dam-question-answers

দাম গল্পের প্রশ্নের উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দাম গল্পের প্রশ্নের উত্তর । নবম শ্রেণি বাংলা প্রদান করা হলো। বাংলা বিষয়ের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এছারাও শিক্ষার্থীরা আমাদের Class Note বিভাগ থেকে বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেখে নিতে পারবে।

দাম গল্পের প্রশ্নের উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা :

 

দাম গল্প নবম শ্রেণি বাংলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ

 

১) মাস্টারমশাই যে বিষয় পড়াতেন- অংক

২) খসখস করে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলত- খড়ি

৩) মাস্টারমশাই ছবির মতো সাজিয়ে দিতেন- অংক

৪) ‘পৃথিবীতে যত _____ ছিল, সব যেন ওঁর মুখস্থ’- অংক 

৫) প্লেটোর দোরগোড়ায় লেখা ছিল- অংক না জানলে প্রবেশ নিষেধ

৬) কথক যে ক্লাস পাশ করেও মাস্টারমশাইকে স্বপ্নে দেখতেন- এম.এ

৭) পত্রিকা থেকে ফরমাশ এসেছিল- ছেলেবেলার গল্প লেখার 

৮) ‘ছবিটা যা ফুটলো’ তা- খুব উজ্জ্বল নয় 

৯) ‘গাধা পিটিয়ে ______ করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়’- ঘোড়া 

১০) পত্রিকা কর্তৃপক্ষ গল্প লেখার দক্ষিণা দিয়েছিলেন- দশ টাকা

১১) ‘এখানকার চড়ুই পাখিও সেখানে ______ সন্মান পায়’- রাজহংসের 

১২) গল্প কথক তার বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের উক্তি ব্যবহার করেছিলেন- ১২টি

১৩) গল্প কথক ইংরেজি কোটেশন যার নামে চালিয়েছিলেন- জর্জ বার্নাড শ  

১৪) কথককে যে নামে অংকের শিক্ষক ডেকেছিলেন- সুকুমার

১৫) ‘সেই ______ কুবেরের ভান্ডারকে ধরে দিয়েও যা পাওয়া যায় না’- ক্ষমা 

 

দাম গল্প নবম শ্রেণি বাংলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ

 

১) ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে কী দেখতো?

উত্তরঃ ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখতো কীভাবে মাস্টারমশাই আশ্চর্য দক্ষতায় ব্ল্যাকবোর্ডে ছবির মতো করে অংক সাজিয়ে দিতেন। 

২) মাস্টারমশাইয়ের ভয়ে কারা তটস্থ হয়ে থাকত?

উত্তরঃ যে ছাত্ররা অংকে একশোতে একশো পেত তারাও মাস্টারমশাইয়ের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতো। 

৩) অংক করতে না পারলে মাস্টারমশাই কী বলতেন?

উত্তরঃ তিনি বলতেন, “এখনি পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো”। 

৪) স্বর্গ সম্পর্কে কথকের ধারণা কেমন ছিল?

উত্তরঃ কথক ভাবতেন, স্বর্গে পা দিয়েই জ্যামিতির এক্সট্রা কষতে হবে কিম্বা স্কোয়ার মেজারের অংক নিয়ে বসতে হবে। 

৫) কথক কবে অংকের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন?

উত্তরঃ ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে কথক অংকের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। 

৬) “একদিন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ফরমাশ এলো”- কার কাছে কী ফরমাশ এলো?

উত্তরঃ কথকের কাছে একটি পত্রিকা থেকে ফরমাশ এসেছিল তার ছেলেবেলার গল্প লেখার জন্য। 

৭) সাহিত্যের ‘ইন্দ্র চন্দ্র মিত্র বরুণ’ কারা?

উত্তরঃ বিখ্যাত বা নামজাদা সাহিত্যিকদের এখানে সাহিত্যের ‘ইন্দ্র চন্দ্র মিত্র বরুণ’ বলা হয়েছে। 

৮) ‘ওটা প্রীতির ব্যাপার, পদমর্যাদার নয়’- কোনটা?

উত্তরঃ ঘরোয়া মানুষের কাছে ঘরোয়া ভাবে নিজের ছেলেবেলার গল্প বলাটা প্রীতির ব্যাপার, পদমর্যাদার নয়। 

৯) ‘লিখলুম তাকে নিয়েই’- কাকে নিয়ে লেখা হয়েছিল?

উত্তরঃ শৈশবের স্কুলের অংকের মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা হয়েছিল। 

১০) ‘আমার নগদ লাভ’- কার কী লাভ?

উত্তরঃ মাস্টারমশাইয়ের সম্পর্কে ছেলেবেলার গল্প লিখে পত্রিকা-কর্তৃপক্ষের কাছে দশ টাকা পাওয়াকে নগদ লাভ বলে কথক অভিহিত করেছেন। 

১১) বৃদ্ধ বয়সে মাস্টারমশাইয়ের চেহারা কেমন হয়েছিল? 

উত্তরঃ তার লম্বা চেহারা কুঁজো হয়ে গিয়েছিল এবং মাথার চুলও সাদা হয়ে গিয়েছিল। 

১২) “আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে”- কাকে কে অমর করে দিয়েছে?

উত্তরঃ ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার তার স্কুলজীবনের অংকের শিক্ষকমশাইকে নিয়ে গল্প লেখার মাধ্যমে তাঁকে অমর করে দিয়েছে।

১৩) “কোটি মণিমাণিক্য দিয়ে যার পরিমাপ হয় না”- কিসে পরিমাপ হয় না? 

উত্তরঃ ছাত্রদের প্রতি শিক্ষকমশাইয়ের স্নেহের পরিমাপ কখনো করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করা হয়েছে। 

১৪) “এ অপরাধ আমি বইব কী করে, এ লজ্জা আমি কোথায় রাখব!”- কোন অপরাধ কোন লজ্জার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ মাস্টারমশাইকে নিয়ে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে লেখা গল্প দশ টাকার বিনিময়ে পত্রিকায় বিক্রি করার বিষয়কে কথক অপরাধ ও লজ্জার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১৫) কথকের বক্তব্য শুনে প্রিন্সিপ্যাল কী বলেছিলেন? 

উত্তরঃ তিনি বলেছিলেন, “ভারী চমৎকার বলেছেন আপনি, যেমন সারগর্ভ, তেমনি সুমধুর’। 

 

দাম গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘দাম’ গল্প অবলম্বনে মাস্টারমশাইয়ের চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫

উৎসঃ

বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়” রচিত “দাম” গল্পের মাস্টারমশাই চরিত্রটি তাঁর যেসকল চারিত্রিক গুণাবলী দ্বারা সকল পাঠকের হৃদয় জয় করেছেন সেগুলি নিম্নে আলোচিত হল-

অঙ্কে পারদর্শীতাঃ

মাস্টারমশাইয়ের অঙ্কে বিশেষ দক্ষতার পরিচয় আমরা গল্পঘটনায় লাভ করি। তাঁর কাছে পৃথিবীর সব অঙ্কই সহজ বলে মনে হত। কঠিন থেকে কঠিনতম অঙ্কগুলি তিনি অনায়াস দক্ষতায় ব্ল্যাকবোর্ডে সাজিয়ে দিতেন- “একটু পরেই আমরা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখতুম- ছবির মতো অঙ্কটা সাজিয়ে দিয়েছেন।”

কর্তব্যনিষ্ঠঃ

কর্তব্যনিষ্ঠ মাস্টারমশাই শিক্ষার্থীদের অঙ্ক শেখানোর জন্য তাদের ভয় দেখিয়েছেন, এমনকি প্রহারও করেছেন। তিনি বলতেন, “এখনি পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।”

উদারমনাঃ

কথক সুকুমারের তাকে নিয়ে লেখা সমালোচনামূলক লেখাটিকে তিনি সযত্নে রেখে দিয়েছেন। যে ছাত্রদের একদা তিনি শাসন-পীড়ন করেছেন, তাদেরই একজন সুকুমার তাকে মনে রেখেছে-এটা ভেবেই উদারচেতা মাস্টারমশাই গর্ব অনুভব করেছেন।

শিখন-পদ্ধতিগত ত্রুটিঃ

ভীতি প্রদর্শন করে যে শিক্ষার্থীদের মনে থাকা অঙ্কের ভয় দূর করা যায় না, বরং তা আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়- এই সহজ সত্যটিকেই মাস্টারমশাই উপলব্ধি করতে পারেন নি।

স্নেহ-ক্ষমা-মমতার মহাসমুদ্রঃ

নিজের ভালোবাসার গুণে সুকুমারের নিন্দাকে তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্যে পরিবর্তীত করেছেন। আর তাই মাস্টারমশাই সম্পর্কে সুকুমারের শেষ উপলব্ধি- “স্নেহ-মমতা-ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছি। সেই স্নেহ- কোটি মণি-মাণিক্য দিয়ে যার পরিমাপ হয় না; সেই মমতা- যার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চাইতে বেশি; সেই ক্ষমা- কুবেরের ভান্ডারকে ধরে দিয়েও যা পাওয়া যায় না।”

এইরূপে মাস্টারমশাই তাঁর বিবিধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলী দ্বারা আমাদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)দাম গল্পের প্রশ্নের উত্তর

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

 

১) দাম গল্প অবলম্বনে সুকুমার চরিত্র আলোচনা করো। ৫

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

২) দাম গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৩) দাম গল্প অবলম্বনে কথক সুকুমারের উপলব্ধির পরিচয় দাও। 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

নবম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class nine bengali note

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top