মিষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর । পঞ্চম শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য পাতাবাহার গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মিষ্টি কবিতার অনুশীলনীর বিবিধ প্রশ্নের উত্তর এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীরা এই মিষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর ভালো করে তৈরি করবে।
মিষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর :
১) অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
১.১) কোন্ ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না?
উঃ শীত ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না ।
১.২) কোন্ ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে?
উঃ বর্ষা ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে।
১.৩) কোন্ পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়?
উঃ মসৃণ ও উত্রাই পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়।
১.৪) চড়াই-উত্রাই রাস্তা কোথায় দেখা যায়?
উঃ পাহাড়ি অঞ্চলে চড়াই-উৎরাই রাস্তা দেখা যায়।
১.৫) ‘রাস্তা’ শব্দটি অন্য কোন্ নামে কবিতায় আছে?
উঃ ‘রাস্তা’ শব্দটি ‘পথ’ নামে কবিতায় আছে।
১.৬) আখের প্রসঙ্গ রয়েছে, তোমার পাঠ্যসূচির এমন অন্য একটি রচনার নাম লেখো।
উঃ পাঠ্যসূচির অন্তর্গত ‘বোকা কুমিরের কথা’ গল্পে আখের প্রসঙ্গ রয়েছে।
২) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
২.১) কবি কাকে মুখ্খু বলেছেন ?
উঃ যে মসৃণ পথে গড়িয়ে যেতে মজা পায়, কবির মতে সেই হল মুখ্খু।
২.২) কবি কেমন রাস্তা এবং কেমন আকাশ চেয়েছেন ?
উঃ কবি চড়াই ভাঙা অনেক দূরের রাস্তা এবং ঝড়, রোদ্দুর ও বৃষ্টি ভরা আকাশ চেয়েছেন।
২.৩) কবি কোন্ জিনিসটিকে সবচেয়ে মিষ্টি বলেছেন ?
উঃ কবি আখকে সবচেয়ে মিষ্টি বলেছেন।
২.৪) কেন আখ কবির কাছে সব চাইতে মিষ্টি ?
উঃ চিবিয়ে খেতে হয় বলে আখ কবির কাছে সব চাইতে মিষ্টি।
২.৫) কোন্ আকাশ কবির ভালো লাগে না ?
উঃ যে আকাশে ঝড় ওঠে না মেঘও ডাকে না, রোদও নেই বৃষ্টির জলও পড়ে না, সে আকাশে কোনো বৈচিত্র্য নেই। কবির মতে সে আকাশ যেন একঘেঁয়ে একইরকম। সে রকম আকাশ কবির ভালো লাগে না।
২.৬) কোন্ পথে চলায় প্রকৃত আনন্দ পাওয়া যেতে পারে বলে কবি মনে করেন?
উঃ যে পথে পিছলে পড়া থাকবে, হোঁচট খাওয়ার ব্যথা ও দুঃখ থাকবে সেই পথই ভালো। তা সে যতই চড়াই ভাঙা অনেক দুরের পথ হোক তবু সে পথে চলায় প্রকৃত আনন্দ পাওয়া যায় বলে কবি মনে করেন।
২.৭) ‘আকাশে থাক ঝড় বৃষ্টি/আর কিছু রোদ্দুর’ জীবন যদি আকাশ হয় তাহলে ঝড়বৃষ্টি’ আর রোদ্দুরকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা যায় ?
উঃ আকাশকে জীবনের সাথে তুলনা করলে ঝড় বৃষ্টি সেই জীবনে একটা আঘাত, একে অসাফল্য বা ব্যর্থতার সঙ্গে তুলনা করা যায় অপরদিকে রোদ্দুর হল জীবনের উজ্জ্বলতা বা সাফল্য যা জীবনকে ঝলমলে করে তোলে।
২.৮) ছোটোদের প্রিয় চরিত্র ঘনাদা কার সৃষ্টি?
