chandranath-question-answers

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণি বাংলা প্রদান করা হলো। বাংলা বিষয়ের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এছারাও শিক্ষার্থীরা আমাদের Class Note বিভাগ থেকে বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেখে নিতে পারবে।

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা : 

 

চন্দ্রনাথ গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) কথক যার কথা ভাবছিলেন, তিনি তাঁর- সহপাঠী

২) ‘আরও একজনকে মনে পড়িতেছে’- সে হল- নিশানাথ বাবু 

৩) ‘সে তো আলোকিত প্রত্যক্ষের মধ্যে ফেরে না’ — প্রত্যক্ষে ফেরে না — আলোকিত দিবস

৪) ‘চন্দ্রনাথ অসংকোচে বলিল’ — সেকেন্ড প্রাইজ রিফিউজ করেছে

৫) ‘চন্দ্রনাথের দাদার মুখ দিয়া কথা সরিতেছিল না’ — কারণ- তিনি নীল নির্বিরোধী শান্ত প্রকৃতির মানুষ

৬) ‘ভদ্রলোকের কণ্ঠস্বর একবার কাঁপিতে ছিল’ — ভদ্রলোকটি হলেন- নিশানাথ বাবু

৭) ‘আজ থেকে তোমার সঙ্গে আমার আর কোনো সংস্রব রইল না।’ — এ কথা বলেছিল- নিশানাথ বাবু

৮) ‘আজ থেকে আমরা পৃথক’ — এ কথা বলেছিল- নিশানাথ বাবু

৯) হেডমাস্টারের হাতে ধরা থাকতো- হুঁকা

১০) ‘হিরুর বাড়িতে প্রতি ভোজনের নিমন্ত্রণ পাইলাম’ — প্রতিভোজের নিমন্ত্রণ- হিরু স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য

১১) ‘হীরুই সেবার ফার্স্ট হইয়াছিল’ — হিরু হলো — স্কুলের সেক্রেটারি ভাইপো

১২) ‘বিলেতে যেতে হবে আমাকে’ — বিলেতে যেতে হবে — হিরুকে

১৩) চন্দ্রনাথ তার চিঠির সম্বোধনে যে শব্দটা কেটে দিয়েছিল- প্রিয়বরেষু

১৪) চন্দ্রনাথ হীরুর সফলতায় যা প্রকাশ করেছিল- আনন্দ 

১৫) “এইটেই আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন।” – কথাটি বলেছে- হীরু

১৬) কথকের কল্পনায় জনহীন পথে একলা হেঁটে চলা চন্দ্রনাথের কাঁধে ছিল- পোঁটলা বাঁধা লাঠি

১৭) “… চন্দ্রনাথ বলিল, বেশ।” – চন্দ্রনাথ যে কথা মেনে নিয়েছে, তা হল- দাদার থেকে সে পৃথক হয়ে যাবে

১৮) চন্দ্রনাথের সাহায্যে পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল- হীরু

১৯) “… আমার অন্যায় হলো।” – বক্তার যে কাজকে অন্যায় বলে মনে হয়েছে, তা হল- নিশানাথবাবুকে বিদ্যালয়ের ঘটনাটি জানানো

২০) “দিস ইজ ম্যাথম্যাটিকস।” – বক্তা ‘ম্যাথম্যাটিকস’ বলেছে- অনুপাতের গাণিতিক নিয়মকে

২১) প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশনের সময় চন্দ্রনাথ- প্রাইজ প্রত্যাখান করে চিঠি দিয়েছে

২২) “…পড়ব আমি।” – বক্তা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন- পত্রিকায় প্রকাশিত নরেশের লেখা পড়ার

২৩) ‘চন্দ্রনাথের কথাই ভাবিতে ভাবিতে বাড়ি ফিরলাম’ — বাড়ি ফিরছিলেন- নরেশ সার্কুলার রোডের সমাধিক্ষেত্র থেকে

২৪) ‘দিস ইজ ম্যাথম্যাটিকস’ — ম্যাথম্যাটিকসটা হল — অনুপাতের আঙ্কিক নিয়ম

২৫) ‘চন্দ্রনাথ, হিরু, আমি সহপাঠী’ — আমি হলো — গল্প কথক নরেশ 

২৬) ‘এ কামনা ও বোধহয় করিয়াছিলাম’ — নরেশ কামনা করেছিল — দাম্ভিকটা যেন ফেল হয়

২৭) চন্দ্রনাথের দাদার নাম ছিল- কাশীনাথবাবু 

২৮) ‘এ উৎসবটা না করিলেই পারিতে’- এ কথা বলেছে- চন্দ্রনাথ 

২৯) চন্দ্রনাথ পাঁচশো- পঁচিশের নিচে পেলে তবে স্কুলের ফেলের সংখ্যা দাঁড়াবে- দশ

৩০) “এই দাম্ভিকটা যেন ফেল হয়”- দাম্ভিকটা হল- চন্দ্রনাথ

৩১) “এই প্রস্তাবই আমার পক্ষে অপমানজনক।” – প্রস্তাবটি ছিল – বিশেষ পুরস্কারের

৩২) “নির্জন বাড়িখানা খাঁ খাঁ করিতেছিল” – কার বাড়ির কথা বলা হয়েছে- চন্দ্রনাথের বাড়ির কথা বলা হয়েছে

