sarangsho-likhon

সারাংশ লিখন । নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সারাংশ লিখন । নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ভাবার্থগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ে পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

সারাংশ লিখন । নবম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ : 

 

সারাংশ লেখার নিয়মাবলী : 

১) উদ্ধৃত গদ্যাংশ বা কাব্যাংশ বারবার পড়ে মূল কথাটি কি, তা বুঝতে হবে।

২) তাৎপর্যমূলক বাক্য ও শব্দগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। এর ফলে মূল ভাব বা বিষয় বুঝতে সুবিধে হবে।

৩) উদ্ধৃত গদ্যাংশ বা কাব্যাংশের লেখকের নাম জানা থাকলেও উল্লেখ করার সরকার নেই।

৪) উত্তম পুরুষ বা মধ্যম পুরুষসূচক বক্তব্য না লিখে সাধারণ ভাবে আলোচনা কাম্য।

৫) উক্তি-প্রত্যুক্তি থাকলে তার নির্যাসটুকু বিবৃতিমূলক রীতিতে নিজের ভাষায় লিখতে হবে।

৬) লেখার ভাষা হবে সহজ সরল।

৭) মূল অংশের কোনো অংশ হুবহু লেখা যাবে না।

৮) সারাংশের আয়তন মূল লেখাটির এক-তৃতীয়ংশ বা অর্ধেকের কম হওয়া কাম্য।

৯) একই কথা বার বার বলা যাবে না, তেমনি প্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া যাবে না।

১০) একটি অনুচ্ছেদে লিখতে হবে।

১১) মূল ভাবের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যাবে না।

১২) শব্দ ও বাক্যপ্রয়োগ সংযত ভাবে করতে হবে। একাধিক বিশেষণ বাঞ্চনীয় নয়।

১৩) সারাংশ বা সারমর্ম লেখা সম্পন্ন হলে কয়েকবার পরে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে প্রয়োজনীয় কোনো অংশ যেন বাদ না পরে।

 

নিম্নে কিছু সারাংশের উদাহরণ প্রদান করা হলোঃ 

 

১) তুমি বসন্তের কোকিল, বেশ লোক। যখন ফুল ফোটে, দক্ষিণা বাতাস বহে, এ সংসার সূখর স্পর্শে শিহরিয়া উঠে, তখন তুমি আসিয়া রসিকতা আরম্ভ কর। আর যখন দারুণ শীতে জীবলোকে থরহরি কম্প লাগে, তখন কোথায় থাক বাপূ —যখন শ্রাবণের ধারায় আমার চালাঘরে নদী বহে, যখনবৃষ্টির চোটে কাক চিল ভিজিয়া গোময় হয়, তখন তোমার মাজা মাজা কালো কালো দুলালি ধরণের শরীরখানি কোথায় থাকে? তুমি বসন্তের কোকিল, শীতবর্ষার কেহ নও।

রাগ করিও না তোমার মত আমাদের মাঝখানে অনেকে আছেন। যখন নশীবাবুর তালুকের খাজনা আসে, তখন মানুষ কোকিলে তাঁহার গৃহকুঞ্জ পারিয়া যায়—কত টিকি, ফোঁটা, টেরি, চশমার হাট লাগিয়া যায়, কত কবিতা, শ্লোক, গীত, হেটো ইংরেজী, মেঠো ইংরেজী, চোরা ইংরেজী, ছেঁড়া ইংরেজীতে নশীবাবুর বৈঠকখানা পারাবত কাকলি সংকুল গৃহসৌধবৎ বিকৃত হইয়া উঠে। যখন তাহার বাড়ীতে নাচ- গান, যাত্রাপাঠ উপস্হিত হয়, তখন দলে দলে মানুষ কোকিল আসিয়া তাঁহার ঘর বাড়ি আধার করিয়া তুলে। কেহ খায়, কেহ গায়, কেহ হাসে, কেহ কাশে, কেহ তামাক পোড়ায়, কেহ মাত্রা চড়ায়, কেহ টেবিলের নীচে গড়ায়। যখন নশীবাবু বাগানে যান—তখন মানুস কোকিল, তাঁহার সঙ্গে পিপড়ার সারি দেয়। আর যে রাত্রে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হইতেছিল, আর নশীবাবুর পুত্রটির অকাল মৃত্যু হইল, তখন তিনি একটি লোকও পাইলেন না।

