স্বর্ণপর্ণী প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে স্বর্ণপর্ণী প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা তাদের নবম শ্রেণির সহায়ক পাঠ প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রী থেকে এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
স্বর্ণপর্ণী প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা :
স্বর্ণপর্ণী গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ (মান ১)
১) স্বর্ণপর্ণী গল্পটি লিখেছেন – সত্যজিৎ রায়
২) স্বর্ণপর্ণী গল্পটি যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল – সন্দেশ
৩) লুপ্তস্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য শঙ্কুর আবিষ্কার হল – রিমেমব্রেন
৪) প্রোফেসর শঙ্কু কলকাতার যে কলেজে পড়াতেন – স্কটিশচার্চ কলেজ
৫) স্বর্ণপর্ণী গাছড়ার সন্ধান দিয়েছিলেন – টিকড়িবাবা
৬) প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা যে অসুখে মারা যান – হার্টব্লক
৭) যে প্রাচীন শাস্ত্রে ‘স্বর্ণপর্ণী’–র উল্লেখ পাওয়া যায় – চরকসংহিতায়
৮) স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা দেখতে – সোনালী রঙের
৯) স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা দিয়ে যা তৈরি হয় – ওষুধ
১০) প্রফেসর শঙ্কু স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা নিয়ে গবেষণা করেন – গিরিডিতে
১১) স্বর্ণপর্ণীর পাতা দিয়ে প্রথম যার অসুখ সারান প্রোফেসর শঙ্কু – উকিল জয়গোপাল মিত্রের
১২) জেরেমি সণ্ডার্সের যে অসুখ হয়েছিল – যকৃতে ক্যানসার
১৩) নিউটনের বয়স হল – ২৪ বছর
১৪) প্রোফেসর শঙ্কু বন্ধু সণ্ডার্সের সঙ্গে লণ্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন – ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৭ খ্রিঃ
১৫) প্রোফেসর শঙ্কু যে জাহাজে চড়ে ইংল্যাণ্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন – এস এস এথিনা
১৬) স্বর্ণপর্ণীর কেমিক্যাল অ্যানালাইসিসে চোখ বুলিয়ে শঙ্কুর মনে হয়েছিল এর মধ্যে প্রাপ্ত উপাদানগুলির সাথে মিল আছে – রসুনের
১৭) ‘পাওয়ার ম্যাড’ বলে যাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে – হিটলারকে
১৮) পিগম্যালিয়ন নাটকটির লেখক হলেন – বার্নার্ড শ
১৯) হাইনরিখ স্টাইনার যে বিষয়ের অধ্যাপক – সংস্কৃত বিষয়ের অধ্যাপক
২০) জার্মানির গুপ্ত পুলিশবাহিনী হল – গেস্টাপো
২১) ‘ডাক্তার’- কে জার্মান ভাষায় বলে – আর্টস্ট
২২) মিসেস ফিৎসনার শঙ্কুর কাছে যে রোগের ওষুধ চেয়েছিলেন – সর্দির
২৩) ‘স্বস্তিক’ চিহ্নকে নাৎসিরা বলে – সভাটিকা
২৪) প্রোফেসর শঙ্কুর বাবার নাম ছিল – ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু
২৫) নরবার্ট স্টাইনারের বাবার নাম ছিল – হাইনরিখ স্টাইনার
স্বর্ণপর্ণী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ (মান ১)
১) নিউটনের দীর্ঘায়ু হওয়ার কারণ কী?
উঃ সাধারণত বিড়ালদের গড় আয়ু চোদ্দো-পনেরো হলেও শঙ্কুর আবিষ্কৃত মার্জারিনের কারণে নিউটনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়েছিল।
২) টীকড়িবাবা কী উপায় বলেছিলেন?
