sobdo-toirir-koushol-question-answers

শব্দ তৈরির কৌশল । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শব্দ তৈরির কৌশল । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ প্রদান করা হলো। আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রদান করা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের নোট বিভাগে সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে।

শব্দ তৈরির কৌশল । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ : 

 

১) গঠনগত দিক থেকে শব্দকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ গঠনগত দিক থেকে শব্দকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – মৌলিক শব্দ ও সাধিত শব্দ। 

 

২) প্রত্যয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উঃ প্রত্যয়কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়। 

 

৩) কৃৎ প্রত্যয়ঃ

ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর সাথে যে সকল প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎপ্রত্যয় বলে।
ধাতুর পরে কৃৎ-প্রত্যয়যোগে যে শব্দ গঠিত হয় তাকে কৃদন্ত শব্দ বলে।

যেমন –

পড় + আ = পড়া

চল্ + অন্ত = চলন্ত

খেল্ + আ = খেলা ইত্যাদি।

 

৪) কৃৎ প্রত্যয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী? 

উঃ কৃৎপ্রত্যয়কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

ক) খাঁটি বাংলা কৃৎপ্রত্যয়

খ) সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয়। 

 

৫) তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ 

উঃ বিভক্তিহীন নাম শব্দ বা নাম প্রকৃতির পরে যে সব প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন –

বোকা + আমি = বোকামি

মিথ্যা + উক = মিথ্যুক

শিকার + ঈ = শিকারী

‘বোকা’, ‘মিথ্যা’, ‘শিকার’ – শব্দগুলোর সাথে যথাক্রমে ‘আমি’, ‘উক’ এবং ‘ঈ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে।

 

৬) তদ্ধিত প্রত্যয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? 

উঃ বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার। যথা –

ক) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

খ) সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গ) বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়। 

 

৭) বাংলা কৃৎ প্রত্যয়ঃ 

উঃ খাঁটি বাংলা কৃৎপ্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন:

১। অ-প্রত্যয় : কেবল ভাববাচ্যে অ-প্রত্যয় যুক্ত হয়। এটি একটি লুপ্ত প্রত্যয়।যেমন-
√চল্ + অ = চল
√হার্ + অ = হার
√ধর্ + অ = ধর
√বল্ + অ = বল
√ডাক্ + অ = ডাক
√ছাড়ু + অ = ছাড়

অ-প্রত্যয় যুক্ত হলে কোন কোন স্থানে স্বরের গুণ হয়। যেমন- √খুঁজ্ + অ = খোঁজ,√ঝুঁক্ + অ ঝোঁক

২। অন-প্রত্যয়: ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে অন-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
√চল্ + অন = চলন
√বাঁধ + অন = বাঁধন
√ঝুল্ + অন = ঝুলন
√দুল্ + অন দুলন >দোলন
√নাচ্ + অন = নাচন

আ-কারান্ত ধাতুর সাথে ‘অন’ স্থানে ‘ওন’ হয়। যেমন— √না + ওন = নাওন ,√খা + ওন = খাওন কখনও কখনও অন-প্রত্যয় দ্বারা বস্তুবাচক শব্দ গঠিত হয়। যেমন—
√ঝাড়ু + অন = ঝাড়ন (যা দিয়ে ঝাড়া হয়)
√মাজ্‌ + অন = মাজন (যা দিয়ে মাজা হয়)

৩। অনা-প্রত্যয় : অনা-প্রত্যয় অন-প্রত্যয়ের একটি প্রসারিত রূপ। ভাববাচ্যে এবং কর্মবাচ্যে অনা-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন—
√খেল্ + অনা = খেলনা
√ঢাক্ + অনা =ঢাকনা
√বাজ্ + অনা = বাজনা
√রাঁধ + অনা = রাধনা > রান্না
√দুল্ + অনা = দুলনা > দোলনা

৪। অনি (উনি)-প্রত্যয় : ভাববাচ্যে এ প্রত্যয় হয়। যেমন—
√নাচ্ + অনি = নাচুনি > নাচুনি
√কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি > কাঁপুনি
√চাহ্ + অনি = চাহনি > চাহুনি
√বক্ + অনি = বকনি> বকুনি
√গাঁথ্ + অনি = গাঁথনি >গাঁথুনি
√চির্ + অনি = চিরনি >চিরুনি

৫। আ-প্রত্যয় : ভাববাচ্যে ও কর্মবাচ্যে আ-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন-
√কাঁদ্ + আ = কাঁদা
√হাস্ + আ = হাসা
√কর্ + আ = করা
√বাচ্ + আ = বাঁচা
√খেল্ + আ = খেলা
√পড়ু + আ = পড়া

৬। আন-প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনের জন্য আন-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
√বাঁধ + আন = বাঁধান > বাঁধানো
√উডু + আন = উড়ান > উড়ানো
√চাপ্ + আন = চালান > চালানো
√জ্বাল + আন = জ্বালান > জ্বালানো
√শুন্ + আন = শুনান > শুনানো

৭। আনি-প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে আনি-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
√ভাঙ্ + আনি = ভাঙানি
√শুন্ + আনি = শুনানি
√জান্ + আনি = জানানি
√রাঙ্ + আনি = রাঙানি
√পিট্ + আনি = পিটানি

৮। অক-প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে অক-প্রত্যয় যোগ করা হয়। যেমন—
√ঘট্ + অক = ঘটক
√ফল্ + অক = ফলক
√ঝল্ + অক = ঝলক
√টন্ + অক = টনক
√চডু + অক = চড়ক
√পাঠ + অক = পাঠক
√দুল্ + অক = দোলক
√মুডু + অক = মোড়ক

৯। অল-প্রত্যয় : যেমন-
√ফাট্ + অল = ফাটল
√পিছ্ + অল = পিছল

১০। আল-প্রত্যয় : বিশেষ্য অথবা বিশেষণ পদ গঠনে আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন –
√মিশ্ + আল = মিশাল
√রাখ্ + আল = রাখাল
√নাগ্ + আল = নাগাল
√মাত্‌ + আল = মাতাল

১১। অন্ত-প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যে ‘হচ্ছে’, ‘করছে’ এরূপ অর্থে ধাতুর শেষে অন্ত-প্রত্যয় যুক্ত হয়। এ প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দগুলো কৃদন্ত বিশেষণ। যেমন—
√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত
√ফল্ + অন্ত = ফলন্ত
√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত
√উড্ + অন্ত = উড়ন্ত
√জ্বল্ + অন্ত =জ্বলন্ত
√ভাস + অন্ত = ভাসন্ত
√চল্ + অন্ত = চলন্ত
√ঝুল্ + অন্ত = ঝুলন্ত
√ঘুম্ + অন্ত = ঘুমন্ত
√পড় + অন্ত = পড়ন্ত
√জী + অন্ত = জীয়ন্ত > জ্যান্ত
√বাড়ু + অন্ত = বাড়ন্ত

১২। আই-প্রত্যয় : ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে আই-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন—
√লডু + আই =লড়াই
√বডু + আই =বড়াই
√খাড়ু + আই = খাড়াই
√সিল্‌ + আই = সিলাই > সেলাই
√চডু + আই = চড়াই
√মাড় + আই = মাড়াই
√পিট্ + আই = পিটাই
√খুদ্ + আই = খুদাই > খোদাই
√ঝাল + আই = ঝালাই
√বাছ্ + আই = বাছাই

১৩। আও-প্রত্যয় : ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে আও-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন—
√চড়ু + আও = চড়াও
√পাকড় + আও = পাকড়াও
√ছাড়ু + আও = ছাড়াও
√বাড়ু + আও = বাড়াও

১৪। ই-প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে ই-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন—
√হাস্ + ই = হাসি
√ছুট্ + ই = ছুটি
√ফাঁস্ + ই = ফাঁসি
√ঝাপ্ + ই = ঝাঁপি
√ভাজ্ + ই = ভাজি

১৫। ইয়া (ইয়ে) প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ইয়ে-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন—
√কহ + ইয়ে = কহিয়ে > কইয়ে
√বল্ + ইয়ে = বলিয়ে
√নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে
√গাহ্ + ইয়ে = গাহিয়ে
√পড় + ইয়ে = পড়িয়ে
√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে
√কর্ + ইয়ে = করিয়ে
√খেল্ + ইয়ে = খেলিয়ে
√লিখ্ + ইয়ে = লিখিয়ে
√কর + ইয়ে = করিয়ে

১৬। ইত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ইত-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
√চপ্ + ইত = চলিত
√মথ্ + ইত = মথিত
√শান্ + ইত = শানিত
√পাল্ + ইত= পালিত
√দল্ + ইত = দলিত

১৭। আরী/ আরি-প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে আরী-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-
√পূজ্ + আরী = পূজারী
√ভিখ্ + আরী = ভিখারী
√ডুর্ + আরী = ডুবারী > ডুবুরী
√শাঁখ্ + আরি = শাখারি

১৮। আরু-প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে আরু-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন—
√খোঁজ্ + আরু = খোঁজারু
√খা + উয়া = খাউয়া > খাওয়া
√সাঁত + আরু = সাঁতারু
√ডুব্ + আরু = ডুবারু

