মাকু তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর । সপ্তম শ্রেণির বাংলা
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে মাকু তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। লীলা মজুমদার রচিত মাকু উপন্যাস -এর তৃতীয় ইউনিট টেষ্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখানে প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর তৈরি করে তাদের সপ্তম শ্রেণির বাংলা তৃতীয় ইউনিট টেষ্ট -এর পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
মাকু তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর । সপ্তম শ্রেণির বাংলা :
১) নেনো কার নাম ছিল?
উঃ সোনাদের পোষা কুকুরের নাম ছিল নেনো।
২) ঝোপের মধ্যে মোট ক-টা খরগোশ ছিল?
উঃ ঝোপের মধ্যে মোট তিনটে খরগোশ ছিল।
৩) কে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে?
উঃ আম্মার এক ছেলে রঙা, খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে।
৪) সোনা কাকে নাচতে বারণ করল এবং কেন?
উঃ সোনা বনময়ূরকে নাচতে বারণ করল, পাছে বৃষ্টি নেমে যায়।
৫) সং সোনাকে জাদুকর কী দেবে বলেছিল?
উঃ সোনাকে জাদুকর বড়ো প্যাপ্যা পুতুল দেবে বলে সং বলেছিল।
৬) বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া কী করতে লাগল?
উঃ বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল।
৭) সাপেরা কীভাবে ছুটতে পারে না?
উঃ সাপেরা পাশের দিকে ছুটতে পারে না।
৮) ঝোপের মধ্যে থেকে কে বেরিয়ে এসে কী করতে লাগল?
উঃ ঝোপের মধ্যে থেকে একটি বড়ো ডোরাকাটা সাপ বেরিয়ে এসে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ফণা তুলে দুলতে আরম্ভ করল।
৯) মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে কী হবে?
উঃ মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে মাকু এলিয়ে পড়বে, তখন তাকে ঘড়িওলার কাছে দিতে হবে।
১০) কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার বুকটা ধড়াস করে উঠেছিল কেন?
উঃ গতকাল রাতে সোনা টিয়া বাড়ি যায়নি নিজেদের খাবার খায়নি, শোয়নি, জামাকাপড়।ছাড়েনি। তবুও কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার ভয়ে বুক ধড়াস করে উঠেছিল।
১১) মাকুকে না পেয়ে টিয়া সোনাকে কী প্রশ্ন করেছিল? উত্তরে সোনা কী বলেছিল?
উঃ বনের ঝোপে ঝাড়ে মাকুকে খুঁজে না পেয়ে টিয়া সোনাকে প্রশ্ন করেছিল যে ষষ্ঠীঠাকরুণ মাকুকে খেয়ে ফেলেছে কিনা।
সোনা চটে গিয়ে উত্তরে বলেছিল যে মাকু ক্ষীর দিয়ে তৈরি নয় ও টিন, রবার, স্প্রিং আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ওকে ষষ্ঠীঠাকরুণ তো নয়ই বাঘেও খাবে না।
১২) মাকুর চাবি ঘড়িওয়ালা কতদিনের জন্য দিয়েছিল?
উঃ মাকুর চাবি ঘড়িওয়ালা এক বছরের জন্য দিয়েছিল।
১৩) বনের মধ্যে ঠেলেঠুলে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে কী দেখল?
উঃ বনের মধ্যে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে দেখল যে মাঝখানটা একেবারে ফাঁকা, কচি নরম দুর্বোঘাসে ঢাকা।তারই মধ্যে একটি লাল চোখ সাদা ধবধবে মা খরগোশ, দুটো তুলোর মতো বাচ্চা নিয়ে ওদের দিকে চেয়ে থর থর করে কাঁপছে।
১৪) সোনা ও টিয়া বনের মধ্যে নাচার সময় কী হয়েছিল?
উঃ বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল। তখন গাছ থেকে সাদা ফুল পড়তে লাগল, তখন সোনা-টিয়া সেগুলিকে কানের পেছনে গুঁজে রাখল। একজোড়া সবুজ পায়রা উড়ে গাছের ডালে বসলো এবং পাতার আড়াল থেকে কাঠঠোকরারা ঠুনঠুন করে তাল দিতে লাগল। বনময়ুর ঝোপের পাশথেকে বেরিয়ে এসে পেখম ধরে নাচ করতে লাগল।
১৫) বটতলায় সোনা কী করলো?
