দশম শ্রেণির বাংলা সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য দশম শ্রেণির বাংলা সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর আলোচনাটি প্রদান করা হলো। সিরাজদ্দৌলা নাটকের ৪ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
দশম শ্রেণির বাংলা সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর :
১) “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত”- বক্তা কে? তাঁর এই লজ্জার কারণ কী? ১+৩
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন এই নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র, স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দোউলা। তিনি ফরাসি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র মঁসিয়ে লা-কে উদ্দেশ্য করে এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন।
লজ্জার কারণঃ
ঔপনিবেশিক বাণিজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারতবর্ষে নানা ইউরোপীয় জাতির আগমন ঘটে। তাদের মধ্যে প্রধান ছিল ফরাসি ও ইংরেজরা। ফরাসিরা বাংলায় বাণিজ্য করবার জন্য পালনীয় সকল শর্ত অত্যন্ত সতর্কতার সাথেই মেনে চলতো এবং নবাবকে সর্বদা খুশি রেখেই তাদের বাণিজ্য পরিচালনা করতো।
কিন্তু ইংরেজরা আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে নবাবের অনুমতির পরোয়া না করেই ফরাসিদের বাণিজ্য ঘঁটি চন্দননগর অভিযান করে সেখান থেকে ফরাসিদের বিতাড়িত করতে সচেষ্ট হয়।
ফরাসীরা তাদের এই ঘোর সংকটকালে নবাব সিরাজদ্দৌলার সাহায্য প্রার্থনা করে, যার পরিচয় আমরা মঁসিয়ে লা-র উক্তিতে পাই- “We have always sought for your protection, Your Excellency.”
কিন্তু এই সময়কালে নবাব কলকাতা জয় করায় এবং পূর্ণিয়ার শওকতজঙ্গের সঙ্গে সংগ্রামে অনেক লোকক্ষয় ও অর্থব্যয় করে ফেলায় তিনি ইংরেজদের সাথে সরাসরি সংগ্রামে জড়াতে সম্মত ছিলেন না। তাই তিনি ফরাসীদের সাহায্য করতে না পারার হতাশা থেকেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
২) “কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা”- কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের থেকে গৃহীত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে এই তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তা ও শ্রোতাঃ
উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন স্বাধীন বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা। তিনি কথাগুলি বলেছেন তার সভায় উপস্থিত ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে।
মন্তব্যের কারণঃ
বণিকের মানদন্ড রাজদন্ডে পরিণত করে ইংরেজরা বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের শাসনজ্বাল বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে। তাদের এহেন আগ্রাসী মানসিকতায় বীতশ্রদ্ধ নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা অভিযান করে ইংরেজদের বিতাড়িত করে তার নাম আলিনগর রাখেন। এর পরবর্তিতে ইংরেজদের সাথে তার আলিনগরের সন্ধি হয় এবং সেই সন্ধির শর্ত অনুসারে ওয়াটস কোম্পানির দূত রূপে তার সভায় স্থান লাভ করেন।
সিরাজদ্দৌলা ইংরেজদের গোপন চক্রান্তের প্রমাণ স্বরূপ অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের ওয়াটসকে লেখা পত্রের সন্ধান পান; যেখানে লেখা ছিল, “বাংলায় আমি এমন আগুন জ্বালাইব, যাহা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়াও নিভানো যাইবে না।” এর পরবর্তিতে ওয়াটসের প্রত্যুত্তরের পত্রও সভায় পাঠ করা হলে সিরাজদ্দৌলা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তার সভায় থেকে ওয়াটস তারই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় এবং তার অন্যান্য সভাসদদের প্ররোচিত করায় সিরাজদ্দৌলা ইংরেজদের স্পর্ধা, ঔদ্ধত্য ও দুরভিসন্ধিতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
