আদরিনী । প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়
দ্বাদশ শ্রেণির নতুন সিলেবাস অনুসারে সেমিস্টার পদ্ধতিতে যে নতুন পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে, তার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টার প্রদান করতে চলা শিক্ষার্থীদের জন্য আদরিনী । প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় গল্পটি প্রদান করা হলো। যে সকল শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রদান করে দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের জন্য পড়াশোনা শুরু করেছো তাদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা তৃতীয় সেমিস্টার -এর (Class Twelve 3rd Semester Bengali) আদরিনী গল্পটি এবং আদরিনী গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর -এর লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলো।
আদরিনী । প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় :
{টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে নিম্নে প্রদান করা গল্পটির লেখাগুলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসংগঠিতভাবে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খুব শীঘ্রই গল্পটি এখানে পুনরায় ত্রুটিমুক্তভাবে প্রদান করা হবে। আপডেটগুলি পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে}
আদরিণী প্রথম পরিচ্ছেদ
পাড়ার নগেন ও জুনিয়ার উকিল কুগ্রবিহারীবাবু বিকালে পান চিবাইতে চিবাইতে, কে হইতে ইত জয়রাম মোক্তারের ‘নিকট আসিয়া বলিলেন__ “মুখুয্যে মশায়, রগ বানুদের বাড়ী থেকে আমরা নিমন্ত্রণ পেয়েছি, এই সোমবার দিন মেঝবাবুর ্েয়ের । শুনছি নাকি ভারি ধূমধাম হবে। বেনোরস_থেকে বাই আসছে, কলকাতা থেকে খেমটা আসছে। আপনি নিমন্ত্রণ পেয়েছেন কি?”
মোক্তার মহাশয় তাহার বৈঠকখানার বারান্দায় বেঞ্িতে বসিযা হুকা হাতে করিয়া তামাক খাইতেছিলেন। আগন্তকগণের এই প্রশ্ন শুনিয়া, ছুকাটি নামাইয়া ধরিয়া, একটু উত্তেজিত স্বরে বলিলেন–‘ কি রকম£ আমি নিমন্ত্রণ পাব না কি বকম? জান, আমি আজ বিশ বচ্ছর ধরে তাদের এটেটেব বাঁধা খোক্তার £-_-আমাকে বাদ দিয়ে ভাবা তোমাদের নিমন্ত্রণ করবে, এইটে কি সঞ্তব মনে কর?”
জয়রাম মুখোপা্য়কে ইহূরা,বেশ ,চিনিতেনু-সুকলেই চিনে। অতি অল্প কান্ণে তাহার তীব্র অভিমান উপস্থিত হয়–অথচ হাদয়খানি ল্লেহে, বন্ধুবাৎসলো কুসুমের মত কোমল, ইহা থে তাহার সঙ্গে কিছুদিনও ব্যবহাব করিয়াছে, সেই জানিয়াছে। উকিল কাবু তাড়াতাড়ি বলিলেন –“না -না- সে কথা নয়–সে কথা নযহ। আপনি বাগ কবল্নে মুখুযো মশা? আমরা কি সে ভাবে বলছি? এ জেলার মধ্যে এমন কে বিষযী লোক আছে, যে আপনার কাছে উপকৃত নয়– আপনার খাতিব না করে? আমাদেন জিন্রাসা কবলাব তাৎপর্য্য এই ছিল যে, আপনি সে দিন পীবগপ্রে যাবেন কি?”
মুখ পাশায় নবম হইলেন। বলিলেন–“ভায়াবা, বস।”- বলিয়া সহুতহ আব একখানি বেধ্ দেখাইয়া দিলেন।–উভযে উপনেশন কবিলে বলিলেন-_ “পীরগঞ্জে গিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা কবা আমা পক্ষে একটু কঠিন বটে; সোম মঙ্গল দুটো দিন কাছাবি কামাই হয। অথচ না “গলে ঠাবা ভাবি হনে দুঃখিত হবে। তোমবা মাচ্ছঠ”
নগেন্দ্রবাবু বলিলেন – যাবার ত খুবই ইচ্ছে-_কিন্তু অত দৃব যাওয! ত সোজা নয়। ঘোড়’ব গাড়ীর পথ নেই। গরুর গাড়ী করে যেতে হলে, যেতে দুদিন আসতে দুদিন। পার্ট কবে যাওয়া সেও যোগাড় হওয়া মুক্কিল। আমরা দুজনে তাই পণামশ কলাম, যাই মুখুয্য মশায়কে গিয়ে জিদ্রামা কবি, তিনি যদি মান, নিশ্চযই বাজবংডী থেকে একটা 2 টার্তী আনিয়ে নেবেন এখন, আমবা দুজনেও তাব সঙ্গে সেই হাতীতে দিব্যি আবামে যেতে পাখব।’?
মোঙ্গার মহাশয ম্মিভমুখে বলিলেন –“এই কথা? তাৰ জন আর ভাবনা কি ভাই +মহাবাজ নবেশচত্ ৩ আমার অ’্জকেব মঞ্ষেল নন–+ওব বাপেব আমল থেকে আমি ওদেব মোক্তাব। আবি কাল সকালেই রাজবাড়ীতে চিঠি লিখে পাঠাচ্ছি-__সন্ধ্যে নাগাদ হাহী এসে ঘাংবে এখন।”
কু্তবাবু বলিলেন– “দেখলে হে ডাক্তার, আমি ত বলেইছিলাম–অত ভাবছ কেন মুখুযযে মশাযেব কাছে গেলেই একটা উপায হয়ে যাবে। তা’ মুখুয্যে মশায়, আপনাকেও কিন্তু আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। না গেলে ছাডছিনে।””
“যাৰ বইকি শাযা -আমিও যাব। তবে আমাব ত বাই খেমটা শোনবব বযস নেই-_ তোমবা শুনো। আমি মাথায় এক পগ্গ বেঁধে, একটি থে.সা হুকো হাতে কবে, লোকজনের অভ্ার্থনা কবন্, কে খেলে কে না খেলে দেখব–তদারক কবে বেড়াব। আৰ তোমরা বসে
শুনবে-_’পেযালা মুঝে ভব দে’-_-কেমন*”-_-বলিয়া মুখোপাধ্যায় মহাশয় হা-হা কবিয়া হাসিতে লাগিলেন।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
পবদিন ববিবাব। এ দিন প্রভাতে আহি পৃজাটা মুখুয্যে মহাশয় একটু ঘটা কবিয়াই কবিতেন। বেলা ৯টাব সময় পূজা সমাপন করিয়া জলযোগাস্তে বৈঠকখানায় আসিয়া বসিলেন। অনেকগুলি মন্ধেল উপস্থিত ছিল, তাহাদেব সহিত কথাবার্তা কহিতে লাগিলেন। হঠাৎ সেই হাতীব কথা মনে পড়িযা গেল! তখন কাগজ কলম লইয়া, চশমাটি পবিয়া, ‘“প্রবল প্রতাপান্থিত শ্রীল শ্রীমন্মহাবাজ্ শ্রীনরেশচন্দ্র বায়চৌধুবী বাহাদুব আশ্রিতজনপ্রতি ” পাঠ লিখিয়া, দুই তিনদিনেব জন্য একটি সুশীল ও সুবোধ হৃত্তী প্রার্থনা কবিযা পত্র লিঘিলৈন। পৃবের্বও আবশ্যক হইলে তিনি কতবাব এইবীপে মহাবাজেব হৃতী আনাইযা লইয়াছেন। একজন ভূত্যকে ডাকিয়া পত্রথানি লইযা যাইতে আজ্ঞা দিযা, মোক্তান ৪-৬-৯১1৯৬০কপৃস্ৎ প্রবৃত্ত হইলেন।
| জযবাম মুখোপাধ্যাযেব বযস এখনু | মানুষটি লম্বা ছাদেব-_ বওটি আব একটু সে এ সস রা রে কাচায পাকায মিশ্রিত। মাথাব সম্মুবভীগৈ টাক আছে। চক্ষ দুইটি বড় বড, ভাসা ভাসা। তাহাব হ্ৃদযেব কোমলতা যেন হৃদয ছাপাইযা, এই চক্ষু পড়িতেছে।
ইহার আদিবাস যশোব জেলায। এখানে যখন প্রথম মোক্তাবী কবিতে আসেন; তখন এদিকে বেল ঘৌঁলে নাই। পদ্মা পাব হইয়া কতক নৌকাপথে, কতক গোকব গাড়ীতে, কতক পদব্রজে আসিতে হইযাছিল। সঙ্গে কেবলমাত্র একটি ক্যান্বিসেব ব্যাগ এবং একটি
হি | সহায় ইল না। মাসিক তেঁবো সিকায় একটি বাসা ভাডা লইযা, নিজ হাতে বীধিয়া খাইয়া মোক্তাবী ব্যবসা আবন্ত কবিয়া দেন। এখন সেই জযবাম মুখোপাধ্যায় পাকা দালান কোঠা কবিয়াছেন, বাগান কবিযাছেন ব.কিনিযাছেন, অনেকগুলি কোম্পানীব কাগজও কিনিয়াছেন। যে সময়েব কথা বলিতেছি, তখন এ জেলায় ইংবাডীওয়ালা মোক্তাবেব আবির্ভাব হইয়াছে বটে- কিন্তু জযুবাম তাহাবা কেহই হটাইতে পাবে নাই। তখনও ইনি এ প্রধান বৰ 1 গণ্য।
মুখোপাধ্যায় মহাশযেব হৃদযখানি অত্যন্ত কোমল ও স্নেহপ্রবণ হইলেও, মেজাজটা কিছু কক্ষঃ যৌবনকালে ইনি বীতিমত বদবাগী ছিলেন–এখন বক্ত অনেকটা ঠাণ্ডা হইয়া আসিযাঁছে। সেকালে, হাকিমেবা একটু অবিচাব অত্যাচাব কবিলেই মুখুয্যে মহাশয় বাগিযা চেচাইযা অনর্থপাত কবিযা তুলিতেন। একদিন এজলাসে এক ডেপুটিব সহিত হহাব বিলক্ষণ ১৮৪০-০৪-৬০ সপ ধসব কবিয়াছে। তখন আদব কৰিয়া উদ ডেপ্বাবর নয বাছুবটির নামকব লনি। ডেপুটিবাবু লোকপবম্পবায় ক্রমে এ কথা শুনিয়াছিলেন, এবং বলী বাহুলা, নিতান্ত গ্রীতিলাভ কবেন নাই। আব একবাব, এক ডেপুটিব সম্মুখে মুখুযো মহাশঘ আইনেব তর্ক কবিতেছিলেন, কিন্তু হাকিম কিছুই ইহাব কথায় সাম দিতেছিলেন না। অবশেষে বাগেব মাথায় জয়বাম বলিয়। বসিলেন-$’আমাব স্ত্রীব যতট্রুকু আইন গান আছে, হজ্জুবেন তাও নেই দেখছি ‘ সেদিন আদালত জন্য মোক্তাব লয়ের পাচ ভবিমানা হইমাছল। ক আদো; দ্ধে তিনি হাইকোর্ট অবধি লডিযাঁছিলেন। সবর্বসুষ্ঠ ১5 টাকা ব্যয় কবিযা এই পাচটা টাকা জবিমানা হুকুম বহিত কবিয়াছিলেন।
মুখোপাধ্যায় যেমন অনেক টাকা উপার্জন কবিতেন, তিমনি তাহাব ব্যয়ও যথেষ্ট ছিল। তিনি অকাতবে অনুদান কবিতেন। অত্যাচাবিত, উৎপীডিত গবীব লোকেব মোকর্দমা তিনি কও সময বিনা ফিসে, এমন কি নিঞ্জে অর্থব্যয পর্যাত্ত কবিয়া, চালাইযা দিয়াছেন।
প্রতি ববিবাব অপবাহকালে পাড়াব যুবক-বৃদ্ধগণ মোক্তাব মহাশয়ের বৈঠকথানায় সমবেত হইয়া তাস পাশা থাকেন। অদ্যও সেইজপ অনেকে আগমন কবিযাছেন-_ পৃর্রোস্ত ডাক্তাববাবু ও উকিলবাবুও আছেন। হাতীকে বাঁধিবাব জন্য বাগানে খানিকটা স্থান পবিষ্কৃত কবা হইতেছে, হাতী রাত্রে খাইবে বলিয়া বড বড পাতাসুদ্ধ কয়েকটা কলাগাছ ও অন্যান্য বৃক্ষেব ডাল কাটাইয়া বাখা হইতেছে,_মোক্তাব মহাশয় সে সমস্ত তদাবক কবিতেছেন। মাঝে মাঝে বৈঠকখানায় আসিয়া, কোনও ব্রাহ্মণেব হাত হইতে হুঁকাটি লইযা দাডাইয়া দীডাইয়া দুই চাবি টান দিয়া আবাব বাহিব হইয়া যাইতেছেন।
সন্ধ্যার কিছু পৃবের্ব জয়বাম, বৈঠকখানায বসিয়া পাশাখেলা দেখিতেছিলেন। এমন সময় সেই পত্র ত্য ফিবিয়া আসিয! বলিল–“হাত পাওয়া গেল না।” কুরবানি হইল বদর উঠিলেন-_“আযা। -পাওয়া গেল না?”
ন্শেন্দ্রবাবু বলিলেন–“তাই ত। সব মাটি?”
মহাশয় বলিলেন–““কেন বে, হাতী পাওয়া গেল না কেন? চিঠিব জবাব
এর্নেছিস””–ভূত্য বলিল-_“আজ্ঞে না। দেওয়ানজীকে গিয়ে চিঠি দিলাম। তিনি চিঠি নিয়ে এসে বললেন, বিয়েব নেমস্তন্ন হয়েছে তাব জন্যে হাতী কেন? € আসতে বোলো।”
কর বরা জবার কে লজ্জায়, বোষে যেন একেবাবে ক্ষিপ্তপ্রায হইযা
উঠিলেন। হার হাত উকি কাপিতে লাগিল। দুই চক্ষু দিয়া বক্ত ফাটিয! তে লাগিল। মুখমগ্ডলেব শিবা-উ পশিবাগুলি স্ফীত হইয়া উঠিল । কম্পিতস্ববৈ, ঘাড
বীকাইয়া বাবতাক বলিতে গিলে তাহেল াতীল দিলে না”
-সসমবৈত ভদ্রলোকগণ ক্রীডা বন্ধ কবিযা হাতি গু । কেহ কেহ বলিলেন-_ “তাব আব কি কববেন মুখুষ্যে মশায’ পবেব জিনিষ, জোব ত নেই। একখানা ভাল দেখে গোকব গাড়ী ভাভা কবে নিষে বাবরি দশটা এগাবোটাব সময় বেবিষে পড়ুন, ঠিক সময পৌঁছে যাবেন। এ ইমামদ্দি শেখ একযোডা নৃতন বলদ কিনে এনেছে-_ ব দ্রুত যাষ। +২ ঈর্বধাম বক্তাব দিকে দৃষ্টিমাত্র না কবিযা বলিলেন না িযোকয তে চে ছি নাঁ। যদি হাতী চড়ে যেতে পাবি, তবেই যাব, নইলে এ বিবাহে আমাব যাওযই হবে না।”
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
সহব হইতে দুই তিন ক্রোশেব মধ্যে দুই তিনজন জমিদাবেব হৃস্তী ছিল। সেই বাত্রেই জয়বাম তন্তৎ স্থানে লোক পাঠাইযা দিলেন, যদি কেহ হত্তী বিক্রুয কবে,তবে কিনিবেন। ২ ই. প্রহবেব সময় একজন ফিবিয়া আসিয়া বলিল–““বীবপুবেব উমাচবণ লাহিডীব
মা তীন্সিছে_ এন শাচচা। বিশ্রী, বিক্রী কববে কিন্ত বিভব দাম চাষ”
কত?” “দু হাজার কার
“খুব বাচটা2”
“না, সওযাবি নিতে পাববে।”
“কুছ পবওযা নেই। তাই কিনব। এখনই তুমি যাও। কাল সকালেই যেন হাতটা অণসে। লাহিডী মশাযকে আমাব নমস্কাব জানিযে বোলো, হাতীব সঙ্গে যেন কোন বিশ্বাসী কর্মচাধ। পাঠিয়ে দেন, হাতী দিষে টাকা নিযে যাবে।
পবদিন বেলা সাতিটাব সময হৃস্তিনী আসিল। তাহার নাম: আদবিণী। লাহিডী মহাশযে ব কষ্ীাবী বতিম্াম্প কাণভেবীসিদালাহহা যাইব লহ্যা প্রস্থান কবিলা
বাড়ীতে হাতী আসিবামাত্র পাড়াব তাবৎ বালক বালিকা আসিযা বৈঠকখানাব উঠানে ভিড কবিয! দীডাইল। দুই একজন অশিষ্ট বালক সুব কবিয়া বলিতে লাগিল–“হাওা তোব গোদা পায়ে নাতি” বাড়ীব বালকেবা ইহাতে শ্রতান্ত এন হইযা উঠিল এবং
অপমান করিয়া তাহাদিগকে বহিষ্কৃত করিয়া দিল।
সিসি দিস [বই ঠাতে জল লংয়া সম্ভয় পদক্ষেপে আসিলে। কপি হে তাহার পদচতুষ্টয়ে সেই জল একটু একটু ঢালিয়া দিলেন। মাহুতের ইঙ্গিতানুসারে আদরি
তখন জানু পাতিয়া বঞ্জিল। বড়ব তে জার ভার হানা নি ঘন শহঙ্খধবনি হইতে লাগিল। আবার দাঁড়াইয়া আলোচাল,
কলা ও নয মাসলা্য তাহার সম্মুখে রক্ষিত হইল- ও দিয় লয় ুলয়া কতক সে খাইল, অধিকাংশ ছিটাইয়া দিল। এইরূপে বরণ সম্পন্ন হইলে, রাজহতীর জন্য সংগৃহীত সেই কদলীকাণ্ড ও বৃক্ষশাখা আদরিণী ভোজন করিতে লাগিল।
নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া পীরগঞ্জ হইতে ফিরিবার পরদিন মহারাজ সহিত মুখোপাধ্যায় মহাশয় সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। বলা বাহুল্য হত্তীপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়াই গেলেন।-_মহারাজের দ্বিতল বৈঠকখানার নিঙ্নে বিস্তৃত প্রাঙ্গণ। প্রাঙ্গণের অপর প্রান্তে হস্তে প্রবেশের দিংহ্ম্বার। বৈঠকখানায় বসিয়া সমস্ত প্রাঙ্গণ ও সিংহদ্বারের বাহিরেরও অনেক দূর অবধি মহারাজের দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে।
রাজসমীপে উপনীত হইলে মুখোপাধ্যায় মহাশয় তাহাকে আশীর্বাদ করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন। মোকর্দমা ও বিষয়-সংক্রান্ত দুই চারি কথার পর মহারাজ জিজ্ঞাসা করিলেন-_ “মুখুয্যে মশায়, ও হাতীটি কার
খুব মহাশয় বিনীতভাবে বলিলেন-__“আজ্ে হচ্ুর-বাহাদূরেরই হাতী।”
নিস ররর সিরা দেখিনি। কো ; রঃ
আজ্েে, হীরপুরের উমাচরণ লাহিডীর কাছ থেকে কিনেছি”. অধিকতর বিস্মিত হইয়া রাজা বলিলেন-_ “আপনি কিনেছেন?” “আজ্ঞে হ্যা।””
্পানরিিনিনি
বিনয় কিংবা গ্লেষস্চক–ঠিক বোঝা গেল না- একটু মৃদু হাস্য করিয়া ভয়রাম বলিলেন-__-“যখন হুজুর বাহাদুরের দ্বারাই প্রতিপালন হচ্ছি–আমিই যখন আপনার-_ তখন ও হাত্তী আপনার বই আর কার?”-_ সন্ধ্যার পর গৃহে ফিরিয়া, বৈঠকখানায় বসিয়া, সমবেত বন্ধুমগ্ডলীর নিকট মুখোপাধ্যায় এই কাহিনী সবিস্তারে বিবৃত করিলেন। হৃদয় রদ রানার ররর না রানা
প্রা হইল।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ
( উল্লিখিত ঘটনার পর সুদীর্ঘ পাচটি বৎসর অতীত হইয়াছে–এই পাঁচ বৎসরে মোক্তার মহাশয়ের জবস্থার অনেক পরিবর্তন হইয়াছে।
‘নতুন নিয়মে পাশ করা শিক্ষিত মোক্তারে জেলাকোর্ট ভরিয়া গিয়াছে। শিথিল নিয়মের আইন-ব্যবসায়ীর আর কদর নাই। ক্রমে ক্রমে মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আয় কমিতে লাগিল। পুরে হত উপান্ান করিতেন এখন তাহার অর্ধেক হয় কি রা সন্দেহ! অথচ ব্য প্রি বৎসর বডি ছ। তাহার তিনটি-পুত্র। পুথম দুইটি দে ১১:১৮ নত কম্ বির যো নহৈ। কনিষ্ঠ এ মন পড়িতেছে–সেটি যদি চাটি মনিব হয় এম ভরলী। বি,
ব্যবসায়ের প্রতি মুখোপাধ্যায়ের আর সে অনুরাগ নাই-_বড় বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছেন। ছোকরা মোক্তারগণ, যাহারদিগুকে এক সময় উলঙ্গানস্থায় পথে খেলা করিতে দেখি
তাহারা এখন শামলা মাথায় দিয়া (মুখোপাধ্যায় পাগড়ী বাঁধিতেন, সেকালে মোক্তাবগণ শামলা ব্যবহার কবিতেন না।) তাহাবা প্রতিপক্ষে দীডাইয়া চোখ যুখ ঘুরাইয়া ফব ফব কবিয়া ইংবাজিতে হাকিমকে কি বলিতে থাকে, তিনি কিছুই বুঝিতে পারেন না। পার্খস্থিত ইংবাজি জানা ভুনিয়বকে জিজ্ঞাসা করেন,__-“উনি কি বলছেন ?”-__জুনিয়ব তর্্জমা কবিয়া তাহাকে বুঝাইতে বুঝাইতে অন্য প্রসঙ্গ উপস্থিত হয়, মুখেব জবাব মুখেই বহিযা যায়__ নিষ্ছল বোষে তিনি ফুলিতে থাকেন। তাহা ছাডা, পুবের্ব হাকিমগণ মুখুয্যে মহাশয়কে যেবপ শ্রদ্ধাব চক্ষে দেখিত্েন, এখনকাব নব্য হাকিমগণ আব তাহা কবেন না। ইহাদের যেন বিশ্বাস, যে ইংবাজি জ্বানে না, সে মনুষ্যপদবাচ্যই নহে। এই সকল কাবণে স্থিব কবিয়াছেন, কর্ম হইতে এখন অবসব গ্রহণ কবাই শ্রেয়ঃ1 তিনি যাহা সঞ্চয় কবিযাছেন, তাহাব সুদ হইতে কোনও বকমে সংসাবযাত্রা নিবর্ধাহ্ কবিবেন। প্রা ঘাট বসব বয়স হইল-_চিবকালই কি খাটিবেন” বিশ্রামেব সময় কি হয় নাই? বড ছেলেটি যদি মানুষ হইত-_দূই টাকা যদি বোজগাৰ কবিতে পারিত– তাহা হইলে এতদিন কোন কালে মুখোপাধ্যায় মহাশয় অবসব লইতেন, বাড়ীতে বসিয়! হবিনাম কবিতেন। কিন্তু আব বেশী দিন চলে না। তথাপি আজি কালি কবিয়া আবও এক বসব কাটিল।
এই সময় দায়বায় একটি খুনী মোকর্দসা উপস্থিত হইল: সেই মোকর্দমাব আদামী জয়পাম যুখোপাধ্যায়কে নিজ মোক্তার নিযুক্ত করিল। একজন নূতন ইবাজ জ্রন্ত মাসিয়াছেন–তাহাবই এজলাসে বিচাব ।–তিনদিন যাবৎ মোকর্দমা_চলিল। শ্ববণেজে পাবস্ত কাঁবলেন। খর্তাশেষে এসেসাবনশ মুবাপাধ্যাহেব মকেলস্০ নিদেত্ষ সান্ত কবিলেন–জজসাহেবও তাহাদেব অভিমত ম্বীক ব কনিয়া আসামীকে অব্যাহতি দিলেশ
অজসাহেবকে সেলাম কবিয়া, মোক্তাব মহাশয নিক্ত ক।শজপত বাধিতছেন, এমন মণ জজসাহেব পেক্কাবকে জিজ্ঞাসা কবিলন -এ উঞ্জিলটিব নাম কি?) এপক্ষার বলিল- “উহাব নাম জম্বাম দুখাজি+ উনি উকিল দ্ক্কন-এমান্জাক। প্রসন্বহাসোব সহিত জজসাহেব তি ্ ও রা জয় পিলেন _ ‘হ্যা হুজুব, আমি আপনাব ডাবেদাব । জভাসাহেব পৃরর্ববৎ বলিলেন– আপ ন মেশ্জাব। আমি মনে ববিযছিলম আপনি উকিপ। যকপ দক্ষতাব সহিত আপনি নোকর্দমা চালাই্যাছেন, আদি ভাবিযাছিলগস আপনি এখানকাব একজন ভাল উকিল।”
এই কথাগ্ুশি শুণিযা মুখোপাধ্যাযেক সেই ডাশ চক্ষু দুইটি জলে পূণ হইয়া শন হত
দুটি জোড কবিয়া কম্পিতকণ্ঠে বলিেন- না হজুব, আমি উকিল নহি -জর্দি একভ মোক্তাব যাত্র। তাও সেকালের শিথিত। নিষমেব একতন মুখ মোগ্তব। ইংব জি আশি ন’ ছজুব। আপনি আজ আমাব যে প্রশংসা কবিলেন আম জীবনেব শেষ পিন অবধি তাহা পিতে পাবিব না । এ ণ’আশীর্বাদ কবিতেন্ছ, হজুব হাইকোটেব জজ হউন |” ১ ঝুঁকিয়া সেলাম ববিযা মোতৃণব মহাশয় এজ্লাস হইতে বাহিধ হইন্া আসিলেন। ইহাব পবৰ আর তিনি কাছাবি যান নাই।
ব্যবসায় ছাড়িয়া কায়কেশে মুখোপাধ্যায়েব সংসার চলিতে লাগিল। ব্য যে পবিমাণ সঙ্কোচ কবিবেন ভাবিয়াছিলেন, তাহা শ৩ চেক্টাতে« হইয়া! ওঠে না। সুদে স্কুলান হয না
সুূলধনে হাত পড়িতে লাগিল। কোম্পানীব কাগজেব সংখ্যা কমিতে লাগিল। ব মহাশয বৈদকখান’য বসিয়া নিজেব অবস্থাব বিষয় চিত্তা
তে ছেল সম ই ধরিসীকে লইয়া পদীতে স্নান কবাইতে গেল। অনেক দিন লোক বলিতেছিল-_““হার্তীটি আব কেন, ওকে বিক্রী কবে ফেলুন আসে
বল না, তোমার এই ছেলেপিলে নাতিনাতিনীদের খাওয়াতে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে-_ ওদের একে একে বিক্রী করে ফেল।”- এরূপ উক্তির পর আর কথা চলে না।
হাতীটাকে দেখিয়া মুখোপাধ্যায়ের মনে হইল, ইহাকে যদি মধ্যে মধ্যে ভাড়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে ত কিঞ্চিৎ অর্থাগম হইতে পারে। তখনই কাগজ কলম লইয়া নিন্নলিখিত বিজ্ঞাপনটি মুসাবিদা করিলেন £-_
রী ভাড়ার বিজ্ঞাপন
বিবাহের শোভাযাত্রা, দূরদূরাস্তে গমনাগমন প্রভৃতি কার্যের জন্য নিম্ন স্বাক্ষরকারীর আদরিণী নারী হসতনী ভাড়া দেওয়া যাইবে। প্রতি রে ৩ টাকা মাত্র, হস্তিনীর টাকা এবং মাহুতের খোরাকী |1০ একুনে ৪11০ ধার্য্য ইইয়াছে। যাহার আবশ্যক
তত্ত্ব ১ ্র্দ্বীজয়রাম মুখোপাধ্যায় (মোক্তার) চৌধুবীপাড়া এই বিজ্ঞাপনটি ছাপাইয়া, সহরের প্রত্যেক ল্যাম্পপোষ্টে, পথিপার্খস্থ বৃক্ষকাণ্ডে, এবং অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানে আটিয়া দেওয়া হইল।
র কমে নির্বাহ হয না।
মাসখানেক পৰে বালকটি কথক্চিৎ আরোগালাত কান? রিল।-ুবউুবধূ মৈজবধূ উভয়েই অস্তঃসত্ত্বা। পা মাস মিঃ আরও দুইটি জীবের অন্নসংস্থান
্যাশী ছ্বাদশবর্ষে পদার্পন কবিয়াছে। দেখিতে দেখিতে যেরূপ
রি ্ তাহার বিবাহ না দিলে নয়। নানাস্থান হইতে তাহার সম্বস্ধ
চাস সপ উল পার সপ ক
তাহাদের খাই শুনিয়া চক্ষুস্থির হইয়া যায়। কন্যার পিতা এসম্বন্ধে একেবারে নির্লিপ্ত। সে
নেশাভাঙ করিয়া, তাস পাশা খেলিয়া, ফুলুট বাজাইয়া বেড়াইতেছে। যত দায় এই ষাট
বৎসবেরনুডরই ঘাড়ে অবশেষে একদথালে বিবাহের হর হইল। পাত্রটি রাজসাহী কলে রি িভেহেশতার প্রড়িরার সংস্থানও আছে। তাহাবু! বর টাকা চাহে; র খরচ
রচ পাঁচ শত-_ আড়াই হাজার টাকা হইলেই বিবাহটি হ্য। -_ কোম্পানীর কাগজেব বাতিল দিন দিন দ্রীন ইইতেঁছৈ-্তাহা হইতে আড়াই হাজার বাহির করা বড়ই কষ্টকব হইয়া দাঁড়াইল। আর, শুধু ত একটি নহে–আবও নাতিনীরা রহিয়াছে। তাহাদের বেলায কি উপায় হইবে?-_-এই সকল ভাবনা-চিত্তার মধ্যে পড়িযা পাধ্যায় মহাশয়ের শরীর ক্রমে ভগ্র হইয়া পড়িতে লাগিল। একদিন সংবাদ আসিল,
মুখো
কনিষ্ঠ পুত্রটি বি; এ, পরীক্ষা দিয়াছিল, সেও ফেল করিয়াছে।__বন্ধুগণ বলিতে লাগিলেন__ খুয্যে মহাশয়, হাত কবে ফেলুন_-করে’ নাতনীব বিবাহ দিন। কি কববেন
বলুন। অবস্থা বুঝে ত কাজ করতে হয়। আপনি জ্ঞানী লোক, মায়া পবিত্যাগ করুন।”
মুখোপাধ্যায় আর কোনও উত্তব দেন না। মাটির পানে চাহিয়া স্ধান দুখে বসিয়া কেবল চিভ্ভা কবেন, এবং মাঝে মাঝে দীর্ঘনি শ্বাস ফেলে ফেলেন।-_চৈত্রসংত্র’ নহাটে একটি
–“হাতীটিকে মেলায় য়ে যাবে এখন। দু হাজাব কিনেছিলেন, এখন হাতী বড় ০ কী পেতে পারবৈন।” কৌচার খৃটে চক্ষু মুছিয়া বলিলেন–““কি কবে তোমরা এমন কথা বলছ?” বন্ধুবা বুঝাইলেন–“আপনি বলেন, ও আমার মেয়েব মত। তা মেষেকেই কি চিবদিন ঘরে বাখা যাম? মেয়ের বিয়ে দিতে হয়, মেষে শ্বশুরবাড়ী চলে যাব,
তবে পোষা জানোয়াব, অনেকদিন ঘবে বয়েছে, মায়া হয়ে গেছে, একটু দেখে শুনে কোনও ভাল লোকের হাতে বিক্রী কবলেই হয়। যে বেশ আদব যত্বে রাখবে, কোনও কষ্ট দেবে না-এমন লোককে বিক্রী করবেন।”
ভাবিয়া চিড্তিয়া জয়রাম বলিলেন–“তোমবা সবাই যখন বলছ তখন তাই হোক। দাও, মেলায় পাঠিয়ে দাও। একজন ভাল খদ্দেব ঠিক কব-_তাতে দামে যদি দু-পাচশো টাকা কমও হ্য, সেও স্বীকাব।”-__মেলাটি চৈত্র-সংব্রততিব রায় পনেৰ দিন বুকে আবস্ত হয। তবে শেষেব চাবি-পাঁচদিনহ জমজমাট বেশী। সং এক সপ্তাহ পৃবেরে যাত্রা ছিব হইযাছে। মাহুত ত যাইবেই-__মুখোপাধ্যায মহাশয়ের মধ্যম পুত্রটিও সঙ্গে যাইবে।
যাত্রাব দিন প্রতুযুষে মুখোপাধ্যায গাত্রোথান কবিলেন। যাইবাব পৃর্ধে হত্তী ভোজন কবিতেছে। বাটীব গেয়েবা, বালকবালিকাগণ সজলনেত্রে বাগানে হত্তীব কাছে দাঁড়াইয়া । খডম পাযে দিঘা মুখোপাধ্যায মহাশযও সেখানে গিয়া দাডাইিলেন। পৃবর্বদিন দুই টাকাব বসগোল্লা আনাইযা বাখিযাছিলেন, ভৃত্য সেই হাঁড়ি হাতে কবিযা আসিয়া দাডাইল। ডালপালা প্রভৃতি মামুলী খাদ্য শেষ হইলে, মুখোপাধ্যায মহাশয় স্বহস্তে মুঠা ঘুঠা কবিয়া সেই বসগোল্লা হস্তিনীকে খাওয়াইলেন। শেষে তাহাব গলাব নিম্বে হাত বুলাইতে বুলাইতে ভগ্নকণ্ঠে বলিলেন-__-“আদব, যাও মা, বামুনহাটেব মেলা দেখে এস।”-_ প্রাণ ধবিযা বিদায়বাণী উচ্চাবণ কবিতে পাবিলেন না। উদ্বেল দুঃখে, এই ছলনাট্রকৃব আশ্রয় লইলেন।
ষষ্ঠ পবিচ্ছেদ
ঢাণীব বিবাহের সমস্ত কথাবার্তা পাকা হইয়া গিযাছে। ১০ই জোষ্ঠ শুভকার্যোব দিন ্থি বহহাছে। বৈনাম লাউিলেই উত্তর পক্ষে -আশীবাদ হইনো হী বিউয়েব টাকাট’
আঁসিলেই গহনা গড়াইতে দেওয়া হইবে।
কিন্তু ১লা বৈশাখ সন্ধ্যাবেলা মস মস আদবিণী ঘবে_ফিবিযা আসিল। বিক্রয হয় নাই–উপবুক্উন্ধুলী দিবাব খবিদ্দাব নাই।
আদবিণীকে ফিবিতে নিউানিাজনিজল্হন বলিয়া কাহাবও কোনও খেদেব চিহ্ন সে সময় দেখা গেল না। যেন হাবাধন ফিবিয়া পাওয়া গিয়াছে–সকলেব আচবণে এইকপই মনে হইতে লর্খগল।
বাড়ীব লোকে খলিতে লাগিল-_“আহা, আদব বোগা হয়েছে । বোধ হয় এ ক’দিন £ সেখানে ভাল কবে খেতে পাযনি। ওকে দিনকতক এখন বেশ কবে খাওয়াতে হবে।”
আনন্দেব প্রথম উচ্ছাস অপনীত হইলে: পবদিন প্রতিবেশী বন্ধুগণ আবাব বৈঠকখানায় সমবেত হইলেন। অত বড মেলা এমন ভাল হাতীব খবিদ্দাব কেন জুটিল না, তাহা লইযা আলোচনা হইতে লাগিল। একজন বলিলেন–“’এ যে আবাব মুখুয্যে মশায় বললেন “আদব যাও মা, মেলা দেখে এসো’ তাই বিক্রী হল না। উনি ত আব আজকালকাব মুগীখোব ব্রাহ্মণ নন’ ওঁব মুখ দিযে প্রশ্থাবাক্য বেবিযেছে সে কথা কি নিম্ষল হবাব যো আছে। কথায় বলে-_ বৃক্মাবাক্য বেদবাক্য |”
নহা সেখান হইতে আবও দ্রশ ক্রোশ উদ্ভব বসুলগঞ্জে সপ্তাহব্যাপা আব এক মেলা হয। যে সকল গৌ- নহে বিক্রয হয নাই–সে
সব বসুলগঞ্জে গিয়া জমে। সেইখানেই আদবিণীকে পাঠাইবাব পবামর্শ হইল। আজ আবাব আদবিণী মেলায যাইবে । আজ আব বৃদ্ধ তাহ’ব কাছে গিয’ বিদশ্য সম্ভাষণ কবিতে পাবিলেন না। বীতিমত আহাবাদিব পবৰ আদবিণী বাহিব হইয়া গেল। কল্যাণী আসিযা এ আদব ষাবাব সময কাদছিল।”‘ মুখোপাধ্যায় শুইযা ছিলেন, উঠিয়া বসিলেন। খলিলেন “কি ধ্ললি? কাদছিল?” “হা দাদামশায। পু +তার চোখ দিযে টপ টপ্ কবে জল পড়তে লাগন।’
বৃদ্ধ আবার ভূমিতে পড়িয়া দীর্ঘনিঃম্বাসের সহিত বলিতে লাগিলেন-_“জানতে পেরেছে। ওরা অভ্তয্যমী কিনা। ও বাড়ীতে যে আর ফিরে আসবে না, তা জানতে পেরেছে।”.
নাতনী চলিয়া গেলে বৃদ্ধ সাশ্রনয়নে আপন মনে বলিতে লাগিলেন-_-“যাবার সময় আমি তোর সঙ্গে দেখাও করলাম না–সে কি তোকে অনাদর করে? না মা, তা নয়। তুই ত অন্তর্ধ্যামী-_তুই কি আমার মনের কথা বুঝতে পারিসনি £-__-খুকীর বিয়েটা হয়ে যাক। তার পর, তুই যার ঘরে যাবি, তাদের বাড়ী গিয়ে আমি তোকে দেখে আসব। তোর জন্যে সন্দেশ নিয়ে যাব-_রসগোল্লা নিয়ে যাব। যতদিন বেঁচে থাকব, তোকে কি ভুলতে পারব? মাঝে মাঝে গিয়ে তোকে দেখে আসব। তুই মনে কোন অভিমান করিসনে মা1””
সপ্তম পরিচ্ছোদ
পরদিন বিকালে একটি চাষীলোক একখানি পত্র আনিয়া মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের হস্তে দিল।
পত্র পাঠ করিয়া ত্রার্গণের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হইল। মধ্যমপূত লিখিযাছে –“*দাটী হইতে সাত ক্রোশ দূরে আসিয়া কল্য বিকালে আদরিণী অত্যন্ত্রী পীড়িউ ইইযী পড়ে। লে আর পথ চলিতে পারে না। রাস্তার পার্থে একটা আমবাগানে শুইয়া পড়িয়াছে। তাহাব
সস
পেটে বোধ হয় কোনও বেদনা হইয়াছে__শুড়টি উঠাইরা মাঝে মাঝে কীতিই্বরে আন্তন।ন করিয়া উঠিতেছে। মাহুত বথাবিদ্যা সমস্ত রাত্রি চিকিৎসা হরিয়াছে–কিস্ত কোন্ও ফল হয় নাই–বোধ হয় আদরিণী আর বাচিবে না। যদি মবিয়া যায় তবে তাহাৰ *বদেহ £পাথিত কবিবার জন্য নিকটেই একটু জমি বন্দোবস্ত লইতে হইবে। সুতরাং কর্তা মহাশয়ের আঁনলন্ে আসা আবশাক ।”
বাড়ীর মধ্যে গিয়া উঠানে পাগলেব মত পায়চারি কবিতে কবিতে বৃদ্ধ বলিতে লাগিলেন–“আমায গাড়ীর বন্দোবস্ত করে দাও। আমি এখনি বেকব। আাদরেব অসুখ যন্্ণায় সে ছটফট কলছে। মামাকে না দেখতে পেলে সে সুস্থ হবে নং। আমি আনু দেহী কূরতে পারন না।”-তখনই বাড়ার গাডীর বন্দোবস্ত করিতে লোক ছুটিল। বধ্রা আনেক কষ্টে বৃদ্ধকে একটু দুর্খুনাত্র পান করাইতে ৪ হইলেন। বাতি দশটার সময গাড়ী ছাকিল। জ্রেষ্ঠপূত্রও.সঙ্গে গেলেন। পত্রবাহক টি বৌটবাজে পাঁসল। – লরি হভতৈ গ্ভব্যস্থানে পৌঁছিয়া র্ বদখিলেন -সমত্ত শেয় হইথা শিনাতে। আদরিণীর সেই নবজলধরবর্ণ বিশাল দেহখানি আশ্রবনের ভিতকে পতিত রহিয়াছে ভাতা আজ নিশ্চল-_নিস্পন্প।–বৃদ্ধ ছুটিযা শিয়া হস্তিনীর শবদেহেব নিক সায়া পায়, তাহার মুখের নিকট মুখ রাখিয়’ কীদিতে কাদিতে বারদ্ধান বলিতে লাধিলেননঠঅভিমান করে চুলে গেলি মাঃ তোকে ব্রেক ঞঠিয়েছিলাম বলে- তুই অভিমান করে চলে গেলি £”
ইহার পর দুইটি মাস মাহ মুখোপাধ্যায় মহাশয় জীবিত ছিলেন।