উত্তরঃ জগতে এক ধরণের মানুষ আছে যারা স্বার্থ সিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছু জানে না। তারা ব্যক্তিগত লাভের, উপকারের ও সংযোগের চেষ্টার হীন স্তাবকতায় মত্ত থাকতেও লজ্জা পায় না। তারা সুখের সাথী দঃখের কেউ নয়। তাই আশ্রয়দাতার সুসময়ে যখন তার কাছ থেকে স্বার্থ গুছিয়ে নেওয়া যাবে তখন সেখানে গিয়ে ভীড় করে।কিন্তু আশ্রয়দাতার বিপদের দিনে,তার ভাগ্য বিপর্যয়ের দিনে এইসব নির্লজ্জ অকৃতজ্ঞের দল নির্মমভাবে আশ্রয়দাতাকে পরিত্যাগ করে।

 

২) আমি কেবল চিরকাল গর্ত বূঝাইয়া আসিয়াছি—কখনও পরের জন্য ভাবি নাই। এইজন্য সকলকেই হারাইয়া বসিয় —সংসারে আমার সুখ নাই। পৃথিবীতে আমার থাকিবার আর প্রয়োজন দেখি না। পরের বোঝা কেন ঘাড়ে করিব, এই ভারিয়া সংসারী হই নাই। আমি সুখী নহি। কেন হইব? আমি পরের জন্য দায়ী হই নাই, সুখে আমার অধিকার কি?সাখে আমার অধিকার নাই, কিন্তু তাই বলিয়া মনে করিও না যে, তোমরা বিবাহ করিয়াছ বলিয়া সুখী হইয়াছ।যদি পারিবারিক স্নেহের গুণে তোমাদের আত্মপ্রিয়তা লপ্তে না হইয়া থাকে; যদি বিবাহবন্ধনে তোমাদের চিত্ত মার্জিত না হইয়া থাকে; যদি আত্ম পরিবারকে ভালবাসিয়া তাবৎ মনুষ্য জাতিকে ভালবাসিতে না শিখিয়া থাক, তবে মিথ্যা বিবাহ করিয়াছ, কেবল ভূতের বোঝা বহিতেছ। যে বিবাহে প্রীতি শিক্ষা হয়না, সে-বিবাহে প্রয়োজন নাই।

উত্তরঃ আত্ম সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষার দ্বারা সুখ হয় না; বিশ্বকে ভালবাসিয়া বিশ্বের কল্যাণ সাধনের দ্বারাই প্রকৃত সুখ উপলব্ধি করা যায়। আত্মসর্বস্ব ব্যক্তি স্বার্থপর—সে বিশ্ববিমূখ হয়ে চিরকাল একাকী নিঃসঙ্গ নির্বাসিত জীবন ভোগ করে থাকে। তার জীবন ঘৃণ্য, সূখ তার ভাগ্যে ঘটে না। মানষে আত্মীয় পরিজনকে ভালবেসে বিশ্বকে ভালবাসতে শেখে। কিন্তু প্রিয়জনকে ভালোবাসার মাধ্যমে যদি সে মানবজাতিকে ভালবাসতে না শেখে তবে তার সংসার জীবন বৃথা। 

 

৩) ভয় মানুষের অবধারিত শত্রু। সে তাহার আত্মশক্তির সুদৃঢ় ভিত্তিকে দুর্বল করিয়া সাধন করে তাহার চরম সর্বনাশ। ভয়হীনতাই শক্তি। অত্মশক্তিতে বিশ্বাসী হইয়া ভয়কে জয় করিতে হইবে। ‘শক্তি মরে ভীতির কবলে। সেই শক্তিকে ভীতির কবল মুক্ত করিয়া ভয়কে পদদলিত করিয়া ঋজু মেরুদণ্ড লইয়া এই পৃথিবীতে যথার্থ মানুষের মতো বাঁচিতে হইবে। নিশ্চেষ্ট ও পরনির্ভর হইয়া বাঁচিয়া থাকার চেয়ে মৃত্যুও শ্রেয়। সেই মৃত্যুতেও আছে গৌরব। অথচ দুর্বল ভগবৎ নির্ভ’র হইয়া বাঁচিয়া থাকা চরম অবমাননাকর। যাহারা ভীরু, ভয়ের গুহায় যাহারা সারাজীবন আত্মগোপন করিয়া থাকে, যাহারা মৃত্যুর পূর্বে বহুবার মরে, তাহারা মানবতার কলংক। মানুষ তাহাদের প্রতি শ্রদ্ধাহীন, ইতিহাস তাহাদের সম্পর্কে কঠিনভাবে নীরব।ঘৃণ্য ও বিকৃত জীবনই তাহাদের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।