৩) “বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্বরকমে আমাকে সাহায্য করুন”- সিরাজ কাদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন? কেন তিনি এই সাহায্যের প্রত্যাশী হয়েছেন? ১+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
সাহায্য প্রার্থনাঃ
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা তার সভাসদ ও রাজকর্মচারী মীরজাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ প্রমুখের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সাহায্য প্রার্থনার কারণঃ
বণিকের মানদন্ডধারী ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় রাজদন্ড ধারণে প্রয়াসী হয়ে উঠলে তারা সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন ঘসেটি বেগমসহ সিরাজের সভাসদদের একাংশ। নবাবের সিপাহসলার মীরজাফর, মীরকাশিমদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন হলেও সিরাজদ্দৌলা আশা করেছিলেন তার সভাসদেরা বাংলার এই ঘোর দুর্দিনে তার পাশে এসে দাঁড়াবেন। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যতীত যে বাংলার স্বধীনতার সূর্যের অস্তাগমন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তা নবাব উপলব্ধি করতে পেরে বলেছেন- “বাংলার এই দুর্দিনে আমাকে ত্যাগ করবেন না।”
আর তাই নবাব সিরাজদ্দৌলা তাদের সকল অপরাধকে ক্ষমা করে তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
৪) ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজের দেশপ্রেমের পরিচয় দাও। ৪
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” তাঁর “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশে জাতীয় রাজনীতির এক অস্থির সময়কে পটভূমি রূপে নির্বাচন করেছেন। যখন দেশ দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী বিভেদে বিভেদগ্রস্থ; যখন মুসলিম লীগের প্রচারে দেশ বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তখন নাট্যকার সিরাজদ্দোউলা চরিত্রটির মধ্য দিয়ে সকল দেশবাসীকে স্বদেশপ্রেমের মন্ত্রে জাগরিত করতে চেয়েছেন।
সিরাজের দেশপ্রেমের পরিচয়ঃ
মার্কিন রাজনীতিবিদ A Stvenson দেশপ্রেম সম্পর্কে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন- “Patriotism is not short, frenzied outburst of emotion, but the tranquil and steady dedication of a lifetime.”
স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দৌলার চরিত্রেও আমরা তাঁর সত্যানুভূতি, দুর্বার জীবনবোধ, অখন্ড সাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্তের পরিচয় লাভ করি। তাই সিরাজদ্দৌলার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্ব রকমে আমাকে সাহায্য করুন।”
সমগ্র বাংলার সার্বিক মঙ্গলসাধনাকে লক্ষ্য রূপে নির্বাচন করেই যেনো নাট্যকার সিরাজদ্দৌলা চিত্রটির নির্মাণ করেছেন। আর তাই মাতৃভূমি বাংলাকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র সাম্প্রদায়িক স্বার্থের সংকীর্ণ গন্ডীতে সিরাজ কখনোই আবদ্ধ করতে চান না। তিনি বিপদকালে তার সভাসদদের উদ্দেশ্যে তাই দৃপ্তকন্ঠে ঘোষণা করেন- “বাংলা শুধু হিন্দুর নয়, বাংলা শুধু মুসলমানের নয়- মিলিত হিন্দু মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা।”
সংকীর্ণ দলাদলি, পারস্পরিক দোষারোপ ও স্বার্থপরতার উর্দ্ধে সিরাজদ্দৌলার মধ্য দিয়ে আমরা এক প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পরিচয় পেয়ে থাকি।
৫) ‘এইবার হয় তো শেষ যুদ্ধ’- কোন যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে? বক্তা এই যুদ্ধকে শেষ যুদ্ধ বলেছেন কেন? ১+৩
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছেঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে পলাশীর যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
‘শেষ যুদ্ধ’ বলার কারণঃ
