pakhir-kache-fuler-kache-kobitar-prosner-uttor

পাখির কাছে, ফুলের কাছে প্রশ্নের উত্তর

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই পাতাবাহার গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত পাখির কাছে, ফুলের কাছে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাখির কাছে, ফুলের কাছে কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে পড়ে নিয়ে নিম্নে প্রদান করা অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরগুলো অনুশীলন করতে পারবে। 

ক) কবি আল মাহমুদ কোন দেশের মানুষ ?

উত্তরঃ কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের মানুষ।

খ) তিনি কোন বিখ্যাত আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ তিনি বিখ্যাত আন্দোলন ভাষা-বিদ্রোহে সামিল হয়েছিলেন।

গ) তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম হল ‘কলের কলম’।

 

১) সঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ

১.১) জোনাকি এক ধরনের (পাখি/ মাছ/ পোকা/ খেলনা) ।

উত্তরঃ পোকা

১.২) ‘মোড়’ বলতে বোঝানো হয় (গোল/ বাঁক/ যোগ/ চওড়া) ।

উত্তরঃ বাঁক

১.৩) ‘দরবার’ শব্দটির অর্থ হলো (দরজা/ সভা/ দরগা/ দোকান) ।

উত্তরঃ সভা

১.৪) প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হলো – (কাব্য হবে/ মোড় ফিরেছি/ কালো জল/ ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে) ।

উত্তরঃ ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে

 

২) স্তম্ভ মিলঃ

উত্তরঃ

চাঁদ

শশী

ঠান্ডা

শীতল

পাহাড়

গিরি

জোনাকি

খদ্যোত

দিঘি

জলাশয়/দীঘিকা

জল

নীর

ফুল

পুষ্প

 

৩) বিশেষ্য ও বিশেষণ নির্ণয়ঃ

উত্তরঃ

বিশেষ্য বিশেষণ

চাঁদ

শহর

দরগাতলা

জোনাকি

ঠান্ডা

লাল

মস্ত

গোলগাল

উটকো

কলরব

 

৪) নির্দেশানুসারে উত্তর দাওঃ

৪.১) ‘থরথর’ শব্দে ‘র’ বর্ণটি দুবার রয়েছে। এরকম ‘ল’ বর্ণটি দুবার আছে, এমন পাঁচটি শব্দ লেখোঃ

উত্তরঃ

গোলগাল

কলকল

ছলছল

জ্বলজ্বল

ঝলমল

 

৪.২) ‘কাছে’ শব্দটিকে ‘নিকটে’ এবং ‘দেখা করা’ এই দুই অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্য লেখো।

কাছে = আমার কাছে দশটি পেন আছে।

কাছে = আমার কাছে এসো।

 

৫) ক্রিয়া নির্ণয় করোঃ

৫.১) ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।

উত্তরঃ খুলে, পেরিয়ে গেলাম

৫.২) নারকোলের ঐ লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল।

উত্তরঃ দেখি

৫.৩) এসো, আমার সবাই না ঘুমানোর দল।

উত্তরঃ এসো

৫.৪) কাব্য হবে, কাব্য কবে – জুড়ল কলরব।

উত্তরঃ হবে, জুড়ল

৫.৫) পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।

উত্তরঃ কই

 

৬) অর্থ লেখোঃ

ঝিমধরা – অবসন্ন

উটকো – অপরিচিত

দরবার – সভা

কলরব – কোলাহল

মিনার – সৌধ

৭) সমার্থক শব্দঃচাঁদ = চন্দ্র, শশধর, শশী, চন্দ্রিমা, ইন্দু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশুপাখি = পক্ষী, খেচর, খগ, বিহগ, বিহঙ্গফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন, রঙ্গনা, গুলগাছ = গাছ, তরু, দ্রুম, মহীরুহ, উদ্ভিদ, অটবি, বিটপী, পর্ণী, গাছপালা, পল্লবীজোনাকি = দীপ্তিযুক্ত পোকাবিশেষ, খদ্যোত, জোনাই, জ্যোতিরিঙ্গণ, কীটমণি

 

৮) বিপরীতার্থক শব্দঃ

লম্বা – বেঁটে

ঠান্ডা – গরম

হেসে – কেঁদে

পদ্য – গদ্য

মস্ত – ক্ষুদ্র

৯) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
৯.১) কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কেন ?উত্তরঃ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবি আল মাহমুদ একদিন রাতে দেখলেন নারকেল গাছের লম্বা মাথায় ডাবের মতো গোল চাঁদ উঠেছে তাই দেখে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন।৯.২) কবি কেন ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন ?উত্তরঃ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবি আল মাহমুদ রাত্রিবেলায় বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন, চারদিক তখন নিস্তব্ধ এবং সকলে ঘুমোচ্ছে। ছিটকিনির শব্দে যাতে কারো ঘুম না ভাঙে তাই তিনি ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।৯.৩) বাইরে বেরিয়ে এসে কবি শহরকে কেমন অবস্থায় দেখলেন ?উত্তরঃ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবি আল মাহমুদ বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলেন মস্ত শহরটা যেন অবসন্ন অবস্থায় থরথর করে কাঁপছে। শহরের মিনারটাকে দেখে মনে হয়েছিল কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে এবং পাথরঘাটার গির্জাটাকে দেখে মনে হয়েছিল লাল পাথরের ঢেউ।

৯.৪) শহরে নেই, অথচ কবির মনে হল তিনি দেখছেন, এমন কোন কোন জিনিসের কথা কবিতায় রয়েছে ?

উত্তরঃ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবি আল মাহমুদ শহরে নেই, অথচ তিনি দেখছেন, এমন জিনিসগুলো হল পাহাড়, লালদিঘি, জোনাকি, রক্তজবার ঝোপ, ফুল, পাখি।

৯.৫) সেই রাতে জেগে থাকার দলে কারা কারা ছিল ? তারা কবির কাছে কী আবদার জানিয়েছিল ?

উত্তরঃ সেই রাতে জেগে থাকার দলে ছিল পাহাড়, লালদিঘি, জোনাকি, দিঘির কালো জল, রক্তজবার ঝোপ, ফুল, পাখি।
তারা কবির কাছে কবিতা শোনার আবদার জানিয়েছিল।

৯.৬) তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি কী করলেন ?

উত্তরঃ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবি আল মাহমুদ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পকেট থেকে তাঁর নিজের লেখা ছড়ার বই বের করে, পাখির ও ফুলের কাছে নিজের মনের কথা বলতে শুরু করলেন।

৯.৭) রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি ছিল খুবই মনোরম। চারদিকে জোনাকি উড়ে বেড়াচ্ছিল। পাহাড়, লালদিঘি, জোনাকি, দিঘির কালো জল, রক্তজবার ঝোপ, ফুল, পাখি সকলে সেই রাতে জেগে ছিল। দিঘির কালো জল কবিকে কবিতা শোনানোর আবদার করেছিল। এই কথা শুনে খুশিতে হেসে ফুল ও পাখিরা ‘কাব্য হবে, কাব্য হবে’ বলে কোলাহল জুড়েছিল। তারপর কবি পকেট থেকে তাঁর নিজের লেখা ছড়ার বই বের করে, তাদের নিজের মনের কথা বলতে শুরু করলেন।

৯.৮) ‘চাঁদ’ কে নিয়ে তোমার পড়া বা শোনা একটি ছড়া লেখো।

হলঘরের ঘড়ির মতো চাঁদের মুখ আছে;

সে বাগানের দেয়ালে চোরদের উপর জ্বলজ্বল করে,

রাস্তায়, মাঠ এবং পোতাশ্রয়ের খাদে,

আর পাখিরা গাছের কাঁটায় ঘুমিয়ে আছে।

চিৎকার করা বিড়াল এবং চিৎকার করা ইঁদুর,

ঘরের দরজার পাশে চিৎকার করছে কুকুর,

দুপুরে বিছানায় শুয়ে থাকা বাদুড়,

সবাই চাঁদের আলোয় বের হতে ভালোবাসে।

কিন্তু সব কিছু যে দিনের অন্তর্গত

আলিঙ্গন ঘুম তার উপায় আউট হতে;

এবং ফুল এবং শিশুরা তাদের চোখ বন্ধ করে

সকাল পর্যন্ত সূর্য উঠবে।

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

PDF DOWNLOAD

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top