Class 11 Semester 2 Bengali Question Paper । একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নপত্র
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে www.wbnotes.in ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য Class 11 Semester 2 Bengali Question Paper । একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নপত্র প্রদান করা হলো। একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা পরীক্ষা প্রদানের পূর্বে এই একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নপত্রটি সমাধানের মধ্য দিয়ে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতি যাচাই করে নিতে পারবে।
Class 11 Semester 2 Bengali Question Paper । একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নপত্র :
শ্রেণিঃ একাদশ (সেমিস্টার ২) বিষয়ঃ বাংলা
পূর্ণমানঃ ৪০ সময়ঃ ১ঘন্টা ৩০ মিনিট
১) অনধিক ১৫০টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫*১=৫
১.১) ‘ছুটি’ গল্প অনুসরণে ফটিক চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
১.২) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পটি আসলে আত্ম-আবিষ্কারের গল্প- বিষয়বস্তুর নিরিখে মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। ৫
২) অনধিক ১৫০টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫*১=৫
২.১) ‘আঁচর ভরিয়া যদি মহানিধি পাই / তব হাম পিয়া দূর দেশে না পাঠাই।।’- ‘মহানিধি’-র আক্ষরিক ও অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও। ‘মহানিধি’ পেলে বক্তা কী করবেন? ২+৩
২.২) লালন শাহ কে ছিলেন? পাঠ্য ‘লালন শাহ ফকিরের গান’ কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা করো। ২+৩
৩) অনধিক ১৫০টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫*১=৫
৩.১) ‘যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক’- উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখো। ৫
৩.২) ‘আগুন’ নাটকের চতুর্থ দৃশ্যে হরেকৃষ্ণ ও মনোরমার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে যে চিত্রটি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো। ৫
৪) অনধিক ১৫০টি শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫*২=১০
৪.১) ‘তিনি মপাসাঁ, চেখফকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন’- মপাসাঁ ও চেখফের পরিচয় দিয়ে কে, কোন ক্ষেত্রে মপাসাঁ ও চেখফকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন তা লেখো। ৫
৪.২) ‘ততক্ষণে আমি একটা খাসা বই পেয়ে গিয়েছি’- বইটির বিষয়বস্তু কী ছিল? বইখানার পরিচয় প্রাবন্ধিক সম্পূর্ণ করতে পারেন নি কেন? ২+৩
৪.৩) ‘তত্ত্বটা হৃদয়ঙ্গম হল সেই ব্রাহ্ম মুহূর্তে’- ‘ব্রাহ্ম মুহূর্তে’ কথাটির অর্থ কী? কোন তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে? ২+৩
৪.৪) ‘বাড়ির আড্ডায় ‘মেল’ মেলে না’- এরূপ উক্তি কেন করা হয়েছে? লেখক কোথায়, কাদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন? ২+৩
৫) অনধিক ১৫০টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫*১=৫
৫.১) বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো। ৫
৫.২) নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের নাট্যকৃতিত্বের পরিচয় দাও। ৫
৫.৩) বাংলা কাব্যে জীবনানন্দ দাশের অবদান আলোচনা করো। ৫
৫.৪) বাংলা ছড়ার বৈচিত্র আলোচনা করো। ৫
৬) নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশ অনুসারে কমবেশি চারশো শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা করো। ১০*১=১০
৬.১) নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা করো। ১০
৬.২) প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো। ১০
বিতর্কের বিষয়ঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস-ফেল তুলে দেওয়া উচিত।
শিক্ষা মানুষের চেতনার উন্মোচন ঘটায়। ভারতবর্ষের মতো দেশের প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের জীবন ও দর্শন বিচিত্রগামী। কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি আমাদের জীবনযাপনকে প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মানুষের মনকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে না তুললে, সভ্যতার চরম সংকট উপস্থিত হতে পারে। ধারাবাহিক শিক্ষাই যথার্থ জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অচল হয়ে পড়লে সে পথ বন্ধ হয়। সমস্যা ঠিক এইখানে, কারণ বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের অনেক শিক্ষার্থীই শিক্ষা সম্পূর্ণ করার আগে বিদ্যালয়ের প্রথানিবদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার থেকে হারিয়ে যায় অজ্ঞানতার অন্তরালে। প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েও অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ে শিক্ষার মূল স্রোত থেকে। তাই জ্ঞানচর্চার সর্বজনীন বিকাশ ও বিস্তারের স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থার একটি সুনির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত পাস-ফেল প্রথাকে তুলে দেওয়া প্রয়োজন।
মানুষের মন চিরকালই আত্মপ্রচারমুখী। এই সেলফি তাদেরকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, মানুষ তার রোজকার জীবনচর্চাও তাল পরিচিতদের সঙ্গে ‘শেয়ার’ করে এই সেলফির মাধ্যমে। আবার যেসকল মানুষ সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার দরুন পরিচিতদের সঙ্গে অবসর যাপনে- সময় পান না তারাও এর মাধ্যমে নিজেকে প্রচার করে আত্মসুখ লাভ করেন। শুধু প্রচারের জন্যই নয়, কোনো মানুষ যে-কোনো সময়ে সেলফি তুলে সেই মুহূর্তকে বন্দি করে রাখতে পারে। তবে এই সেলফি যেন মানুষের বিনাশের কারণ না হয় সে বিষয়ে সকল মানুষকে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে। এই সাবধানতা ও সতর্কতাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বলা বাহুল্য, আজকের আধুনিক যুগে মানুষের জীবনে এসেছে দ্রুততা, এর পাশাপাশি দেখা দিয়েছে সময়ের অভাব। তাই কোনো কাজের জন্য নিজের ছবি পাঠানোর প্রয়োজনীয়তাও দূর করে সেলফি।
পরিশেষে বলা যায়, সেলফির জন্য যদি কারও কোনো ক্ষতি হয় তাহলে সেই ক্ষতির দায়িত্ব একমাত্র মানুষের।