mayatoru-question-answers

মায়াতরু প্রশ্নের উত্তর

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা মায়াতরু কবিতার অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে এখানে প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বাংলা মায়াতরু প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

মায়াতরু প্রশ্নের উত্তর : 

 

ক) কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম হল ‘ভানুমতীর মাঠ’, ‘রুদ্রবসন্ত’।

খ) তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি কী ছিল ?

উত্তরঃ তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয় ছিল নদী, পাহাড়, অরণ্যপ্রকৃতি।

গ) ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর ‘ভানুমতীর মাঠ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

১) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ

১.১) তোমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম লেখো অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।

উত্তরঃ আমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে তা হল কলাগাছ, খেজুর গাছ।

১.২) দুই বন্ধু আর ভাল্লুককে নিয়ে যে গল্পটি আছে তা তোমরা শুনেছ ? যদি না শুনে থাকো, তাহলে শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে গল্পটি নিজের খাতায় লেখো।

উত্তরঃ একবার দুই বন্ধু জঙ্গলের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ তারা দেখে যে একটি ভাল্লুক তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। একজন বন্ধু গাছে চড়তে জানত; কিন্তু অপর বন্ধু জানত না। যে বন্ধুটি গাছে চড়তে পারত, সে ভাল্লুককে দেখে দ্রুত গাছে উঠে গেলো। তখন অন্য বন্ধুটি উপায় না পেয়ে শ্বাস বন্ধ করে মৃতবৎ শুয়ে রইল। ভাল্লুকটি তার কাছে এসে তাকে শুঁকলো। ভাল্লুকটি সেই বন্ধুটিকে মৃত মনে করে চলে গেল। তখন প্রথম বন্ধুটি তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই ভাল্লুকটি তোর কানে কানে কি বললো রে?” জবাবে দ্বিতীয় বন্ধুটি তাকে বললো, “বিপদে যে বন্ধুকে ছেড়ে চলে যায়, সে কখনোই প্রকৃত বন্ধু নয়।”

 

১.৩) নানারকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় দেখেছ ?

উত্তরঃ আমাদের পাশের বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম আছে, সেখানে আমি রঙিন মাছ দেখেছি। এছাড়া এই অ্যাকোরিয়ামে থাকে এমন রঙিন মাছের দোকানেও আমি নানারকম রঙিন মাছ দেখেছি।

 

১.৪) ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে ? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছে করে ?

উত্তরঃ ভোরের আলো আমার খুব ভালো লাগে। তখন আমার নদীর ধারে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে।

 

১.৫) আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দুরকম চেহারা তোমার চোখে কীভাবে ধরা পড়ে ?

উত্তরঃ আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দুরকম চেহারা চোখে ধরা পড়ে, যেমন – কলাগাছ, খেজুর গাছ। দিনের আলোয় গাছগুলি স্পষ্ট দেখা যায় এবং রাতের অন্ধকারে গাছগুলিকে দেখে মনে হয় কে যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।

 

২) স্তম্ভ মিলঃ

উত্তরঃ

গাছ বৃক্ষ
বন অরণ্য
ভূত অশরীরী
ঝালর পর্দা
কম্প কাঁপুনি

 

৩) শূন্যস্থান পূরণঃ

৩.১) এক যে ছিল গাছ।

৩.২) বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।

৩.৩) মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ।

৩.৪) এক পশলার শেষে।

৩.৫) বনের মাথায় ঝিলিক মেরে চাঁদ উঠত যখন ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।

৪) কবিতাটি অবলম্বনে একটি গল্পঃ

একটি গাছ ছিল সন্ধে হলেই সে দুহাত তুলে ভূতের মতো নাচ করত। আবার কখনো হঠাৎ বনের মধ্যে ভালুকের মতো ঘাড় ফুলিয়ে গরগর আওয়াজ করত। যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে যেত আর আকাশে চাঁদ উঠত তখন তাকে দেখে মনে হত লক্ষ হীরার মাছ যেন মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে। ভোরবেলায় কত কী যে কান্ড হতো বহু ভেবেও তা বোঝা যেত না আর যখন সকাল হতো তখন দেখা যেত ঝিকিরমিকির আলোর এক রূপালি ঝালর পড়ে আছে।

 

৫) শব্দগুলির অর্থ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনাঃ

ঝাঁক (দল) = পাখিরা ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাচ্ছে।

ঝিলিক (ক্ষণস্থায়ী আলোর ছটা) = আকাশে বিদ্যুতের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

ঘাড় (গলার পিছন দিক) = চোরটিকে ঘাড় ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল।

মুকুট (শিরোপা) = রাজার মুকুট রাজার মাথাতেই শোভা পায়।

ঝিকিরমিকির (চকচক করা) = সূর্যের আলোয় নদীর জল ঝিকিরমিকির করছে।

 

৬) পদ নির্ণয়ঃ

উত্তরঃ

বিশেষ্য = গাছ, কম্প, জ্বর

বিশেষণ = রূপালি, ঝিকিরমিকির, লক্ষ

সর্বনাম = যে, সে

অব্যয় = বা

ক্রিয়া = জুড়ত, তুলে, হয়ে

৭) বিপরীতার্থক শব্দঃ

সন্ধে – সকাল
হঠাৎ – সবসময়
শেষে – শুরুতে
হেসে – কেঁদে
আলো – অন্ধকার

 

৮) সমার্থক শব্দঃ

গাছ = তরু, দ্রুম, মহীরুহ, উদ্ভিদ, অটবি, বিটপী, পর্ণী, গাছপালা, পল্লবী

ভূত = প্রেত, অশরীরী

বন = জঙ্গল, অরণ্য, কানন, কান্তার

বিষ্টি = বর্ষা, বর্ষণ, বৃষ্টি, বারিপাত, বৃষ্টিপাত

মাছ = মীন, মৎস্য

চাঁদ = চন্দ্র, শশধর, শশী, চন্দ্রিমা, ইন্দু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু

 

৯) প্রতিটি বাক্য ভেঙে আলাদা দুটি বাক্যেঃ

৯.১) এক যে ছিল গাছ, সন্ধে হলেই দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ।

উত্তরঃ এক গাছ ছিল। সে সন্ধে হলেই দুহাত তুলে ভূতের নাচ জুড়ত।

৯.২) বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।

উত্তরঃ বিষ্টি আসত। তখনি তার আবার কম্প দিয়ে জ্বর আসত।

৯.৩) সকাল হল যেই, একটিও মাছ নেই।

উত্তরঃ সকাল হল। তখন দেখা গেল একটিও মাছ নেই।

৯.৪) মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ।

উত্তরঃ লক্ষ হীরার মাছ রয়েছে। তারা মুকুটের মতো ঝাঁক বেঁধেছে।

৯.৫) ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।

উত্তরঃ ভালুকের মতো ঘাড় ফোলাত। ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর করত।

 

১০) এলোমেলো বনগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরিঃ

র গ র গ – গরগর

ট কু মু – মুকুট

ব আ য়া ছা – আবছায়া

র কি মি ঝি র কি – ঝিকিরমিকির

র বে ভো লা – ভোরবেলা

 

১২) দিনের কোন সময়ে কোন ঘটনাটি ঘটছেঃ

১২.১) দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ – সন্ধ্যেবেলা

১২.২) ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত যে গরগর – রাত্রিবেলা

১২.৩) কেবল দেখি পড়ে আছে ঝিকিরমিকির আলোর রূপালি এক ঝালর – সকালবেলা

 

১৩) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ

১৩.১) ‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ কী? কবিতায় গাছকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ

‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ মায়াবী গাছ।

কবি ‘অশোকবিজয় রাহা’-র লেখা ‘মায়াতরু’ কবিতায় গাছটিকে মায়াতরু বলা হয়েছে; কারণ কবি এখানে গাছটিকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে দেখেছেন। সন্ধ্যেবেলায় কবি গাছটিকে দুহাত তুলে ভূতের নাচ করতে দেখেছেন। রাত্রিবেলায় আকাশে চাঁদ উঠলে ভালুকের মতো ঘাড় ফুলিয়ে গরগর করতে দেখেছেন। বৃষ্টি নামলে ভালুকের মতো কম্প দিয়ে জ্বর আসতে দেখেছেন। বৃষ্টির পর চাঁদ উঠলে কবি দেখেছেন ভালুক বা গাছের কোনো চিহ্ন নেই। হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে লক্ষ লক্ষ মাছ ঝাঁক বেঁধে সে যেন মুকুট ধারণ করেছে। আবার সকাল হলে তিনি দেখেছেন কোনো মাছ নেই, ঝিকিরমিকির আলোয় পড়ে আছে এক রূপালি আলোর ঝালর। ক্ষণে ক্ষণে চেহারা বদলের জন্য গাছটিকে মায়াতরু বলা হয়েছে।

 

১৩.২) শব্দের শুরুতে ‘মায়া’ যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দঃ

উত্তরঃ মায়াজাল, মায়াপুর, মায়াময়, মায়াবতী, মায়াবন্ধন।

 

১৩.৩) ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন গল্প তুমি পড়েছ? পাঁচটি বাক্যে সেই গল্পটি লেখো।

উত্তরঃ কিমভুত থাকত শ্যাওড়া গাছের ডালে। পাশের পথ দিয়ে রাতে কেউ গেলে কিমভুত তার ঘাড়ে চেপে বসত। একবার রতন নামে একটি সাহসী বালক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন কিমভুত তার ঘাড়ে চেপে বসে। কিন্তু রতন ভয় না পেয়ে এমনভাবে রামনাম যপ করে যে, কিমভুত শ্যাওড়া গাছের ডাল ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়।

 

১৩.৪) দিনের বিভিন্ন সময়ে কবি গাছকে কোন কোন রূপে দেখেছেন?

উত্তরঃ কবি ‘অশোকবিজয় রাহা’-র লেখা ‘মায়াতরু’ কবিতায় কবি গাছটিকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে দেখেছেন। সন্ধ্যেবেলায় কবি গাছটিকে দুহাত তুলে ভূতের নাচ করতে দেখেছেন। রাত্রিবেলায় আকাশে চাঁদ উঠলে ভালুকের মতো ঘাড় ফুলিয়ে গরগর করতে দেখেছেন। বৃষ্টি নামলে ভালুকের মতো কম্প দিয়ে জ্বর আসতে দেখেছেন। বৃষ্টির পর চাঁদ উঠলে কবি দেখেছেন হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে লক্ষ লক্ষ মাছ ঝাঁক বেঁধে সে যেন মুকুট ধারণ করেছে। আবার সকাল হলে তিনি দেখেছেন ঝিকিরমিকির আলোয় পড়ে আছে এক রূপালি আলোর ঝালর।

 

১৪) যে গাছটিকে দেখে তোমার মনেও অনেক কল্পনা ভিড় জমায়, সেই গাছটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ আমাদের বাড়ির সামনে একটি বটগাছ আছে। গাছটি দেখতে যেন এক প্রাচীন বৃদ্ধের মতো। কত স্মৃতি যেনো আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছটিকে আমার ঠাকুরদাদা বলে মনে হতো। কত একাকী দ্বিপ্রহরে আমি গাছের শান্ত শীতল ছায়ায় বসে গল্প জুড়ে দিতাম সেই বটগাছটির সাথে।

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

মায়াতরু প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top