সিন্ধুতীরে কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সিন্ধুতীরে কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা আলোচনাটি প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা সিন্ধুতীরে SAQ প্রশ্নের উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সিন্ধুতীরে কবিতার পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
সিন্ধুতীরে কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা :
১) “কন্যারে ফেলিল যথা…।”–কন্যাকে কোথায় ফেলা হয়েছিল?
উঃ কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে।
২) “অতি মনোহর দেশ…।”—কোন্ দেশকে ‘অতি মনোহর’ বলা হয়েছে?
উঃ সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে ‘অতিমনোহর দেশ’ বলা হয়েছে।
৩) “তার পাশে রচিল উদ্যান।।”—কার পাশে উদ্যান রচনা করা হয়েছিল?
উঃ সমুদ্রতীরে যে-দিব্যস্থান ছিল—তার ওপরে ফল-ফুলে সজ্জিত পর্বতের পাশে উদ্যান রচনা হয়েছিল।
৪) “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি”—কোথাই ‘বিচিত্র টঙ্গি’ ছিল?
উঃ সিন্ধুতীরে দিব্যস্থানে যে-সুন্দর উদ্যান—সেই উদ্যানেই ছিল বিচিত্র টঙ্গি।
৫) “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।”—উদ্ধৃতাংশে কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে ?
উঃ উদ্ধৃতাংশে রূপকথার সমুদ্রপুরীর সমুদ্রকন্যা সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে।
৬) “সিন্ধুতীরে রহিছে মাস।।” – উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ কী? তা কীসের জন্য রয়েছে?
উঃ উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার যাতায়াতের জন্য রয়েছে।
৭) “অনুমান করে নিজ চিতে।”—কে, কী অনুমান করে ?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের হৃদয়ে অনুমান করে যে, হয়তো কোনো স্বর্গীয় অপ্সরী দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে মর্তে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
৮) “দেখে চারি সখী চারিভিত।” – উদ্ধৃতাংশে কোন্ চার সখীর কথা বলা হয়েছে ?
উঃ উদ্ধৃতাংশে মূৰ্ছিতা পদ্মাবতীর চারদিকে যে চারজন সখী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।
৯) “বেকত দেখিয়ে আঁখি”— ‘বেকত’ কথাটির অর্থ কী?
উঃ ‘বেকত’ কথাটির অর্থ হল প্রকাশিত।
১০) “মোহিত পাইয়া সিন্দু-ক্লেশ।।”—কথাটির অর্থ কী?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা মূৰ্ছিত পদ্মাবতীকে দেখে অনুমান করেছেন যে, হয়তো সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে নৌকা ভেঙে সমুদ্র-ক্লেশে পীড়িত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে।
১১) “বাহুরক কন্যার জীবন।”–‘বাহুরক’কথাটির অর্থ কী? কোন কন্যার জীবন সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
উঃ ‘বাহুরক’কথাটির অর্থ হল ফিরে আসুক। অচৈতন্য কন্যা পদ্মাবতী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।
১২) “বিধি মোরে না কর নৈরাশ।।”—উক্তিটি কার? তার এরূপ উক্তির কারণ কী?
উঃ উক্তিটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার। সে স্নেহপ্রবণ মন থেকে অচৈতন্য পদ্মাবতীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার থেকে যেন সে বঞ্চিত না-হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনাটাই তার মুখ্য প্রত্যাশা। তাই সে এমন উক্তি করেছে।
১৩) “উদ্যানের মাঝে নিল/পঞজনে বসনে ঢাকিয়া।”- কে, কাদের উদ্যানের মাঝে নিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল।
১৪) “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”- পঞ্চকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে অচৈতন্য পঞ্চকন্যাদের বহু যত্নে সেবা শুশ্রুষা করে চেতনা ফিরিয়ে আনল।
১৫) “চিকিৎসিমু প্রাণপণ /কৃপা কর নিরঞ্জন”- এ আবেদন কার ?
উঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাংশে এ-আবেদন পদ্মার।
১৬) সখীরা অচৈতন্য কন্যার কতক্ষণ চিকিৎসা করেছিল ?
উঃ সখীরা অচৈতন্য কন্যার চারদণ্ড ধরে চিকিৎসা করেছিল।
১৭) ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে?
উঃ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কবি সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে।
১৮) কবি সৈয়দ আলাওল কোন সময়ের কবি ছিলেন?
উঃ সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতকের কবি ছিলেন।
১৯) ‘বাহুরক কন্যার জীবন’- কীভাবে পঞ্চকন্যা জীবন ফিরে পাবে বলে পদ্মার বিশ্বাস ছিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মার বিশ্বাস এই যে, তার পিতার পুণ্যফলে এবং তার নিজের ভাগ্যের জোরে উক্ত পঞ্চকন্যা পুনরায় জীবন ফিরে পাবে।
২০) ‘অতি মনােহর দেশ’ – সেই দেশকে মনােহর বলা হয়েছে কেন?
উঃ সেই দেশ অর্থাৎ সমুদ্র-মধ্যবর্তী দিব্যপুরীকে ‘অতি মনোহর দেশ’ বলা হয়েছে কারণ সেখানে দুঃখ যন্ত্রণা ছিল না এবং সর্বদাই সত্য-ধর্ম-সদাচার বিরাজ করতো।
২১) ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’ – ‘কন্যা’ কোথায় থাকে?
উঃ ‘কন্যা’ অর্থাৎ সমুদ্রদুহিতা পদ্মা সমুদ্রতীরের পাশেই এক দিব্যস্থানে বহুরত্নশোভিত প্রাসাদে থাকত।
২২) ‘অচৈতন্য পড়িছে ভূমিতে।’ – কী কারণে অচৈতন্য হয়ে ভূমিতে পড়েছে?
উঃ সামুদ্রিক ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে চারসখী সহ পদ্মাবতী ভূমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল।
২৩) ‘বিধি মােরে না কর নৈরাশ।’ – বিধির কাছে এই প্রার্থনা কেন?
উঃ ‘চিত্রের পোতলি সমা’ পদ্মাবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাকে সুস্থ করে তুলতে চেয়েছিল। তাই বিধাতার কাছে সে এই প্রার্থনা করেছিল।
২৪) ‘পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।’ – কী ভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল?
উঃ সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীদের সেবা এবং চিকিৎসায় পঞ্চকন্যা ‘চেতন’ ফিরে পেয়েছিল।
২৫) ‘শ্ৰীযুক্ত মাগন গুণী’- মাগন গুণীর পরিচয় দাও।
উঃ মাগন গুণী বা মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজ্যের প্রধান অমাত্য বা প্রধানমন্ত্রী।