উত্তরঃ ভয় মানুষের শত্রু সমূহের অন্যতম শত্রু, সকল উন্নতির প্রতিবন্ধক স্বরূপে। ভীতু মানুষ কখনো উন্নতি করতে পারে না। তারা মরার আগে বহবার মরে থাকে। ভয় জয় করাই হোল জীবনের উন্নতির প্রধান চাবিকাঠি  ভয়ের কবলে পড়ে যারা নিশ্চেষ্ট,অক্ষম হয়ে জীবন কাটায় মানুষ কোনদিন তাদের শ্রদ্ধা করে না, সম্মান করে না।

 

৪) যেটা পাঠ্য বই, তাতে ছবিটা থাকা চাই লেখাতেই, রংটা লাগানো চাই ক্ষুদ্র এবং খুব সম্ভব অনিচ্ছুক পাঠকের মনটিতেই। সেইসাঙ্গ দ্রষ্টব্য ছবি — থাকা ভালো নিশ্চয়ই, কিন্তু সেটা অতিরঞ্জিত হলে তাতে উদ্দেশ্যের পরাভব ঘাট। যদি বলি ‘লাল ফুল, কালো মেঘ’ সেটা তো নিজেই একটা ছবি হলো, মেঘলা দিনে মাঠের মধ্যে কোথাও একটি লাল ফুল ফুটে আছে এরকম একটা দৃশ্যেরও তাতে আভাস থাকে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে টকটকে লাল হুবহু একটি গোলাপ ফুল বসিয়ে দিলে তাতে চোখের সুখ কল্পনাকে বাধা দেয়। এখানে উদ্দেশ্য হলো— চোখ ভোলানো নয়, চোখ ফোটানো আর দেহের চোখ অত্যধিক আদর পেলে মনের চোখ কুঁড়ে হয়ে পড়ে, কল্পনা সবল হতে পারে না।

উত্তরঃ পাঠ্য বইয়ে আঁকা ছবি, ছবির ইঙ্গিতকে অতিক্রম করে নিজেই স্বপ্রতিষ্ঠ হলে লেখার প্রয়োজনীয়তায় বাধা পড়বে। অলংকরণ হিসেবে তার কাজ পাঠকের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে লেখার মধ্যে নিহিত ছবিটির ইশারাকে স্পষ্ট করে তোলা।

 

৫) প্রবাহই জীবন। মানুষ যতক্ষণ বাঁচিয়া থাকে, ততক্ষণ একটা ধারা তাহার ভিতর দিয়া অনুক্ষণ বহিয়া যাইতে থাকে।
বাহিরের প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় যাবতীয় বস্তুকে সে গ্রহণ করে, আবার ত্যাগও করে যাহাতে তাহার আবশ্যক নাই, যে বস্তু দূষিত, তাহাকে পরিবর্জন করাই প্রাণের ধর্ম। কিন্তু মরিলে আর যখন ত্যাগ করিবার ক্ষমতা থাকিবে না তখনই বাহির হইতে যাহা আসে তাহা কায়েম হইয়া বসিয়া যায় এবং মৃতদেহটাকে পচাইয়া তোলে। জীবন্ত সমাজ এ নিয়ম স্বভাবতই জানে। সে জানে, যে বস্তু তাহার কাজে লাগিতেছে না, মমতা করিয়া তাহাকে ঘরে রাখিলে মরিতেই হইবে।

উত্তরঃ জীবনের ধর্ম গ্রহণের মধ্য দিয়ে দূষিত, অনাবশ্যক বস্তুগুলি বর্জন করা। বহনক্ষমতার অভাবে মৃত্যুর পর দেহে পচন ঘটে তেমনি সমাজকেও জীবন্ত থাকতে গেল, অপ্রয়োজনীয় লোকাচার, সংস্কার, নিয়মবিধি, যা জীর্ণ, অব্যবহার্য—তা নির্মমভাবে পরিত্যাগ করতে হবে।

 

৬) একথা মানতেই হইবে, আমাদের দেশে ধর্ম লইয়া হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে একটা কঠিন বিরুদ্ধতা আছে। যেখানে সত্যভ্রষ্টতা সেইখানেই অপরাধ, যেখানে অপরাধ সেইখানেই শাস্তি। ধর্ম যদি অন্তরের জিনিস না হইয়া শাস্ত্রমত ও বহু আচারকেই মুখ্য করিয়া তোলে তার সেই ধর্ম যত বাড়া অশান্তির কারণ হয় এমন আর কিছুই না। এই ‘ডগমা’ অর্থাৎ শাস্ত্রমতাক বাহির হইতে পালন করা লইয়া ইউরোপের ইতিহাস কতবার রাষ্ট্র লাল হইয়াছে। অহিংসাকে যদি ধর্ম বালা, তার সেটাকে কর্মাক্ষাত দুঃসাধ্য বলিয়া ব্যবহারে না মানিতে পারি, কিন্তু বিশুদ্ধ আইডিয়ালের ক্ষেত্রে তাহাকে স্বীকার করিয়া ক্রমে সেদিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নহে। কিন্তু বিশেষ শাস্ত্রমতের অনুশাসনে বিশেষ করিয়া যদি অন্যধর্মমতের মানুষকেও মানাইতে চেষ্টা করা হয়, তবে মানুষের সাঙ্গ মানুষের বিরোধ কোলোকালেই মিটিতে পারে না। নিজ ধর্মের নামে পশুহত্যা করিব অথচ অন্য ধর্মের পক্ষে পশুহত্যা করিলেই নরহত্যার আয়োজন করিতে থাকিব, ইহাকে অত্যাচার ছাড়া আর কোনো নাম দেওয়া যায় না।

উত্তরঃ বাহ্যিক আচারসর্বস্ব ধর্মের গোঁড়ামির ওপরেও অভিমান তার নিজের অনুশাসন চাপাতে চায়। ধর্মের এই সংকীর্ণতায় ইউরোপে যেমন বারবার রক্ত ঝরেছে; এখানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যেও বিরোধ তৈরি হয়েছে। অহিংসাকে প্রাত্যহিক জীবনে কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা কঠিন কিন্তু অন্তরের আদর্শ হিসেবে তাকে পালন করা যায়। তেমনি ধর্মও অন্তরের জিনিস, সেখানেই তার সত্যতা।

 

৭) বিদেশের ভাষা অবলম্বন করিয়া আমরা যে বড় হইতে পারিব না, বিদেশের ভাষার সাহায্যে সাহিত্য সৃষ্টি করিয়া বড় হইবার চেষ্টা যে অস্বাভাবিক ও উপহাস্য, তাহা বঙ্কিমচন্দ্রই আমাদের বুঝাইয়া গিয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের বহু পর্বে মহাত্মা রামমোহন রায় দেশের লোকের সঙ্গে কথা কহিবার জন্য দেশের ভাষারই আশ্রয় লইয়াছিলেন। তিনি বাংলায় সাময়িক পত্র প্রচার করেন; বাংলায় বেদান্ত শাস্ত্র প্রকাশ করেন। দেশের লোকের মতিগতি ফিরাইবার জন্য দেশের লোকের অবোধ্য ভাষায় দেশের লোককে সম্বোধনের অদ্ভূত প্ণালী, তাঁহার স্থির বুদ্ধি সংগত বলিয়া গ্রহণ করেন নাই ৷ 

উত্তরঃ স্বদেশ প্রেমিক বঙ্কিমচন্দ্র পরানুকরণ প্রিয় বাঙালী জাতিকে স্বদেশের সাহিত্য চর্চা করার জন্য বিদেশী ভাষা ও সাহিত্যের আলোচনার প্রলোভন থেকে মক্ত করে আনেন।তার আগে রামমোহন বাঙালী জনসাধারণের সাথে যোগাযোগের জন্য বাংলা ভাষার চর্চা শুরু করেন। বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালী জাতিকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দিকে এগুবার প্রেরণা দেন ।

 

৮) পৃথিবীতে যাহার দিকে তাকাও দেখিবে – সে নিজের অবস্থায় অসন্তুষ্ট। দরিদ্র কিসে ধনী হইবে সেই চিন্তায় উদ্বিগ্ন: ধনী চোর-ডাকাতের ভায় ত্রস্ত, রাজা শত্রুর ভয়ে ভীত। এককথায় পৃথিবীতে এমন কেহ নাই যে পূর্ণ সুখে সুখী! অথচ কৌতুকের বিষয় এই – পৃথিবী ছাড়িয়া যাইতেও কেহ প্রস্তুত নাহ। মৃত্যুর নাম শুনিলেই দেখি মানুষের মন শুকাইয়া যায়। মানুষ যতই দরিদ্র হউক, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, যদি অনাহারে কাটাতেই হয়, পৃথিবীর কোনো আরামই যদি ভাগ্যে না থাকে তথাপি সে মৃত্যুকে চাহে না। সে যদি কঠিন পীড়ায় পীড়িত হয়, যদি শয্যা হইতে উঠিবার শক্তিও না থাকে, তথাপি সে মৃত্যুর প্রার্থী হইবে না। কে না জানে যে শত বৎসরের পরমায়ু থাকিলেও একদিন না একদিন মরিতে হইবে।

উত্তরঃ  ধনী, দরিদ্র এমনকি দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মানুষও অতৃপ্ত-অসুখী জীবন কাটায়। তথাপি কেউই জীবন ত্যাগ করতে চায় না। মৃত্যু অনিবার্য, জীবন দুঃখের তবু কেউ মৃত্যু চায় না-এ-এক কৌতুকের বিষয়।

 

৯) সভ্যতা কাহাকে বলে? ভিতরের দেবত্বকে অনুভব করাই সভ্যতা। যখনই সময় পাইবে, তখনই মনে মনে এই ভাবগুলিকে আবৃত্তি কর এবং আকাঙ্ক্ষা কর। এইরূপে করিলেই সব হইবে। যাহা কিছু ঈশ্বর নয়, তাহা অস্বীকার কর। যাহা কিছু ঈশ্বর ভাবাম্বিত, তাহা দৃঢ়ভাবে-ঘোষণা কর  দিনরাত মনে মনে একথা বলো। এভাবে ধীরে ধীরে অজ্ঞানের আবরণ পাতলা হইয়া যাইবে। আমি মনুষ্য নই, দেবতা নই, আমি স্ত্রী বা পুরুষ নই; আমার কোন সীমা নাই। আমি চিৎস্বরূপ, আমি সেই ব্রহ্ম। আমার ক্রোধ বা ঘৃণা নাই। আমার দুঃখ বা সুখ নাই।জন্ম বা মরণ আমার কখনও হয় নাই, আমি জ্ঞানস্বরূপে – আনন্দস্বরূপ। হে আমার আত্মা আমি সেই, সোহহং ।নিজেকে দেহভাব শূন্যে অনভব কর। কোনকালে তোমার দেহ ছিল না, ইহা আগাগোড়া কুসংস্কার। দরিদ্র,আর্ত  পদদলিত, অত্যাচারিত, রোগ পীড়িত সকলের মধ্যে দিব্য চেতনা জাগাইয়া তোল।

উত্তরঃ মানুষের মধ্যে দেবত্ব অনুভব করা-সভ্যতা। ঈশ্বরভাবকে স্বীকার করে দেহভাবকে অস্বীকার করে আত্মায় ব্রহ্মস্বরূপকে উপলব্ধি করতে পারলে অন্তরের দেবভাব বিকশিত হয়ে উঠে। তখনই নিজেকে পরমাত্মার অংশ- স্বরূপ বলে মনে হবে। দেহ একটা বাইরে সংস্কারমাত্র। এই সংস্কার বিস্মৃত হয়ে আত্মার  সচ্ছিদানন্দ স্বরূপকে উপলব্ধি করা এবং তা আর্ত  ও দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে জাগ্রত করাই সভ্যতার মূল উদ্দেশ্য।  

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)সারাংশ লিখন

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

 

১) সারাংশ লিখন সেট ১ 

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে 

২) সারাংশ লিখন সেট ২  

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে 

নবম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class nine bengali note

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top