মাঠ মানে ছুট প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠ মানে ছুট প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, তোমাদের পাঠ্য বাংলা পাতাবাহার বই থেকে মাঠ মানে ছুট কবিতাটি ভালো করে পড়ে নিয়ে, নিম্নে প্রদান করা অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সমাধান করতে পারবে।
ক) কবি কার্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ কবি কার্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম হল ‘একটা মেয়ে একা’, ‘আমার বন্ধু গাছ’।
খ) তাঁর সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম করো।
উত্তরঃ তাঁর সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম হল ‘সেরা রূপকথার গল্প’, ‘সেরা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার’।
গ) কোন বইয়ের জন্য তিনি ‘সংসদ’ পুরস্কারে সম্মানিত হন ?
উত্তরঃ ‘টুম্পুর জন্য’ বইয়ের জন্য তিনি ‘সংসদ’ পুরস্কারে সম্মানিত হন।
১) সঠিক উত্তর নির্বাচনঃ
১.১) ‘মাঠ’ মানে শুধুই মজা/ ছুটি/ হল্লা/ হাসি/ খুশি নয়।
উত্তরঃ ‘মাঠ’ মানে আসলে সবুজ প্রাণের শ্বাশত এক দীপ।
১.২) ‘ছুট’ মানে শুধুই সাহস/ ঢেউ/ ভাঙা/ খাঁচা নয়।
উত্তরঃ ‘ছুট’ মানে আসলে জীবন ও সোনা।
২) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরঃ
২.১) ‘মাঠ’ কথাটা শুনে তোমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে লেখো।
উত্তরঃ মাঠ কথাটা শুনে আমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা হল সবুজ ঘাসে ঢাকা খোলামেলা একটা বড়ো জায়গা। সেখানে দৌড়নো যায়, বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি ও আরও নানারকম খেলা খেলা যায়। বড়োরা সেখানে হাঁটাহাঁটি করে, গল্প করে এবং শিশুরা আনন্দে হৈ হৈ করে খেলাধূলা করে।
২.২) ‘মাঠ’ এবং ‘শৈশব’-এর এক অদ্ভুত যোগ আছে – তোমার বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলগুলো কীভাবে মাঠে খেলে বা গল্প করে কাটে, তার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে টিফিন সেরে আমি আমাদের পাড়ার মাঠে ছুটে যাই। সেখানে আমারা সব বন্ধুরা ও পাড়ার দাদারা একসাথে ক্রিকেট খেলি। সারাটা বিকেল মাঠের সবুজ ঘাসের সাথে জুড়ে থাকতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমাদের মাঠের চারপাশে আমরা যে চারা গাছগুলো লাগিয়েছি, আমরা সেগুলেতে প্রতিদিন পালা করে জল দেই। এভাবেই সারাটা বিকেল সবুজের বুকে কাটিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসি।
৩) বাক্য রচনাঃ
ছুটি = রবিবার আমাদের বিদ্যালয় ছুটি থাকে।
বাঁশি = সে বাঁশিতে সব সুর বাজাতে পারে।
বাজনা = বাজনাদারেরা বাজনা নিয়ে চলে এসেছেন।
ছুটন্ত = ছুটন্ত ছেলেকে ঘরে রাখা দায়।
দীপ = সন্ধ্যায় গ্রামের প্রতিটি ঘরে দীপ জ্বলে ওঠে।
৪) ক্রিয়া নির্ণয়ঃ
৪.১) মাঠে শিশুরা অগাধ খুশিতে লুটোপুটি খায়।
উত্তরঃ লুটোপুটি খায়
৪.২) ছুট মানে বুঝতে গেলে ছুটতে হবে।
উত্তরঃ বুঝতে, ছুটতে
৪.৩) আর কিছু বলব না।
উত্তরঃ বলব
৪.৪) ছুটি সাত সমুদ্দুরের ঢেউকে ডেকে আনে।
উত্তরঃ ডেকে আনে
৪.৫) জীবনে আমি শুধু এগিয়ে যাব।
উত্তরঃ যাব
৫) বিপরীতার্থক শব্দঃ
ছুট – থাম
হাসি – কান্না
দিন – রাত
শাশ্বত – ক্ষণস্থায়ী
আশা – নিরাশা
৬) অর্থঃ
অথই = যেন তল নেই এমন গভীর
হল্লা = হইহুল্লোড়
নিকেল = ধাতুর প্রলেপ
আগল = দরজার খিল
পোক্ত = মজবুত
৭) সমার্থক শব্দঃ
দিন – দিবা, দিবস, দিনমান, অহ, অষ্টপ্রহর
পা – পদ, চরণ, ঠ্যাং, অধমাঙ্গ
সমুদ্র – সাগর, সমুদ্দুর, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, রত্নাকর
ঘুম – নিদ্রা, তন্দ্রা, নিদ, সুপ্তি, নিষুপ্তি, সুষুপ্তি
শক্ত – কঠিন, কড়া, কঠোর, অনমনীয়, নিরেট, মজবুত, দৃঢ়
৮) বিশেষ্য ও বিশেষণ নির্ণয়ঃ
উত্তরঃ
বিশেষ্য – বাঁশি, দীপ, ভাষা, খাঁচা, সমুদ্দুর
বিশেষণ – হারানো, শাশ্বত, পোক্ত, ভাঙা, সবুজ
৯) বেমানান শব্দ নির্ণয়ঃ
৯.১) মাঠ, ছুট, মজা, লুটোপুটি, বাড়ি।
উত্তরঃ বাড়ি
৯.২) ছুটি, হাসি, বাঁশি, নাচ, পড়া।
উত্তরঃ পড়া
৯.৩) আশা, বাঁচা, ছোটো, মজা, ঘুম।
উত্তরঃ ছোটো
৯.৪) পাখি, মাঠ, আকাশ, গাছ, সমুদ্র।
উত্তরঃ আকাশ
৯.৫) মজা, খুশি, হল্লা, নাচা, ভাঙা।
উত্তরঃ ভাঙা
১০) বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরিঃ
পু টো টি লু – লুটোপুটি
দ্দু স মু র – সমুদ্দুর
ট ন্ত ফু – ফুটন্ত
ত শ্ব শা – শাশ্বত
আ ল গ – আগল
১১) এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য গঠনঃ
১১.১) কী মানে পাখির ছোট্ট ভাঙা আগল খাঁচা ছুট
উত্তরঃ ছুট মানে কী ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা।
১১.২) আর বলব না কিছু ছুটেই কী দেখো ছুট মানে
উত্তরঃ ছুট মানে কী ছুটেই দেখো আর কিছু বলব না।
১১.৩) শাশ্বত দীপ এক তো মাঠ মানে সবুজ প্রাণের
উত্তরঃ মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ।
১১.৪) ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি কী মাঠ মানে
উত্তরঃ মাঠ মানে কী ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি।
১১.৫) ছুটি মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে মাঠ কী
উত্তরঃ মাঠ মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে কী ছুটি।
১২) একই অর্থের অন্য শব্দঃ
আনন্দ – মজা
গড়াগড়ি খাওয়া – লুটোপুটি
চিৎকার-চেঁচামেচি – হল্লা
বংশী – বাঁশি
চিরদিনের – শাশ্বত
বাঁধন – আগল
পিঞ্জর – খাঁচা
১৩) এক কথায় প্রকাশঃ
১৩.১) যা ছুটে চলেছে – ছুটন্ত
১৩.২) যা ফুটছে – ফুটন্ত
১৩.৩) যে ঘুমিয়ে আছে – ঘুমন্ত
১৩.৪) যে নেচে চলেছে – নৃত্যরত
১৪) শব্দযুগলের অর্থপার্থক্যঃ
দীপ – প্রদীপ (সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বালানো হয়)
দ্বীপ – চারদিকে জলবেষ্টিত ভূ-ভাগ (সুন্দরবন একটি দ্বীপ হল কাকদ্বীপ)
ভাষা – মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম (পশুপাখির ভাষা সবাই বুঝতে পারে না)
ভাসা – ভাসমান (কাগজের নৌকাটি জলে ভাসছে)
দীন – দরিদ্র (দীনজনে দয়া করো)
দিন – দিবস (১৪ই আগস্ট কন্যাশ্রী দিবসের দিন)
১৫) একই শব্দকে দু’বার বাক্যে ব্যবহারঃ
ঘুম = আমি সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে উঠি।
ঘুম-ঘুম = সকালে ওঠার পর থেকেই আমার ঘুম-ঘুম পাচ্ছে।
খুশি = নতুন ফোন পেয়ে দাদা আজ খুব খুশি।
খুশি-খুশি = কি ব্যাপার? তোমাকে আজ খুব খুশি-খুশি লাগছে।
ভাঙা = ভাঙা আয়নাটি ফেলে দাও।
ভাঙা-ভাঙা = অরিজিত ভাঙা-ভাঙা গলায় আর গাইতে পারলো না।
সোনা = কিছুদিন ধরে সোনার দাম নিম্নমুখী।
সোনা-সোনা = সোনা-সোনা দেখতে লাগলেও এটি সোনা নয়।
সবুজ = সবুজ ঘাসের উপর ফড়িংটি কত খেলা দেখাল।
সবুজ-সবুজ = সবুজ-সবুজ জামাটি তোমাকে বেশ মানিয়েছে।
মাঠ মানে ছুট প্রশ্নের উত্তর : (WBNOTES.IN)
১৬) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরঃ
১৬.১) কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি কোথায় খুঁজে পান ?
উত্তরঃ কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি মাঠে খুঁজে পান।
১৬.২) কোথায় গেলে কবি তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান ?
উত্তরঃ মাঠে গেলে কবি তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান।
১৬.৩) ছুট মানে কী বুঝতে গেলে কী করতে হবে ?
উত্তরঃ ছুট মানে কী বুঝতে গেলে ছুটে দেখতে হবে।
১৬.৪) ‘নিকেল করা’ বিকেলের আলো কবি কোথায় দেখতে পান ?
উত্তরঃ ‘নিকেল করা’ বিকেলের আলো কবি মাঠে দেখতে পান।
১৬.৫) পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি কী করে ?
উত্তরঃ পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি মুক্ত হয়ে খোলা আকাশে উড়ে যায়।
১৬.৬) কবির কাছে মাঠ বলতে যা বোঝায় তার যে কোনো তিনটি ভাবনা কবিতা থেকে বুঝে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ
ক) কবির কাছে মাঠ বলতে যা বোঝায় তা হল মাঠ মানে শুধুই মজা বা খুশির অবাধ লুটোপুটি নয়।
খ) মাঠ মানে সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ যা কখনও নিভবে না।
গ) মাঠ মানে মনের আনন্দে ছুটোছুটি করতে করতে এগিয়ে যাওয়া।
১৬.৭) ছুট অর্থে কবি যা যা বলেছেন তা তিন-চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ ছুট অর্থে কবি বলেছেন ছুট মানে শুধু ছোটা বা কোনো আশা বা শক্ত পায়ের কোনো পোক্ত ভাষা নয়। ছুট এর অর্থ শুধু সাহস বা বেঁচে থাকাও নয়। ছুট মানে আসলে কবির কাছে জীবন ও সোনা। কবি বলেছেন ছুট মানে কী বুঝতে গেলে ছুটে দেখতে হবে।
১৬.৮) ‘মাঠ’ আর ‘ছুট’ তোমার কাছে কী অর্থ নিয়ে ধরা দেয় তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ ‘মাঠ’ মানে আমার কাছে সবুজ ঘাসে ঢাকা খোলামেলা একটা বড়ো জায়গা। সেখানে দৌড়নো যায়, বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি ও আরও নানারকম খেলা খেলা যায়। বড়োরা সেখানে হাঁটাহাঁটি করে, গল্প করে এবং শিশুরা আনন্দে হৈ হৈ করে খেলাধূলা করে।
‘ছুট’ মানে আমার কাছে ছোটা বা দৌড়। ছুট মানে জীবনের পথে সামনের দিকে এগিয়ে চলা।