১৯। উ-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ গঠনে উ-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন-
√ডাক্ + উ = ডাকু
√উডু + উ = উড়ু
√ঝাড় + উ = ঝাড়ু

২০। উয়া-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ গঠনে উয়া-প্রত্যয় যোগ হয়। যেমন—
√উড্ + উয়া = উড়ুয়া > উড়ো
√পড় + উয়া = পড়ুয়া পড়ো

২১। উক-প্রত্যয় : যেমন—
√লাজ্ + উক = লাজুক
√মিশ্ + উক = মিশুক
√ভাব্ + উক = ভাবুক
√চুম্ + উক = চুমুক

২২। উনি প্রত্যয় : যেমন—
√রাধ + উনি = রাঁধুনি
√কাঁদ্ + উনি = কাঁদুনি
√চাল্ + উনি = চালুনি
√বক্ + উনি = বকুনি

২৩। কা—প্রত্যয় : যেমন—
√কোঁচ্ + কা = কোঁচকা
√হেঁচ্ + কা = হেঁচকা

২৪। কি-প্রত্যয় : যেমন-
√মুচ্ + কি = মুচকি
√ফুট্ + কি = ফুটকি
√মুড্‌ + কি = মুড়কি
√সড় + কি = সড়কি

২৫। তা—প্রত্যয় : যেমন—
√বহ্ + তা = বহতা
√পড়ু + তা = পড়তা
√ফিক্ +তা = ফিরতা

২৬। তি-প্রত্যয় : যেমন—
√বাড়ু + তি = বাড়তি
√ঘাট্ + তি = ঘাটতি
√কাট্ + তি = কাটতি
√উঠু + তি = উঠতি

২৭। না–প্রত্যয় : যেমন-
√কাঁদ্ + না = কাঁদনা > কান্না
√মাগ্ + না = মাগনা
√দুল + না = দুলনা > দোলনা
√রাধ + না = রাধনা > রান্না
√ঝর্ + না = ঝরনা

 

৮) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ 

উঃ খাঁটি বাংলা নাম শব্দের সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাকে বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠনঃ 

১। আ-প্রত্যয় :
হাত + আ = হাতা
থাল + আ = থালা
চোর + আ = চোরা
চাল + আ = চালা
ডিঙি + আ = ডিঙা
কেষ্ট + আ = কেষ্টা
পাগল + আ = পাগলা
জঙ্গল + আ = জঙ্গলা
চোখ + আ = চোখা
বাঘ + আ = বাঘা

২। আই-প্রত্যয় :
বড় + আই = বড়াই
নিম + আই = নিমাই
ঢাকা + আই = ঢাকাই
বোন + আই = বোনাই
পাবনা + আই = পাবনাই
ননদ + আই = ননদাই
মিঠা + আই = মিঠাই
জ্যাঠা + আই = জ্যাঠাই
চোর + আই = চোরাই
মোগল + আই = মোগলাই
লড় + আই = লড়াই
বোঝা + আই = বোঝাই

৩। আমি (মি)-প্রত্যয় :
জেঠা + আমি = জেঠামি
ঘর + আমি = ঘরামি
ভণ্ড + আমি = ভণ্ডামি
দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি
ছেলে + আমি = ছেলেমি
পাকা + আমি = পাকামি
পাগল + আমি = পাগলামি
নোংরা + আমি = নোংরামি

৪। আল-প্রত্যয় :
দাঁত + আল = দাঁতাল
লাঠি + আল = লাঠিয়াল
ধার + আল = ধারাল

৫। আলি/আলী-প্রত্যয় :
ঘটক + আলি = ঘটকালি
মিতা + আলি = মিতালি
রুপা + আলি = রুপালি
মেয়ে + আলি = মেয়েলি
সোনা + আলি = সোনালি
গোড়া + আলি = গোড়ালি

৬। আর-প্রত্যয় :
ভাঁড় + আর = ভাঁড়ার
গাঁও + আর = গোঁয়ার

৭। আরি-প্রত্যয় :
মাঝ + আরি = মাঝারি
শাঁখা + আরি = শাঁখারি
জুয়া + আরি = জুয়ারি
ভিখ + আরি = ভিখারি
ঝি + আরি = ঝিয়ারি
রকম + আরি = রকমারি

