুর্গা পুণ্যিপুকুরের যে ব্রত আবৃত্তি করেছিল সেটি লেখো। 

উঃ পুণ্যিপুকুর পুষ্পমালা কে পূজে রে দুপুরবেলা ? আমি সতী লীলাবতী ভায়ের বোন ভাগ্যবতী।

৭৬) দুর্গা ও অপু হিরে ভেবে বাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল ?

উঃ দুর্গা ও অপু হিরে ভেবে বাড়িতে এক ধরনের কাচ (বেলোয়ারি কাচ) নিয়ে এসেছিল।

৭৭) কোন গাছের ফুল শুঁয়ার মতো পালকওয়ালা ও সাদা সাদা ?

উঃ কুকশিমা গাছের ফুল শুঁয়ার মতো পালকওয়ালা ও সাদা।  

৭৮) সোনামুখী তলায় দুর্গা কয়টা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল ?

উঃ সোনামুখী তলায় দুর্গা আট-নয়টা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল। 

৭৯) সোনামুখী তলায় অপু কয়টা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল ?

উঃ সোনামুখী তলায় অপু দুইটা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল। 

৮০) হৈ-হৈ শব্দে কার বাড়ির ছেলেমেয়েরা সোনামুখী তলায় আম কুড়াতে গিয়েছিল ?

উঃ ভুবন মুখুয্যের বাড়ির ছেলে মেয়েরা আম কুড়াতে গিয়েছিল। 

৮১) সোনামুখী তলা থেকে কে দুর্গাকে চলে যেতে বলেছিল ?

উঃ সোনামুখী তলা থেকে দুর্গাকে সতু চলে যেতে বলেছিল। 

৮২) সোনামুখী থেকে গড়ের পুকুর ধারের বাগান যেতে কত সময় লাগে ?

উঃ সোনামুখী থেকে গড়ের পুকুর ধারের বাগান যেতে পনেরো মিনিট সময় লাগে। 

৮৩) গড়ের পুকুর ধারের বাগানে দুর্গা ক’টা আম খেয়েছিল ?

উঃ গড়ের পুকুর ধারের বাগানে দুর্গা ৮-১০টা আম খেয়েছিল। 

৮৪) ‘নেবুর পাতায় করমচার/হে বিষ্টি ধরে যা।’ – বৃষ্টির সময় কারা চেঁচিয়ে বলছিল ?

উঃ অপু ও দুর্গা বৃষ্টির সময় চেঁচিয়ে একথা বলেছিল।  

৮৫) ঝড়ের সময় যে গাছের তলায় অপু ও দুর্গা দাঁড়িয়েছিল সে গাছের মাথায় কোন ফল ঝুলছিল ?

উঃ ঝড়ের সময় অপু ও দুর্গা যে গাছের তলায় দাঁড়িয়েছিল তাতে বন-ধুদুলের ফল ঝুলছিল। 

৮৬) বৃষ্টির পর কার স্ত্রী পুকুরঘাটে যাচ্ছিল ?

উঃ বৃষ্টির পরে রাজকৃষ্ণ পালিতের স্ত্রী পুকুরঘাটে যাচ্ছিল। 

৮৭) বৃষ্টির পর বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্গার হাতে কি ছিল ?

উঃ বৃষ্টির পর বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্গার হাতে ঝুনা নারিকেল ছিল। 

৮৮) বৃষ্টির পর বাড়ি ঢোকার সময় অপুর হাতে কি ছিল ?

উঃ বৃষ্টির পরে বাড়ি ঢোকার সময় অপুর হাতে নারিকেলের বাগলো ছিলো। 

৮৯) সর্বজয়া কুয়োঁর জল তুলতে কার বাড়ি যেত ?

উঃ সর্বজয়া কুঁয়োর জল তুলতে ভুবন মুখুয্যে্র বাড়ি যেত। 

৯০) ঝড়ের পরে দুর্গা কার বাগান থেকে নারিকেল কুড়িয়ে এনেছিল ?