উঃ সাপ দেখে দৌড়ে সোনা ও টিয়া বটতলায় পৌছে দেখলো উনুনের আঁচ পড়ে এসেছে। উনুনে চাপানো কড়ায় দুধ ফুটে ঘন হয়ে এসেছে। সোনা তাতে মিছরির ঠোঙা, বিসমিশের কৌটে খালি করে ঢেলে দিল। তারপর কড়াইটাতে ঢাকা দিয়ে দুজনে দুমুঠো খেজুর ও জল খেয়ে নদীতে হাত পা মুখ ধুয়ে গাছ ঘরে উঠে খুব ঘুম দিল।
১৬) মাকুকে কোথায় কীভাবে পাওয়া গেল? তাকে কেমন সাজানো হয়েছিল?
উঃ বাঁশবনেতে খরগোশ ধরবার ফাঁদে আটকে মাকু চাবি ফুরিয়ে ফেলেছিল। কল ছাড়িয়ে তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হলো। সঙেরা রং মাখিয়ে মাকুর চেহারা ফিরিয়ে দিল। মেম তাকে নতুন কাপড় চোপড় পরিয়ে দিয়েছে।
১৭) কে মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল?
উঃ টিয়া মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল।
১৮) মাকুকে টিয়া যে চাবি দিয়েছিল তার রং কী?
উঃ তার রং ছিল গোলাপি।
১৯) কে সোনা টিয়াদের সাজিয়ে দিল?
উঃ মেমসাহেব সোনা-টিয়াদের।
২০) কার সাথে মাকুর বিয়ে হল?
উঃ পরিদের রানির সাথে মাকুর বিয়ে হলো।
২১) সার্কাসে কে রিং মাস্টার সাজল?
উঃ হোটেলের মালিক সার্কাসে রিং মাস্টার সাজল।
২২) কে মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল?
উঃ ঘড়িওয়ালা মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল।
২৩) মাকুর শরীরে কোথায় কল আছে?
উঃ মাকুর নাকের কালো তিলের নীচে টেপা কল আছে।
২৪) টিয়া মাকুর চাবি কোথায় রেখেছিল?
উঃ টিয়া মাকুকে চালু করার চাবি ঝোলার ভিতরে রেখেছিল।
২৫) মাকু কীভাবে গান গেয়ে উঠলো?
উঃ মাকু এক হাত কোমরে দিয়ে এক হাত আকাশে উড়িয়ে বিলি কায়দায় গান গেয়ে উঠলো।
২৬) মাকু কোন্ গান গাইল?
উঃ মাকু “ইয়াঙ্কি ডুডডল ওয়েন্ট টু টাউন রাইডিং অন্-এ পোনি!” গানটা গায়।
২৭) সার্কাসে সবার শেষে কী হল?
উঃ সার্কাসে সবার শেষে মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে হল।
২৮) শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি করে জাদুকর কী করলো?
উঃ শেষ পর্যন্ত জাদুকর বুদ্ধি করে বড়ো আলো নিভিয়ে দিয়েছিল।
২৯) সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে কী গান গাইলো?
উঃ সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে বড়ো আলোর নীচে দাঁড়িয়ে একটা নমস্কার করে হাত মেলে “ফুল কলি অলি গুণগুণ গুঞ্জনে গান গাইলো ও নাচতে লাগলো।
৩০) দুরের ছাউনিতে কীসের শব্দ শোনা যাচ্ছে?
উঃ দূরের ছাউনিতে জানোয়াররা সুস্থ হয়ে ওঠায় সেখান থেকে কুকুরের ডাক আর মাঝে মাঝে ঘোড়াদের পা ঠোকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
৩১) ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে কী বললো?
উঃ ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে সবাইকে বললো আজ আমাদের প্রিয় অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে খেলা শেষ। সবাই সাধু সাধু বলুন।
৩২) সং খেলায় কী কী কাণ্ড করলো?
উঃ সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে গাধার টুপি পরে একটার পর একটা ডিগবাজি খেলো। দড়াবাজির ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাফিয়ে নীচে নামছিল সে তখন লাফিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল। তারপর গান শেষ হলে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নীচ থেকে এক লাফে বেলনায় উঠে বড়ো করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগল।
৩৩) মাকু কী কী করল?
উঃ ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।
৩৪) মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো।
উঃ পরিদের রানির খেলা শেষ হতে তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। অধিকারি পরিদের রানির হাত ধরে নামাল আর ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের ঝুড়িতে দু গাছি মোটা গোড়েমালা আর বরের টোপর এনে রাখল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, ফুল পড়তে লাগলো। এইভাবে মহা ধূমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।
৩৫) হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী?
উঃ হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।
৩৬) সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল?
উঃ সং পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিল।
৩৭) পিয়নের নাম কী ছিল?
উঃ পিয়নের নাম ছিল ফেলারাম।
৩৮) সোনার পিসেমশাই জঙ্গলে কেন এসেছিলেন?
উঃ সোনার পিসেমশাই নোটো অধিকারী আর ঘড়িওয়ালাকে ধরতে জঙ্গলে এসেছিলেন।
৩৯) ঘড়িওলা মাকুর কান ধরে প্যাঁচাতে কী হলো?
উঃ মাকুর সুন্দর লালচে কোকড়া চুলসুদ্ধ মাথার খুলি কট করে বাক্সের ঢাকনির মতো খুলে গেল।
৪০) সোনা পুঁটলি খুলে কী কী বের করলো?
উঃ সোনাাা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার ফোঁদল আর বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করলো।
৪১) ঘড়িওলারা দুই ভাই মায়ের কাছে গিয়ে কী কী পেট ভরে খেতে চেয়েছিলো?
উঃ চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি আর দুধপুলি।
৪২) পোস্টমাস্টার কী বলেছিলেন?
উঃ পোস্টমাস্টার বলেছিলেন সংবাবু লটারির টিকিট জিতেছেন। আপিসে টিকিট জমা দিলে সং পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।
৪৩) গোলাপি মোড়ক থেকে কী বের হলো?
উঃ গোলাপি মোড়ক থেকে সোনার মামনির সিঁদুর পরবার রূপোর কাঠি বের হলো।
৪৪) বটতলায় পুলিশ পেয়াদারা কী কাজে সাহায্য করছিলো?
উঃ তারা ভজহরি আর বেহারিকে রান্নাবান্না ও খাবার জায়গা করতে সাহায্য করছিলো।
৪৫) সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল?
উঃ সোনা মাকুর কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় ফেঁাদল দিয়ে মুখে রবারের নল
লাগিয়ে নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে
ঢেলে, পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে
ভাসিয়ে দিল।
৪৬) হোটেল মালিক হাসতে হাসতে ও কাঁদতে কাঁদতে কী বলেছিল?
উঃ সে বলেছিল পুলিসের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে ততদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমেছে আর আজ যে পেয়েছে সেই দিয়ে সব ধার শোধ করে জিনিস ছাড়িয়ে নতুন তাঁবুর তলায় নতুন করে সার্কাস খুলবে।
৪৭) সোনা টিয়ার পিশেমশাই বনে এসেছিলেন কেন?
উঃ সোনা টিয়ার পিসেমশাই পুলিশের বড়োসাহেব। তিনি নোটোমাস্টার আর ঘড়িওলাকে ধরতে বনে এসেছিলেন। তারা যে এখানে আছে তিনি এখবর জানতেন। সোনা-টিয়ার বাড়ি গিয়ে তিনি শোনেন যে তারা বনে পালিয়েছে। তখন পিসেমশাই আর সোনা-টিয়ার বাবা বনে গিয়ে দেখেন যে তারা নদীর ধারে ঘুমাচ্ছে। তখন বাপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে পিসেমশাই সোনা টিয়ার কাছে রইলেন।
৪৮) পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্ত থেকে উঠে এসেছিল?
উঃ সোনা ও টিয়া পোস্টাপিসের পিওনকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল। কারণ তারা তাকে পেয়াদা ভেবেছিল। পিয়ন ধপাস করে গর্তের ভিতরে পড়ে থাকা তিনটে সত্যিকারের পেয়াদার উপর পড়েছিল। অনেক জেরা করবার পর পেয়াদারা ঠেলেঠুলে পিয়নকে গর্তের ওপরে তুলে দিয়েছিল।
৪৯) আম্মা কে ছিলেন?
