ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর :
১) ভরদুপুরে লোকজন কী করছে ?
উঃ ভরদুপুরে লোকজন যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে।
২) বিশ্বপ্রকৃতি কীভাবে ঘুমোচ্ছে ?
উঃ বিশ্বপ্রকৃতি আঁচল পেতে ঘুমোচ্ছে ।
৩) অশ্বত্থ গাছটিকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উঃ অশ্বত্থ গাছটিকে পথিকজনের ছাতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৪) অশ্বত্থ গাছের তলায় কী পাতা আছে ?
উঃ অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘাসের গালচে পাতা আছে।
৫) রাখাল ছেলে কোথায় শুয়ে আছে ?
উঃ রাখাল ছেলে অশ্বত্থ গাছের নীচে শুয়ে আছে |
৬) মেঘগুলো কী করছে ?
উঃ মেঘগুলো আকাশটাকে ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে।
৭) নৌকার খোলে কী রাখা আছে ?
উঃ নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি রাখা আছে।
৮) গোরুবাছুর কী করছে ?
উঃ গোরুবাছুর দূরে চরে বেড়াচ্ছে।
৯) নৌকার খোলে কী রাখা আছে ?
উঃ নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করে রাখা আছে।
১০) বাতাস কী ওড়ায় ?
উঃ বাতাস মিছি সাদা ধুলো ওড়ায় ।
১১) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায় ?
উঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান হল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা।
১২) তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল নীল নির্জন এবং অন্ধকার বারান্দা।
১৩) ‘অশথ গাছ’কে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন ?
উঃ পথচলতি মানুষ রোদের হাত থেকে বাঁচতে অশ্বত্থ গাছের ছায়ার তলায় আশ্রয় নেয় বলে অশথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।
১৪) রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে ?
উঃ রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে দেখছে যে, মেঘগুলো আকাশ ছুঁয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৫) নদীর ধারের কোন্ দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে ?
উঃ নদীর ধারে খড়ের আঁটি বোঝাই একটি নৌকা বাঁধা থাকার দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে।
১৬) “তলায় ঘাসের গালচেখানি আদর করে পাতা”— ‘আদর করে পাতা’ কেন বলা হয়েছে ?
উঃ অশ্বত্থ গাছের ছায়ায় মাটির ওপরে নরম ঘাস এমনভাবে গজিয়ে উঠেছে, যেন পরম যত্নে কেউ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে ক্লান্ত পথিককে আপ্যায়ন করার জন্য। তাই বলা হয়েছে, ‘আদর করে পাতা”।
১৭) নৌকো কীভাবে ঘাটে বাঁধা রয়েছে ?
উঃ নৌকোর খোলের মধ্যে প্রচুর খড় আঁটি বেঁধে থরে থরে সাজানো। কিন্তু এই ভরদুপুরবেলায় নৌকোয় কেউ নেই। নৌকোটি যেন একা একাই মালিকানাবিহীন হয়ে নদীর ঘাটে বাঁধা রয়েছে।
১৮) “যে জানে, সেই জানে” —বলতে কাদের জানার কথা বলা হয়েছে?
উঃ প্রকৃতির রূপ বড়ো সুন্দর। সাধারণ চোখে সেই সৌন্দর্য ধরা পড়ে না । সেই অপরূপ সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য মনের উদারতা প্রয়োজন, হৃদয়ের কোমলতা প্রয়োজন। দৈনন্দিন জগতের মধ্যে তার রূপকে ধরা যায় না। নিশ্চুপ অলস দুপুরবেলায় ঘুমিয়ে থাকা প্রকৃতির রূপটিও তাই সকলের চোখে ধরা পড়ে না।
তারা হয়তো চারিদিকের নিস্তব্ধতা দেখে ভাবে, চারপাশের সব মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্যের যিনি সার্থক দর্শক, তিনিই একমাত্র অনুভব করতে পারেন যে, প্রকৃতি সত্যিই এখানে ঘুমিয়ে আছে।
১৯) “আঁচল পেতে বিশ্বভূবন ঘুমোচ্ছে এইখানে”- কবির এমন ভাবনার কারণ কী?
উৎসঃ
কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “ভরদুপুরে” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
কবির ভাবনাঃ
কবি নির্জন দুপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনে করেছেন, যেন বিশ্বভুবন মানুষের সাথেই আঁচল পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কবির ভাবনার কারণঃ
দুপুরবেলার নির্জন প্রাকৃতিক দৃশ্য কবিকে মুগ্ধ করেছে। আলস্য ও নির্জনতার সাগরে যেন কবির মন ডুব দিয়েছে। তাঁর মনে হয়েছে শুধু মানুষ নয়, সমগ্র বিশ্বভুবন যেন এই অলস দুপুরে আঁচল পেতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
২০) ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায় ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখো।
উৎসঃ
কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “ভরদুপুরে” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবিঃ
আলোচ্য কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ভারি সুন্দর একটি ছবি ধরা পড়েছে। পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে এক অশ্বত্থ গাছ, তার ডালপালা মেলে সে ছড়িয়ে দিয়েছে ছায়া। নীচে নরম ঘাস আদর করে বিছিয়ে দিয়েছে তার গালচে, ক্লান্ত পথিকের বিশ্রামের জন্য। দূরে গোরুবাছুর চরে বেড়াচ্ছে আপন খেয়ালে।
আর রাখাল ছেলে শুয়ে আছে গাছের তলায়। দেখছে, আকাশের সঙ্গে মেঘেরা কেমন ছোঁয়াছুঁয়ির খেলায় মেতেছে । খোলের মধ্যে বোঝাই করা শুকনো খড়ের আঁটি নির্জন চারপাশকে যেন আরও নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। নদীর ধারে ফাঁকা নৌকো খড়বোঝাই হয়ে ঘাটে বাঁধা। চারপাশে আর কেউ নেই, শুধু হালকা হাওয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে মিহি সাদা ধুলোর রাশি। দুপুরে সবাই যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে। বাইরের পৃথিবীতে কোনো কোলাহল বা উচ্চস্বরে বেজে ওঠা কোনো আওয়াজ এই নিস্তরঙ্গতাকে ভেঙে ফেলছে না। ফলে মনে হচ্ছে চারপাশ যেন ঝিমিয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে, সারা পৃথিবাই যেন এখানে এসে নিশ্চিন্তে আঁচল পেতে ঘুমিয়ে আছে।