উঃ ঝড়ের পরে দুর্গা ভুবন মুখুয্যের বাগান থেকে নারিকেল কুড়িয়ে এনেছিল। 

৯১) সর্বজয়া দুর্গাকে সতুদের বাড়িতে কি ফেরত দিয়ে আসতে বলেছিল ?

উঃ সর্বজয়া দুর্গাকে সতুদের বাড়িতে নারিকেল ফেরত দিয়ে আসতে বলেছিল। 

৯২) পথের পাঁচালী উপন্যাসে গুরু মশায়ের নামকী? 

উঃ পথের পাঁচালী উপন্যাসে প্রসন্ন গুরুমশায়ের কথা বলা হয়েছে।  

৯৩) পাঠশালায় গুরুমহাশয় কিসের উপর বসে থাকেন? 

উঃ পাঠশালায় গুরুমহাশয় তালপাতার চাটাই এর উপর বসে থাকেন। 

৯৪) কোন ছাত্রকে গুরুমশাই শাস্তি দেওয়ার উপকরণ আনতে বলেছিলেন ?

উঃ সতে নামের এক ছাত্রকে গুরুমশাই শাস্তি দেওয়ার উপকরণ আনতে বলেছিলেন। 

৯৫) দুষ্টু ছাত্র দুটি কে শায়েস্তা করতে গুরুমহাশয় কি আনতে বলেছিলেন? 

উঃ দুষ্ট ছাত্র দুটিকে শায়েস্তা করতে গুরুমহাশয় একখানা থান ইঁট আনতে বলেছিলেন। 

৯৬) প্রসন্ন গুরুমশাই এর সঙ্গে গল্প করতে গ্রামের দুজন ব্যক্তি কখন আসতো ?

উঃ প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের সঙ্গে গল্প করতে গ্রামের দুজন ব্যক্তি বিকালে আসতো। 

৯৭) রাজু রায় কোন বাজারে তামাকের দোকান খুলেছিলেন? 

উঃ রাজু রায় আষাঢ়ুর বাজারে তামাকের দোকান খুলেছিলেন। 

৯৮) অপু বড়ো হলে কিসের দোকান খুলবে বলে ভাবছিল ?

উঃ অপু বড়ো হলে তামাকের দোকান খুলবে বলে ভেবেছিল। 

৯৯) যে কোনো গল্প সুন্দর করে সাজিয়ে বলার ক্ষমতা কার ছিল? 

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল যে কোনো গল্প খুব সুন্দর করে সাজিয়ে বলতে পারতেন। 

১০০) রাজকৃষ্ণ সান্যাল কীসে বাতিকগ্রস্ত ছিলেন ?

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল দেশ ভ্রমণে বাতিকগ্রস্ত ছিলেন। 

১০১) ‘আম গাছে বেদানা ফলিয়া আছে।’- কীভাবে ?

উঃ  এক ফকিরের মন্ত্রোচ্চারণে ‘আম গাছে বেদানা ফলিয়া আছে’। 

১০২) বুদ্ধ গাড়োয়ান কত বছর বয়সে মারা যায় ?

উঃ বুদ্ধ গাড়োয়ান একশ বছর বয়সে মারা যায়। 

১০৩) ‘চাকদা থেকে গঙ্গা চান করে গরুর গাড়ি করে ফিরছি।’- কে ফিরছে ?

উঃ এখানে দীনু পালিতের ফেরার কথা বলা হয়েছে। 

১০৪) ‘আজ সব থানায় নিয়ে গিয়ে পাঠিয়ে দেবো।’ – থানার নাম কি ছিল? 

উঃ থানার নাম ছিল নবাবগঞ্জ। 

১০৫) ‘সে গিয়া বসিয়া পড়িতেছিল।’ – সে কী বই পড়ছিল ?

