ডাকঘর নাটকের প্রশ্নের উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ডাকঘর নাটকের প্রশ্নের উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা প্রদান করা হলো। যে সকল শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টারের পড়া সম্পূর্ণ করে চতুর্থ সেমিস্টারের প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছো তাদের জন্য এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ডাকঘর নাটকের গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর -গুলি প্রদান করা হলো। পূর্ণাঙ্গ কবিতাটি পাঠ করতে শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্লাস নোট বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা নোট পেজ ভিজিট করো।
ডাকঘর নাটকের প্রশ্নের উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা :
নিম্নে ডাকঘর নাটকের বিষয়বস্তুর আলোচনা প্রদান করা হলো –
ডাকঘর নাটকের প্রশ্নোত্তরঃ
১) ‘আমার শুনতে ভারি ভালো লাগে’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। বক্তার এমন ভালো লাগার কারণ কী? ২+৩
উৎসঃ
বাংলা ১৩১৮ সালে শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তাঁর ‘ডাকঘর’ নাটকটি রচনা করেন। প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি এই নাটক থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
নাটকের দ্বিতীয় পর্বে প্রহরীর সঙ্গে অমলের আলাপচারিতা ক্রমশ বাঁক নেয় প্রগাঢ় বন্ধুত্বের বন্ধনে। তখন অমল প্রহরীকে জানায়- দুপুরবেলা যখন তাদের বাড়ির সকলেরই দ্রুত খাওয়া হয়ে যায়। তখন পিসেমশাই কোথাও কাজ করতে বেরোন, পিসিমা রামায়ণ পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েন, তাদের ছোট্ট কুকুরটা উঠোনের কোণে ছায়ায় লেজের মধ্যে মুখ গুঁজে ঘুমোতে থাকে। আর ঠিক তখনই তার বাজানো ঘণ্টার ঢং ঢং শব্দ ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।
বক্তার ভালো লাগার কারণঃ
অমল চরিত্রের মধ্য দিয়ে নাট্যকার সুকৌশলে মানবজীবনে মুক্তি, আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার গভীরতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। অমল মানবজীবনের সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেও মুক্তির পথ অনুসন্ধান করা সেই সুদূরপিয়াসী মননের অধিকারী সত্তা। তার মন যেনো বলে ওঠে –
‘হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোন্খানে।’
বাইরের জগৎকে জানার, দেখার এবং অনুভব করার তীব্র ইচ্ছা তার ভিতর প্রবল, শিশুসুলভ কৌতূহল ও ভীষণ। তাইজন্য আত্মভোলা অমলের হৃদয়ের অলিন্দে ছুঁয়ে যায় প্রহরীর বাজানো ঘণ্টার ধ্বনি। সেই ধ্বনি তাকে এক অজানা আবেশে আন্দোলিত করে। অনুভবী অমল বিহ্বল হয়ে প্রহরীকে জানায়- ‘বেশ লাগে তোমার ঘণ্টা…..’। ভালোলাগার রেশ টেনে নিয়ে যেতে ঔৎসুক্য অমল জানায় – ‘তুমি ঘণ্টা বাজাবে না প্রহরী?’ মানবজীবনের চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার এক শাশ্বত প্রকাশ ঘটেছে অমল চরিত্রের মধ্য দিয়ে।
২) ‘ও চলে গেলে আমার এ ঘর যেন আর ঘরই থাকবে না।’ – কে, কার সম্পর্কে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তার যে মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখো। ২+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা ১৩১৮ সালে শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তাঁর ‘ডাকঘর’ নাটকটি রচনা করেন। প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি এই নাটক থেকে চয়ন করা হয়েছে।
বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
আলোচ্য নাটকের মুখ্য চরিত্র অমল, গ্রাম সম্পর্কিত পিসেমশাই মাধবদত্তের কাছে লালিত-পালিত। ছোট্ট অমল নিজস্ব সহজ-সরলতায় মাধবদত্তের বাড়ির সকলের চোখের মণি হয়ে ওঠে। কিন্তু তার অসুস্থতায় সকলেই শোকাহত হয়ে পরে। অমল বিহনে যে যন্ত্রণা, কষ্ট, হাহাকার সেটা অনুভব করে মাধবদত্ত প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
বক্তার মানসিকতাঃ
নিঃসন্তান মাধবদত্ত পরিশ্রমী এবং বিত্তশালী। প্রথম দিকে পোষ্যপুত্র নেওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও স্ত্রীর জারিজুরিতে অমলকে দত্তক নিতে বাধ্য হন। তার ভয় ছিল, তার বহু কষ্টার্জিত ধনসম্পদ পরের ছেলে এসে নষ্ট করতে পারে। কিন্তু অমলকে দেখার পর তার বহুদিনের ভ্রান্ত ধারণার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। তার উক্তিতে যার প্রমাণ আমরা পাই – ‘এখন যা টাকা করছি, সবই ঐ ছেলে পাবে জেনে উপার্জনে ভারি একটা আনন্দ পাচ্ছি।’
