বিমলার অভিমান প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাতাবাহার পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত বিমলার অভিমান প্রশ্নের উত্তর এখানে প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বিমলার অভিমান প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
বিভাগ -ক
১) কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন ?
উত্তরঃ কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সংস্কৃত কলেজিয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন।
২) তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম হল ‘বালকপাঠ’, ‘শিশুপাঠ’।
৩) তিনি কোন কোন পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন ?
উত্তরঃ তিনি ‘সখা’ ও ‘মাসিক বসুমতী’ পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন।
বিভাগ- খ
১) শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্যঃ
ভার – ওজন
ভাঁড় – মাটির পাত্র, রসিক ব্যাক্তি বা বিদূষক
বাঁচা – জীবিত থাকা
বাছা – নির্বাচন করা
সোনা – একপ্রকার ধাতুবিশেষ
শোনা – শ্রবণ করা
২) দুটি করে অর্থঃ
বেলা – দিনের বিভিন্ন সময়, ক্ষেত্রে
দাম – মূল্য, গুরুত্ব
৩) অন্ত্যমিলযুক্ত শব্দঃ
উত্তরঃ
নুন – চুন
মুড়িয়ে – তাড়িয়ে
করো – মরো
রাধু – মাধু
রামী – বামী
চুড়ো – নুড়ো
৪) স্তম্ভ মিলঃ
উত্তরঃ
ক | খ |
নুন | লবণ |
দুরন্ত | দুষ্টু |
ছাই | ভস্ম |
ফরমাস | আদেশ |
চুড়ো | শিখর |
৫) বিশেষ্য ও বিশেষণ নির্বাচনঃ
উত্তরঃ
বিশেষ্য | বিশেষণ |
ক্ষীর ছাই বিমলা নুন পান নটে গাছ খোকা | বেশি দুরন্ত ঝাল ছোটো কম |
৬) ক্রিয়া নির্ণয়ঃ
৬.১) খাব না তো আমি।
উত্তরঃ খাব না
৬.২) যা বিমলা যা।
উত্তরঃ যা
৬.৩) ও বিমলা, নে মা একবার।
উত্তরঃ নে
৬.৪) অবু বেশি খাবে।
উত্তরঃ খাবে
৬.৫) দে মা এনে চুন।
উত্তরঃ দে, এনে
৭) শূন্যস্থান পূরণঃ
৭.১) পূজা করি, দাও এনে, সোনামনি মা।
৭.২) কাঁদিলে দুরন্ত খোকা রাখা তারে ভার।
৭.৩) ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
৭.৪) পানটা যে বড়ো ঝাল, দে মা এনে চুন।
৮) বেমানান শব্দ নির্বাচনঃ
৮.১) ক্ষীর, ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা
উত্তরঃ ছাগল
৮.২) ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামনি মা, পূজা
উত্তরঃ রাধু
৮.৩) সোনার চুড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু
উত্তরঃ মাধু
৯) বিপরীতার্থক শব্দঃ
দাও – নাও
বড়ো – ছোটো
বেশি – কম
ঝাল – মিষ্টি
আসে – যায়
১০) বাক্য রচনাঃ
ক্ষীর = ক্ষীর আমার খুব পছন্দের খাদ্য।
দুরন্ত = দুরন্ত ছেলেটি আজ কেমন শান্ত হয়ে রয়েছে।
ছাই = অনেকে বাসন মাজতে ছাই ব্যবহার করেন।
নটেগাছ = নটেগাছ যেনো গ্রামবাংলার প্রতীক।
চুন = পানের সাথে চুন খাওয়া হয়।
১১) শব্দ ঠিকমতো সাজিয়ে বাক্য তৈরিঃ
১১.১) পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর
উত্তরঃ দাদার থেকে বিমলার ক্ষীর পরিমাণে কম।
১১.২) হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে
উত্তরঃ বিমলাকে পূজার ফুল আনতে হয়।
১১.৩) করে সবার পালন বিমলা ফরমাস সব
উত্তরঃ বিমলা সবার সব ফরমাস পালন করে।
১১.৪) মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা
উত্তরঃ শুধু মেয়ে বলে বিমলার প্রতি অবিচার করা হয়।
১১.৫) নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত
উত্তরঃ ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়।
১২) বাক্যের অর্থগত বিভাগ নির্ণয়ঃ
১২.১) খাব না তো আমি।
উত্তরঃ নেতিবাচক
১২.২) যা বিমলা যা।
উত্তরঃ অনুজ্ঞাসূচক
১২.৩) ছাগলেতে নটেগাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
উত্তরঃ বর্ণনামূলক
১২.৪) আমার বেলাই বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই ?
উত্তরঃ প্রশ্নবোধক
বিভাগ -গ (অতিসংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর):
১) বিমলাকে সারাদিন কোন কোন কাজ করতে হয় ?
উত্তরঃ কবি ‘নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য’-এর ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলাকে সারাদিন নানা কাজ করতে হয়। সে পূজার ফুল আনে, খোকা কাঁদলে তাকে সামলায়, ছাগল নটেগাছ খেতে এলে তাড়ায়, দাদা খেতে বসলে তাকে নুন দেয়, মায়ের পানটা ঝাল হলে চুন এনে দেয়।
২) বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী ? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন ?
উত্তরঃ কবি ‘নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য’-এর ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবনী। সে ছোটো, সকলের আদরের তাই সে বেশি বেশি খাবার পাবে। তার দাদা বড়ো, তার বেশি খাবার প্রয়োজন তাই সে বেশি বেশি খাবার পাবে।
৩) ‘তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই’ – বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ কবি ‘নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য’-এর ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ তার দাদা ও ভাই বেশি বেশি খাবার পায় কিন্তু সে নাম মাত্রই খাবার পায়।
৪) বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ বিমলা খুবই ভালো মেয়ে। সে সারাদিন বাড়ির সকলের অনেক কাজ করে দেয়। সে তার দাদা ও ভাইয়ের মতো আদর ও খাবার কোনোটাই পায় না। সে যেন সকলের আদেশ শোনার জন্যই আছে। বিমলাকে সবাই অবহেলা করে যা খুবই দুঃখজনক।
৫) বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ বিমলার অভিমান করার কারণ যুক্তিসঙ্গত। সে সারাদিন বাড়ির সকলের আদেশ মতো অনেক কাজ করে। কিন্তু খাবার সময় বিমলাকে কম খেতে দেওয়া হয়। এমনকি তার কথা মনে করাও হয় না। তার দাদা বড়ো, তার বেশি খাবার প্রয়োজন তাই সে বেশি খাবার পায়। আর ভাই ছোটো, সকলের আদরের তাই সেও বেশি খাবার পায়। বিমলা তাদের মতো আদর যত্ন কিছু পায় না। তার দাদা ও ভাই দুজনে সোনার চুড়ো আর মাঝখানে সে নিজেকে ছাইয়ের নুড়ো মনে করে। তাই বিমলা খেতে চায় না। এখানে তার না খেতে চাওয়ার মধ্যে সে তার তীব্র অভিমান প্রকাশ করেছে।
অনেক সুন্দর
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।