উঃ এখানে ‘শিশু বোধক’ বই পড়ার কথা বলা হয়েছে। 

১০৬) বুধু গাড়োয়ানের ঘটনার সময় দিনু পালিতের বয়স কত ছিল? 

উঃ বুধু গাড়োয়ানের ঘটনার সময় দিনু পালিতের বয়স ছিল ঊনিশ-কুড়ি।

১০৭) বুধু গাড়োয়ানের গাড়ির পিছু নিয়েছিল যারা, তারা সংখ্যায় কতজন ছিল? 

উঃ বুধু গাড়োয়ানের গাড়ির পিছু নিয়েছিল চারজন। 

১০৮) প্রসন্ন গুরুমশাই এর শ্রুতিলিখনে কোন নদীর নাম আছে ?

উঃ প্রসন্ন গুরুমশাই-এর শ্রুতিলিখনে গোদাবরী নদীর নাম ছিল। 

১০৯) প্রসন্ন গুরুমশাই এক ছাত্রকে একখানা থান ইট কোথা থেকে আনতে বলেছিলেন ?

উঃ প্রসন্ন গুরুমশাই তেঁতুলতলা থেকে একখানা থান ইট আনতে বলেছিলেন। 

১১০) গ্রামের পাঠশালায় গল্প করতে থেকে আসতেন ?

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল দীনু পালিত ও রাজু রায় গ্রামের পাঠশালায় গল্প করতে আসতেন। 

১১১) পাঠশালায় গল্পগুজব কখন জমে উঠতো ?

উঃ গ্রামের ও পাড়ার রাজকৃষ্ণ সান্যাল মশাই যেদিন আসতেন সেদিন পাঠশালায় গল্পগুজব জমে উঠতো। 

১১২) ‘বিন্ধ্যাচল না চন্দ্রনাথ ভ্রমণে গিয়েছেন।’- কে ?

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল ভ্রমণে গিয়েছিলেন। 

১১৩) ‘খরচ পত্র কোরিয়া সর্বস্বান্ত হইয়া ফিরিতেন।’- কে ?

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল সমস্ত খরচ করে সর্বস্বান্ত হয়ে ফিরতেন। 

১১৪) ‘এই যে প্রসন্ন, কিরকম আছো, বেস্ট জাল পেতে বসেছো যে।’- বক্তা কে ? তিনি কীভাবে বিদ্যালয় আসতেন ?

উঃ বক্তা হলেন রাজকৃষ্ণ সান্যাল। একটা মোটা লাঠি হাতে তিনি লম্বা লম্বা পা ফেলে পাঠশালায় আসতেন।

১১৫) ‘অপুর মুখ অমনি অসীম আহ্লাদে উজ্জ্বল হইয়া উঠিত।’- কখন ?

উঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল পাঠশালায় উপস্থিত হলে অপুর মুখ অসীম আহ্লাদে উজ্জ্বল হয়ে উঠতো। 

১১৬) ‘নামটা শুনিয়া অপুর ভারি হাসি পেয়েছিল।’- কীসের নাম ? নামটা কী ?

উঃ খাবারের নাম শুনে অপুর হাসি পেয়েছিল। সেই খাবারের নাম ছিল প্যাঁড়া।

১১৭) বুধো গাড়োয়ানের বাড়ি কোথায় ছিল ?

উঃ বুধো গাড়োয়ানের বাড়ি ছিল বেলডাঙায়।

১১৮) ‘একটা গল্প বলি শোনো।’ – বক্তা কে ?

উঃ এখানে বক্তা হলেন দীনু পালিত।

১১৯) বুধো গাড়োয়ানের ঘটনা কোথায় ঘটেছিল ?

উঃ বুধো গাড়োয়ানের ঘটনা ঘটেছিল কানশোনার মাঠের কাছে ।

১২০) শ্রুতিলিখন শুনতে শুনতে অপুর কত বছর আগের কথা মনে পড়ছিল ?