উঃ আম্মা ছিলেন সোনা-টিয়া এবং তাদের বাবার ধাইমা। তিনি সোনাদের দেখাশোনা করতেন।
৫০) সং কে? সে বনের মধ্যে কী করছিল?
উঃ সং হল সার্কাসের জোকার। সে বনের মধ্যে লুকিয়েছিল।
৫১) ঘড়িওয়ালার দাদা কে?
উঃ ঘড়িওয়ালার দাদা হল হোটেলওয়ালা। যার আসল পরিচয় নোটো অধিকারী।
৫২) সোনা-টিয়া যাকে পেয়াদা ভেবেছিল সে আসলে কে?
উঃ সোনা-টিয়া যাকে পেয়াদা ভেবেছিল সে আসলে পোস্টম্যান ফেলারাম।
৫৩) যে চাবি দিয়ে টিয়া মাকুকে চালু করেছিল সেটা আসলে কী?
উঃ যে চাবি দিয়ে টিয়া মাকুকে চালু করেছিল সেটা আসলে ছিল লটারির টিকিট দিয়ে মোড়া তাদের মামনির সিঁদুর কাঠি।
৫৪) জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী দিয়েছিল?
উঃ জাদুকর সোনা-টিয়াকে দুটি খরগোশ দিয়েছিল।
৫৫) পিসেমশাই কী চাকরি করতেন?
উঃ পিসেমশাই ছিলেন পুলিশের বড়োসাহেব।
৫৬) “স্বর্গের সুরুয়া” কেমন ভাবে রান্না করা হত?
উঃ সুরুয়ার মধ্যে হোটেলওয়ালার দাড়ি-গোঁফ ফেলে স্বর্গের সুরুয়া রান্না করা হত।
৫৭) কালিয়ার বন কোথায়? সেখানে কীভাবে যেতে হয়?
উঃ কালিয়ার বন সোনাদের গ্রামের শেষে । সেখানে যেতে গেলে প্রথমে গলি দিয়ে বেরিয়ে রাস্তা। তারপর গির্জা, তারপর কবরস্থান পেরিয়ে যেতে হয় শুনশুনির মাঠ। সেই মাঠ পেরিয়ে পড়ে কালিয়ার বন।
৫৮) ঘড়িওয়ালার হ্যান্ডবিলে কী লেখা ছিল সংক্ষেপে লেখো।
উঃ ঘড়িওয়ালার হ্যান্ডবিলে কলের পুতুল মাকুর কথা লেখা ছিল। “এ এক আশ্চর্য পুতুল। মানুষ নয় অথচ মানুষের মতো সবকিছু করতে পারে।”
৫৯) মাকুর চাবি ঘড়িওয়ালা কতদিনের জন্য দিয়েছিল? তারপর কী হবার কথা?
উঃ মাকুর চাবি ঘড়িওয়ালা এক বছরের জন্য দিয়েছিল। তারপর চাবি ফুরিয়ে মাকুর স্থির হয়ে যাবার কথা।
৬০) হোটেলওয়ালাকে কেমন দেখতে? সে সোনা-টিয়াকে কীভাবে সাহায্য করেছিল?
উঃ হোটেলওয়ালার মুখে লম্বা লম্বা দাড়ি-গোঁফ ছিল। সে সোনা-টিয়াকে সেখানে থাকতে ও খেতে দিয়েছিল।
৬১) সং কেন সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যেত?
উঃ সং একটি লটারির টিকিট কেটেছিল। সেই লটারি লাগলে সে বড়োলোক হয়ে যাবে। তাই সেই লটারির খোঁজ নিতে সে সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যেত।
৬২) সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা হোটেলওয়ালা কীভাবে হারিয়েছিল?
উঃ সং-এর টিকিটের আধখানা সং হোটেলওয়ালাকে রাখতে দিয়েছিল। হোটেলওয়ালার কাজকর্মের মধ্যে সেই কোথায় পড়ে গিয়েছিল তার ঠিক ছিল না। সে অনেক খুঁজেও টিকিট পাচ্ছিল না।
৬৩) বাঘ ধরার বড়ো ফাঁদ কীরকম দেখতে?
