৫) সমার্থক শব্দঃ জল – পানি, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, জীবন নদী – তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বিনী, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী সমুদ্দুর – সাগর, সমুদ্র, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, রত্নাকর
জঙ্গল – অরণ্য, বন, কানন, কান্তার
উলগুলান – প্রবল বিক্ষোভ, বিপ্লব, বিদ্রোহ
৬) ক্রিয়া নির্ণয়ঃ
৬.১) সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে ।
উত্তরঃ পাহারা দিত
৬.২) এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসেব করে ?
উত্তরঃ হিসেব করে
৬.৩) ছোটনাগপুর ছাড়লাম।
উত্তরঃ ছাড়লাম
৬.৪) জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
উত্তরঃ নষ্ট করি নাই
৬.৫) যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে ?
উত্তরঃ বাঁচায়, মারে
৭) দুটি বাক্যে ভেঙে লেখাঃ
৭.১) গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তরঃ
গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল।
সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২) হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
উত্তরঃ
হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে।
ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
৭.৩) আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উত্তরঃ
আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত।
তবে পাঠশালায় পৌঁছনো যেত।
৭.৪) এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ !
উত্তরঃ
এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডাকে।
তারপর বলে সে কী ভীষণ যুদ্ধ !
৭.৫) ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তরঃ
ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়।
তারা বয়ে যায় ।
৮) বাক্য রচনাঃ
পাঁচিল = পাঁচিলের পাশে সেই আমগাছটা আজও আছে।
চাঁদ = চাঁদ আমাদের গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ।
দেশ = ভারতবর্ষ আমাদের দেশ।
মানুষ = মানুষের পরম ধর্ম হল মানবধর্ম।
জঙ্গল = বন্যপশুদের আবাস্থল হল জঙ্গল।
৯) বাক্য নির্ণয়ঃ
৯.১) স্রোত কি জোরালো !
উত্তরঃ বিস্ময়বোধক
৯.২) কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উত্তরঃ বর্ণনামূলক
৯.৩) সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
উত্তরঃ বর্ণনামূলক
৯.৪) নামটা বদলে গেল কেন গো ?
উত্তরঃ প্রশ্নবোধক
৯.৫) কী যুদ্ধ ,কী যুদ্ধ !
উত্তরঃ বিস্ময়বোধক
১০) শব্দ নির্ণয়ঃ
উত্তর :
বিশেষণ – মস্ত, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ঝাঁকড়া, ধারালো, সরু
সর্বনাম – আমাদের, তুই
অব্যয় – ও
ক্রিয়া – শিকার, লড়াই, চরায়, রাখে, ওঠে
১১) দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্যঃ ১১.১) কী গল্পই বললে আজ দাদু । সবাই শুনছিল গো ! উত্তরঃ দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো !
১১.২) এতোয়া রে ! ছেলে তুই বড্ড ভালো ।
উত্তরঃ এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে রে !
১১.৩) তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তরঃ এতোয়া তুই বড্ড বকিস, তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না।
১১.৪) বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তরঃ বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫) আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তরঃ আদিবাসীরা আসছে তাই মানুষ বাড়ছে।
১২) এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরিঃ
দি সী আ বা – আদিবাসী
ব খা রে র্ণ সু – সুবর্ণরেখা
গা ং ড়া র দ – দরংগাড়া
টি ড়া পো মা – পোড়ামাটি
ষ পু দি রু আ – আদিপুরুষ
১৩) এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরিঃ
১৩.১) ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তরঃ ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।
১৩.২) তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
উত্তরঃ তখন তারা তির ছোঁড়ে শনশন।
১৩.৩) আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তরঃ হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪) ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তরঃ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
১৩.৫) সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উত্তরঃ গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৫) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
১৫.১) “সেও এক ভীষণ যুদ্ধ” – কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পে, বিরসা মুন্ডা সাহেবদের উৎখাত করবে বলে মুন্ডাদের নিয়ে ‘উলগুলান’ নামে এক লড়াই করেছিল ও সাঁওতালরা করেছিল ‘হুল’ নামে এক লড়াই। এখানে সেই যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
১৫.২) গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন ?
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পে, বাবুরা গাঁয়ে ঢুকে সাঁওতাল মুন্ডাদের লেখাপড়া না জানার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে সব কেড়ে নিয়েছিল। তারপর গাঁয়ের নতুন নাম রেখেছিল হাতিঘর। এইভাবে গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল।
১৫.৩) ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত ?
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পে, ভজন ভুক্তা এতোয়াকে শূরবীর নামে এক আদিবাসী রাজার গল্প বলত।
১৫.৪) হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্প অনুসারে – হাওড়া থেকে প্রথমে যেতে হবে খড়্গপুর। তারপর বাসে চেপে নামতে হবে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে। সেখান থেকে সাত আট মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে হাঁটতে হবে, যেখানে পথে পড়বে একটি ছোট্ট নদী ও ছোটো ছোটো আদিবাসী গ্রাম। এগুলো পেরোলে পড়বে মস্ত গ্রাম রোহিণী। রোহিণী গ্রাম পেরিয়ে দক্ষিণ দিকে গেলে ডুলং নদী আর তারপর যেখানে আকাশছোঁয়া একটি শাল ও অর্জুন গাছ দেখা যাবে সেখানেই হাতিঘর গ্রাম। এইভাবে হাতিঘর-এ যাওয়া যাবে।
১৫.৫) এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল ?
উত্তরঃ আদিবাসীরা অনেকেই তাদের জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে। এতোয়ার জন্ম রবিবারে, তাই তার ঠাকুরদা মঙ্গল মুন্ডা তার জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে এতোয়া।
১৫.৬) এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পে, এতোয়া মোতিবাবুর রাখাল ছিল। তাই সে গরু, মোষ, ছাগল চরাতো। পুরোনো আমবাগানে গরু চরাতে চরাতে সে টোকো আম ও শুকনো কাঠ কোড়াতো। মাটি খুঁড়ে বের করতো মেটেআলু ও মজা পুকুরের পার থেকে শাক তুলতো। সে তার সঙ্গে একটি বস্তা রাখত এবং এই সব ওই বস্তায় ভরে নিত। তারপর যেত ডুলং নদী পেরিয়ে ঘন সবুজ ঘাসবনে এবং সেখানে গরু, মোষ ছেড়ে দিত। এরপর সুবর্ণরেখা নদীর মাঝে সরু চরে গিয়ে সে বাঁশে বোনা জাল দিয়ে মাছ ধরত। এগুলোই হল এতোয়ার রোজকার কাজ।
১৫.৭) ‘এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু…’ বক্তা কে ? আগে কী ছিল ?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশের বক্তা লেখিকা ‘মহাশ্বেতা দেবী’-র লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পে ভজন ভুক্তা। আগে পাঠশালা অনেক দূরে ছিল। জঙ্গল দিয়ে চার মাইল পথ গেলে তবে পাঠশালায় পৌঁছনো যেত।
১৬) শব্দ মিলঃ
উত্তরঃ