উঃ টিক্ড়ীবাবা নিজের গুরুর হাতে স্বর্ণপর্ণীর (সোনেপত্তী) পাতা খেয়ে পাণ্ডুরোগ থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন। অসুস্থ ত্রিপুরেশ্বরকেও তিনি এই ওষুধের কথাই বলেছিলেন।
৩) শঙ্কুর আবিষ্কৃত অ্যানাইহিলিন প্রয়োগ করলে কী হয়?
উঃ অ্যানাইহিলিন প্রয়োগের ফলে শত্রু নিহত না হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়।
৪) লিঙ্গুয়াগ্রাফের কাজ কী?
উঃ লিঙ্গুয়াগ্রাফ যে কোনো অচেনা ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের কাজ করে।
৫) প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা কী ছিলেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু অপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। তাঁকে গিরিডির মানুষেরা বলত ধন্বন্তরি।
৬) বাবার কোন্ কথা শঙ্কুর মনে রেখাপাত করেছিল?
উঃ শঙ্কুর বাবার মত ছিল সচ্ছলতার প্রয়োজন মিটিয়ে ক্ষমতা থাকলেও অঢেল রোজগারের প্রয়োজন নেই। বরং দরিদ্র, নিরক্ষর, উপার্জনে অক্ষমদের দুঃখ লাঘব করাতেই জীবনের চরম সার্থকতা।
৭) প্রোফেসর শঙ্কু কোথায় অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু মাত্র কুড়ি বছর বয়সে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে কাজে যোগ দেন।
৮) ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কী অসুস্থতা ছিল?
উঃ ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর অকস্মাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেত। এই অসুস্থতার নাম হার্টব্লক (এখন পেসমেকার যন্ত্রের সাহায্যে হার্টব্লকের চিকিৎসা করা হয়)।
৯) টিক্ড়ীবাবা কে?
উঃ গিরিডির কাছে উশ্রী নদীর ওপারে একটি গ্রামের গাছতলায় বসে ধ্যান করতেন টিক্ড়ীবাবা। এই অঞ্চলে নামডাক থাকায় লোকেরা তাঁকে দর্শন করতে যেত।
১০) স্বর্ণপর্ণীর উল্লেখ কোন্ বইতে আছে?
উঃ ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু চরকসংহিতার পাতায় স্বর্ণপর্ণীর উল্লেখ পেয়েছিলেন।
১১) স্বর্ণপর্ণী কোথায় পাওয়া গিয়েছিল?
উঃ টিক্ড়ীবাবার নির্দেশমতো প্রোফেসর শঙ্কু কসৌলির উত্তরে চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের জঙ্গলে ঝরনার পাশে একটিমাত্র স্বর্ণপর্ণী গাছড়ার খোঁজ পেয়েছিলেন।
১২) ‘আমার মনটা নেচে উঠল- বক্তার মন আনন্দে নেচে উঠেছিল কেন?
উঃ টিক্ড়ীবাবার নির্দেশমতো কালকা শহর থেকে বহু দূরে হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কসৌলির চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের গভীর জঙ্গলে মাত্র পনেরো মিনিট হাঁটতেই ‘স্বর্ণপর্ণী’ গাছটি আবিষ্কৃত হওয়ায় শঙ্কুর মনটা আনন্দে নেচে ওঠে।
১৩) স্বর্ণপর্ণীর খোঁজ পেয়ে শঙ্কু কী করেছিলেন?
উঃ শঙ্কু স্বর্ণপর্ণী গাছড়াটিকে শিকড়সুদ্ধ তুলে গিরিডিতে নিয়ে আসেন। তারপর মালি হরক্ষিণের ওপর এর পরিচর্যার ভার দেন।
১৪) স্বর্ণপর্ণীর অবিশ্বাস্য গুণাগুণ কীভাবে টের পাওয়া গেল?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু ওষুধের দৌড় যাচাই করার উদ্দেশ্যে, তা উদরিতে আক্রান্ত মরণাপন্ন রোগী জয়গোপাল মিত্রের ওপর প্রয়োগ করেন এবং তিনি রাতারাতি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
১৫) প্রোফেসর শঙ্কু ওষুধটির নামকরণ করলেন কীভাবে?