বাংলার নবাব হিসেবে সিংহাসন লাভ করার পর থেকেই সিরাজদ্দৌলা চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর সভাসদরাই ষড়যন্ত্রের জাল রচনা করেছিলেন। এমনকি তাঁর সিংহাসনে বসা নিয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও ছিল ক্ষোভ। আর এই সুযোগে ইংরেজরা সিরাজের আত্মীয়স্বজনদের মন বিষিয়ে দিয়েছিল। সিরাজদ্দৌলার সভাসদদের নবাব-বিরোধী কাজে প্ররোচিত করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি ইংরেজরা সিরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজনও শুরু করেছিল যার পরিচয় আমরা অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের পত্রে লাভ করি।
পলাশির প্রান্তরে যে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা সিরাজদ্দৌলা উপলব্ধি করে বলেছিলেন- ‘বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা’। সিরাজদ্দৌলা এই পলাশির যুদ্ধকেই ‘শেষ যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন; কারণ তিনি জানতেন যে, তাঁর প্রাণের বিনিময়েই হয়তো বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হবে।
৬) সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌলার চরিত্র আলোচনা করো। ৫
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র হলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা। নাট্যাংশের স্বল্প পরিসরে এই ট্র্যাজিক চরিত্রটি সকল পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তার যেসকল বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্র-বৈশিষ্ট্যাবলীর দ্বারা তা ক্রমান্বয়ে আলোচিত হলো-
নির্ভীকঃ
বাংলার সিংহাসনকে কেন্দ্র করে যে অনিশ্চয়তার বাতাবরন তৈরি হয়েছিল তাকে সিরাজদ্দৌলা নির্ভীকচিত্তে দমন করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তিনি কঠোরভাবে তার মনোভাব উপলব্ধি করাতে সক্ষম হয়েছেন।
বিনয়ীঃ
ফরাসী প্রতিনিধি মসিয়ে লার সাথে কথোপকথনে, তার সভাসদদের প্রতি আবেদনে কিম্বা ঘসেটি বেগমের সাথে বাক্যালাপকালে আমরা সিরাজদ্দোউলার বিনয়ী স্বভাবের পরিচয় লাভ করি।
আবেগপ্রবণঃ
আবেগপ্রবণ সিরাজ তার প্রিয়তমা পত্নী লুৎফার সাথে কথোপকথনে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে তার সভাসদদের কাছেও এই বিপদে তাকে ত্যাগ না করার আবেদন জানিয়েছেন আবেগমথিত কন্ঠে।
আত্মসমালোচনাঃ
বাংলার ঘোর দুর্যোগের জন্য সিরাজদ্দৌলা নিজেকেই দায়ী করে আত্মসমালোচনার সুরে বলে উঠেছেন- “অপরাধ আমি যা করিচি, তা মিলিত হিন্দু-মুসলমানের কাছেই করিচি।”
স্বদেশপ্রেমীঃ
স্বদেশের দুর্দিনে সিরাজ সকল মতভেদ ভুলে তার বিরুদ্ধাচারণকারীদেরও ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন- “বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্বরকমে আমাকে সাহায্য করুন।”
সৌহার্দ্যবোধঃ
জাতি-ধর্ম-বর্ণের উর্ধে সিরাজদ্দৌলা সকলকে সৌহার্দ্য স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন-“আজ বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন।”
কর্তব্যবোধঃ
কর্তব্যপরায়ণ সিরাজদ্দৌলা দেশের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমা করে তাদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
দুরদর্শীঃ
দুরদর্শী সিরাজদ্দোউলা যেন বাংলার ভবিষ্যতকে প্রত্যক্ষ করতে পেরেছিলেন। তাই তার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “জানি না, কার রক্ত সে চায়। পলাশি, রাক্ষসী পলাশি।”
এইরূপে সিরাজদ্দৌলা চরিত্রটি তার বিবিধ চরিত্র বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে আমাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠান করেছেন।
৭) ‘মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন’- কে, কাকে পত্র লিখেছিলেন ? এই পত্রে কী লেখা ছিল ? এর প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল? ১+১+১+১
