nana-ronger-din-question-answers

নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্নের উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্নের উত্তর । দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা প্রদান করা হলো। যে সকল শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টারের পড়া সম্পূর্ণ করে চতুর্থ সেমিস্টারের প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছো তাদের জন্য এখানে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত নানা রঙের দিন নাটকের গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর -গুলি প্রদান করা হলো। পূর্ণাঙ্গ নাটকটি পাঠ করতে শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্লাস নোট বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা নোট পেজ ভিজিট করো।

নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চটুজ্জেমশাই, কেউ জানে না” – বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমান? ২+৩ 

বক্তাঃ

নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটক থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা হলেন পেশাদারি থিয়েটারের প্ৰম্পটার কালীনাথ সেন।

গ্রিনরুমে ঘুমানোর কারণঃ

কালীনাথ ছিল একজন প্ৰম্পটার। পেশাদারি থিয়েটারের একজন প্ৰম্পটারের বেতন অতি সামান্য। কলকাতা শহরে বাড়ি তৈরি করা বা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার মতো সামর্থ্য তার ছিল না। সেইজন্য থিয়েটারের গ্রিনরুমই ছিল তার রাত্রিকালীন ঠিকানা।

 গ্রিনরুম হল সেই ঘর যেখানে নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সাজসজ্জা করে। নাটক শেষ হবার পর, সব পাত্র-পাত্রী এবং কলাকুশলী চলে গেলে কালীনাথ গ্রিনরুমে ঘুমোত। অবশ্য একথা কেউ জানতো না। কথাটা মালিকের কানে গেলে হয়তো তার এই আশ্রয়টুকুও থাকতো না।

রজনীবাবুর মতো কালীনাথ সেনও অকৃতদার ছিল। রজনীকান্তের তবু নিজস্ব ঘর ছিল, রাত্রে ঘুমোনোর জায়গা ছিল। কিন্তু কালীনাথের ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তান কিছুই ছিল না। সেইজন্য থিয়েটার ছেড়ে অন্য কোথাও যাবার তার বিশেষ প্রয়োজনও ছিল না। এইজন্য কালীনাথ রোজ গ্রিনরুমেই ঘুমোত।

 

২) “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’ – তারা সব গাধা”- বক্তার এই উক্তির কারণ কী? ৫ 

উৎসঃ

বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত একাঙ্ক নাটক “নানা রঙের দিন” থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তার মন্তব্যের কারণঃ

আলোচ্য নাটকের প্রধান চরিত্র হলেন পেশাদারী থিয়েটারের ‘প্রাক্তন অভিনেতা’ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। থিয়েটারের সাধারণ দর্শকদের প্রতি তাঁর মনোভাব ছিলো বিরূপ। তার মতে, থিয়েটারের সাধারণ দর্শকেরা অভিনেতাদের সাথে আলাপ-পরিচয় করে, চা-টা খাওয়ায়, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনোরকম সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় না। এমনকি থিয়েটারের অভিনেতার সঙ্গে কেউ নিজের নিকট আত্মিয়ের বৈবাহিক সম্পর্ককেও স্বীকার করে না।

অভিনেতারা যতক্ষণ মঞ্চে অভিনয় করেন, ততক্ষণই তাদের কদর। তারপর সকলে নিজেদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাদের কথা কেউ মনেও রাখে না। রজনী চট্টোপাধ্যায় মনে করেন এই  সকল দর্শকদের চোখে “অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন।” নাটক দেখতে আসা দর্শকদের প্রতি তাচ্ছিল্যের সুরে রজনীবাবু জানান- “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’-তারা সব গাধা-গাধা।”

রজনীবাবুর এই মনোভাবের অন্তরালে একটি কারণ নিহিত রয়েছে। যখন তার বয়স কম ছিল, একটি মেয়ে এসেছিল তাঁর জীবনে। তাঁর অভিনয় দেখে মেয়েটি নিজে থেকেই এসে তার সাথে পরিচয় করেছিল। তাদের সেই আলাপ থেকেই ঘনিষ্ঠতা হয় এবং তারপর প্রেম পূর্ণতা পায়। 

রজনীবাবু সেই মেয়েটিকে নিয়ে স্বপ্নের এক জগৎ গড়ে তোলেন। কিন্তু একদিন যখন বিয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়, মেয়েটি তাঁর সমস্ত স্ব্প্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে শর্ত আরোপ করে- “তার আগে তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও।”

থিয়েটারকে জীবনের সর্বস্ব উজার করে দেওয়া রজনীবাবু তার প্রেমীকার থেকে এহেন আঘাত মেনে নিতে পারেন নি। তাই থিয়েটার দেখতে আসা সাধারণ দর্শকদের প্রতি তার মনে স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছে একরাশ ঘৃণা ও তাদের প্রতি তিনি হয়ে উঠেছেন বিরূপ মনোভাবসম্পন্ন।

 

৩) “নানা রঙের দিন” নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলোচনা করো৷  ৫

উত্তরঃ

নাট্যসাহিত্যের আধুনিকতম প্রকরণ হল একাঙ্ক নাটক। সাধারণত স্বল্প আয়তন, একক কাহিনিযুক্ত নাটককে একাঙ্ক নাটক বলা যেতে পারে। অবশ্য একাঙ্ক নাটকের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এইসব বৈশিষ্ট্যের নিরিখে “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত আমাদের পাঠ্য “নানা রঙের দিন” নাটকটি একাঙ্ক নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক তা আলোচনা সাপেক্ষ।

প্রথমত, “নানা রঙের দিন” নাটকটি এক অঙ্কের স্বল্পায়তন নাটক। এই পরিমিত আয়তন একাঙ্ক নাটকের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য।

দ্বিতীয়ত, এই নাটকের প্রধান বিষয় হল প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জ্যের স্মৃতিচারণা। সেই প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে তার ব্যক্তিজীবন ও শিল্পী জীবনের নানা কথা। অর্থাৎ, এই নাটকে একাঙ্ক নাটকের ভাবগত ঐক্য রক্ষিত হয়েছে।

তৃতীয়ত, একাঙ্ক নাটকের একদম প্রথম সংলাপ থেকে নাট্যকাহিনির সূচনা হয়। এই নাটকেও তেমনটাই দেখা যায়।

চতুর্থত, এই নাটকের মাত্র দুটি চরিত্র এবং উপকাহিনি-বর্জিত একটি মূল কাহিনি অর্থাৎ, সব দিক থেকেই বাহুল্যবর্জিত। এটিও একাঙ্ক নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

পঞ্চমত, আলোচ্য নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের একাকীত্ব, ভয় এবং হতাশা থেকে কালীনাথের কাছে স্মৃতিচারণা এবং সবশেষে বাস্তবোপলব্ধি- নাট্যকাহিনি দ্রুততার সঙ্গে পরিণতির দিকে এগিয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যটিও একাঙ্ক নাটকের বৈশিষ্ট্য।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, এই নাটকে রজনীকান্তের দীর্ঘ সংলাপ একাঙ্কিকার স্বভাব-বিরুদ্ধ। তা সত্বেও পূর্বোক্ত বৈশিষ্ট্যের নিরিখে “নানা রঙের দিন” নাটকটিকে একটি সার্থক একাঙ্ক নাটক বলা যেতে পারে।

LINK TO VIEW PDF FILE (Only for Subscribers)

নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্নের উত্তর 

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

 

৪) “নানা রঙের দিন” নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৫) “নানা রঙের দিন” নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৬) “প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ”- বক্তা কে? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটেছিল বলে বক্তা মনে করেন? ২+৩ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৭) “নানা রঙের দিন” নাটকে অন্য যে সকল নাটকের সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৮) “অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন”- তাৎপর্য আলোচনা করো ৷ ৫ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৯) “আমাদের দিন ফুরিয়েছে”- কে কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো। ২+৩ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত নোট দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

হলুদ পোড়া গল্পের প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top