উঃ শঙ্কুর পরিকল্পনায় আধুনিক ওষুধের মতো বড়ি আকারের স্বর্ণপণী যখন যন্ত্রের নল থেকে বেরিয়ে আসছে, তখন বিদ্যুৎ ঝলকের মতো মিরাকিউরল নামটি তাঁর মাথায় আসে।
১৬) মিরাকিউরল নামকরণ করার পিছনে কী যুক্তি ছিল?
উঃ স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা থেকে তৈরি এই ওষুধের সাহায্যে সব অসুখের নিমেষে উপশম হয় বলে শঙ্কু এর মিরাকিউরল বা সর্বরোগনাশক বড়ি নামকরণ করেছিলেন।
১৭) শঙ্কুর পত্রবন্ধু জেরেমি সন্ডার্সের কী হয়েছিল?
উঃ শঙ্কুর পত্রবন্ধু জেরেমি সন্ডার্সের যকৃতে ক্যানসার হয়েছিল।
১৮) জেরেমি সন্ডার্স কেন শঙ্কুকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন?
উঃ ইংল্যান্ডের বৈজ্ঞানিক ও ডাক্তারমহলে স্বর্ণপণী বিষয়ে জানানো আর এর রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য সন্ডার্স শঙ্কুকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
১৯) শঙ্কু ইংল্যান্ডে গিয়ে কী কী দেখেছিলেন?
উঃ শঙ্কু ইংল্যান্ডে গিয়ে কেম্ব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মিউজিয়াম প্রভৃতি দেখেছিলেন।
২০) মিরাকিউরল কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা অবান্তর ছিল কেন?
উঃ রাসায়নিক বিশ্লেষণে স্বর্ণপর্ণীতে একটি অজ্ঞাত উপাদান আছে, রসায়নে যার পরিচিতি নেই। তাই কৃত্রিম উপায়ে মিরাকিউরল তৈরি করা যাবে না।
২১) নরবার্ট স্টাইনার কী কারণে শঙ্কুর শরণাপন্ন হয়েছিলেন?
উঃ গেস্টাপোদের অত্যাচারে অর্ধমৃত পিতা ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ স্টাইনারকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য নিয়ে নরবার্ট প্রোফেসর শঙ্কুর শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
২২) গেস্টাপো কী?
উঃ জার্মানিতে হিটলারের শাসনকালে ইহুদিদের অত্যাচার ও নিধনের উদ্দেশ্য নিয়ে গুপ্ত পুলিশবাহিনী বা গেস্টাপো গঠিত হয়েছিল।
২৩) বার্লিন শহরটিকে দেখে শঙ্কুর কী মনে হয়েছিল?
উঃ পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শহর বার্লিন, অল্পসময়ের মধ্যেই টের পান। কিন্তু এর যান্ত্রিকতা তাঁর খুব একটা পছন্দ হয়নি।
২৪) শঙ্কু জীবনের ঝুঁকি নিয়েও জার্মানিতে যেতে চেয়েছিলেন কেন?
উঃ ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ স্টাইনারের মতো মনীষী ও পণ্ডিতকে প্রাণে বাঁচালে শঙ্কুর অন্তরাত্মা তৃপ্ত হবে, এই উপলব্ধি থেকেই তিনি জার্মানিতে যেতে চেয়েছিলেন।
২৫) জার্মানিতে রওনা হওয়ার সময় শঙ্কুকে কী দিয়েছিলেন সন্ডার্স?
উঃ কুখ্যাত গেস্টাপো-ব্ল্যাকশার্টদের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য শঙ্কুকে একটি লুগার অটোমেটিক রিভলভার দিয়েছিলেন সন্ডার্স।
২৬) হিটলারশাসিত জার্মানি শঙ্কুর চোখে কেমন ছিল?
উঃ যে পুলিশশাসিত দেশের কর্ণধার অত্যাচারী, দুর্নীতির পরাকাষ্ঠা সেখানকার মানুষের নিরুদবিগ্ন অবস্থা, ঝলমঙ্গে দোকানপাট, সিনেমা-থিয়েটারের ভিড় অর্থাৎ আরোপিত স্বাভাবিকতা দেখে শঙ্কু আশ্চর্য হয়েছিলেন।
২৭) হিটলার কী চেয়েছিলেন?
উঃ নাতসি দলের সর্বাধিনায়ক ক্ষমতাগর্বী যুদ্ধবাজ হিটলার সমগ্র সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
২৮) আত্মম্ভরী হিটলারের কয়েকজন সঙ্গীসাথির নাম লেখো।
উঃ হিটলারের যথেচ্ছাচারের মদতদাতা ছিলেন সামরিক বিভাগের প্রধান গোয়রিং, প্রচারসচিব গোয়বেল্স, হিমলার, রিবেনট্রপ প্রমুখ কুখ্যাত ব্যক্তিগণ।
২৯) গোয়রিং-এর পরিকল্পনা কী ছিল?
উঃ গোয়রিং-এর পরিকল্পনা ছিল শঙ্কুকে আটক করে নিজের গ্ল্যান্ডের অসুস্থতা সারানো এবং মিরাকিউরলকে নাৎসি দলের মধ্যে কুক্ষিগত করা।
৩০) ব্ল্যাকশার্ট এরিখ-এর কী অসুখ হয়েছিল?
উঃ ব্ল্যাকশার্ট এরিখ-এর মৃগী বা এপিলেপ্সি হয়েছিল।
৩১) গোয়রিংকে ওষুধ দেওয়ার আগে শঙ্কু কোন্ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন?
উঃ গোয়রিংকে ওষুধ দেওয়ার আগে শঙ্কু তার মাধ্যমে হাইনরিখ স্টাইনারের পথের বাধা অপসারণ করানোর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন।
৩২) গোয়রিং এবং এরিখ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কেন?
উঃ মিরাকিউরলের বদলে গোয়রিং এবং এরিখের কপালে জুটেছিল সন্ডার্সের দেওয়া ঘুমের ওষুধ। তাই তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
৩৩) প্রোফেসর শঙ্কুর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলির নাম লেখো।
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলি হল – মিরাকিউরল, অ্যানাইহিলিন, রিমেমব্রেন, এয়ারকন্ডিশনিং পিল, লিঙ্গুয়াগ্রাফ, অরনিথন ইত্যাদি।
৩৪) প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ কোন্ বয়সে কী কী পাস করেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু বারো বছর বয়সে ম্যাট্রিক, চোদ্দোয় ভাই এস সি, আর ষোলো বছর বয়সে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বি এস সি পাস করেন।
৩৫) প্রোফেসর শঙ্কুর পিতা কোথাকার অপ্রতিদ্বন্দ্বী চিকিৎসক ছিলেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর পিতা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু গিরিডির অপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন।
৩৬) ‘সোনেপত্তী’ কী? তা শঙ্কু কোথা থেকে পেয়েছিলেন ?
উঃ ‘চরকসংহিতা’য় বর্ণিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গাছকে টিক্ড়ীবাবা ‘সোনেপত্তী বলে সম্বোধন করেছিলেন। এটি শঙ্কু কসৌলির চামুণ্ডার মন্দিরের পিছনের জঙ্গল থেকে পেয়েছিলেন।
৩৭) প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ পাতা থেকে ‘মিরাকিউরল’ বড়ি তৈরি করেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর পাতা থেকে ‘মিরাকিউরল’ বড়ি তৈরি করেন।
৩৮) ‘গাছটাকে শেকড়সুদ্ধ তুলে…’-কে, কীভাবে গাছটাকে শিকড়সুদ্ধ তুলেছিল?
উঃ শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর গাছড়াটিকে গিরিডিতে নিয়ে আসার জন্য যখন কোদাল চালিয়ে তুলে আনতে ব্যস্ত, তখন ছোটেলাল তাঁর অপটু হাত থেকে কোদালটা নিয়ে সেটি শিকড়সুদ্ধ তুলে আনে।
৩৯) মার্জারিন কে, কীজন্য আবিষ্কার করেন?
উঃ শঙ্কুর প্রিয়তম সঙ্গী ছিল বিড়াল নিউটন। এটিকে ছাড়া শঙ্কুর সম্পূর্ণ একলা হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই তিনি গবেষণা করে মার্জারিন ওষুধটি আবিষ্কার করেন; যা নিউটনকে দীর্ঘ আয়ু দিয়েছিল।
৪০) স্বর্ণপর্ণীর প্রয়োগ প্রোফেসর শঙ্কু প্রথম কার ওপর করেন?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু আজন্ম গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্রের উদরি সারাতে প্রথম স্বর্ণপর্ণী প্রয়োগ করেন।
৪১) শঙ্কুর প্রথম ওষুধ প্রয়োগে কী ফল দিয়েছিল?
উঃ শঙ্কু গিরিডিনিবাসী উকিল মরণাপন্ন জয়গোপাল মিত্রের ওপর গুঁড়ো করা দুটি স্বর্ণপর্ণীর পাতা প্রয়োগ করায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।
৪২) ‘মিরাকিউরল’ শব্দটির বাংলা অর্থ কী?
উঃ সর্বরোগনাশক বড়ি অর্থাৎ মিরাকল কিওর ফর অল কমপ্লেন্টস।
৪৩) জেরেমি সন্ডার্সের সঙ্গে প্রোফেসর শঙ্কুর পরিচয় হয়েছিল কীভাবে?
উঃ ‘নেচার’ পত্রিকার গ্রাহক শঙ্কু জেরেমি সন্ডার্সের একটি প্রবন্ধ পড়ে তাকে একটি চিঠি দেন। সেই থেকে পারস্পরিক পত্র বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁরা ক্রমে পত্রবন্ধু হয়ে ওঠেন।
৪৪) “কিন্তু এ যে নিদারুণ দুঃসংবাদ!’— নিদারুণ দুঃসংবাদটি কী?
উঃ জেরেমি সন্ডার্সের যকৃতে ক্যানসারের কথা তার স্ত্রী ডরোথি শঙ্কুকে চিঠি লিখে জানান। এটাই শঙ্কুর কাছে নিদারুণ দুঃসংবাদ ছিল।
৪৫) দুঃসংবাদ শুনে প্রোফেসর শঙ্কু কী করেছিলেন?
উঃ জেরেমি সন্ডার্সের যকৃতে ক্যানসারের কথা জেনে শঙ্কু তৎক্ষণাৎ তাঁর স্ত্রী ডরোথিকে দশটি মিরাকিউরলের বড়ি এয়ারমেলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে চিঠিতে ছিল এটি খাওয়ানোর ‘কাতর’ অনুরোধ ও অন্যান্য পরামর্শ।
৪৬) ‘এটা কি কোনো ভারতীয় ভেলকি?’- কে, কেন এই কথা বলেছিলেন?
উঃ শঙ্কুর বন্ধু জেরেমি সন্ডার্স যকৃতে ক্যানসার থেকে সেরে উঠেই তাঁর গিরিডির বাসায় এসে হাজির হন। তখন তিনি শঙ্কুর সাক্ষাৎ পেয়ে এ কথা বলেন।
৪৭) ‘এ ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না?— কোন্ ঋণের কথা বক্তা উল্লেখ করেছেন?
উঃ এখানে জেরি তথা জেরেমি সন্ডার্সের সুস্থতার পেছনে শঙ্কুর ঋণের কথা বলেছেন সন্ডার্সের মা।
৪৮) ‘মিরাকিউরল’-এর কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করে কী উপাদান পাওয়া গিয়েছিল?
উঃ মিরাকিউরলের বিশ্লেষণ করে সবরকম ভিটামিন থাকার কথাই জানা গিয়েছিল। এ ছাড়া পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, আয়োডিন এবং জীবাণু প্রতিষেধক অ্যালিল সালফাইডের উপস্থিতিরও উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাই উল্লিখিত হয়েছিল যে, এমন একটি উপাদান স্বর্ণপর্ণীতে রয়েছে রসায়নে যার উল্লেখ নেই।
৪৯) ‘হাইল হিটলার’ কথার অর্থ কী?
উঃ ‘হাইল হিটলার’ কথার বাংলা অর্থ হল ‘হিটলার জিন্দাবাদ’।
৫০) জার্মান শব্দ ‘সুভাসটিকা’-এর বাংলা অর্থ কী?
উঃ জার্মান শব্দ ‘সুভাসটিকা’-এর বাংলা অর্থ ‘স্বস্তিকা’।
৫১) ব্ল্যাকশার্ট কী?
উঃ হিটলারের নাতসি পুলিশবাহিনীর নাম ব্ল্যাকশার্ট।
৫২) গোয়রিং-এর প্রাসাদের নাম কী?
উঃ গোয়রিং-এর প্রাসাদের নাম ‘কারিনহল’।
৫৩) ‘কারিনহল’ সম্পর্কে গোয়রিং-এর স্বপ্ন কী ছিল?
উঃ ‘কারিনহল’ সম্পর্কে গোয়রিং-এর স্বপ্ন ছিল, অদুর ভবিষ্যতে এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৌধের একটিতে পরিণত হবে।
৫৪) কুরফ্যুরস্টেনডাম কী?
উঃ জার্মানির বার্লিনের একটি জায়গার নাম হল কুরফ্যুরস্টেনডাম।
৫৫) প্রোফেসর শঙ্কু কী শর্তে হের গোয়রিং-কে মিরাকিউরলের বড়ি দিতে রাজি হয়েছিলেন?
উঃ ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ স্টেইনারের প্যারিসে যাওয়ার পথের বাধা অপসারিত করার নির্দেশ কার্যকর করলে তবেই গোয়রিং মিরাকিউরল পাবে। এই শর্তে শঙ্কু তাকে মিরাকিউরলের বড়ি দিয়েছিলেন।
৫৬) ‘আমার মন থেকে সব অন্ধকার দূর হয়ে গেল’— কে এই কথা ভেবেছিলেন?
উঃ উদ্ধৃতাংশটির বক্তা প্রোফেসর শঙ্কু এই কথা ভেবেছিলেন।
স্বর্ণপর্ণী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : (মান ৩)
১) ‘আমার খ্যাতি প্রধানত ইনভেন্টর বা আবিষ্কারক হিসাবে’ – বক্তা নিজের আবিষ্কারগুলির যে উল্লেখ করেছেন সেগুলি বিবৃত করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তার বিভিন্ন আবিষ্কারঃ
প্রোফেসর শঙ্কু একজন বৈজ্ঞানিক ও আবিষ্কারক। পাঁচটি মহাদেশ তাঁকে টমাস অ্যালভা এডিসনের পরেই বৈজ্ঞানিক হিসেবে স্থান দিয়েছিল। গুরুত্বের নিরিখে তাঁর প্রথম উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার মিরাকিউরল বা সর্বরোগনাশক বড়ি। তার পরেই উল্লেখ করেছেন অ্যানাইহিলিন পিস্তল, যা শত্রুকে নিহত না করে নিশ্চিহ্ন করে। এরপরে এয়ারকন্ডিশনিং পিল, স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য রিমেমব্রেন, ঘুমের অব্যর্থ বড়ি সমনোলিন, অতি সস্তায় আলো দেওয়ার যন্ত্র লুমিনিম্যাক্স, অচেনা ভাষা ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য লিঙ্গুয়াগ্রাফ, পাখিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অরনিথন ইত্যাদি।
২) ‘তাদের কথা ভুলিস না’ — কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে লেখো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
শঙ্কু পড়াশোনার পাট শেষ করলে তাঁর বাবা তাঁকে তখনই চাকরি না করে বিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিষয়গুলি পড়তে বলেন। শঙ্কু তাতে রাজি হলেও পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তখন শঙ্কুর বাবা ছেলের কথা মেনে নিয়ে বলেন যে, যারা দরিদ্র কিংবা নিরক্ষর, সমাজে যারা মাথা উঁচু করে চলতে পারে না, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে শঙ্কু যেন তাদের কথা মনে রাখে। এই প্রসঙ্গে শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
৩) ‘অগত্যা সন্ডার্সের প্রস্তাবে সায় দিতে হলো’ – সন্ডার্সের প্রস্তাবটি কী ছিল তা আলোচনা করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
সন্ডার্সের প্রস্তাবঃ
প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর মহাশক্তিশালী ওষুধ মিরাকিউরলের কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করেননি শুনে সন্ডার্স তাঁকে লন্ডনে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি শঙ্কুকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, উপাদানগুলি জানতে পারলে গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে এই ওষুধ তৈরি করে বাজারে ছাড়া যেতে পারে। বহু মানুষের জন্য তা মঙ্গলজনক হবে। তা ছাড়া পশ্চিমি দুনিয়া হল আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষকেন্দ্র। তাই বৈজ্ঞানিক হিসেবে শঙ্কুর একবার সেখানে যাওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব শঙ্কু অস্বীকার করতে পারেননি।
৪) ‘তোমার আসার কারণটা জানতে পারি কি?’ – প্রশ্নটি কে করেছিলেন? এর কোন্ উত্তর গল্পে পাওয়া যায় লেখো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উইলোবি রোডে সন্ডার্সের বাড়িতে নরবার্ট স্টাইনার উপস্থিত হলে প্রাথমিক কথাবার্তার পরে সন্ডার্স তাঁর আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
প্রাপ্ত উত্তরঃ
নরবার্ট জানান যে তাঁর বাবা হাইনরিখ স্টাইনার বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন। কিন্তু নাৎসিরা জার্মানির সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইহুদিদের তাড়িয়ে দিয়েছে। নাৎসি গুপ্ত পুলিশ গেস্টাপোদের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন অধ্যাপক স্টাইনার। তিনি হাইল হিটলার বলতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মেরে আধমরা করে দিয়েছে। এখন মিরাকিউরলের বড়ির কথা শুনেই বাবাকে সুস্থ করতে নরবার্ট শঙ্কুর কাছে এসেছিলেন।
৫) ‘সর্বনাশে সমুৎপন্নে অর্ধং ত্যজতি পণ্ডিতঃ’ – প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
স্টাইনারদের ঘরে জার্মান পুলিশ ব্ল্যাকশার্ট প্রবেশ করে। এবং ডান হাত প্রসারিত করে উপরদিকে তুলে বলে, হাইল হিটলার। শঙ্কুকে নির্বাক দেখে পুলিশের গলা আরও চড়ে যায়। শঙ্কুও সময় নষ্ট না করে হাইল হিটলার বলে ওঠেন। এই প্রসঙ্গেই শঙ্কুর মনে হয়েছে যে সর্বনাশ উপস্থিত হলে পণ্ডিতেরা অর্ধেক আত্মসম্মান ত্যাগ করেন। শঙ্কু ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য অর্ধেক কেন সম্পূর্ণ আত্মসম্মান ত্যাগ করতেই রাজি হয়ে যান।
৬) ‘কিন্তু আসল উদ্দেশ্য সেটা নয়’ – কোন্ উদ্দেশ্যের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
উদ্দেশ্যের পরিচয়ঃ