৩৩) হীরুর আয়ত কোমল চোখে ছিল- মোহময় দৃষ্টি

৩৪) হীরুকে যে নক্ষত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে- কালপুরুষ 

৩৫) ‘মাথার উপর গভীর নীল আকাশে’- ছায়াপথ 

৩৬) চন্দ্রনাথ হীরুর সফলতায় যা প্রকাশ করেছে- আনন্দ 

গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ

 

১) কথক নরু চন্দ্রনাথের সঙ্গে কার তুলনা করেছিলেন?

উঃ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত চন্দ্রনাথ গল্পে কথক নরু চন্দ্রনাথের সঙ্গে কালপুরুষ নক্ষত্রের তুলনা করেছিলেন।

২) চন্দ্রনাথের ললাটে কোন চিহ্ন আত্মপ্রকাশ করেছিল?

উঃ চন্দ্রনাথের ললাটে ত্রিশূল চিহ্ন আত্মপ্রকাশ করেছিল।

৩) চন্দ্রনাথের কপালে ত্রিশূল চিহ্ন কখন দেখা যায়?

উঃ সামান্য উত্তেজনায় রক্তের চাপ বাড়লে নাকের উপরেকপালের মাঝে ত্রিশূল চিহ্ন মোটা হয়ে ফুলে ওঠে।

৪) ‘চন্দ্রনাথ’ গল্পে হেডমাস্টার দেখতে কেমন ছিলেন?

উঃ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত চন্দ্রনাথ গল্পে হেডমাস্টার মশাইয়ের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা হল – শীর্ণ, দীর্ঘকায় ও শান্ত প্রকৃতির।

৫) চন্দ্রনাথ পুরস্কার প্রত্যাখান করেছিল কেন?

উঃ পরীক্ষায় দ্বিতীয় হবার পুরস্কার চন্দ্রনাথ প্রত্যাখান করেছিল কারণ, এর আগের কোনো পরীক্ষায় সে দ্বিতীয় হয়নি। 

৬) “পত্রখানার উপর দৃষ্টি বুলাইয়া চন্দ্রনাথ অসংকোচে বলিল” – কী বলল? 

উঃ তার দাদার দেওয়া পত্রটি দেখে চন্দ্রনাথ বলেছিল যে, সে সেকেন্ড প্রাইজ রিফিউজ করেছে। 

৭) “… তোমার বউদি বলত…” – বউদি কী বলতেন?

উঃ চন্দ্রনাথের দাদার স্ত্রী, চন্দ্রনাথ সম্পর্কে বলতেন যে চন্দ্রনাথের স্বাধীন মতামত তৈরি হয়েছে।

৮) “… একটা স্পেশাল প্রাইজ দেবেন” – কে কাকে প্রাইজ দেবেন?

উঃ এই উক্তিটি ‘চন্দ্রনাথ’ গল্পের অন্তর্গত, এখানে চন্দ্রনাথের স্কুলের সেক্রেটারি মহাশয় চন্দ্রনাথকে স্পেশাল পুরস্কার দেবার কথা বলেছেন।

৯) স্কুলের সেক্রেটারি ভাইপোর নাম কী ছিল?

উঃ চন্দ্রনাথ গল্পে স্কুলের সেক্রেটারি ভাইপোর নাম ছিল হিব্রু।

১০) স্কুলের সঙ্গে চন্দ্রনাথ কীভাবে সব সম্পর্ক মিটিয়ে দিয়েছিল?

উঃ স্কুলের দুই-তিন মাসের বাড়তি রেফান দিয়ে চন্দ্রনাথ স্কুলের সাথে সব সম্পর্ক মিটিয়ে দিয়েছিল।

১১) “Shame in crowd but solitary pride” কথাটির অর্থ কী?

উঃ এই কথাটির অর্থ শখের সাহিত্যচর্চা জনসমক্ষে কুন্ঠার বিষয় হলেও, নিজের কাছে নিভৃতে তা গর্বের বিষয়। 

১২) “এইটেই আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন।” – কোন স্মৃতিচিহ্ন?

উঃ চন্দ্রনাথ গল্পে হিরুকে চন্দ্রনাথ যে চিঠি লিখেছিল, এখানে স্মৃতিচিহ্ন বলতে তার কথা বলা হয়েছে।

১৩) নরেশ চন্দ্রনাথের চলে যাওয়া সম্পর্কে কী কল্পনা করেছিল?

উঃ চন্দ্রনাথ গল্পের কথক নরেশ, চন্দ্রনাথের চলে যাওয়া সম্পর্কে কল্পনা করেছিল যে, কিশোর চন্দ্রনাথ কাঁধে লাঠির প্রান্তে পোঁটলা বেঁধে নির্জন জনহীন রাতে একলা হেঁটে যাচ্ছে।

১৪) কথক মাস্টার মহাশায়কে চন্দ্রনাথের কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন কেন?

উঃ চন্দ্রনাথ মাস্টার মহাশয়ের কথা নাও শুনতে পারে, এই আশঙ্কা করে গল্পের কথক মাস্টার মহাশয়কে চন্দ্রনাথের কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন।

১৫) “বোর্ডিং-এ আসিয়া মাস্টারমহাশয়কে সংবাদটা দিতে গিয়া দেখিলাম….” কী দেখার কথা বলা হয়েছে?

উঃ বোর্ডিং-এ এসে চন্দ্রনাথ গল্পের কথক নরেশ দেখেছিল যে তাদের মাস্টারমশাই চিন্তান্বিত অবস্থায় একা বসে আছেন! 

গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) “তাহার কথা শুনিয়া আশ্চর্য হইয়া গেলাম।” – বক্তা কে? কেন তিনি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন? ১+২ 

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা হলো গল্প কথক নরেশ। 

আশ্চর্য হবার কারণঃ

স্কুলের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে চন্দ্রনাথ পুরুস্কার প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে চন্দ্রনাথের বক্তব্য জানার জন্য কথক হেডমাস্টার মশায়ের নির্দেশে চন্দ্রনাথের বাড়িতে যায়। সেখানে সে দেখে যে আপন মনে চন্দ্রনাথ কাগজে কিছু লিখে চলেছে। জিজ্ঞাসা করায় বলে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করছে। কে কত নম্বর পাবে সেটাই সে দেখছে। এ কথা শুনেই কথক আশ্চর্য হয়ে যান।

 

২) “আলোটা নিভাইয়া দিলাম।” – বক্তা কে? কেন সে আলো নিভিয়ে দিয়েছিল? ১+২ 

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা হল কথক নরেশ। 

তার আলো নিভিয়ে দেওয়ার কারণঃ 

ঘরের দেয়ালে টাঙানো বড়ো একটা আয়নার সামনে বসে নরু তার স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করছিল। সহপাঠী হীরু, চন্দ্রনাথ এবং চন্দ্রনাথের দাদা নিশানাথের কথা সে ভাবছিল। ঘরের মধ্যে সে ছিল একা। টেবিলের উপর একটা টেবিল-ল্যাম্প জ্বলছিল। আয়নায় নিজের চিন্তাকুল চোখের প্রতিবিম্ব দেখে সেদিকেই তার মন চলে যাচ্ছিল। ফলে স্মৃতিরোমন্থনে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সে আলো নিভিয়ে দিয়েছিল।

 

৩) ‘দুর্দান্ত চন্দ্রনাথের আঘাতে সমস্ত স্কুলটা চঞ্চল, বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিয়াছে।’ – চন্দ্রনাথ কে? কীভাবে তার আঘাতে সমস্ত স্কুলটা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল? ১+২ 

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

চন্দ্রনাথের পরিচয়ঃ

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল চন্দ্রনাথ। সে উন্নত স্বাস্থ্য, উজ্জ্বল মেধা ও ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের চরম প্রতীক এক ছাত্র। 

সমস্ত স্কুলটা বিক্ষুব্ধ হবার কারণঃ 

বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করে চন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ে চিঠি দেয়। তার ধারণা ছিল তাকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চন্দ্রনাথের এমন প্রতিবাদে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, মাস্টারমশাই ও ছাত্রমহলে নানারূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। তারই সহপাঠী হীরুকে প্রথম করার পিছনে হীরুর কাকা এবং কয়েকজন মাস্টারমশাইয়ের হাত রয়েছে বলে চন্দ্রনাথের ধারণা। চন্দ্রনাথের এমন অপ্রত্যাশিত আঘাতেই স্কুলের পরিবেশ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।

 

৪) “তোমার অক্ষমতার অপরাধ!” – বক্তা কে? ‘অক্ষমতার অপরাধ’ বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন? ১+২ 

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন চন্দ্রনাথের দাদা নিশানাথবাবু। 

‘অক্ষমতার অপরাধ’ কথাটির অর্থঃ 

চন্দ্রনাথ স্কুলের পরীক্ষায় জীবনে প্রথমবার দ্বিতীয় হয়ে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করে। সে এই পুরস্কার গ্রহণকে তার মর্যাদার পথে অবমাননাকর বলে মন্তব্য করে। কিন্তু তার দাদা নিশানাথ ভাইয়ের এই আচরণকে মানতে পারেননি। যে প্রথম হয়েছে তার সাফল্যকে মর্যাদা না দিয়ে চন্দ্রনাথের নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এই চেষ্টাকে চন্দ্রনাথের দাদার ঔদ্ধত্য বলে মনে হয়েছে। একেই তিনি ‘অক্ষমতার অপরাধ’ বলেছেন।

 

৫) ‘আমি সেকেন্ড প্রাইজ রিফিউজ করেছি’ – বক্তার এই সিদ্ধান্তের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা করো। ৩ 

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

সিদ্ধান্তের কারণঃ 

স্কুলজীবনে প্রথমবার দ্বিতীয় হওয়াকে চন্দ্রনাথ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। স্কুলের মাস্টারমশাই ছিলেন প্রথম স্থানাধিকারী হীবুর ব্যক্তিগত শিক্ষক। তিনি প্রশ্ন বলে দিয়েছেন, উত্তর মূল্যায়নেও পক্ষপাত করেছেন। তা ছাড়া চন্দ্রনাথ নিজে হীরুকে তিনটে অঙ্ক টুকতে দিয়েছে। অর্থাৎ হীবুর সাফল্য তার নিজের নয়। তাই চন্দ্রনাথ নিজেকে দ্বিতীয় ভাবতে পারেনি এবং পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে।

চন্দ্রনাথ গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর : 

১) “চন্দ্রনাথের অনুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়া গিয়াছে”-চন্দ্রনাথ কবে কোন্‌ বিষয়ে অনুমান করেছিল? তাঁর অনুমান কী ছিল? বাস্তবে কী ঘটেছে? ১+১+৩

উৎসঃ

“তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “আগুন” উপন্যাসের প্রথমাংশ আমাদের পাঠ্য “চন্দ্রনাথ” নামে সংকলিত হয়েছে। প্রশ্নোক্ত অংশটি এই “চন্দ্রনাথ” গল্পের অন্তর্গত।

অনুমানের বিষয়ঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে চন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে কে কত নম্বর পেতে পারে তার একটি আনুমানিক অনুপাতের হিসেব করছিল চন্দ্রনাথ। আর তার সেই হিসেবের কথা সে কথক অর্থাৎ নরুকে জানিয়েছিল।

অনুমানের বর্ণনাঃ

আত্মপ্রত্যয়ী চন্দ্রনাথের অনুমান ছিল- যদি সে পরীক্ষায় সাড়ে-পাঁচশোর বেশি পায় তবে দুজন শিক্ষার্থী, অমিয় ও শ্যামা ফেল করবে। আর বাকি সবাই পাশ করবে। কিন্তু যদি চন্দ্রনাথ পরীক্ষায় পাঁচশো পঁচিশের কম পায় তবে তাদের স্কুলের দশজন শিক্ষার্থী ফেল করবে। এমনকি সে এও জানাতে কুন্ঠিত হয় না যে, কথকও তাহলে তৃতীয় বিভাগে পাস করবে।

বাস্তবিক ফলাফলঃ

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় যে, চন্দ্রনাথের আনুপাতিক হিসাব মিলে গিয়েছিল। কথক তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছে, তাদের বিদ্যালয়ে দশজন অকৃতকার্য হয়েছে এবং চন্দ্রনাথ তার নিজের হিসেবকে সঠিক প্রমাণ করে পাঁচশো পঁচিশের কম পেয়েছে।

কিন্তু একটি অঘটন ঘটেছিল। হীরু চন্দ্রনাথকে পরীক্ষায় পেছনে ফেলে দিয়েছিল। আর এই ঘটনায় কথক নরুও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

২) চন্দ্রনাথ গল্পের নামকরণ সার্থকতা আলোচনা করো। ৫ 
৩) চন্দ্রনাথ ও হীরুর মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য আলোচনা করো। ৫ 

৪) ‘চন্দ্রনাথ’ গল্প অবলম্বনে চন্দ্রনাথ চরিত্রটির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৫) চন্দ্রনাথ গল্প অবলম্বনে মাস্টারমশাইয়ের চরিত্র আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৬) চন্দ্রনাথের দাদা কেমন প্রকৃতির লোক ছিলেন? চন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর দাদার মতবিরোধ হয়েছিল কেন? ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

নবম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class nine bengali note

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top