fonimonosa-o-boner-pori-prosner-uttor

ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্নের উত্তর

WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পাতাবাহার বই থেকে ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হল। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যাংশটি ভালো করে পড়ে নিম্নে প্রদান করা অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর সমাধান করে পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

১) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ

১.১) ফণীমনসা তুমি দেখেছ ? কোথায় দেখেছ ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, আমি ফণীমনসা দেখেছি। আমি স্কুলে যাওয়ার পথে ফণীমনসা দেখেছি ।

১.২) আর কোন কোন গাছ তুমি দেখেছ যাদের কাঁটা আছে ?

উত্তরঃ আমি আরও অনেক গাছ দেখেছি যাদের কাঁটা আছে, যেমন – বেল গাছ, খেজুর গাছ, কুল গাছ, গোলাপ গাছ, লেবু গাছ, ক্যাকটাস প্রভৃতি।

১.৩) গাছের কাঁটা কীভাবে তাকে বাঁচায় ?

উত্তরঃ গাছের কাঁটা গাছকে আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।

১.৪) পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ ?

উত্তরঃ পরির গল্প আমি “ঠাকুমার ঝুলি” বইতে ও রূপকথার নানান গল্প বইতে পড়েছি।

১.৫) সোনার মতো দামি আর কোন ধাতুর কথা তুমি জানো ?

উত্তরঃ সোনার মতো দামি প্ল্যাটিনাম ধাতুর কথা আমি জানি।

 

২) নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরিঃ

ল ত কা ডা দ – ডাকাতদল

ন ণী ফ সা ম – ফণীমনসা

রি বি চ্ছি তি কি – বিতিকিচ্ছিরি

ক ং পা শা ল – পালংশাক

 

৩) এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে ঠিক বাক্যঃ

৩.১) বলো চাও কীরকম তুমি পাতা

উত্তরঃ কীরকম পাতা চাও তুমি বলো।

৩.২) হয়েছে তো সুবুদ্ধি তোমার এই

উত্তরঃ এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার

৩.৩) না আর পাতা চাই সোনার

উত্তরঃ সোনার পাতা আর চাই না।

 

৪) নীচের যে শব্দটির সঙ্গে মানায় লেখোঃ

বিশ্রী = বিচ্ছিরি

অনেক = অজস্র

অবস্থা = হাল

বল্লম = বর্শা

ভাগ্য = বরাত

গর্ব = দর্প, দেমাক

হঠাৎ = সহসা

ভীষণ = ভয়ানক

প্রতিজ্ঞা = পণ

সমস্ত = সব, সারা

শরীর = অঙ্গ, চেহারা

তবে তাই হোক = তথাস্তু

কঙ্কালসার = হাড় জিরজিরে

আবদার = বায়নাক্কা

 

৫) আওয়াজ বোঝায় এমন শব্দঃ

ছাগল কচকচ করে পাতা খেল।

পত পত পত ওড়াই পাতা।

ছি ছি ছি এমন বরাত।

সরাৎ সরাৎ শব্দেতে জ্বালা ধরে।

হারে-রে হারে-রে হারে-রে হারে-রে লুটেপুটে খাই বারেক ধরিব যারে-রে।

আরে-রে আরে-রে, আরে-রে আরে-রে গাছটা নুয়েছে সোনার পাতার ভারে-রে।

মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং-টাং শব্দ হতে লাগল।

হু-হু-হু শোঁ-শোঁ-শোঁ করে চলি মোরা দর্প-ভরে।

মট মট মট ভাঙি মাথা।

ঝন ঝন ওলটপালট করি যে মোরা এই তো মোদের পণ।

ব্যা-ব্যা-ব্যা– যা কিছু পাই চিবিয়ে যে খাই।

 

৬) মুখে বললে, নীচের দাগ-দেওয়া শব্দগুলো কীভাবে বলবেঃ

তোমায় স্মরি = তোমাকে স্মরণ করি

করুণা করি বাঁচাও = করুণা করে বাঁচাও

 

৭) সমার্থক শব্দ বসিয়ে আবার লেখাঃ

৭.১) আহা-হা ব্যথায় মরি।

উত্তরঃ আহা-হা যন্ত্রণায় মরি।

৭.২) শুরু হলো কচি গাছের অঝোর কান্না।

উত্তরঃ আরম্ভ হলো চারাগাছের অবিরাম কান্না।

৭.৩) ডাকাতেরা আমার কী হাল করে রেখে গেছে।

উত্তরঃ ডাকাতেরা আমার কী অবস্থা করে রেখে গেছে।

৭.৪) আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়।

উত্তরঃ গগন দিয়ে ধেয়ে এল প্রবল ঝড়।

 

৮) শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে পুনরায় লেখা বাক্যঃ

৮.১) মন তার রি রি করে ওঠে।

উত্তরঃ মন তার হিংসায় জ্বলে ওঠে।

৮.২) ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না।

উত্তরঃ ছোট্ট গাছটির এবার গর্বে বুক ভরে ওঠে।

৮.৩) জিবে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো।

উত্তরঃ লোভ জাগছে তোরে পেয়ে গো।

৮.৪) ঘাট হয়েছে কানে ধরি।

উত্তরঃ মাফ করে দাও কানে ধরি।

 

৯) পর পর দুটো শব্দ বসে, যেখানে দ্বিতীয় শব্দটির তেমন কোনো মানে নেই, এমন কয়েকটি শব্দঃ

উত্তরঃ

জামা-টামা

বই-টই

বাড়ি-টাড়ি

হাত-টাত

দাম-টাম

ফল-টল

গান-টান

জল-টল

খাবার-দাবার

 

১০) শব্দ পরপর দুবার ব্যবহার করে একের জায়গায় অনেক বোঝায় এমন শব্দঃ

উত্তরঃ

সুন্দর সুন্দর

কেঁদে কেঁদে

ছিঁড়ে ছিঁড়ে

ছোটো ছোটো

গুঁড়ো গুঁড়ো

 

১১) বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে বাক্য রচনাঃ

দুর্বুদ্ধি – সুবুদ্ধি (তপনবাবুর সুবুদ্ধিতে গ্রামবাসী উপকৃত হল)

দুঃখ – আনন্দ (আজ বিবেক তার জন্মদিনে খুব আনন্দ করছে)

অসন্তুষ্ট – সন্তুষ্ট (একটি আম পেয়ে সে সন্তুষ্ট হয়ে গেলো)

অল্প – খুব (আজ খুব গরম পড়েছে)

অসুন্দর – সুন্দর (নতুন বাড়িটির রঙ খুব সুন্দর লাগছে)

বুড়ো – কচি (ছাগলটি গাছের কচি পাতা খেয়ে গেলো)

 

১২) দু’টো অর্থে দু’টো বাক্যঃ

মন্দ = মন্দ কথায় কান দিও না।

মন্দ = মৃদুমন্দ বাতাস বইছে।

 

১৩) শব্দ দিয়ে বাক্য রচনাঃ

ওলটপালট = জামা খুঁজতে গিয়ে তুমি তো আলমাড়ি ওলটপালট করে দিলে!

দুর্দান্ত = জগা দুর্দান্ত চা বানায়।

ঝিকিমিকি = জলের উপর সূর্যের কিরণ ঝিকিমিকি করছে।

স্বচক্ষে = আমি স্বচক্ষে রহিত শর্মার ব্যাটিং

দুর্দশা = গরিবের দুর্দশায় সমাজের মাথাদের চিন্তা নেই!

 

১৪) বাক্য নির্ণয়ঃ

১৪.১) আ ! কি শান্তি !

উত্তরঃ বিস্ময়বোধক বাক্য

১৪.২) পাতা পালটাতে চাও ?

উত্তরঃ প্রশ্নবোধক বাক্য

১৪.৩) সোনার পাতা আর চাই না।

উত্তরঃ নেতিবাচক বাক্য

১৪.৪) বেশ তাই হোক ! তথাস্তু !

উত্তরঃ আবেগসূচক বাক্য

১৪.৫) এবার তুমি আমায় কাচের পাতা দাও।

উত্তরঃ অনুজ্ঞাসূচক বাক্য

 

১৫) ছোটো ছোটো বাক্যে ভেঙে লেখাঃ

১৫.১) কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।

উত্তরঃ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ল। তার ফলে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।

১৫.২) পরি অদৃশ্য হতেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।

উত্তরঃ পরি অদৃশ্য হল। সঙ্গে সঙ্গেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।

১৫.৩) ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বেঁধে ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।

উত্তরঃ ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বাঁধলো। তারা ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।

১৫.৪) ভয়ানক ঝড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।

উত্তরঃ ভয়ানক ঝড় হল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।

 

১৬) পাশাপাশি ছোটো ছোটো বাক্যগুলি যোগ করে একটি বাক্য তৈরিঃ

১৬.১) একসময় ঝড় থামল। আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।

উত্তরঃ একসময় ঝড় থেমে গেল আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।

১৬.২) এমন সময়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল সে।

উত্তরঃ এমন সময়ে বনের পরি সে পথ দিয়ে যেতে যেতে ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল।

১৬.৩) গভীর বন। তার ভেতরে ছোট্ট একটি ফণীমনসা গাছ। গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।

উত্তরঃ গভীর বনের ভেতরে থাকা ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।

১৬.৪) ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না। মৃদুমন্দ বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল সে মজা করে।

উত্তরঃ দেমাকে মাটিতে পা না পড়া ছোট্ট গাছটি মৃদুমন্দ বাতাসে মজা করে হেলতে দুলতে লাগল।

 

ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্নের উত্তর : (WBNOTES.IN

 

১৭) বিশেষণ যোগ করাঃ

কচি নরম সবুজ পাতা।

ছুঁচোলো কাঁটাভরা ছোট্ট গাছ।

হাড়-জিরজিরে রোগা ন্যাড়া চেহারা।

ভয়ানক শক্তিশালী জোয়ান ডাকাত।

সুন্দর মিষ্টি ছোট্ট মেয়ে।

 

১৮) নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তনঃ

১৮.১) আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়। (ঝড় আগামীকাল এলে কী লিখবে ?)

উত্তরঃ আগামীকাল আকাশ দিয়ে দুর্দান্ত ঝড় ধেয়ে আসবে।

১৮.২) বলতে দেরি আছে কিন্তু নিতে দেরি নেই। (কথাগুলো গতকাল হয়েছে বলতে হলে যেভাবে লিখবে)

উত্তরঃ বলতে দেরি ছিল কিন্তু নিতে দেরি ছিল না।

১৮.৩) সে-পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। (কথাগুলো এখনই বলা হচ্ছে, এমন হলে কী লিখবে ?)

উত্তরঃ সে-পথ দিয়ে যাচ্ছে বনের পরি।

 

১৯) একটি বাক্যে উত্তরঃ

১৯.১) ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কারণ তার আশেপাশে ছিল সুন্দর সুন্দর পাতাযুক্ত গাছ এবং তার নিজের ছিল ছুঁচোলো কাঁটাযুক্ত পাতা, যা তার পছন্দ ছিল না।

১৯.২) ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা ছিল খুব সুন্দর।

১৯.৩) ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন কার কাছে করছিল ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন করছিল বনের পরির কাছে।

১৯.৪) প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে ঝলমলে সোনার পাতা হয়েছিল।

১৯.৫) সে সব পাতা ফণীমনসা হারালো কী করে ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসার সোনার পাতাগুলো ডাকাতদলের চোখে পড়ায় তারা সেগুলো ছিঁড়ে পোঁটলায় বেঁধে নিয়ে যায়, এইভাবে ফণীমনসা সব পাতা হারায়।

১৯.৬) ডাকাতদলকে দেখতে কেমন ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ডাকাতদলকে দেখতে জোয়ান, কানে জবাফুল গোঁজা ও বাবরিওয়ালা।

১৯.৭) ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হলো ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের সমস্ত পাতা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো।

১৯.৮) ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে বনের পরির বরে ফণীমনসার গা ভরে পালং-এর মতো কচি নরম সবুজ পাতা হয়েছিল তাই ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না।

১৯.৯) সেই দেমাক তার ভেঙে গেল কীভাবে ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে একটা ছাগল এসে ফণীমনসার গা ভরা কচি কচি নরম সবুজ পালং পাতাগুলো কচ কচ করে খেয়ে তাকে ন্যাড়া করে চলে গেল, এইভাবে তার দেমাগ ভেঙে গেল।

১৯.১০) শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য ?

উত্তরঃ লেখক বীরু চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা নিজের জন্য নিজের কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতা ফিরে চাইল।

 

২০) সংক্ষিপ্ত উত্তরঃ

২০.১) ‘বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ’। – এত আনন্দ কখন হলো বাচ্চা গাছের ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে যখন বনের পরি ছোট্ট ফণীমনসা গাছকে বর দেওয়ায় তার কাঁটাভরা পাতা মিলিয়ে গিয়ে সেখানে অজস্র ঝলমলে সোনার পাতা গজিয়ে ওঠে, তখন বাচ্চা ফণীমনসা গাছের এত আনন্দ হয়।

২০.২) ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে ঝলমলিয়ে উঠেছিল তার সারা অঙ্গ। সেই কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খাচ্ছিল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং-টাং শব্দ হচ্ছিল।

২০.৩) মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হয় এবং ফণীমনসার গা ভরা কচি কচি নরম সবুজ পালং পাতাগুলো কচ কচ করে খেয়ে তাকে ন্যাড়া করে চলে যায় ।

২০.৪) ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার ? কেমন সে শিক্ষা ?

উত্তরঃ লেখক ‘বীরু চট্টোপাধ্যায়ের’ লেখা ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ছোট্ট গাছটি সত্যিই খুব শিক্ষা পেল বলে আমার মনে হচ্ছে কারণ ছোট্ট ফণীমনসা গাছটি নিজের রূপ-চেহারায় সন্তুষ্ট ছিল না। সে অন্যের রূপ দেখে রাগে, দুঃখে নিজেকে বারবার বদলানোর চেষ্টা করেছে পরির কাছে বর চেয়ে। যতবার সে তার মনের মতো রূপ পেয়েছে, ততবার সে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হয়েছে এবং অসীম কষ্ট পেয়েছে। নিজের রূপে থাকাকালীন সে কোনোরকম সমস্যায় পড়েনি।
সে শিক্ষা পেয়েছে যে, নিজের অবস্থা আর নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অন্যকে দেখে তার মতো হতে গেলে বিপদে পড়তে হয়।

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top