আগুন- বিজন ভট্টাচার্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আগুন- বিজন ভট্টাচার্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধান করলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
আগুন- বিজন ভট্টাচার্য । একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার :
১) “যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক।”- মন্তব্যটির বক্তা কে ? মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। ১+৪=৫
উৎসঃ
আধুনিক যুগের বিশিষ্ট নাট্যকার “বিজন ভট্টাচার্য” রচিত “আগুন” নাটকের চতুর্থ দৃশ্য থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা হলেন কেরানি হরেকৃষ্ণবাবু।
মন্তব্যের প্রেক্ষাপটঃ
নাট্যঘটনায় আমরা দেখতে পাই যে, অনাবৃষ্টির কারণে ফসলহীনতা এবং তার ফলে যে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছিল। এইরূপ পরিস্থিতিতে হরেকৃয়বাবুর অফিসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, কর্মচারীদের চাল-ডাল দেওয়া হবে। হরেকৃয়বাবু যখন বাড়িতে চাল, চিনি ইত্যাদির সংস্থান না থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন তাঁর স্ত্রী মনোরমা তাঁকে সেই কথা মনে করিয়ে দেন।
কিন্তু হরেকৃয়বাবু অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে তাকে অফিসের প্রসঙ্গ আলোচনা করতে বারণ করেন এবং বলেন “একেবারে ঘেন্না ধরিয়ে দিলে।” কারণ, কর্মচারীদের নাম করে সস্তা দরে চাল-ডাল এনে অফিসের কর্তারা সেগুলি চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছেন! এইভাবে ব্যাবসা চলছে আর মানুষ জানছে যে, অফিসের কর্মচারীরা সস্তা দরে চাল ডাল পাচ্ছে। আর প্রকৃত সুবিধা ভোগ করছেন ম্যানেজার এবং তার মোসাহেবরা। হরেকৃয়বাবুর কথায়, চারপাশে শুধু চোর ছেঁচড়ের আড্ডা।
আর, এই শোচনীয় পরিস্থিতিতেই হরেকৃষ্ণবাবু প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন।
LINK TO VIEW PDF
২) আগুন নাটকে সতীশ চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
উৎসঃ
নাট্যকার ‘বিজন ভট্টাচার্য’ রচিত ‘আগুন’ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে আমরা সতীশ চরিত্রটির পরিচয় লাভ করি। নাটকের স্বপ্ল পরিসরে আমরা সতীশ চরিত্রের যে সকল বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাই তা নিম্নে আলোচিত হল-
অসহায়ত্বঃ
নাটকের অন্যান্য দৃশ্যের চরিত্রদের ন্যায় সতীশও সুতীব্র খাদ্য সংকটে জর্জরিত। স্ত্রী-কন্যার ভরণ-পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় চাল ডালের সংস্থান করতেও সে বিফল হয়। বাড়ির মেয়ে বউ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও দোকান থেকে চাল জোগাড়ে ব্যার্থ হয়- “কাল সারাটা দিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফুলকি আর ওর মা তো শুধু হাতে ফিরে এসেছে”। এমনকি সহকর্মী জুড়োনকে উদ্দেশ্য করেও তাকে বলতে শোনা যায়- “এই চাল ডালের কী উপায় করি রে বলতো!”
আশাবাদীঃ
আশাবাদী সতীশ ভাবে যে, কারখানা থেকে তাদের জন্য চাল ডালের ব্যবস্থা করা হবে। তার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “যেমন হয়েছে শালা কোম্পানি, তিনমাস হল রোজই চাল ডাল দিচ্ছে”।
হতাশাগ্রস্তঃ
আশাবাদের পাশাপাশি সতীশের কন্ঠস্বরে আমরা হতাশারও প্রতিচ্ছবি উপলব্ধি করতে পারি। আর তাই জুড়োনকে উদ্দেশ্য করে তাকে বলতে শোনা যায়- “কোম্পানির ভরসা করব না, দোকানের ভরসা করব না, সে গাঁটের পয়সার কি ভরসা করব না, তো কাকে করি বোল!”
অমানবিকঃ
প্রতিকূল পরিস্থিতি সতীশকে করে তুলছে অমানবিক। তার স্ত্রী ক্ষিরির কর্কশ কথাগুলি তাকে উত্তেজিত করে তোলে। সে বলে ওঠে- “তোর সে মুখের সাজা কিন্তু আমি একদিন আচ্ছা করে দিয়ে দেবো”। এমনকি তাকে লাথি মারতেও সতীশ দ্বিধা করে না।
মূল্যায়নঃ
অতএব আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি, সতীশ চরিত্রটি তার বিবিধ চারিত্রিক গুণাবলি দ্বারা পাঠকের সম্মুখে যেন এক জীবন্ত রূপ গ্রহণ করেছে।
LINK TO VIEW PDF
৩) ‘এই যে, বড্ড খাঁটি কথা বলেছ হে’- কে খাঁটি কথা বলেছে এবং খাঁটি কথাটি কী? সেই কথাকে ‘খাঁটি’ বলার কারণ ব্যাখ্যা করো। ২+৩=৫
উৎসঃ
আধুনিক যুগের বিশিষ্ট নাট্যকার “বিজন ভট্টাচার্য” রচিত “আগুন” নাটকের পঞ্চম দৃশ্য থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি চয়ন করা হয়েছে।
যে খাঁটি কথা বলেছেঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে এক ওড়িয়া ব্যক্তির করা মন্তব্যটিকে ‘খাঁটি কথা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
খাঁটি কথার পরিচয়ঃ
‘খাঁটি কথা’-টি হল হিন্দুও চাল খাচ্ছে, মুসলমানও চাল খাচ্ছে। সাহেবরা চাল খাচ্ছে গুঁড়ো করে পাউরুটি বানিয়ে। সবাই চাল খাচ্ছে। আসলে সেই আকালের দিনে সবাই এক হয়ে গিয়েছে। ওড়িয়া বলেছে – ‘চাউড়ের কথা বড় মস্ত কথা আছে রে দাদা’।
‘খাঁটি’ বলার কারণঃ
আকালের সময় চালের লাইনে ওড়িয়া ব্যক্তিটির কথা হরেকৃষ্ণর ‘খাঁটি’ বলে মনে হয়েছে। ওড়িয়া ব্যক্তির কথার মধ্যে বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি তথা গভীর জীবনদর্শন খুঁজে পায় হরেকৃষ্ণ। খিদের জ্বালা এক বড়ো জ্বালা! ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষেরই খিদে পায়। তাই আমাদের বাঁচতে হলে খেতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। অন্যান্য রাজ্য থেকে আমদানি করা সামান্য চাল পেতে গেলেও অনিশ্চয়তার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে সকলকেই। সবাই চালের উপর নির্ভরশীল বলে ‘চাউড়ের কথা’ কেবল চালের কথা নয়; ব্যাপক অর্থে অন্নের কথা, খাদ্যের কথা, ক্ষুন্নিবৃত্তির কথা, তা- ‘বড় মস্ত কথা’।
ওড়িয়া ব্যক্তির কথার মধ্যে জীবনের সারবত্তা আছে। তাই সেই কথাকে ‘খাঁটি কথা’ বলা হয়েছে।
LINK TO VIEW PDF
PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS
১) “আয় শুয়ে থাকলি ওদিকি আবার সব গোলমাল হয়ে যাবেনে।”- বক্তা কে? তিনি কোন্ সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন? ‘গোলমাল’ যাতে না হয় সেজন্য তিনি কী করতে বলেছেন?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
২) “আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই।”- কে, কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যটি করেছে?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৩) “এই আর কডা দিন বউ, বুঝলি।”- কে এ কথা বলেছে? এই ‘আর কডা দিন’-এর কী পরিচয় পাওয়া যায়? এরপরে কী হবে বলে বক্তা প্রত্যাশা করেছে?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৪) “আরে সে কী বলব মুশকিলের কথা।”- কে, কাকে উদ্দেশ করে মন্তব্যটি করেছে? সে কোন্ মুশকিলের কথা বলেছে?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৫) “আরে দুত্তোর নিকুচি করল তোর লাইনের।”- কে, কাকে এ কথা বলেছে এবং কখন? তার এই প্রতিক্রিয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৬) “কী আমার পুরুষ মানুষ রে!”-কে, কাকে উদ্দেশ করে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৭) “তোর মুখের সাজা আমি আজ ভালো করে দিয়ে যাব।”- কে, কাকে এ কথা বলেছে? কোন্ পরিস্থিতিতে তাকে এরকম মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৮) “মহা মুশকিলেই পড়া গেল দেখছি।”- বক্তা কে? সে এখানে কোন্ ‘মহা মুশকিল’-এর কথা বলেছে?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
৯) “কেন খামোকা মরতে এলি।”- কে, কাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১০) “ও সব আইনের কথা বলবেন আদালতে গিয়ে-এখানে নয়।”- কে, কাকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেছে? এই মন্তব্যের কারণ কী ছিল?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১১) “আপনার যদি দরদ থাকে তো দেবেন না আপনার চালটা ওকে।”- কে, কাকে উদ্দেশ করে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১২) “আলবাৎ, জানোয়ার কাঁহাকা।”- কে, কাকে উদ্দেশ করে মন্তব্যটি করেছে? তার এই প্রতিক্রিয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৩) “আগুন জ্বলছে আমাদের পেটে।”- বক্তা কে? মন্তব্যটির তাৎপর্য সমগ্র নাট্যকাহিনি অবলম্বনে আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৪) “লুঙ্গি, টিকি, পৈতে, টুপি সব একাকার হয়ে গেছে।”- কে মন্তব্যটি করেছে? যে পরিস্থিতিতে তার এই মন্তব্য তা নিজের ভাষায় উল্লেখ করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৫) “চাউড়ের কথা বড় মস্ত কথা আছে রে দাদা।”- বক্তা কে? মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৬) “এখন বাঁচতে হবে। বাঁচতে হলে মিলেমিশে থাকতে হবে….”- কে মন্তব্যটি করেছে? নাট্যকাহিনির পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যটির তাৎপর্য সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৭) ‘আগুন’ নাটকে চরিত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে নাট্যকার যে অভিনবত্ব দেখিয়েছেন তা আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৮) ‘আগুন’ নাটকে দোকানদার এবং সিভিক গার্ড চরিত্র দুটি নির্মাণে নাট্যকারের দক্ষতা আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
১৯) ‘আগুন’ নাটকে যে সমাজবাস্তবতার প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
২০) “সমগ্র নাট্যকাহিনিতে পরস্পর-বিচ্ছিন্ন দৃশ্যগুলির মধ্যে যেন সংযোগসূত্র হয়ে উঠেছে রেশনের দোকানের লাইন।”- মন্তব্যটির যথার্থতা আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
২১) ‘আগুন’ নাটকে বিজন ভট্টাচার্য যে নাট্যরীতির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
আপনাদের এই linkটি ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে যথেষ্ট কার্যকরী ও সহায়ক বলেই আমি একজন অভিভাবক হিসাবে যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী।
আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।