বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পাতাবাহার বই থেকে বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হল। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যাংশটি ভালো করে পড়ে নিম্নে প্রদান করা অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সমাধান করে পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
১) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ
১.১) কোন্ কোন্ বাংলা মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ আষাঢ়, শ্রাবণ মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয়।
১.২) মেঘলা দিনে আকাশ ও তোমার চারপাশের প্রকৃতি কোন্ রূপ ধারণ করে?
উত্তরঃ মেঘলা দিনে আকাশে সূর্য প্রায় দেখাই যায় না। আকাশ কালো হয়ে থাকে। আর আমার চারপাশের প্রকৃতিতে একটা গুমোটভাব লক্ষ করা যায়। প্রকৃতি যেন স্তদ্ধ হয়ে থাকে।
১.৩) বৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে – তোমার জীবনে মনে রাখার মতো এমন কোনো ঘটনার কথা লেখো।
উত্তরঃ আমি যখন আরও ছোটো ছিলাম তখন যদি স্নানের বৃষ্টি নামত তাহলে আমি আর বোন ছাদে চলে যেতাম। বৃষ্টির জলে স্নান করতাম। তা ছাড়া যদি শিলাবৃষ্টি পড়ত, তাহলে শিলগুলো কুড়োতাম।
১.৪) পুকুরে, টিনের চালে, গাছের পাতায় – বৃষ্টি পড়ার শব্দগুলো কেমন হয় লেখো।
উত্তরঃ
পুকুরে – ঝম ঝম
টিনের চালে – টিপ টিপ
গাছের পাতায় – ঝুপ ঝুপ
১.৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
১.৬) কোন বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তরঃ ইংরেজি Song Offerings বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
১.৭) বৃষ্টি পড়ে টাপুর টাপুর কবিতাটি তাঁর কোন্ কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ বৃষ্টি পড়ে টাপুর টাপুর কবিতাটি তাঁর শিশু কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২) শূন্যস্থান পূরণঃ
২.১) মন্দিরেতে —- ঘণ্টা বাজল ঠং ঠং।
উঃ কাঁসর
২.২) এ পারেতে মেঘের মাথায় —–মানিক জ্বালা।
উঃ একশো
২.৩) বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে —— গান।
উঃ ছেলেবেলার
২.৪) কত দিনের কত ঘরের কোণে—–
উঃ লুকোচুরি
২.৫) মনে পড়ে ঘরটি আলো—– হাসিমুখ।
উঃ মায়ের
২.৬) বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে ——ওঠে কাঁপি।
উঃ সৃষ্টি
২.৭) মনে পড়ে অভিমানী —– ব্যথা।
উঃ কঙ্কাবতীর
২.৮) —– ছেলে গল্প শোনে একেবারে চুপ।
উঃ দস্যি
২.৯) —— কবে পড়েছিল বান এলো সে কথা।
উঃ বিষ্টি
২.১০) থেকে থেকে —– কি দিতেছিল হানা।
উঃ বিজুলি
৩) এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরিঃ
৩.১) গাছপালা এল, পারেতে ও বৃষ্টি ঝাপসা।
উঃ ও পারেতে বৃষ্টি এল, ঝাপসা গাছপালা।
৩.২) সীমানা কোথায় মেঘের আকাশ জুড়ে খেলা বা।
উঃ আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা কোথায় বা সীমানা।
৩.৩) পায় কোথায় খেলা পলে নতুন পলে ভেবে।
উঃ পলে পলে নতুন খেলা কোথায় ভেবে পায়।
৩.৪) বুক গুরু গুরু ডাকে পড়ে মনে মেঘের।
উঃ মনে পড়ে মেঘের ডাকে গুরুগুরু বুক
৩.৫) দাপাদাপি ছেলে ঘরেতে দুরন্ত করে।
উঃ ঘরেতে দুরন্ত ছেলে দাপাদাপি করে।
৩.৬) ঘটাখানা এমনিতরো সেদিনও কি মেঘের।
উঃ সেদিনও কি এমনিতরো মেঘের ঘটাখানা।
৪) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ
৪.১) বৃষ্টির দিনে কবির কার কথা মনে পড়ে ?
উঃ বৃষ্টির দিনে কবির তাঁর মায়ের হাসিমুখের কথা মনে পড়ে।
৪.২) বাদলা হাওয়ায় কবির কোন্ গানের কথা মনে পড়ে?
উঃ বাদলা হাওয়ায় কবির ‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান’ গানটির কথা মনে পড়ে।
৪.৩) মন্দিরে কেমন করে কী বেজে উঠল ?
উঃ মন্দিরে ঠং ঠং করে কাঁসর ঘণ্টা বেজে উঠল।
৪.৪) আকাশে কীসের লোভে মেঘ জুটেছে?
উঃ আকাশে চাঁদের লোভে মেঘ এসে জুটেছে।
৪.৫) কোথায় একশো মানিক জ্বালা বলে কবি বলেছেন ?
উঃ কবি বলেছেন এ পারেতে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বালা ।
৪.৬) কীসের ডাকে কবির সৃষ্টি কেঁপে ওঠে?
উঃ মেঘের ডাকে কবির সৃষ্টি কেঁপে ওঠে।
৪.৭) মেঘ কী করে বেড়ায়?
উঃ মেঘ আকাশ জুড়ে দেশে দেশে খেলে বেড়ায়।
৪.৮) মেঘ কোন্ খেলা খেলে?
উঃ মেঘ নতুন ফুলের বনে বৃষ্টি দিয়ে যায়।
৪.৯) দুরন্ত ছেলে কী করে ?
উঃ দুরন্ত ছেলে ঘরেতে দাপাদাপি করে।
৪.১০) বিছানার একটি পাশে কে কী করছে?
উঃ বিছানার একটি পাশে খোকা ঘুমিয়ে আছে।
৪.১১) বাইরে কীসের ও কেমন শব্দ হচ্ছে?
উঃ বাইরে জলের ঝুপ ঝুপ শব্দ হচ্ছে।
৪.১২) বৃষ্টিতে কবির কোন্ দুই রানির কথা মনে পড়ে?
উঃ বৃষ্টিতে কবির ‘সুয়োরানি’ ও ‘দুয়োরানির’ কথা মনে পড়ে।
৪.১৩) অভিমানী কে? তার কীসের কথা কবির মনে পড়ে?
উঃ অভিমানী হলেন কঙ্কাবতী। তার ব্যথার কথা কবির মনে পড়ে।
৪.১৪) কে কীভাবে গল্প শোনে?
উঃ দস্যি ছেলে একেবারে চুপ করে গল্প শোনে।
৪.১৫) বৃষ্টির মধ্যে কার বিয়ে হয়েছিল ?
উঃ বৃষ্টির মধ্যে শিবঠাকুরের বিয়ে হয়েছিল।
৪.১৬) কাদের সাথে শিবঠাকুরের বিয়ে হয়েছিল ?
উঃ তিনজন কন্যার সাথে শিবঠাকুরের বিয়ে হয়েছিল।
৪.১৭) শিবঠাকুরের বিয়ের দিনে কে থেকে থেকে হানা দিচ্ছিল ?
উঃ শিবঠাকুরের বিয়ের দিনে থেকে থেকে বিজুলি অর্থাৎ বিদ্যুৎ হানা দিচ্ছিল।
৫) সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ
৫.১) কবিতায় কখন কীভাবে বৃষ্টি আসার কথা কবি বলেছেন?
উঃ তখন সূর্য ডোবে ডোবে দিনের আলো নিভে এল, মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা ঠং ঠং করে বেজে উঠল। তখন ওপারেতে বৃষ্টি এল এবং চারিদিক ঝাপসা হয়ে গেল।
৫.২) ‘দস্যি ছেলে গল্প শোনে’ – দস্যি ছেলে কোন্ পরিবেশে কীসের গল্প শোনে?
উঃ ঘরের কোণে মিটিমিটি আলো ও চারিদিকের দেওয়ালে কালো কালো ছায়ার মধ্যে দস্যি ছেলে একেবারে চুপ করে গল্প শোনে। বাইরে কেবলই ঝুপ ঝুপ করে জলের শব্দ শোনা যায় দস্যি ছেলে সুয়োরানি, দুয়োরানি ও অভিমানী কঙ্কাবতীর ব্যথার গল্প শোনে।
৫.৩) আকাশ জুড়ে মেঘ কোথায় কোথায় কী কী করে বেড়ায়।
উঃ আকাশ জুড়ে মেঘ দেশে দেশে খেলে বেড়ায়, তার যাওয়ার কোনো সীমানা নেই, কেউ তাকে মানাও করে কত নতুন ফুলের বনে মেঘ বৃষ্টি দিয়ে যায়। পলে পলে নতুন নতুন খেলা মেঘ ভেবেও পায়।
৫.৪) ‘কবেকার সে কথা কবেকার কথাটি কী? সেদিন কী হয়েছিল ?
উঃ কবেকার কথাটি হল শিবঠাকুরের বিয়ের দিনের কথা। সেদিনও আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিল। থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকে উঠে হানা দিচ্ছিল। সেদিন বৃষ্টিও পড়েছিল এবং বানও এসেছিল। সেদিন শিবঠাকুর তিনজন কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন।
৫.৫) ‘মনে পড়ে’—কবির কী মনে পড়ে?
উঃ কবির মনে পড়ে ঘর আলো করা তাঁর মায়ের হাসিমুখটি। মেঘের ডাকে গুরুগুরু বুকে বিছানায় একটি ঘুমিয়ে থাকা ‘ছোট্ট খোকাটির কথা যার মায়ের ওপর দুরন্তপনার কথা লিখে শেষ করা যায় না।
৫.৬) কে গাহিল গানকে কোথায় কী গান গেয়েছিল ?
উঃ কোনো একজন মা নাম না জানা কোনো এক নদীর ধারে, কোনো এক অজানা দেশে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে ‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান’ গানটি গেয়েছিল।