উঃ ছোটোদের প্রিয় চরিত্র ঘনাদা প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্টি।
২.৯) প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন্ সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২.১০) তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল – সাগর থেকে ফেরা, হরিণ চিতা চিল।
৩) তোমার স্কুলে যাওয়ার, খেলতে যাওয়ার, আর বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলো কেমন, তিনটে রাস্তা নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি করে বাক্য লেখো। এ প্রসঙ্গে কোন্ রাস্তাটি তোমার কেন ভালো লাগে, তার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উঃ
ক) আমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটা খানাখন্দে ভরা, রাস্তাটায় প্রায় সারাবছর জল জমে থাকে, যাতায়াত করতে অসুবিধা।
খ) আমার খেলতে যাওয়ার রাস্তা মোটামুটি ভালো। রাস্তাটা পিচঢালা।
গ) আমার বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা গাছে ভর্তি। সারাবছর ছায়ায় ঢাকা থাকে।
বন্ধুর বাড়ির রাস্তাটা আমার ভালো লাগে। কারণ –
ক) সমস্ত রাস্তাটাই প্রায় গাছে ঢাকা থাকায় ছায়া থাকে। রোদ উঠলেও যাতায়াতে কোনো কষ্ট হয় না।
খ) যাতায়াতের সময় রাস্তায় ধাপের গাছগুলির ঠান্ডা হাওয়া, পাতা, ফুল ঝরে পড়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
৪) কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া যে সুখ তাই প্রকৃত সুখ। কবিতায় এই কথাটি কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো।
উঃ
আমরা চাই মসৃণ জীবন, যেখানে কোনোরকম কষ্ট থাকবে না। প্রাকৃতিক, জীবন চলার পথে বাধা থাকলে আমরা ভয় পাই। অতিরিক্ত রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, রাস্তায় চড়াই-উৎরাই সবই আমাদের কষ্ট দেয়। জীবনে চলার পথে হোঁচট খাওয়া, দুঃখ পাওয়া আমরা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু এগুলোই তো আমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে, দৈনন্দিন একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়। অন্ধকার না থাকলে আমরা আলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি না, ঠিক তেমনি সুখ-দুঃখ, রোদবৃষ্টি, সবই একে অপরের পরিপূরক। কষ্টের বিনিময়েই জীবনে আনন্দ উপভোগ করতে হয়। যদি আমাদের জীবনে কষ্ট না থাকে, কোনো ওঠা-পড়া না থাকে, জীবনে যদি শুধু সুখই থাকে তাহলে সুখের উপভোগ তেমনভাবে আমরা করতে পারি না। শুধুমাত্র সুখের উপস্থিতি আমাদের জীবনকে একঘেয়ে করে তোলে। কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া সুখই প্রকৃত সুখ। তাই এই প্রসঙ্গেই কবিতায় কবি আখের কথা উল্লেখ করেছেন। কষ্ট করে চিবিয়ে আখ থেকে রস বের করে খেতে হয় বলেই আখের রস সব থেকে মিষ্টি লাগে।
৫) নীচের কোন্ ছবিতে কোন্ ঋতুর আকাশ কেমন, তা ছবি দেখে নিজের ভাষায় বাক্সের মধ্যে লেখোঃ
উঃ
ক) এটা শরৎকালের আকাশ। নীল আকাশের কোলে পেঁজা তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। মিষ্টি সোনালি রোদের আভায় চারিদিক ভরে গেছে। সাদা সাদা কাশ ফুল ফুটেছে।
খ) এটা বর্ষাকালের আকাশ। ঘন কালো মেঘে আকাশ ভরে গেছে। কালো মেঘ থেকে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাং তার ছাতার তলায় বসে ডাকছে।
৬) এইরকম অন্য কোনো ঋতুর আকাশ সম্পর্কে লেখো।
উঃ
শীতকালে আকাশ পরিষ্কার ঝকঝকে থাকে। সোনলি রোদে প্রকৃতি ভরে থাকে।