অমলের প্রতি মাধবদত্তের ভালোবাসা অপরিসীম। তিনি অমলকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। অমলকে তিনি আজীবন মায়া-মমতা-স্নেহশীলতায় সঞ্জীবিত রাখতে চান। অমল অসুস্থ, তাই তিনি কবিরাজের কথামতো অমলকে আগলে রাখেন। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার এক অজানা আশঙ্কায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। সন্তানসম অমলের বিরহের বেদনার্ত হাহাকার উদ্ধৃত অংশে যথার্থভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
৩) ‘ডাকঘর নাটকে জীবন ও মৃত্যুর দ্বন্দ্বে শেষপর্যন্ত জীবন জয়ী হয়েছে’ – নাটক অবলম্বনে তা ব্যাখ্যা করো। ৫
উৎসঃ
বাংলা ১৩১৮ সালে শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তাঁর ‘ডাকঘর’ নাটকটি রচনা করেন। প্রাণধর্ম ও জড়ধর্মের দ্বান্দ্বিকতা এই সাংকেতিক নাটকটিকে রবীন্দ্র-রচনাসমূহের মধ্যে বিশিষ্টতা প্রদান করেছে।
ব্যাখ্যাঃ
স্বচ্ছন্দ প্রাণের অবাধিত গতি যেখানে রুদ্ধ হয়েছে, আত্মার চারিদিকে যেখানে অন্ধসংস্কার ও আচারের বন্ধন জড়তা সৃষ্টি করেছে, মানুষ যেখানে তার শুভবোধকে হারিয়ে ফেলেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের চিত্ত বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলিতে তারই প্রতিফলন আমরা বারংবার প্রত্যক্ষ করেছি। প্রচুর দুঃখ-কষ্টের সীমা লঙ্ঘন করে, বহু বাধার বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করে রবীন্দ্রনাথের চরিত্ররা প্রাণকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
নাট্যঘটনায় দেখা যায় বিষয়ী, নিঃসন্তান মাধবদত্তের বাড়িতে আশ্রিত ও পালিত অসুস্থ অমল কবিরাজের নিষেধে ঘরে বন্দি। বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতা অমলের না থাকলেও ঘরের কোণে জানলায় বসে সে বাইরের জগৎ ও জীবনকে প্রাণ ভরে গ্রহণ করতে চেয়েছে। অমল যেন হয়ে উঠেছে বন্ধনহীন, সংস্কারমুক্ত মানব মনের প্রতীক। তাই সে একদিকে অনুসন্ধিৎসু মনের কল্পনায় ভর করে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে চায়; আবার অন্ধ্যদিকে সীমার মাঝে অসীমের আহ্বান শুনতে পায়। অমল সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ। সে প্রথার শাসনে বাঁধা সমাজে অনন্তের সুর শোনে এবং অপরকেও শোনায়। সংসারের মালিন্য; ক্ষুদ্রতা তাকে সংকীর্ণ করতে পারে না। সে যেন সবার মাঝে শুনিয়ে যায় অসীমের আহ্বান।
আলোচ্য নাট্যাংশে রাবীন্দ্রিক মৃত্যুচেতনা এক বিশিষ্ট রূপ লাভ করেছে। সেই চেতনার মর্মে রয়েছে জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার অতীন্দ্রিয় মিলন। শেষপর্যন্ত জীবন ও মৃত্যুর দ্বন্দ্বে তাই স্বাভাবিকভাবেই জীবন জয়ী হয়েছে।
LINK TO VIEW PDF FILE (Only for Subscribers)
নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232
৪) ‘ডাকঘর’ নাটকের ঠাকুরদা চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৫) ‘ডাকঘর’ নাটকে সুধা চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৬) ‘সে দেশে সবাইকে যেতে হবে বাবা’ – বক্তা কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন উক্তির কারণ ব্যাখ্যা করো। ২+৩
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৭) ‘সে ভারি মস্ত কাজ’ – বক্তা ‘ভারি মস্ত কাজ’ কোনটিকে বলেছেন? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি এর পরিপ্রেক্ষিতে কী জানিয়েছিল? ২+৩
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৮) ‘ডাকঘর’ নাটক অবলম্বনে অমল চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৯) ‘শুনেছি তো তাঁর চিঠি রওনা হয়ে বেরিয়েছে। সে চিঠি এখন পথে আছে।’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ২+৩
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
১০) ‘বোলো যে সুধা তোমাকে ভোলে নি’ – কোন প্রসঙ্গে বক্তার এই উক্তি? উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ২+৩
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
১১) ‘দই বেচতে যে কত সুখ সে তোমার কাছে শিখে নিলুম’ – ‘ডাকঘর’ নাটক অবলম্বনে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৫
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে