শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্নের উত্তর

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্নের উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত শংকর সেনাপতি গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে এখানে প্রদান করা হলো। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য গল্পটি থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) নিম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

১.১) শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর : শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম— ‘সেনাপতি শংকর’ এবং ‘কুবেরের বিষয় আশয়’।

১.২) তিনি কোন্ বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উত্তর : তিনি ‘শাহাজাদা দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

 

২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১) আকন্দবাড়ির স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন্ কোন্ জায়গা থেকে পড়তে আসে ?

উত্তর : আকন্দবাড়ির স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভেটুরিয়া, সাঁইবাড়ি, ঘোলপুকুর আর আকন্দবাড়ি থেকে পড়তে আসে।

২.২) স্কুলের জানলা থেকে কী কী দেখা যায় ?

উত্তর : স্কুলের জানলা দিয়ে আকাশের মেঘ দেখা যায়, দেখা যায় পাখি উড়ছে।

২.৩) শংকর কীসের স্বপ্ন দেখে?

উত্তর : শংকর স্বপ্ন দেখে শঙ্খচিলের মতো ঘোলপুকুরে গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে ঝাঁপ দিচ্ছে বড়ো দিঘিতে। সোজা জলে না পড়ে সে ভাসছে শঙ্খচিলের মতোই। ডানার বদলে দুহাতে বাতাস কেটে।

২.৪) শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং কী ?

উত্তর : শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং নীলচে।

২.৫) এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম লেখো।

উত্তর : এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম উটপাখি ।

 

৩) গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :

উত্তর :

বিদ্যালয়—স্কুল

অনিল—বাতাস

জগৎ—পৃথিবী

একাগ্রচিত্ত—একমনা

পাখা—ডানা

রোপণ করা—রোয়া

 

৪) বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :

উত্তর :

ভিজে—শুকনো

বাক্যরচনাঃ শুকনো পাতায় হাটলে খসখস শব্দ হয়।

রাত—দিন

বাক্যরচনাঃ দিন দিন রমেন কেমন স্বার্থপর হয়ে উঠছে।

বাইরে—ভিতরে

বাক্যরচনাঃ বাইরে খুব ঠান্ডা, ভেতরে চলে এসো।

গাঢ়—হাল্কা

বাক্যরচনাঃ হাল্কা সর্দি-কাশি নিয়ে সে জয়পুর ঘুরতে গেলো।

বিশ্বাস—অবিশ্বাস

বাক্যরচনাঃ কথায় কথায় অবিশ্বাস করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

 

৫) সন্ধি বিচ্ছেদ করো :

উত্তর :

বঙ্গোপসাগর = বঙ্গ + উপসাগর

তন্ময় = ত‍দ্‌ + ময়

সাবধান = স + অবধান

ত্রিশেক = ত্রিশ + এক

পঞ্চানন = পঞ্চ + আনন

 

৬) নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোন্‌টি বিশেষণ তা খুঁজে নিয়ে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখো :

উত্তর :

বিশেষ্যবিশেষণ
প্রকৃতিপ্রাকৃতিক
ব্যথাব্যথিত
মাটিমেটে
বিশ্বাসবিশ্বাসী
মাঠমেঠো
শব্দশাব্দিক
জলজলীয়

 

৭) সমোচ্চারিত বা প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়োগ করো :

উত্তর :

ভাষা — (যার দ্বারা কথা বলা হয়) বিনা মাতৃভাষা মিটে কি আশা?

ভাসা — (ভেসে থাকা) ভাসা নৌকাটি হঠাৎই বন্যায় ডুবে গেলো।

পড়ে — (পড়াশোনা করে) সুবল বাড়িতে প্রতিদিন তিন ঘন্টা করে পড়ে।

পরে — (পরিধান করে) সে হলুদ শার্টের সাথে কালো জিন্স পরে এসেছে।

শংকর — (শিব) প্রলয় দেবতা হলেন শংকর।

সংকর — (মিশ্র) সংকর ধাতুর মূর্তিটি বেশ পুরানো।

মাথা — (মস্তক) যতিন তার মায়ের মাথা ব্যাথার কারণ।

মাতা — (মা) বুঝি এতক্ষণে আমারে চিনিল মাতা!

বাঁশ — (বংশ) খেলার মাঠ ঘিরবার জন্য বাঁশ আনতে হবে।

বাস — (বসবাস) ত্রিশ বছর ধরে এখানে তাদের বাস।

 

৮) গল্পে বেশ কিছু পাখি ও গাছের নাম আছে। এই পাখি ও গাছের নামের তালিকা তৈরি করে এগুলি সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে নামের পাশে পাশে লেখো। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য নাও। এগুলি ছাড়াও তোমার জানা আরও কিছু পাখি আর গাছের নাম, তাদের বৈশিষ্ট্য লিখে নীচের ছকটি পূরণ করো।

উত্তর :

পাখির নামআকাররঙঠোঁটলেজপাঝুটি
তিতিরমাঝারিবাদামিছোটোছোটোছোটোনেই
পানকৌড়িমাঝারিকালোসরু, লম্বামাঝারিসরুআছে
কাকমাঝারিকালোশক্ত, বড়োমাঝারিমাঝারিনেই
মাছরাঙামাঝারিনীল, হলুদশক্ত, লম্বামাঝারিছোটোনেই
হাঁড়িচাচাছোটোবাদামি, ধূসরলম্বালম্বাছোটোনেই
গাছের নামআকারকী জাতীয়পাতাগুলো কেমনফুলফলকোথায় দেখেছ
সবেদামোটামুটি বড়বৃক্ষলম্বা, সরুসাদাগোলাকারবাগানে
নারকেলবেশ লম্বাবৃক্ষসরু খুব লম্বাসাদাবড়োবাগানে
আমবড়ো, ডালযুক্তবৃক্ষলম্বা, সরুখুব ছোটোলম্বাটেবাগানে

৯) নীচে কতগুলি উপসর্গ দেওয়া হল। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে এই উপসর্গগুলি যুক্ত করে কয়েকটি নতুন শব্দ তৈরি করো।

উত্তর :

উপসর্গশব্দনতুন শব্দ
বিজ্ঞানবিজ্ঞান
প্রগাঢ়প্রগাঢ়
নিখাদনিখাদ
সুস্বপ্নসুস্বপ্ন
গাআগা

 

১০) নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ খুঁজে বের করো :

১০.১) পাঁচ-সাত মাইলের ভেতর বঙ্গোপসাগর।

উত্তর : পাঁচ-সাত ।

১০) জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে বসে।

উত্তর : জনা ত্রিশেক।

১০.৩) সেদিকে তাকিয়ে একটি ছেলে আনমনা হয়ে পড়েছিল।

উত্তর : একটি।

১০.৪) এক-একদিন রাতে স্বপ্নের ভেতর সেও অমন ভেসে পড়ে।

উত্তর : এক-একদিন।

 

১১) নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বার করো। প্রতিটি বাক্যের ভিতর যেসব শব্দ আছে তাদের সঙ্গে কী কী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখাও।

১১.১) এখানে বাতাসের ভেতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে।

উত্তর : এখানে—এ বভক্তি, বাতাসের-এর বিভক্তি, ভেতর—অনুসর্গ, সবসময়-শূন্য বিভক্তি, ভিজে—শূন্য বিভক্তি, জলের-এর বিভক্তি, ঝাপটা–শূন্য বিভক্তি, থাকে–শূন্য বিভক্তি।

১১.২) মাটির মেঝে।

উত্তর : মাটির–র বিভক্তি, মেঝে-শূন্য বিভক্তি।

১১.৩) সেই জানালা দিয়ে মেঘ দেখা যায় আকাশের।

উত্তর : সেই—শূন্য বিভক্তি, জানালা – শূন্য বিভক্তি, দিয়ে—অনুসর্গ, মেঘ–শূন্য বিভক্তি, দেখা-শূন্য বিভক্তি, যায়—শূন্য বিভক্তি, আকাশের—এর বিভক্তি।

১১.৪) স্বপ্নের ভেতর সে খাট থেকে পড়েও যায়।

উত্তর : স্বপ্নের—এর বিভক্তি, ভেতর-অনুসর্গ, সে–শূন্য বিভক্তি, খাট–শূন্য বিভক্তি, থেকে—অনুসর্গ, পড়েও–অনুসর্গ, যায়—শূন্য বিভক্তি।

১১.৫) সে তার স্বপ্নের কথা আর কাউকে কখনও বলবে না।

উত্তর : সে—এ বভক্তি, তার–র বিভক্তি, স্বপ্নের—এর বিভক্তি, কথা-শূন্য বিভক্তি, আর–র বিভক্তি, কাউকে—এ বভক্তি, কখনও–অনুসর্গ, যায়—শূন্য বিভক্তি।

 

১২) নীচের বাক্যগুলি থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তর :

উদ্দেশ্যবিধেয়
আকন্দবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশএমু পাখির কথা বলেছিলেন
স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রোয়া ধানসবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে
বিরাট এক পাখিগাঢ় ছাই রঙের
শংকরতন্ময় হয়ে শুনছিল
এই খোলামেলা পৃথিবীইসবচেয়ে বড়ো বই

 

১৩) ‘কথা’, ‘চোখ’ –এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো।

উত্তর :

কথাঃ

রিয়ার কথা বড়োই মিস্টি। (গলার স্বর অর্থে)

সে কথার খেলাপ করে না। (প্রতিশ্রুতি অর্থে)

 

চোখঃ

চোখে চোখে কথা বলো। (নয়ন অর্থে)

চোরটিকে চোখে চোখে রাখতে হবে। (নজরে রাখা অর্থে)

 

১৪) নীচের বাক্যগুলির মধ্যে কোনটি সরল, কোনটি জটিল ও কোটি যৌগিক বাক্য তা খুঁজে নিয়ে লেখো।

১৪.১) জানলায় কোনো শিক নেই।

উত্তর : সরল বাক্য ।

১৪.২) জেগে থাকতে দেখা আর স্বপ্নে দেখা জিনিস আজকাল শংকরের গুলিয়ে যাচ্ছে।

উত্তর : যৌগিক বাক্য।

১৪.৩) পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে।

উত্তর : জটিল বাক্য ।

১৪.৪) বিভীষণ মাসসাই যে তাকে এমন একটা কথা বলবেন তা ভাবতে পারেনি শংকর।

উত্তর : জটিল বাক্য।

 

১৫) নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করে একটি অনুচ্ছেদের রূপ দাও :

উত্তর :

বাইরে হাওয়ায় বৃষ্টির গুঁড়ো উড়ে বেড়াচ্ছে। জানলা দিয়ে একমনে তাকিয়ে দেখছে ঝিমলি। প্রকৃতি যেন রোজ নতুন সাজে এসে হাজির হয়। গাছে বসা সবুজ টিয়ার ডানায় মুক্তোর মতো বিন্দু বিন্দু জল। গাছের নীচে ছায়া আজ আর নেই। চারদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যেন এক অজানা স্বপ্নের দেশ। প্রকৃতির এমন খোলামেলা দৃশ্য সত্যিই বিরল।

 

১৬) নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায উত্তর লেখো :

১৬.১) ‘পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়ো সবসময়ে উড়ে আসছে’—এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হলো কেন?

উত্তর :

আকন্দবাড়ি গ্রামটি সমুদ্র থেকে বেশি দূরে অবস্থিত নয়। তাই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এখানে বাতাস জোরে বয় এবং এলোমেলোভাবে বয়। তাই বাতাসকে পাগলা বলা হয়েছে।

 

১৬.২) ‘বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।’—গল্পের ‘বিভীষণ দাশ’-এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন্ পাখির প্রসঙ্গ এসেছে?

উত্তর :

গল্পের বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের প্রকৃতিবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি কড়া মাস্টারমশাই হিসাবে পরিচিত। কিন্তু তাঁর কোমল মনেরও পরিচয় পাওয়া যায়। তাই শংকরের এমু পাখি দেখা এবং সেই পাখির বর্ণনা শুনে তিনি বিরক্ত হলেও তিনি পাখি দেখার পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। চোখ খোলা রেখে পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলো দেখার কথা বলেছেন।

গল্পে এমু পাখি ছাড়া বাজপাখি, শঙ্খচিল, তিতির, পানকৌড়ি, হাঁড়িচাচা, মাছরাঙা, ডৌখোল ইত্যাদি পাখির প্রসঙ্গ আছে।

 

১৬.৩) “শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে।”—কে এই শংকর ? তার স্বভাবের প্রকৃতি কেমন ? তার যে কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে—এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল ?

উত্তর :

অভিমন্যু সেনাপতির ছেলে শংকর সেনাপতি আকন্দবাড়ি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

শংকর খুব আনমনা, কল্পনাপ্রবণ, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। সে অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে। প্রকৃতি ভালোবাসে, গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। সরল প্রকৃতির ছেলে।

শংকর এমু পাখিকে স্বপ্নে দেখেছে বলাতে এবং মাস্টার মশাইয়ের আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যখন দেখল ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা হাসছে, মাস্টারমশাই-এর গলায়ও ঠাট্টার সুর তখন সে বুঝতে পারল তার কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে।

 

১৬.৪) এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার সঙ্গে পাখিটির মিল বা অমিল কী লেখো।

উত্তর :

শংকর এমু পাখির যা বর্ণনা দিয়েছে তাতে রঙের ও আকারের দিক থেকে কিছুটা মিললেও, পাখির ওড়ার সম্পর্কে যা বলেছে, বা অন্য পাখির ভয়ে সরে যাওয়া সম্পর্কে যা বলেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। এমু পাখি উড়তে পারে না কিন্তু জোরে দৌড়াতে পারে। ফলে দৌড়বাজ পাখি। বসবাস আন্দিজ পাহাড়ে। ফলে তার পক্ষে ঘোলপুকুরের বড়ো দিঘির পাড়ে সবেদা গাছে বসা একেবারেই সম্ভব নয়। তার ডানায় বাতাস কাটার শব্দও অসম্ভব।

 

১৬.৫) ‘এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছো?’—’অপেরা’ বলতে কী বোঝ? এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এল কেন?