গোয়রিং শঙ্কুকে নিয়ে এসেছিল তাঁর কারিনহল প্রাসাদে। এর পিছনে তাঁর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল একজন ভারতীয়কে তাঁর কান্ট্রি হাউস দেখানো। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল মিরাকিউরলের প্রয়োগে তাঁর গ্ল্যান্ডের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া। এই সমস্যার জন্য তাঁর ওজন ছিল একশো সত্তর কিলো, প্রচণ্ড ঘাম হওয়ায় দিনে তাঁকে আটবার শার্ট বদলাতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম করেও কোনো ফল হচ্ছে না। অতিরিক্ত চর্বি তাঁর কাজের অসুবিধা ঘটায়। ক্যানসার, যক্ষ্মা, উদরি ইত্যাদি যখন সেরেছে তখন মিরাকিউরল তাঁর সমস্যাও দূর করবে এই আশাতেই তাঁর শঙ্কুকে নিয়ে আসা।
স্বর্ণপর্ণী প্রশ্ন উত্তর : (মান ৫)
১) প্রফেসর শঙ্কুর ‘মিরাকিউরল’ ওষুধ আবিষ্কারের কাহিনি ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প অবলম্বনে লেখো। ৫
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিক তথা চলচ্চিত্রকার “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-র অন্তর্গত “স্বর্ণপর্ণী” গল্পে আমরা প্রফেসর শঙ্কুর সর্বরোগনাশক বড়ি ‘মিরাকিউরল’ আবিষ্কারের কাহিনি সম্পর্কে অবগত হই।
টিকড়ীবাবার কাহিনিঃ
প্রফেসর শঙ্কু তাঁর পিতা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কাছে টিক্ড়ীবাবার সম্পর্কে জানতে পারেন। কাশীতে থাকাকালীন যখন টিকড়ীবাবা পান্ডুরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তাঁর গুরুদেব তাকে দুটো সোনেপত্তির পাতা গুঁড়ো করে দুধের সাথে রাতে শোবার আগে খাবার পরামর্শ প্রদান করলে, তিনি উপশম লাভ করেন।
স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানঃ
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর প্রফেসর শঙ্কু অত্যাশ্চর্য সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর পাতা সংগ্রহের জন্য কসৌলির থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে এক চামুন্দার মন্দিরের ভগ্নাবশেষের পিছনে জঙ্গলের পাশে এক ঝরণার ধারে স্বর্ণপর্ণীর গাছের সন্ধান পান। এই কাজে তাকে সহায়তা করে ঘোড়ার মালিক ছোটেলাল।
মিরাকিউরলের আবিষ্কারঃ
স্বর্ণপর্ণী গাছ নিয়ে তিন্দিন পরে প্রফেসর শঙ্কু বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে সেই গাছের রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্বভার অর্পণ করেন তাঁর বাড়ির মালি হরকিষণকে। গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্রের উপর তিনি প্রথম এই স্বর্ণপর্ণীর পাতা ওষুধ রূপে প্রয়োগ করে সফলতা পান। মালি হরকিষণের পরিচর্যায় তাদের বাগানের দক্ষিণদিকে আরো এগারোটি স্বর্ণপর্ণীর গাছ জন্মলাভ করলে প্রফেসর শঙ্কু সেই গাছের পাতা থেকে তৈরি করেন সর্বরোগনাশক বড়ি ‘মিরাকিউরল’ অর্থাৎ ‘মিরাক্ল কিওর ফর অল কমপ্লেন্টস’।
LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)
নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232
১) প্রফেসর শঙ্কুর স্বর্ণপর্ণী গাছ সংগ্রহের কাহিনি সংক্ষেপে লেখো। ৫
উত্তরটি দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
২) ‘সন্ডার্সের হাতটা মুঠো করে ধরলাম – মুখে বলতে পারলাম না’- সন্ডার্সের হাত মুঠো করে ধরার কারণ কী? কথক মুখে কিছু বলতে পারলেন না কেন? ৩+২
উত্তরটি দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে