bohurupi-saq-question-answers

বহুরূপী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর

দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বহুরূপী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী গল্পের এই SAQ প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের দশম শ্রেণির বাংলা বহুরূপী গল্পের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হবে। 

বহুরূপী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘সে ভয়নক দুর্লভ জিনিষ’ – দুর্লভ জিনিসটি কি?

উঃ জগদীশবাবুর বাড়িতে যে সন্ন্যাসীর আগমন হয়েছিল তাঁর পায়ের ধুলোকে ‘দুর্লভ জিনিস’ বলা হয়েছে।

২) হরিদা কোথায় থাকতেন?

উঃ শহরের সবচেয়ে সরু গলির মধ্যে ছোট্ট একটি ঘরে হরিদা বাস করতেন।

৩) ‘অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না’ – হরিদার কোন ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উঃ বিরাগী সাজে সজ্জিত হরিদা, ধনীমানুষ জগদীশ বাবুর থেকে প্রণামী নিতে অস্বীকার করেন; এখানে এই ভুলের কথা বলা হয়েছে।

৪) জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন?

উঃ জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশত এক টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন।

৫) ‘হরিদার জীবন এইরকম বহু রুপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে’ – কিরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?  

উঃ হরিদা একজন বহুরূপী, পেশার জন্য হরিদা নানান রকম রূপধারণ করেন, এখানে রূপের খেলা বলতে হরিদার বহুরূপী সাজাকে বলা হয়েছে।

৬) ‘সপ্তাহে বড়জোর একটি দিন বহুরূপী সেজে পথে বের হন হরিদা’ – ‘বহুরূপী’ কাকে বলে?

উঃ যে সকল মানুষরা পেশার খাতিরে নানারকম সাজ – সজ্জা ধারণ করেন এবং তা দেখিয়ে পথচলতি মানুষদের আনন্দ দান করেন তাদের বহুরূপী বলা হয়।

৭) ‘আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?’ – বক্তা এ কথা কাকে বলেছিলেন? 

উঃ একথা হরিদা জগদীশবাবুকে বলেছিলেন।

৮) ‘একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল’? – কোথায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল? 

উঃ একদিন চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঠিক দুপুরবেলায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল।

৯) “আজ তোমাদের একটা জবর খেলা দেখাবো।” – কি খেলা দেখানো হয়েছিল?

উঃ হরিদা ‘বিরাগী’ সন্ন্যাসীর রূপ ধরে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন, এখানে ‘জবর খেলা’ বলতে এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

১০) ‘এবারের মতো মাপ করে দিন ওদের’- এ কথা কে, কাকে বলেছিল?

উঃ এই কথা স্কুলের মাস্টারমশাই ‘পুলিশ’ রূপী হরিদাকে বলেছিলেন।

১১) ‘না, না হরিদা নয়। হতেই পারে না।’ বক্তা ও তার সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের কারণ কি ছিল?

উঃ বিরাগীরূপী হরিদার গলার স্বর এবং বাচনভঙ্গীর সাথে আসল হরিদার কোন মিল না থাকার কারণে, বক্তা ভবতোষ এই কথা তার সঙ্গীদের বলে।

১২) ‘আমার অপরাধ হয়েছে।’ – কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে?

উঃ জগদীশবাবু বিরাগীরূপী হরিদার সাথে কথা বলার সময় সিঁড়ির উপর থেকে দাঁড়িয়ে কথা বলেছিলেন, এখানে সেই অপরাধের কথা বলা হয়েছে।

১৩) ‘বাইজীর বেশে সেদিন হরিদার রোজগার মন্দ হয়নি’ – রোজগারের পরিমাণ কত ছিল?

উঃ বাইজীর ছদ্মবেশ ধরে হরিদার মোট আট টাকা দশ আনা রোজগার হয়েছিল।

১৪) “আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?” — বক্তা একথা কাকে বলেছিলেন?

উঃ সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে বর্ণিত বিরাগী ছদ্মবেশে হরিদা জগদীশবাবুকে উক্তিটি করেন।

১৫) জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন?

উঃ জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য একশো টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন। 

১৬) “এটা আমার প্রাণের অনুরোধ।” — বক্তা কোন অনুরোধকে প্রাণের অনুরোধ বলেছেন?

উঃ বক্তা জগদীশবাবু  বাড়িতে আগুন্তক বিরাগীজীকে কয়েকটা দিন থেকে যাওয়ার নয় অনুরোধ করেছিলেন। তাকেই তিনি তার প্রাণের অনুরোধ বলেছেন।

১৭) “ধন জন যৌবন কিছুই নয় জগদীশবাবু।” — বক্তা ধন-জন-যৌবনকে কিছুই নয় বলেছেন কেন?

উঃ সকল ঐশ্বর্যের রূপকার ঈশ্বরকেই বিরাগী বেশধারী বহুরুপী হরিদা একমাত্র সত্য বলে স্বীকার করেছেন। তাই পার্থিব ধন-জন-যৌবনকে তিনি সুন্দর এক-একটি বঞ্চনা ছাড়া অন্য কিছু বলে মানতে চাননি।

১৮) ‘ঠাণ্ডা জল চাই, আর কিছু চাই না’ – কার কোন কথার উত্তরে বিরাগী একথা বলেছিল?

উঃ বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে দেখে মোহিত জগদীশবাবু তাঁর সেবা করার আবেদন করেছিলেন, যার উত্তরে হরিদা আলচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

১৯) ‘চমকে উঠলেন জগদীশবাবু’ – চমকে ওঠার কারণ কি?

উঃ বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠেছিলেন।

২০) “আক্ষেপ করেন হরিদা” —হরিদা কী আক্ষেপ করেন?

উঃ জগদীশবাবু বাড়িতে হিমালয়ের গৃহবাসী এক উচ্চমানের সন্ন্যাসী সাতদিনের আতিথ্য গ্রহণ করে চলে গিয়েছেন। কথক ও তার সঙ্গীদের থেকে এ খবর শুনে হরিদা আক্ষেপ করে বলেন —” … থাকলে একবার গিয়ে পায়ের ধুলো নিতাম।”

২১) “সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন।” সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন আর চলে গেলেন?

উঃ সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় তার ঝোলার ভিতরে জগদীশবাবু জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলে দিয়েছিলেন। তা দেখে সন্ন্যাসী হাসলেন এবং চলে গেলেন।

২২) “খুব হয়েছে হরি” — কে, কখন একথা বলেছে?

উঃ একবার হরিদা বদ্ধপাগল সেজে চকের বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভয় দেখাচ্ছিলেন। যাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করতে লাগলে বাস ড্রাইভার কাশীনাথ হরিদাকে চিনতে পেরে ধমক দেন ও অন্যদিকে যাওয়ার কথা বলেন।

২৩) “হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের ফেলা দেখিয়েই এরকম চলে যাচ্ছে।” —কী রকম খেলা হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?

উঃ হরিদার জীবনে ও পেশায় রয়েছে নাটকীয় বৈচিত্র। সপ্তাহে একদিন সকালে বা সন্ধ্যায় বিচিত্র ছদ্মবেশে হরিদা পথে বেরিয়ে পড়েন। কেউ চিনতে পেরে এক বা দুই আনা বকশিস দেয়। আবার কেউ চিনতে না পেরে বিরক্ত হয়ে কিছুই দেয় না, কখনও এক-দুই পয়সা দেয়। এভাবেই চলে যায় তার জীবন।

২৪) পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিলেন?

উঃ একবার দ্যালবাবুর লিচুবাগানের ভিতর নকল পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিলেন হরিদা। সেখানে তিনি স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরলে তারা ভয়ে কেঁদে ফেলে। শেষমেশ তাদের স্কুলের মাস্টারমশাই পুলিশরূপী হৃদয়ের কাছে ক্ষমা চান ও আট আনা ঘুষের বিনিময়ে হরিদা তাঁর অনুরোধ রক্ষা করেন।

২৫) “সপ্তাহে বড়োজোর একটা দিন বহরূপী সেজে পথে বের হন হরিদা” — ‘বহুরূপী’ কাকে বলে?

উঃ যে ব্যক্তি বিভিন্ন চরিত্রের সাজে নিজেকে সজ্জিত করে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করে তাকে বহুরূপী বলে।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

বহুরূপী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর

বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

বহুরূপী - সুবোধ ঘোষ । দশম শ্রেণি বাংলা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top
× Need Help?