উঃ বাঘ ধরার বড়ো ফাঁদ মাটিতে করা বড়ো গর্ত। সেই গর্তের উপর আগে কাঠ-কুটো চাপা দেওয়া থাকত। এখন লতা পাতায় ঢেকে যাওয়ায় তা বাইরে থেকে দেখলে কিছু বোঝা যায় না। কিন্তু তার উপর উঠলেই হুড়মুড়িয়ে গর্তে পড়ে যাবে।
৬৪) হোটেলওয়ালা আসলে কে?
উঃ হোটেলওয়ালা আসলে ছিল সার্কাসের মালিক নোটো অধিকারী। অনেকের থেকে টাকা ধার করে সে ফেরার হয়েছিল। এখানে সে হোটেলওয়ালা সেজে লুকিয়েছিল।
৬৫) মাকুকে কে দম দিয়ে আবার চালু করল? কীভাবে?
উঃ মাকুকে টিয়া দম দিয়ে আবার চালু করল। সে তার মায়ের রুপোর সিঁদুর কাঠির উপরে লটারির টিকিট জড়িয়ে চাবি বানিয়ে মাকুকে চালু করল।
৬৬) সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল?
উঃ টিয়া যে চাবি তৈরি করেছিল তাতে সে লটারির টিকিটের আদখানা জড়িয়েছিল। তার রং ছিল গোলাপি। সোনা দেখে সং-এর পকেট থেকে যে টিকিটের অংশ দেখা যাচ্ছে তার রং গোলাপি। আর টিয়ার চাবির রং-ও গোলাপি। তাই সে ব্যাপারটা বুঝে তা খুঁজে বার করে।
৬৭) মাকু কে? সে কেন ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছিল?
উঃ মাকু হল কলের পুতুল।
সে মানুষের মতো সবকিছুই করতে পারত। কেবল হাসতে বা কাঁদতে পারত না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে বলেছিল হাসি ও কান্নার কল বসিয়ে দিতে। কিন্তু মাকুকে হাসানো বা কাঁদানো ছিল ঘড়িওয়ালার সাধ্যের বাইরে। তাই সে মাকুর কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আর মাকু তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
৬৮) নদীতে জানোয়ারদের স্নান করার যে দৃশ্য সোনা-টিয়া দেখেছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ সোনা-টিয়া নদীর ধারে বসে দেখল দুটো টুপি-পরা বাঁদর দুটো ঘোড়াকে তাড়িয়ে জল খেতে নিয়ে আসছে। তাদের পেছনে আসছে গলায় ঘণ্টা বাঁধা একটা ছাগল আর ছাগলটির পেছনে দুটো ভালুক। ভালুক দুটোর পেছনে আসছে ছটা কোঁকড়ানো লোমওয়ালা কুকুর। আর এদেরকে নিয়ে এসেছে একটা সং। সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটা টুং টুং, কিচিমিচি, ঘেউ ঘেউ, ঘোঁত ঘোঁত শব্দে একেবারে ভরে গেল। নদীর কিনারা ধরে জানোয়ারেরা অনেকক্ষণ জল খেল। একটি সুন্দর চকর-বকর, গবর-গবর শব্দ হচ্ছিল।
৬৯) ‘হোটেল বলে হোটেল! সে এক এলাহি ব্যাপার’ – বনের মধ্যে কে এই হোটেল চালাত? তার কীর্তিকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উঃ বনের মধ্যে নোটো অধিকারী ওরফে মালিক এই হোটেল চালাত। সে ছিল সার্কার্স দলের অধিকারী। অনেক লোকের পয়সা নিয়ে সে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। তারপর সে হোটেলওয়ালার ছদ্মবেশে বনে থাকত। সেখানে একটা বিরাট বটগাছের তলায় ছিল তার হোটেল। তিনটে পাথর সাজিয়ে তার উপর রান্না হত। গাছের ডাল থেকে বড়ো লণ্ঠন ঝুলত। গুঁড়ির উপরে কাঁচা কাঠ পেতে লোকে টেবিল বানিয়ে খেতে বসত। সে একটা খুব সুন্দর সুরুয়া রাঁধত। যার মূল ছিল তার নিজের মাথার নকল চুল-দাড়ি-গোঁফ। এইভাবে সে পয়সা জমাচ্ছিল তার দেনা মিটিয়ে আবার সার্কাসের দল চালু করার জন্য।
৭০) সার্কাসের লোকেরা বনের মধ্যে কেন ছিল? হোটেলওয়ালা সোনা-টিয়াকে কী ব্যাখ্যা দিয়েছিল?