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
পত্র লেখকঃ
উল্লিখিত পত্রটির রচয়িতা হলেন ইংরেজ অ্যাডমিরাল ওয়াটসন।
যাকে উদ্দেশ্য করে পত্র লেখা হয়েছিলঃ
অ্যাডমিরাল ওয়াটসন মুর্শিদাবাদে নবাব সিরাজদ্দৌলার সভায় উপস্থিত ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসনকে উদ্দেশ্য করে পত্রটি রচনা করেছিলেন।
পত্রের বিষয়বস্তুঃ
অ্যাডমিরাল ওয়াটসন লিখেছিলেন যে, কর্নেল ক্লাইভ যে সৈন্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন, তা দ্রুত কলকাতাইয় পৌঁছাবে। আর তিনি অন্য আরেকটি জাহাজ মাদ্রাজে পাঠিয়ে খবর দেবেন যে, বাংলায় আরও জাহাজ ও সৈন্য প্রয়োজন। তিনি আরো লেখেন যে- ‘বাংলায় আমি এমন আগুন জালাইব, যাহা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়াও নিভানো যাইবে না।’
পত্রের প্রতিক্রিয়াঃ
সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে এভাবেই ইংরেজরা ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু এই পত্রটি ওয়াটসনের হাতে পৌঁছানোর পূর্বেই সিরাজদ্দৌলার হস্তগত হয়। তিনি ওয়াটসকে হুমকিও দিয়েছিলেন- ‘তোমাকে আমরা তোপের মুখে উড়িয়ে দিতে পারি, জান?’ এর পরবর্তীতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা ওয়াটসকে দরবার ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
৮) ‘ওখানে কী দেখচ মুর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো!’- বক্তা কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার কী মনোভাব লক্ষ করা যায় ? ১+৩
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত অংশটির বক্তা হলেন সিরাজদ্দৌলার মাসি ঘসেটি বেগম।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার মনোভাবঃ
ঘসেটি বেগমের প্রকৃত নাম মেহেরুন্নিসা। তিনি নবাব আলিবর্দি খাঁ-র বড়ো মেয়ে, সম্পর্কে সিরাজের মাসি। ঢাকার শাসনকর্তা শাহমৎ জঙ্গের সঙ্গে ঘসেটি বেগমের বিবাহ হয়েছিল। দত্তক পুত্র ইকরমের মৃত্যু হলে তার শোকে শাহমৎ জঙ্গও মারা যান। বিধবা ঘসেটি বেগম এরফলে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন।
বাংলার শাসনভার আলীবর্দী খাঁর মনোনীত সিরাজদৌলার হাতে গেলে ঘসেটি বেগম তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত হন। তিনি আলিবর্দির মেজো মেয়ের ছেলে শওকত জঙ্গকে সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন। বাংলার নবাব আলিবর্দির মৃত্যুর পরে ঘসেটি রাজবল্লভ ও অন্যান্য সভাসদদের নিজের পক্ষে নিয়ে আসেন।
এই চক্রান্তের কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত সিরাজ ঘসেটি বেগমের মতিঝিল প্রাসাদ নিষিদ্ধ করেন এবং তাঁকে নিজের রাজপ্রাসাদে নজরবন্দি করে রাখেন। শওকত জঙ্গ সিরাজের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। আর এইসকল ঘটনায় ঘসেটি বেগম সিরাজদ্দৌলার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন।
৯) ‘আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না, একথা তাদের মনে রাখা উচিত’- বক্তা কে? ‘আমরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? একথা বলার কারণ কী ? ১+১+২
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত অংশটির বক্তা হলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত সেনাপতি মীরমদন।
‘আমরা’ বলতে যাদের বোঝানো হয়েছেঃ
উদ্ধৃত অংশে ‘আমরা’ বলতে মীরমদন ও মোহনলাল -এই দুই সেনাপতিকে বোঝানো হয়েছে।
মন্তব্যের কারণঃ
নবাব সিরাজদ্দৌলাকে খুব অল্প বয়সে আলিবর্দী খাঁ বাংলার সিংহাসনে বসান। ফলত ঘরে-বাইরে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শত্রুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। নবাবের সিপাহশালার মীরজাফরের মতো বিশ্বাসঘাতকের দল সিরাজকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করার জন্য প্রচেষ্টা করতে থাকে। তারা ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করতে এবং দেশকে বিপন্ন করতে উদ্যোগী হন। এই পরিস্থিতিতে নবাবের বিশ্বস্ত ও অনুগত সেনাপতি মীরমদন ষড়যন্ত্রকারীদের মনে করিয়ে দিতে চান যে, নবাব একেবারে অসহায় নন; তাঁর মর্যাদা রক্ষার জন্য মীরমদন ও মোহনলালরা দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাবেন।
১০) ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা’- বক্তা কে ? কোন দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে ? ১+৩
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রচিত তিন অঙ্কের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্য আমাদের পাঠ্য “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশরূপে গৃহীত হয়েছে, যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা হলেন স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দৌলা।
দুর্যোগের পরিচয়ঃ
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বণিকের মানদন্ড রাজদন্ডে পরিণত হয়েছিল। নবাব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন মীরজাফর, জগৎশেঠ, মীরজাফর প্রমুখ সভাসদেরা। এমনকি তাঁর মাসি ঘসেটি বেগমও ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধাচারণকারী।
সিরাজদ্দৌলা বাংলার মসনদে বসে ইংরেজদের কলকাতা থেকে বিতাড়িত করেন। কিন্তু রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় ফিরে পুনরায় তা দখলে আনেন। সে সময় পরিস্থিতির চাপে সিরাজ ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের সন্ধির মাধ্যমে মীমাংসা করেন।
স্বাধীনচেতা সিরাজকে সরানোর জন্য ইংরেজরা গোপনে চক্রান্ত শুরু করে। রায়দুর্লভ, রাজবল্লভ ও জগৎশেঠের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইংরেজরা নবাবকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করতে থাকে। আর এসব উপলব্ধি করে ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা’ দুরদর্শী সিরাজদ্দৌলা দেখতে পান। তাই বিরুদ্ধ আচরণকারী মীরজাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ প্রমুখ সভাসদকে দেশাত্মবোধে অনুপ্রাণিত করে সিরাজদ্দোউলা প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে সচেতন করতে চেয়েছেন।
১১) “সিরাজের নবাবির এই পরিণাম” – বক্তা কে ? প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করাে। ১+৩
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বক্তাঃ
সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশে উধৃত উক্তির বক্তা হলেন বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার মাসি ঘসেটি বেগম।
প্রসঙ্গঃ
নবাব আলিবর্দীর মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা আমিনা বেগমের পুত্র সিরাজদ্দৌলা বাংলার নবাব হন। কিন্তু নিঃসন্তান মাসি ঘসেটি বেগম তার পালিত পুত্র সওকত জঙ্গকে বাংলার মসনদে বসাতে চেয়েছিলেন। ফলে তাদের সহায়তায় মীরজাফর, জগৎ শেঠ, রায় দুর্লভ প্রমুখকে কেন্দ্র করে এক বিরােধী গােষ্ঠী গড়ে ওঠে। ঘসেটি বেগমকে সিরাজ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগে তার প্রাসাদে বন্দী করে রাখেন। তাই সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগম সিরাজের চূড়ান্ত পরাজয় প্রত্যাশী ছিলেন। আর এইরূপ পরিস্থিতিতেই ইংরেজ সেনাবাহিনী নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ আক্রমণ করে।
ব্যাখ্যাঃ
সিরাজের পক্ষে এই ইংরেজ আক্রমণ ছিল দুর্দিন; যা ঘসেটি বেগমের সাথে কথোপকথনকালে সিরাজের কন্ঠে আমরা জানতে পারি। অন্যদিকে, ঘটনাটি ঘসেটি বেগমের কাছে ছিল সুদিন; কারণ প্রাসাদবন্দী ঘসেটি বেগম সর্বদাই মনে প্রাণে সিরাজের পতন চেয়েছিলেন। তাই ঘসেটি বেগমের কাছে এটি ছিল সুদিন। আর তাই তিনি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
