bangla-vasai-bigyan-boro-prosner-uttor

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড়ো প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা

WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা আলোচনাটি প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড়ো প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড়ো প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা : 

 

১) বিজ্ঞান-বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের যে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, তাদের পরিচয় দাও। ৫

উৎসঃ

প্রাবন্ধিক ‘রাজশেখর বসু’ তাঁর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বিবিধ আঙ্গিক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। 

পাঠকবর্গের শ্রেণিবিভাগঃ 

বিজ্ঞান-বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। এখন আমরা সবিস্তারে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি- 

প্রথম শ্রেণির পাঠকঃ 

প্রথম শ্রেণিভুক্ত পাঠকেরা হয় ইংরেজি জানেন না, অথবা অতি অল্প ইংরেজি জানেন। এই দলে পড়েন অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোকেরা। এঁদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্বপরিচয় থাকে না। কিছু ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ তাঁরা জানেন, যেমন টাইফয়েড, মোটর, জেব্রা, আয়োডিন ইত্যাদি। অনেক স্থূল তথ্যও তাঁদের জানা থাকতে পারে। যেমন, জল আর কর্পূর উবে যায়, পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম হালকা ইত্যাদি। কিন্তু সুসংগঠিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তাঁদের নেই। ইংরেজি ভাষার প্রভাবমুক্ত হওয়ায় এদের পক্ষে বাংলায় বিজ্ঞান পাঠ সহজতর হয়। 

দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকঃ 

দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত পাঠক হলেন যাঁরা ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজিতে কম-বেশি বিজ্ঞানপাঠ করেছেন। এই ধরনের পাঠকের পক্ষে বাংলায় লেখা বিজ্ঞান পড়া ও আয়ত্ত করা একটু কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। কারণ বাংলা ভাষায় লেখা বিজ্ঞান রচনা পড়ার সময় তাঁকে ইংরেজির প্রতি পক্ষপাতিত্ব বর্জন করে মাতৃভাষার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে। 

 

২) ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন।’- শব্দের ত্রিবিধ কথাগুলি আলোচনা করো। ৫ 

উৎসঃ 

প্রাবন্ধিক ‘রাজশেখর বসু’ রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

শব্দের ত্রিবিধ কথার তাৎপর্যঃ 

মানবশরীরের শোভাবর্ধনকারী গহনাকে অলংকার বলে। সাহিত্যের অঙ্গ হিসেবে শব্দ ও অর্থের শোভাবর্ধনকারী বিষয়গুলিকে অলংকার বলে। ভারতীয় আলংকারিকদের মতে শব্দের শক্তিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- অভিধা, লক্ষণাব্যঞ্জনা। নিম্নে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- 

অভিধাঃ 

‘অভিধা’ শব্দের অর্থ নাম বা সংজ্ঞা এবং এটি শব্দের প্রথম শক্তি, যার সাহায্যে শব্দের মুখ্য অর্থের জ্ঞান হয়। এককথায় শব্দের অভিধানিক অর্থ হল ‘অভিধা’। যেমন, ‘অরণ্য’ শব্দের অর্থ বন, জঙ্গল ইত্যাদি।

লক্ষণাঃ 

শব্দের দ্বিতীয় শক্তি ‘লক্ষণা’ ব্যবহৃত হয় যখন শব্দের মূল অর্থ বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন। যেমন, ‘দেশের লজ্জা’ বলতে ‘দেশ’ অর্থাৎ ভারত, চিন, জাপানের লজ্জা নয়, সেখানকার জনগণের অর্থাৎ দেশবাসীর লজ্জা বোঝায়।

ব্যঞ্জনাঃ 

‘অভিধা’ বা ‘লক্ষণার’ দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব পরিস্ফুট না হয়, তখন অর্থ বোঝানোর জন্য ‘ব্যঞ্জনা’ প্রযুক্ত হয়। যেমন, ‘অরণ্যে রোদন’ শব্দটির অর্থ ‘বনে কান্না’ নয়; ব্যঞ্জনার্থে শব্দটির অর্থ হল ‘নিষ্ফল খেদ’

প্রাবন্ধিকের মতে, শব্দ ও পরিভাষা বিষয়ের আলোচনায় আলংকারিকদের ত্রিবিধ অর্থ প্রকাশনা সূত্রের কথা মাথায় রাখতে হবে। ‘অভিধা’, ‘লক্ষণা’‘ব্যঞ্জনা’ বিষয়ে অস্পষ্ট ধারণার কারণে বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই অলংকারের পরিবর্তে পরিভাষার প্রয়োগ যুক্তিযুক্ত। 

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড়ো প্রশ্নের উত্তর

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232 

 

৩) “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না”- কোন্‌ দোষের কথা বলা হয়েছে? বৈজ্ঞানিক সাহিত্য কীভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে? ২+৩ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৪) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার এখনও নানারকম বাঁধা আছে”- প্রাবন্ধিক কোন ধরণের বাঁধার কথা বলেছেন? ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের সকল প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক করতে হবে

bangla vasai bigyan question answers

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top