উঃ সার্কাসের লোকেরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার থেকে বাঁচবার জন্য বনের মধ্যে ছিল।
হোটেলওয়ালা সোনা-টিয়াকে বলেছিল যে সার্কাসের অধিকারী সবার জন্য নতুন কাপড় বানিয়ে, সার্কাসের বায়না নিয়ে, তারপর কারোর টাকা দিয়ে ফেরার হয়ে গেছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। সে নিখোঁজ। এখন সার্কাসের বাকি লোকেদের নামে হুলিয়া বেরিয়েছে। তাদেরকে পেলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করবে। তাই তারা বনের মধ্যে লুকিয়ে করে।
৭১) ঘড়িওয়ালা বনের মধ্যে লুকিয়ে বেড়াত কেন?
উঃ ঘড়িওয়ালা মাকুকে বানানোর জন্য বিদেশি ঘড়ির অনেক কলকব্জা তাদের কারখানা থেকে নিয়েছিল। সেই কলকব্জা সে মাকুর পেটের মধ্যে ঢুকিয়েছিল। এই কলকব্জাগুলির বর্তমান দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। ঘড়িওয়ালা এইসব কলকব্জা না-বলে নিয়েছিল। তাই সেই কোম্পানি ঘড়িওয়ালার নামে থানায় নালিশ করেছিল। সেই কারণে তার নামে হুলিয়া বেরোয় এবং পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে। তাই পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে ঘড়িওয়ালা বনের মধ্যে লুকিয়ে বেড়াত।
৭২) বনের মধ্যে সোনা-টিয়া কী কী জন্তুজানোয়ার দেখেছিল নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ বনের মধ্যে সোনা-টিয়া প্রথমে সার্কাসের ঘোড়া, বাঁদর, ভালুক ও কুকুর দেখেছিল। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সময়ে ছুঁচোর মতো একটা জন্তু, ব্যাং, সাপ, খরগোশ। তা ছাড়া তারা প্রজাপতি, গিরগিটি, মাকড়সা এবং বেজির মতো তুলে দেখেছিল।
৭৩) হোটেলওয়ালার জন্মদিনের উৎসব কেমন হয়েছিল লেখো।
উঃ হোটেলওয়ালা তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাত্রিবেলা সবাইকে বিনেপয়সায় ভুনি খিচুড়ি, হরিণের মাংস আর পায়েস খাওয়াবে বলেছিল। সেই উৎসব উপলক্ষ্যে সে-দিন জঙ্গলের মধ্যে সার্কাসের আয়োজন করা হয়েছিল। আশপাশের গ্রামের লোকেরা সেই সার্ভাস দেখতে এসেছিল। সার্কাসে জাদুকরের পরিদের রানিকে আনা, সোনা-টিয়ার নাচ, মাকুর খেলা দেখানো এবং মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হয়। তারপর খাওয়ার জায়গায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে সোনা ও টিয়ার মা-বাবা, ঠাম্মি, আম্মা, নকল মাকুবেশি পিসেমশাই, পিসিমা, পিসিমার ছেলে বোম্বা এবং কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত। সেইখানে তখন হোটেলওয়ালার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া করা হচ্ছিল।
৭৪) কেমন করে বোঝা গেল যে হোটেলওয়ালাই নোটো অধিকারী?
উঃ মাকুর ইচ্ছা মতন সোনা মাকুর মাথার কাঁদার কল বসিয়ে দেয়। সেই কান্নার কল পেয়ে মাকু এতই খুশি হয় যে, উঠে দাঁড়াবার সময় হোটেলওয়ালার দাড়ি ধরে উঠতে যায়। দাড়ি ধরে উঠতে যাওয়াতে হোটেলওয়ালার নকল দাড়ি-গোঁফতা খুলে যায়। তখন তার আসল চেহারা সবার সামনে বেরিয়ে পড়ে। তখন সবাই দেখতে পায় যে হোটেলওয়ালাই আসলে নোটো অধিকারী।
৭৫) সোনা-টিয়া কীভাবে তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঘরে ফিরতে পারল?