১২) “আজ বিচারের দিন নয়, সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন” – বক্তা কে? কার প্রতি তিনি এই উক্তি করেন? বক্তার এই উক্তির কারণ উল্লেখ করাে। ১+১+২
উৎসঃ
বিখ্যাত নাট্যকার “শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত” রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন স্বাধীন বাংলার শেষ নাবাব সিরাজদ্দৌলা।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
বক্তা সিরাজদ্দৌল্লা প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি তার সিপাহশালার মীরজাফরকে উদ্দেশ্য করে করেছেন।
বক্তার এই উক্তির কারণঃ
সিরাজদ্দৌলা নবাব হবার পরপরই সৌকত জঙগ, ঘসেটি বেগম, জগৎ শেঠ, মীরজাফর প্রমুখর দ্বারা নবাব বিরােধী একটি চক্রান্ত গড়ে ওঠে। ইংরেজ কর্মচারী ওয়াটসনও তাদের সঙ্গী হন। আর তা জানতে পেরে সিরাজ ওয়াটসন সাহেবকে প্রাসাদ থেকে বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে তিনি মীরজাফরকে লেখা ওয়াটসনের চিঠি দেখান এবং তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেই প্রশ্ন তােলেন।
মীরজাফর তখন প্রশ্ন তােলেন যে, নবাব প্রকাশ্য দববাবে তার বিচার করতে চান কিনা। প্রত্যত্তরে নবাব সিরাজদ্দৌলা উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, বাংলার দুর্দিনে বাংলার মান-মর্যাদা, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সভাসদদের একসঙ্গে বাংলার পক্ষে প্রতিরােধ গড়ে তােলা দরকার। আর এর জন্য প্রয়ােজন ভেদাভেদ, বিদ্বেষ, পারস্পরিক দোষারােপ ভুলে সকলের মধ্যে সৌহাদ্য স্থাপন।
LINK TO VIEW PDF FILES (ONLY FOR SUBSCRIBERS)
নিম্নে সিরাজদ্দৌলা নাটকের আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
১) “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত”- বক্তা কে? তাঁর এই লজ্জার কারণ কী? ১+৩
২) “জাতির সৌভাগ্য-সূর্য আজ অস্তাচলগামী”- বক্তার এই উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৪
৩) “বাংলার এই দুর্দিনে আমাকে ত্যাগ করবেন না”- কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলা হয়েছে? কোন্ দুর্দিনের জন্য তাঁর এই আবেদন? ১+৩=৪
৪) “বাংলা শুধু হিন্দুর নয়, বাংলা শুধু মুসলমানের নয়- মিলিত হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা।”- কাদের উদ্দেশ করে এ কথা বলা হয়েছে? এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার কী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে? ১+৩=৪
৫) “জানি না আজ কার রক্ত সে চায়। পলাশি, রাক্ষসী পলাশি!”- এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মানসিক ভাবনার পরিস্ফুটন ঘটেছে, তা আলোচনা করো।
৬) ‘ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত এই বাক্যজ্বালা আমি আর সইতে পারি না লুৎফা”- লুৎফা কে? বক্তার কথায় ঘরে-বাইরের কী ধরণের বাক্যজ্বালার প্রসঙ্গ নির্দেশিত হয়েছে? ১+৩=৪
৭) “দুর্দিন না সুদিন?”- কে, কাকে বলেছে? ‘দুর্দিন’ ও ‘সুদিন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ১+৩=৪
৮) সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজের চরিত্র আলোচনা করো। ৫
৯) ‘সিরাজদ্দোউলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে ঘসেটি বেগম চরিত্রের পরিচয় দাও।
১০) ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ অবলম্বনে লুৎফা চরিত্রের পরিচয় দাও। ৫
১১) “বাংলার মান, বাংলার মর্যাদা, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আপনারা আপনাদের শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, সর্বরকমে আমাকে সাহায্য করুন”- সিরাজ কাদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন? কেন তিনি এই সাহায্যের প্রত্যাশী হয়েছেন? ১+৩=৫
১২) “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? এই মন্তব্যে বক্তার যে মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, তা আলোচনা করো।