উত্তর:

‘অপেরা’ বলতে যাত্রাপালাকে বোঝানো হয় ৷

যাত্রাপালায় বাস্তবের চেয়ে কল্পনার প্রাধান্য থাকে। শংকর এমু পাখি সম্পর্কে যে বিবরণ দিয়েছে, তা শংকরের কল্পনা বা স্বপ্ন। এই প্রসঙ্গে অপেরার কথা এসেছে।

 

১৬.৬) ‘বলো, বলতেই হবে’—কাকে একথা বলা হলো? উদ্দিষ্টকে কোন্ কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে?

উত্তর :

একথা আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্র শংকর সেনাপতিকে বলা হয়েছে।

ঘোলপুকুরে এমু পাখি দেখেছে শংকর। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়, কারণ এমু পাখি আন্দিজ পাহাড়ে থাকে। সেজন্যই শংকর কীভাবে এমু পাখিকে ঘোলপুকুরে দেখেছে সেটাই বলতে বলা হয়েছে।

 

১৬.৭) গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর :

আকন্দবাড়ি স্কুলে প্রকৃতিবিজ্ঞানের ক্লাসে শংকরের এমু পাখি দেখা নিয়ে এক বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষক বিভীষণ দাশ যখন ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন তখন শংকর জানালার ফাঁক দিয়ে আনমনা হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়েছিল। শিক্ষকের প্রশ্নে জানায় যে, সে এমু পাখি দেখেছে। তার কল্পনায় দেখা এমু পাখির বাস্তবে কোনো মিল নেই। স্বপ্নে দেখা এমু পাখির কথা শুনে শিক্ষকের গলায় ঠাট্টার সুর ও সমস্ত ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের হাসি তাকে একটু ঘাবড়ে দেয়। শংকর অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েও সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, তার প্রকৃতি প্রেমের জন্য শিক্ষক তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন। তাকে এই পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলো চোখ খোলা রেখে দেখার জন্য উৎসাহিত করেন। তার বুকটা গর্বে ফুলে উঠে; আর সে-ই যুদ্ধ জয়ের সৈনাপতি।

 

১৬.৮) ‘স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।’—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে?

উত্তর :

এখানে আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্র শংকরের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে।

স্বপ্নে শংকর এমু পাখির সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছে। এছাড়া জেনেছে, স্বপে বাতাসের রং নীলচে, বাড়ি ঘরদোর খয়েরি রঙের। স্বপ্নে ধাক্কা কিংবা গুঁতো খেলে কোনো ব্যথা লাগে না। তাই ঘোলপুকুরে বড়োদিঘিতে ডুব দেওয়াব সময় দিঘিতে পোঁতা বাঁশে গা ঘসে গেলেও তার গায়ে ব্যথা লাগে নি।

 

১৬.৯) ‘পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে’—তখন কীভাবে চলতে হবে?

উত্তর :

পাখি দেখার জন্য শিক্ষকের উপদেশ অনুযায়ী সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে যাতে একটুও শব্দ না হয়। তাহলে পাখি উড়ে যাবে। এছাড়া জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালো। এই রং গাছের পাতার সঙ্গে মিশে থাকে। তবে সবচেয়ে ভালো বেগুনি রঙের জামা পরলে। কারণ বেগুনি রং পাখিরা দেখতে পায় না।

 

১৬.১০) “তাদের কথা বলতে পারো ?”—এই প্রশ্নের সূত্র ধরে বক্তা-শ্রোতার কথোপকথনের অংশটুকু নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর :

মাস্টারমশাইয়ের পাখি দেখার প্রশ্নের উত্তরে শংকর মাছরাঙা পাখির কথা বলে। এছাড়া, হাঁড়িচাচা, পানকৌড়ি, তিতির পাখির কথাও বলে। মাস্টারমশাই সে কথা শুনে শংকরকে চোখ খোলা রেখে পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলো সব দেখে নিতে বললেন। তাতে শংকরের বুক গর্বে ফুলে উঠল। মাস্টারমশাই আরও বললেন খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই ও তাকে চোখ ভরে দেখাই সবচেয়ে বড়ো পড়াশুনো।

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top
× Need Help?