উঃ শ্রুতিলিখন শুনতে শুনতে অপুর দুই বছর আগের কথা মনে পড়েছিল। 

১২১) ‘সে বড় হইলে যাইয়া দেখিবে।’- সে কে ? সে কী দেখবে ?

উঃ এখানে অপুর কথা বলা হয়েছে। সে বড় হলে প্রস্রবণ গিরি দেখতে যাবে।

১২২) মায়ের ডাক উপেক্ষা করে অপু কোথায় গিয়েছিল ?

উঃ মায়ের ডাক উপেক্ষা করে অপু নীলু ওদের বাড়ি খেলতে গিয়েছিল।

১২৩) অপু ও নীলু দুজনে মিলে দক্ষিণ মাঠে কেন গিয়েছিল ?

উঃ অপু ও নীলু দুজনে মিলে পাখির ছানা দেখতে দক্ষিণ মাঠে গিয়েছিল। 

১২৪) অপু ও নীলু বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে কার সামনে পড়েছিল ?

উঃ অপু ও নীলু বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে আতুরি ডাইনির সামনে পড়েছিল।  

১২৫) অপু তার দিদিকে আতুরি ডাইনির গল্পের বদলে কোন গল্প বলতে বলেছিল ?

উঃ অপু তার দিদিকে আতুরি ডাইনির গল্পের বদলে কুঁচবরণ রাজকন্যার গল্প বলতে বলেছিল। 

১২৬) ‘কোন দিকেই আর পালাইবার পথ নাই।’ – কাদের কেন পালাবার পথ ছিল না ?

উঃ অপু ও নীলু আতুরি ডাইনির কবলে পড়ে তাদের কোন দিকে পালাবার পথ ছিল না।

১২৭) ‘অপুর মুখ শুকাইয়া গেলো।’ – অপর মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারন কী ?

উঃ অপু ও নীলু সারাদিন বন জঙ্গলের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। অপ শুনেছিল যে আতুরি ডাইনি ছেলেদের প্রাণ কচুর পাতায় মুড়ে জলে ডুবিয়ে রাখে এবং ছোট ছেলেদের রক্ত চুষে মেরে ফেলতে পারে। ভয়ে অপুর চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। সে দেখে আতুরি ডাইনি তার দিকে চেয়ে কি যেন বলছে। এই অবস্থায় প্রাণের ভয়ে অপুর মুখ শুকিয়ে গেল।

১২৮) ‘নীলুদা, আমার মা বকবে।’ – বক্তা কে ? সে কেন তাকে এ কথা বলেছিল ?

উঃ বক্তা নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের দরিদ্র ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ছেলে অপু।

এ কথা সে তার খেলার সাথী নীলুদাকে বলেছিল। কারণ অপু নীলুদাকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণের মাঠে পাখির ছানা দেখতে গিয়েছিল। গ্রাম থেকে তারা অনেক দূরে চলে আসে। কিন্তু অপরিচিত জগতে অপুর কেমন অস্বস্তি হয়। কারণ এত দূর সে কখনো আসেনি। তাই অপু বাড়ি ফেরার কথা নীলুদাকে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল।

১২৯) ‘তাহার ফল এই ফলিতে চলিল’– কোন ফল কিভাবে ফলবে বলে বক্তার মনে হয়েছে ?

উঃ অপু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা সর্বজয়া বারবার করে তাকে নিষেধ করে। অপু যেন চাল ভাজা খেয়ে বের হয়। কিন্তু অপু তার মায়ের কথা শোনেনি। তাই বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে আতুরি ডাইনির বাড়িতে এসে পড়ে তাদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তখন তার মনে হয় এই বিপদ যেন মায়ের কথা না শোনার ফল। যদি সে মায়ের কথা শুনতো তবে তাকে এই বিপদে পড়তে হতো না বলেই তার মনে হয়েছে। 

নিম্নের PDF LINK -টি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232 

পথের পাঁচালী প্রথম ইউনিট টেস্ট প্রশ্নের উত্তর

অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

class eight bengali notes

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top