উঃ সোনা-টিয়া বাড়ি থেকে জঙ্গলে চলে যাওয়ার পর তাদের পিসেমশাই মাকুর ছদ্মবেশে তাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রতিটা মুহূর্তে তাদের নজরে রাখতেন। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে যখন সবাই সার্কাসের আনন্দ উপভোগ করছিল, তখন তার দেওয়া খবর মতো সোনা-টিয়ার বাবা-মা, আম্মা, ঠাম্মি সবাই হোটেলে গিয়ে অপেক্ষা করছিল। তারপর সার্কাস শেষে যখন সবাই হোটেলে যায় তখন সোনা-টিয়া সেখানে তাদের পরিবারকে দেখতে পায়। তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফিরে আসে।
৭৬) মাকু কীভাবে কাঁদতে পারল?
উঃ সোনা মাকুর মাথার মধ্যে একটি জ্যামের টিন বসাল। তার সাথে জুড়ে দিল একটা রবারের নল। সেই নলটিকে রাখল মাকুর ঠিক দুটো চোখের মাঝখানে। জ্যামের কৌটো আর রবারের নলের মধ্যে লাগিয়ে দিল একটা ফোঁদল। এবার সে জ্যামের টিনে জল ঢালল, সেই জল তেলের ফোঁদল এবং রবারের নলের মধ্যে দিয়ে এসে মাকুর চোখের থেকে বাইরে বেরোল। সঙ্গে সঙ্গে মাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল।
৭৭) ‘মাকু’ পড়ে তোমার কেমন লাগল সেটা সংক্ষেপে লেখো। কোন্ চরিত্রকে সব থেকে ভালো লাগল সে-কথাও লেখো।
উঃ মাকু পড়ে আমার খুব ভালো লাগল। দুটি সাহসী মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বনে চলে গেল এবং সেখানে তারা দুটি দিন বেশ অ্যাডভোরের মধ্যে কাটাল। তাদের এই অ্যাজতেমার নির্মল আনন্দ দেয়। মাকুর গল্পে আমার সবচেয়ে ভালো লাগল ছদ্মবেশি মাকু অর্থাৎ সোনা-টিয়ার পিসেমশাই-এর চরিত্রটি। ভদ্রলোক একজন বড়ো পুলিশ অফিসার হওয়া সত্ত্বেও সোনা-টিয়ার সাথে সুন্দর বন্ধুর মতো ব্যবহার করেছেন। হোটেলওয়ালার কাছে চাকরের কাজ করেছেন। কিন্তু একবারের জন্যও কেউ বুঝতে পারেনি যে তিনি একজন বড়ো অফিসার।
৭৮) ‘মাকু’ বইয়ের নাম কি ‘সোনা-টিয়ার অ্যাডভেঞ্চার’ হলে বেশি ভালো হত? তোমার কী মনে হয়? এ বিষয়ে তোমার মতামত লেখো।
উঃ না, মাকু বইয়ের নাম ‘সোনা-টিয়ার অ্যাডভোর’ এর চেয়ে মাকু’ নামটাই বেশি যুক্তিসংগত। কারণ ‘মাকু’চরিত্রটিকে কেন্দ্র করেই পুরো গল্প আবর্তিত হয়েছে। মাকু’ চরিত্রটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। সবাই মাকুর নাম শুনেছে, কিন্তু গল্পে কেউই তার সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। মাকু যন্ত্রমানব, কিন্তু সে মানুষের মতোই সব কাজ করতে পারে। তাকে গল্পের অনেকগুলি চরিত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে। এমনও সময় আসে, যখন একমাত্র মাতুই পারত সার্কাস পার্টিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। গল্পের পাতায় পাতায় মাকুর কথা বারংবার উঠে এসেছে। তাকে চিনতে তাই গল্পের নাম ‘মাকু’ যথার্থ হয়েছে ও তার সম্বন্ধে জানতে পাঠকদের একটা কৌতূহল গল্পে তৈরি হয়েছে।