৮। আরু-প্রত্যয়:
বোমা + আরু = বোমারু
দিশ + আরু = দিশারু

৯। আনি-প্রত্যয় :
নাক + আনি = নাকানি
তল + আনি = তলানি
বাবু + আনি = বাবুয়ানি

১০। ই-প্রত্যয় :
ঢোল + ই = ঢোলি
চালাক + ই = চালাকি
পোদ্দার + ই = পোদ্দারি

১১। ঈ-প্রত্যয় :
মজলিস + ঈ = মজলিসী
বিলাত + ঈ =বিলাতী
মোক্তার + ঈ = মোক্তারী
বেনারস + ঈ = বেনারসী
রেশম + ঈ = রেশমী
শিকার + ঈ = শিকারী
দরদ + ঈ = দরদী
হিসাব + ঈ = হিসাবী

১২। ইয়া> এ-প্রত্যয় :
বালি + ইয়া = বালিয়া >বেলে
মাটি + ইয়া = মাটিয়া > মেটে
জাল + ইয়া =জালিয়া > জেলে
পাথর + ইয়া =পাথরিয়া > পাথুরে
শহর + ইয়া = শহরিয়া > শহুরে
আটাশ + ইয়া = আটাশিয়া >আটাশে
মুট + ইয়া = মুটিয়া > মুটে
একুশ + এ = একুশে
একাল + এ = একালে
সেকাল + এ = সেকালে

১৩। উয়া > ও-প্রত্যয় :
মাছ + উয়া = মাছুয়া > মেছো
বন + উয়া = বনুয়া> বুনো

১৪। উ-প্রত্যয়:
সাঁতার + উ = সাঁতারু

১৫। উক-প্রত্যয় :
হিংসা + উক= হিংসুক
পেট + উক = পেটুক
মিথ্যা + উক = মিথ্যুক
লাজ + উক = লাজুক

১৬। উলি-প্রত্যয় : আধ + উলি = আধুলি

১৭। অই-প্রত্যয় :
দশ + অই = দশই
আঠার + অই = আঠারই
ষোল + অই = ষোলই

১৮। অন-প্রত্যয় :
দাঁত + অন = দাঁতন
পিছ + অন = পিছন
নানা + অন = নানান

১৯। পনা/পানা-প্রত্যয় :
দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা
মেয়েলি + পনা = মেয়েলিপনা
বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

২০। ল, লা-প্রত্যয় :
আধ + লা = আধলা
মেঘ + লা = মেঘলা

২১। চা, ছা, স, সা-প্রত্যয় :
লাল + চা = লালচা > লালচে
আব + ছা= আবছা
মুখ + স = মুখস > মুখোস
খোল + স = খোলস
পানি + সা = পানিসা > পানসে

২২। ট, টিয়া > টে-প্রত্যয় :
জমা + ট = জমাট
ক্ষ্যাপা + টিয়া = ক্ষ্যাপাটিয়া > ক্ষ্যাপাটে
ঘোলা + টিয়া = ঘোলাটিয়া > ঘোলাটে
ভরা + ট = ভরাট
তামা + টিয়া =তামাটিয়া > তামাটে
রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া > রোগাটে 

 

৯) বিদেশি প্রত্যয়ঃ

উঃ

১) ওয়ালা > আলা (হিন্দি) : বাড়ি-বাড়িওয়ালা (মালিক অর্থে), দিল্লি-দিল্লিওয়ালা (অধিবাসী অর্থে), মাছ-মাছওয়ালা (বৃত্তি অর্থে), দুধ-দুধওয়ালা (বৃত্তি অর্থে)।

২) ওয়ান>আন (হিন্দি) : গাড়ি-গাড়োয়ান, দার -দারোয়ান ৷

৩) আনা>আনি (হিন্দি) : মুনশি-মুনশিয়ানা, বিবি-বিবিআনা, হিন্দু-হিন্দুয়ানি 

8) সা (হিন্দি) : পানি-পানসা> পানসে, এক–একসা, কাল (কাল) – কালসা> কালসে।

৫) গর> কর (ফারসি) : কারিগর, বাজিকর, সওদাগর ।

৬) দার (ফারসি) : তাঁবেদার, খবরদার, বুটিদার, দেনাদার, চৌকিদার, পাহারাদার

৭) বাজ (দক্ষ অর্থে –ফারসি) : কলমবাজ, ধড়িবাজ, ধোঁকাবাজ, গলাবাজ+ই=গলাবাজি (বিশেষ্য)।

৮) বন্দি (বন্দ্-ফারসি) : জবানবন্দি, সারিবন্দি, নজরবন্দি, কোমরবন্দ।

৯) সই : মতো অর্থে : জুতসই, মানানসই, চলনসই, টেকসই।

১০) পনা : মতো অর্থে : গিন্নীপনা, বেহায়াপনা। 

নিম্নের PDF LINK -টি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232 

শব্দ তৈরির কৌশল

সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top