আধুনিক বাংলা সাহিত্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধান করলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার :
LINK TO VIEW PDF (Only for Subscribers)
২) বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫
উত্তরঃ
বাংলা গদ্যের বিকাশে যার নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সমাজসংস্কার ও শিক্ষাবিস্তারের পাশাপাশি তিনি বাংলা গদ্যের ফল্গু ধারাকে পরিমার্জন ও নবরূপায়নের মাধ্যমে স্রোতস্বিনীতে পরিণত করেছিলেন
বিদ্যাসাগরের রচনা সমূহকে সাহিত্যিকগণ পাঁচটি বিভাগে বিভাজিত করেছেন। বিভাগগুলি সম্পর্কে ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হলো-
ক) অনুবাদমূলক রচনাঃ
অনুবাদমূলক রচনাগুলির মধ্যেও বিদ্যাসাগরের মৌলিকাতার স্পর্শ আমরা লাভ করে থাকি। তার অনুবাদ কর্মগুলি ছিল মূলত সংস্কৃত ও হিন্দি-ইংরাজি সাহিত্যের অনুবাদ। তিনি মাহাকবি কালিদাসের “অভিজ্ঞান শকুন্তলম” কাব্যের অনুবাদ করেন “শকুন্তলা” নামে। ভবভূতির “উত্তর রামচরিত” ও বাল্মীকি রামায়ণের ‘উত্তরকান্ড’ অবলম্বনে তিনি রচনা করেন “সীতার বনবাস”। এছাড়াও তিনি ইংরাজি গ্রন্থ অবলম্বনে সার্থক যে অনুবাদ গ্রন্থগুলি রচনা করেছিলেন, সেগুলি হলো- “বোধোদয়”, “কথামালা”, “ভ্রান্তিবিলাস” প্রভৃতি। তার হিন্দি অনুবাদকর্মটি হলো “বেতালপচ্চীসী” অবলম্বনে “বেতাল পঞ্চবিংশতি”।
খ) পাঠ্যপুস্তক শ্রেণির রচনাঃ
বিদ্যাসাগর শিশুদের জন্য তথা বাংলা গদ্যের বিকাশের জন্য যেসকল পাঠ্যপুস্তক শ্রেণির রচনা করেছিলেন সেগুলি হলো- “বর্ণপরিচয়”, “ব্যাকরণ কৌমুদী”, “শব্দমঞ্জরী” প্রভৃতি।
গ) মৌলিক রচনাঃ
তার মৌলিক রচনাগুলির মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো- “সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্যশাস্ত্র বিষয়ক প্রস্তাব”, “বিদ্যাসাগর চরিত”, “প্রভাবতী সম্ভাষণ” প্রভৃতি।
ঘ) সমাজ-সংস্কারমূলক রচনাঃ
সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে তিনি রচনা করেছিলেন “বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব”, “বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব”।
ঙ) ব্যাঙ্গাত্মক রচনাঃ
ব্যাঙ্গাত্মক রচনায় বিদ্যাসাগর ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর “অতি অল্প হইল”, “আবার অতি অল্প হইল”, “ব্রজবিলাস”, “রত্নপরীক্ষা” প্রভৃতি এই বিষয়ে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
কখনো স্বনামে, আবার কখনোবা ছদ্মনামে তিনি বিবিধ গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে বাংলা গদ্যকে নবজন্ম প্রদান করেন। তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন- “বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা দান করিয়াছেন।”
LINK TO VIEW PDF (Only for Subscribers)
নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232
৩) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখক গোষ্ঠী সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৪) বঙ্গদর্শন পত্রিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৫) সবুজপত্র পত্রিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে