jhor-kobitar-prosner-uttor

ঝড় কবিতার প্রশ্নের উত্তর

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে তোমাদের পাঠ্য পাতাবাহার বই থেকে ঝড় কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হল। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই থেকে তোমরা ঝড় কবিতাটি ভালো করে পাঠ করে নিম্নে প্রদান করা ঝর কবিতার অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তরের সমাধান পড়ে নিতে পারবে। 

 

ক) মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’, ‘স্বগের কাছাকাছি’।

খ) তিনি কত সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান ?

উত্তরঃ তিনি ১৯৭৭ সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান।

 

১) সঠিক উত্তর নির্বাচনঃ

১.১) পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয় – (গ্রীষ্ম/ বর্ষা/ শরৎ/ শীত) ।

উত্তরঃ গ্রীষ্ম

১.২) দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে (সকাল/ দুপুর/ বিকেল/ রাত) ।

উত্তরঃ বিকেল

১.৩) যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে (কালো/ লাল/ নীল/ সাদা) ।

উত্তরঃ কালো

১.৪) গ্রীষ্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/ গন্ধরাজ/ চাঁপা/ পদ্ম) ।

উত্তরঃ চাঁপা

 

২) স্তম্ভ মিলঃ

উত্তরঃ

মাঝি

নাইয়া

ঝড়

প্রবল হাওয়া

সাগর

সমুদ্র

চাঁপা

চম্পক

এলোমেলো

অগোছালো

 

৩) ‘চেয়ে’ ও ‘ভারী’ শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহারঃ

উত্তরঃ

চেয়ে (তাকিয়ে থেকে) = আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারাদিন।

চেয়ে (অপেক্ষা) = আমার চেয়ে অনন্যা বড়ো।

ভারী (ওজনবিশিষ্ট) = ভারী ব্যাগটি অমল বইতে পারছে না।

ভারী (ভারবহনকারী) = ভারী পিলারটি সেতুর প্রাণ।

 

৪) বিশেষ্য ও বিশেষণ নির্ণয়ঃ

উত্তরঃ

বিশেষ্য বিশেষণ

বাতাস

এলোমেলো

বন

চাঁপা

জল

কালো

দোয়াত

কালি

ঠোঁট

কোমল

 

৫) ক্রিয়া নির্ণয়ঃ

৫.১) কোথা থেকে বাতাস এল।

উত্তরঃ এল

৫.২) আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।

উত্তরঃ আসলো

৫.৩) আমি তোমার মেঝের উপর ঢালি।

উত্তরঃ ঢালি

৫.৪) পালিয়ে গেল অনেক দূরে।

উত্তরঃ পালিয়ে গেল

৫.৫) চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।

উত্তরঃ চেয়ে দেখি

 

৬) বেমানান শব্দ নির্বাচনঃ

৬.১) হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।

উত্তরঃ কালি

৬.২) কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।

উত্তরঃ হাটবার

৬.৩) ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।

উত্তরঃ মাঠের ধার

৬.৪) আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।

উত্তরঃ কালির দোয়াত

৬.৫) বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।

উত্তরঃ ঘর

 

৭) ‘অন্ধকার’ শব্দটির মতো ‘ন্ধ’ এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দঃ

উত্তরঃ

বন্ধ

গন্ধ

সিন্ধু

সন্ধান

প্রবন্ধ

 

৮) এলোমেলো  বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরিঃ

লো লো এ মে – এলোমেলো

না কা আ শ খা – আকাশখানা

ড়া ড়ি তা তা – তাড়াতাড়ি

কে ক্কে বা এ – এক্কেবারে

লা কু ত ব ল – বকুলতলা

 

৯) শূন্যস্থান পূরণঃ

৯.১) আকাশখানা এক্কেবারে কালো।

৯.২) আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি

৯.৩) আমার যেন লাগল ভারী ভালো।

৯.৪) হাসল কোমল ঠোঁট মেলে।

৯.৫) কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ দিল ফেলে

 

১০) বাক্য রচনাঃ

হাট = শনিবার আমাদের হাট বসে।

ভালো = ভালো কথা নোটবইতে লিখে রাখা যায়।

সময় = নদীর প্রবাহ ও সময় কখনো থেমে থাকে না।

পাড়ি = সে বিদেশে পাড়ি দেবে।

ভীষণ = আজ অনন্যার ভীষণ আনন্দ।

 

১১) বিপরীতার্থক শব্দঃ

এলোমেলো – গোছানো

তাড়াতাড়ি – দেরি

কোমল – কঠোর

জ্বেলে – নিভিয়ে

দূরে – কাছে

 

ঝড় কবিতার প্রশ্নের উত্তর (WBNOTES.IN

 

১২) প্রদও সূত্র অনুসারে একটি গল্পঃ

তুমি একা – বিরাট মাঠ – আকাশে ঘন মেঘ – গাছের পাতা নড়ছে না – ঝড় এল – প্রবল বৃষ্টি – কোথাও আশ্রয় নিলে – ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলে।

 

এক ঝড়ের সন্ধ্যা

বৈশাখের এক বিকেলে আমি একা ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। গ্রামের বাড়িতে গেলেই আমাদের চাষের বড়ো মাঠে ঘুরে বেড়ানো আমার অভ্যাস। সরষের ক্ষেতে ঘুরতে ঘরতে হঠাৎ-ই আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ আগেও মাঠে সুন্দর হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু এখন আর একটাও গাছের পাতা নড়ছে না দেখলাম। বাড়ি ফিরবো ভাবতে ভাবতেই দেখলাম ঝড় শুরু হয়ে গেলো। প্রবল হাওয়ার সাথে সাথে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। আমি দ্রুত দৌড়ে আশ্রয় নিলাম মাঠের পাশে থাকা মন্দিরের বারান্দায়। প্রবল হাওয়া সমস্ত গাছের পাতাগুলোকে যেনো পাগলপ্রায় করে তুললো। আমার শরীর-মন খুব দ্রুতই ঠান্ডা হয়ে গেলো। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ঝড়-বৃষ্টি থামবে তার জন্য। এরপরে বেশ কিছুক্ষণ সেই ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাকৃতিক তান্ডবের পরে পরিবেশ শান্ত হল। সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হয়ে ততক্ষণে রাতের গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এবারে বাড়ি ফিরে এলাম।

 

১৩) ‘কোমল’ ও ‘কমল’ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য বাক্য রচনাঃ

উত্তরঃ

কোমল (নরম) = শিশুর কোমল মনে আঘাত দিও না।
কমল (পদ্ম) = জলাশয়ে কত কমল ফুঁটে রয়েছে।

১৪) বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগঃ

১৪.১) ওই এসেছে ঝড় !

উত্তরঃ বিস্ময়বোধক বাক্য
১৪.২) ঝড় কারে মা কয় ?

উত্তরঃ প্রশ্নবোধক বাক্য
১৪.৩) কেমন জানি করল আমার মন !
উত্তরঃ বিস্ময়বোধক বাক্য
১৪.৪) চেয়ে দেখি – আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
উত্তরঃ বর্ণনামূলক বাক্য 

১৪.৫) পালিয়ে গেল অনেক দূরে – সাত সাগরের পার।

উত্তরঃ বর্ণনামূলক বাক্য
 

১৫) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ

১৫.১) কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন ?

উত্তরঃ কবি ‘মৈত্রেয়ী দেবী’ রচিত ‘ঝড়’ কবিতায় শিশুর দল দুপুরবেলা যখন মাঠের ধারে খেলছিল। সেই সময় হঠাৎ করে কোথা থেকে বাতাস এল। অন্ধকারে সমস্ত দিক কীভাবে যেন ঢেকে গেল। তাই দেখে শিশুর দল ভয়ে ছুটে যেতে চেয়েছিল।

 

১৫.২) দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন ?

উত্তরঃ কবি ‘মৈত্রেয়ী দেবী’ রচিত ‘ঝড়’ কবিতায় দুপুরবেলা হঠাৎ করে কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস বয়ে ঝড় এল। তাই দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল।

 

১৫.৩) ‘পালিয়ে গেল অনেক দূরে’ – কে পালিয়ে গেল ? পালিয়ে সে কোথায় গেল ?

উত্তরঃ কবি ‘মৈত্রেয়ী দেবী’ রচিত ‘ঝড়’ কবিতায় ঝড় পালিয়ে গেল।

পালিয়ে সে সাত সাগরের পারে গেল ।

 

১৫.৪) ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে ?

উত্তরঃ কবি ‘মৈত্রেয়ী দেবী’ রচিত ‘ঝড়’ কবিতায় ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে দোয়াতের কালির তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে। শিশুটির মনে হয়েছিল সে যেমন করে দোয়াত থেকে কালি মেঝের উপর ঢেলে দেয়, তেমনই কোনো ছেলে যেন আকাশের উপর দোয়াতের কালি ঢেলে দিয়েছে।

 

১৫.৫) ‘ঝড়’-এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ আর ‘বিদ্যুৎ চমকানো’র কথা কবিতায় কোন কোন পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে ?

উত্তরঃ ‘ঝড়’-এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ কবিতায় দ্বিতীয় পঙক্তিতে আর ‘বিদ্যুৎ চমকানো’র কথা কবিতায় শেষ পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে।

 

১৫.৬) ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তরঃ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে নানান বিপদ ঘটতে পারে। ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে প্রবল ঢেউ ওঠে। তাই সেই সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে ঢেউয়ের দোলায় জলযান উল্টে গিয়ে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আমার মনে হয়।

 

১৫.৭) সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে খাতায় লেখো।

উত্তরঃ

সাতটি সাগরের নাম হল –

১) আর্টিক মহাসাগর

২) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর

৩) দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর

৪) ভারত মহাসাগর

৫) উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর

৬) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর

৭) দক্ষিণ (বা অ্যান্টার্কটিক) মহাসাগর

 

১৬) কোনো একটি দিনে তোমার ঝড় দেখার কথা বন্ধুকে একটি চিঠি লিখে জানাও।

প্রিয় বন্ধু স্বপন,

আশা করি তুই ভালোই আছিস। আমিও ভালো আছি। আজকে একটি বিশেষ ঘটনা তোকে জাজানোর জন্য এই চিঠি লিখতে বসেছি। গতকাল আমি যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম তখন হঠাৎই দেখলাম আকাশটা কেমন কালো করে এলো। কোথা থেকে ঘন কালো মেঘ এসে সমগ্র আকাশটাকে ঢেকে যেনো রাতের এক আবেশ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাস শুরু হতেই আমি গিয়ে আশ্রয় নেই রাস্তার পাশের একটি চায়ের দোকানে। আমার মতোই আরো কিছু মানুষ সেখানে আটকে পড়েন। প্রবল মেঘ গর্জনের সাথে ভারী বৃষ্টি হতে থাকে। সামনের সুপাড়ি গাছগুলো যেনো ঝড়ের ছন্দে দুলতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ এমন ঝড় চলার পরে প্রকৃতি শান্ত হয়। তারপরে আমি বাড়ির দিকে এগোতে থাকলে পথেই বাবার সাথে দেখা হয়ে যায়। তারপরে আমরা বাড়ি ফিরি।

আজ আর কিছু লিখবো না। বাকি কথা দেখা হলে হবে। তোরও এমন কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই তা আমাকে চিঠিতে লিখে জানাবি।

ইতি

তোর প্রিয় বন্ধু অনুপম

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

PDF DOWNLOAD

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top