সিন্ধুতীরে কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সিন্ধুতীরে কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা আলোচনাটি প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা সিন্ধুতীরে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সিন্ধুতীরে কবিতার পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
সিন্ধুতীরে কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা :
১) ‘অতি মনােহর দেশ’- মনােহর কথার অর্থ লেখাে। এই প্রসঙ্গে মনােহর দেশটির বর্ণনা দাও।
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
মনােহর কথার অর্থঃ
মনােহর কথার সরলার্থ হলাে যা মনকে হরণ করে। এককথায় অতি সুন্দর।
মনােহর দেশটির বর্ণনাঃ
‘মনােহর দেশ’ বলতে কবি সমুদ্রতীরের এমন একটি স্থানের কথা বলেছেন, যেখানে পদ্মাবতী ও তার সখীরা অচৈতন্য অবস্থায় একটি মান্দাসে ভেসে এসেছিলেন। এখানেই সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা তারস্বর্ণে-রত্নে নির্মিত উজ্জ্বল টঙ্গিতে সর্বক্ষণ থাকেন। এই মনােহর দেশে কারও মনে কোনাে দুঃখ-ক্লেশ নেই। সততা, সদাচার এবং নাচরণের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে সবাই। স্থানটি ফুলে-ফলে পরিপূর্ণ এক দিব্যস্থানের মতাে। এখানকার পর্বতর্টিও সুন্দর সুন্দর সুগন্ধী ফুলে এবং নানান ফলে সমৃদ্ধ।
২) ‘তার পাশে রচিল উদ্যান’- কে, কীরূপ উদ্যান রচনা করেছিল ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যে উদ্যান রচনা করেছিলঃ
কবিতায় সমুদ্র রাজকন্যা পদ্মা উদ্যান রচনা করেছিলেন।
উদ্যানের পরিচয়ঃ
সমুদ্রতীরে এক সুন্দর স্থানে যেখানে ফল ও ফুলের প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এক পর্বত রয়েছে, তার পাশে পদ্মা একটি সুন্দর উদ্যান রচনা করেছিলেন। নানাবিধ সুগন্ধি পুষ্প ও ফল এবং সুলক্ষণ যুক্ত বৃক্ষ তার শােভা বর্ধন করত। তার মধ্যে স্বর্ণখচিত প্রাসাদে পদ্মা বাস করতেন।
৩) ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’- কন্যাটি কে ? তিনি কোথায় সর্বক্ষণ থাকেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
কন্যার পরিচয়ঃ
উধৃত অংশে যে কন্যাটির উল্লেখ আছে তিনি হলেন সমুদ্ররাজের গুণবতী কন্যা পদ্মা।
কন্যা যেখানে সর্বক্ষণ থাকেনঃ
পদ্মা সিন্ধুতীরে এক অতি মনােহর দেশে থাকেন। সেখানে কারও মনে কোনাে দুঃখ-ক্লেশ নেই। সততা,সদাচার এবং ধর্মাচরণের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে সবাই। এখানে এক দিব্যস্থান দেখে নিয়ে ফল-ফুলে পরিপূর্ণ এক পর্বতের পাশে পদ্মা উদ্যান নির্মাণ করেন। নানান মনােহর সুগন্ধিত পুষ্প এই উদ্যানটির শােভা বর্ধন করে। নানান ফলের বৃক্ষও আছে। হেমরত্নে উজ্জ্বল একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে পদ্মা সর্বক্ষণ তাতে থাকেন।
৪) ‘যদি হইল সময় প্রত্যুষ’- প্রত্যুষকালে কী হলাে ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
প্রত্যুষকালের বর্ণনাঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা পিতৃগৃহে নিশি যাপন করে প্রত্যুষকালে সখীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, রঙ্গরসিকতায় মেতে উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় তিনি সিন্ধুতীরে একটি মান্দাস দেখতে পান। তারা কৌতূহলবশত মান্দাসটির কাছে ছুটে যান, দেখেন চার সখী চারদিকে, মাঝে রূপবতী রম্ভার চেয়েও সুন্দরী এক নারী। সবাই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। আতঙ্কে বিস্ফারিত চোখ, এলােমেলাে বসন, আলুলায়িত কেশ-বেশ, সামান্য শ্বাসটুকু শুধু অবশিষ্ট ছিল।
৫) ‘দেখিয়া রূপের কলা / বিস্মিত হইল বালা / অনুমান করে নিজ চিতে’- কে নিজের চিত্তে কার রূপের কলা কখন অনুধাবন করেছিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যিনি রূপের কলা অনুধাবন করেছিলেনঃ
উদ্ধৃত অংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের চিত্তে সিঙ্ঘল রাজকন্যা, চিতোর রাজ রত্নসেন পত্নী পদ্মাবতীর রূপের কলা অনুধাবন করেছিলেন।
পদ্মাবতীর রূপের কলা অনুধাবনের সময়কালঃ
সমুদ্রের বুদ্রতাপে সিংহল থেকে চিতরে ফেরার সময় রত্নাসেন ও পত্নী পদ্মাবতী জীবন সংশয়ের মুখে পড়েন। পদ্মাবতী সিন্ধু তীরে তার চার সখীসহ অচেতন অবস্থায় এসে উপস্থিত হন। সমুদ্র তীরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সমুদ্রকন্যা পদ্মা। পদ্মাবতীর রূপ লাবণ্য দেখে সমুদ্রকন্যা অবাক হয়ে যান।
৬) ‘চিত্রের পোতলি সমা’- কাকে ‘চিত্রের পােতলি সমা’ বলা হয়েছে ? কেন বলা হয়েছে ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যাকে চিত্রের পোতলিসমা বলা হয়েছেঃ
প্রত্যুষকালে সমুদ্রকন্যা পদ্মা যখন তার সখীদের সাথে পর্বত-উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তখন তারা সমুদ্রতীরে অচেতন অবস্থায় পদ্মাবতী ও তার চার সখীকে দেখতে পান। পদ্মা অনুমান করেছিলেন, হয়তাে সমুদ্রের ঝড়ে ভেঙে যাওয়া নৌকো থেকে জলের ঢেউয়ে ভেসে এসেছে মনােরমা সেই নারী। তাকে দেখে পদ্মার চিত্রের পুতুলের মতোই অপরূপ সুন্দর বলে মনে হয়েছে।
৭) ‘চিকিৎসিমু প্রাণপণ’- কার চিকিৎসা করা হবে ? চিকিৎসার বিবরণ দাও।
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যার চিকিৎসা করার কথা বলা হয়েছেঃ
সিংহলরাজের কন্যা, চিতােররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া পত্নী পদ্মাবতী ও তার সখীদের চিকিৎসা করা হবে।
চিকিৎসার বিবরণঃ
সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের সহায়তায় পদ্মাবতী ও তার সখীদের চেতনা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন। ঈশ্বরের কৃপা প্রার্থনা করে অচেতন এই পঞ্চকন্যাকে বসনে ঢেকে উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নানাভাবে তাদের চিকিৎসা চলে। আগুন জ্বেলে কেউ গায়ে সেক দেয়, কেউ মাথায় সেঁক দেয়, কেউ বা সেঁক দেয় পায়ে। তান্ত্রিক মতে, মন্ত্রশক্তি ও মহৌষধি প্রয়ােগ করে চরদণ্ড ধরে প্রাণপণ চিকিৎসা করা হয়।
৮) ‘বহু যত্নে চিকিৎসিতে’- সখীগণসহ রাজকন্যা পদ্ম কীভাবে অচেতন কন্যার যত্ন নিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
অচেতন কন্যার যত্নঃ
সমুদ্র থেকে ভেসে আসা অচেতন পদ্মাবতী ও তার চার সখীর যত্ন নিয়েছেন সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীরা। পদ্মর আজ্ঞায় পাঁচজনে মিলে বস্ত্রে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তারা তন্ত্রে, মন্ত্রে, মহৌষধি দিয়ে মাথায় ও পায়ে সেক দিতে থাকেন। প্রায় চারদণ্ড মতাে সময় ধরে বহু যত্নে চিকিৎসা করার পরে তাদের চেতনা ফিরে আসে।
৯) ‘তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া’- কার জন্য এই পরিচর্যা ? কীভাবে, কারা এই পরিচর্যা করেছিলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
যার জন্য এই পরিচর্যাঃ
সিংহলরাজের কন্যা, চিতােররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া পত্নী পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখীদের জন্য এই পরিচর্যা।
যারা যেভাবে পরিচর্যা করেছিলেনঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্ম ও তাঁর সখীরা এই পরিচর্যা করেছিলেন। পদ্মর আদেশে তার সখীরা বসনে ঢেকে অচেতন পদ্মাবতী ও তার সখীদের উদ্যানে নিয়ে যান। আর সেখানেই নানাভাবে চলে তাদের পরিচর্যা। আগুন জ্বেলে কেউ গায়ে সেঁক দেয়, কেউ মাথায় সেঁক দেয়, কেউ বা সেঁক দেয় পায়ে। তান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়ােগ করে তাদের চিকিৎসা চলে। এমনকি মন্ত্রশক্তি ও মহৌষধিও প্রয়োেগ করা হয়। এইভাবে চারদণ্ড সময়কাল ধরে চলে তাদের পরিচর্যা। পরিশেষে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পান।
১০) ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’- পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতন পেয়েছিল ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
পঞ্চকন্যার চেতনাপ্রাপ্তিঃ
সমুদ্রকন্যা পদ্মা প্রথমে বিধাতার কাছে পদ্মাবতীর জন্য প্রার্থনা করেন। পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার সখীদের দেহ কাপড়ে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান। তারপর তন্ত্রমন্ত্ৰ, মহাঔষধের দ্বারা তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সেক দেওয়া হয়। এইভাবে চারদণ্ড চিকিৎসা করার পর চার সখীসহ পদ্মাবতী জ্ঞান ফিরে পান।
১১) ‘হীন আলাওল সুরচন৷’- আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলেছেন কেন ? তিনি কীভাবে তার কাব্যরচনা করলেন ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
আলাওলের নিজেকে ‘হীন’ বলার কারণঃ
মধ্যযুগের জনপ্রিয় কবি আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলে তার বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করেছেন।
কাব্য রচনার বর্ণনাঃ
সপ্তদশ শতাব্দীর কবি আলাওল আরাকান রাজসভার কবি ছিলেন। সেখানে তিনি আরাকানের প্রধানমন্ত্রী মাগনঠাকুর এবং আরাকানরাজ শ্রীচন্দ্র সুধর্মার পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক কাব্যের সার্থক অনুবাদ করেন। আর তাই আমরা পাঠ্য কাব্যাংশের ভণিতায় শ্ৰীযুক্ত মাগনের নামে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের পরিচয় পেয়ে থাকি।
১২) ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার কী গুণের পরিচয় পাওয়া যায় ?
উৎসঃ
“মালিক মুহম্মদ জায়সী”র “পদুমাবৎ” কাব্যের বাংলা অনুবাদ “পদ্মাবতী” রচনা করেন আরাকান রাজসভার কবি “সৈয়দ আলাওল”। এই কাব্যের “পদ্মা-সমুদ্রখন্ড”অংশটি আমাদের পাঠ্য “সিন্ধুতীরে” নামে সংকলিত হয়েছে।
সমুদ্রকন্যা পদ্মার গুণের পরিচয়ঃ
সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্ম নানান গুণে গুণবতী। কবি স্বয়ং বলেছেন—“সমুদ্র নৃপতি সুতাপদ্মা নামে গুণযুতা’। প্রশংসনীয় পদ্মার সৌন্দর্য রুচি। তার ঈশ্বর বিশ্বাস, পিতৃভক্তি, সখীপ্রীতি তাকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। তবে যে গুণটি তাকে একেবারে অনন্যা করে তুলেছে তা হলাে অনুভূতিপ্রবণতা। সমুদ্রলাঞ্ছিতা পদ্মাবতী ও তার সখীদের মুমূর্ষ অবস্থা তাঁকে বড়াে ব্যাকুল করে তুলেছে। তাদের চেতনা ফেরানাের প্রচেষ্টায় তিনি ঈশ্বরকে স্মরণ করেছেন। সখীদের সহযােগিতায় তাদের নিজের উদ্যানে এনে চার দন্ড পরিচর্যার মাধমে তাদের চেতনা ফিরিয়ে এনেছেন।