masterda-question-answers

মাস্টারদা প্রশ্নের উত্তর । পঞ্চম শ্রেণি বাংলা

পঞ্চম শ্রেণির পাতাবাহার পাঠ্যবই থেকে মাস্টারদা গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর এখানে WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই মাস্টারদা প্রশ্নের উত্তর । পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। 

মাস্টারদা প্রশ্নের উত্তর । পঞ্চম শ্রেণি বাংলা : 

 

১) এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরিঃ 

উঃ

১.১) রস্ত্রাগাঅ – অস্ত্রাগার 

১.২) ননিইউয়া – ইউনিয়ন

১.৩) মট্টগ্রাচ – চট্টগ্রাম

১.৪) ণণপরম – মরণপণ

১.৫) লইরাফে – রাইফেল 

 

২) সঠিক বানানটি বেছে নিয়ে লেখোঃ 

উঃ

২.১) রেস্তোরাঁ

২.২) রাশভারী

২.৩) স্তোত্র

২.৪) ব্যায়াম

২.৫) উদ্ধৃত

 

৩) শূন্যস্থান পূরণ করো : 

৩.১) আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর—- অফিসেও। 

উঃ টেলিগ্রাফের

৩.২) দু-জায়গায়—— লাইন ভেঙে ফেলেছে তারা। 

উঃ রেলের

৩.৩) সেখানে ——- উলটে ট্রেন চলাচল বন্ধ। 

উঃ মালগাড়ি 

৩.৪) —— ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত। 

উঃ চট্টগ্রাম 

৩.৫) তারা মনের সুখে —— চালিয়েছে – এতদিন। 

উঃ রাজ্যপাট 

৩.৬) কালো চামড়ার —– এবং— — প্রবেশ নিষেধ। 

উঃ লোক, কুকুরের

৩.৭) সেই—— – ইংরেজ-দানবের কবল থেকে মুক্ত করতে পারি। 

উঃ ভারতমাতাকে

৩.৮) সবাই তাকে —–বলে ডাকে। 

উঃ মাস্টারদা 

৩.৯) তাঁর —— দিকে তাকালে কিছু লুকোনো যায় না। 

উঃ চোখের 

৩.১০) তিনদিনের জন্য হলেও —– – বিদেশি শাসন মুক্ত করবেন।

উঃ চট্টগ্রামকে

 

৪) এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরিঃ 

৪.১) অফিসেও টেলিফোন টেলিগ্রাফের লাগিয়েছে আর আগুন।

উঃ আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও।

৪.২) ফেলেছে রেলের তারা লাইন ভেঙে দু-জায়গায়। 

উঃ দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছে তারা। 

৪.৩) শার্ট বা ধুতি বাঙালির পাঞ্জাবি ধুতি। 

উঃ বাঙালির ধুতি-পাঞ্জাবি বা ধুতি-শার্ট। 

৪.৪) না লুকোনো তাকালে চোখের তাঁর দিকে কিছু যায়। 

উঃ তাঁর চোখের দিকে তাকালে কিছু লুকোনো যায় না। 

৪.৫) অন্যরকম মানুষটি এ, হয়েছিল ছাত্রদের তবু সেদিন মনে। 

উঃ তবু সেদিন ছাত্রদের মনে হয়েছিল, এ মানুষটি অন্যরকম। 

৪.৬) করবেন শাসন চট্টগ্রামকে জন্য তিনদিনের হলেও বিদেশি মুক্ত।

উঃ তিনদিনের জন্য হলেও চট্টগ্রামকে বিদেশি শাসন মুক্ত করবেন। 

 

৫) নিম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

৫.১) চট্টগ্রাম শহরে কারা কার বুদ্ধিমতো কীসের ভাণ্ডার দখল করে করেছিলেন?

উঃ চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে মাস্টারদার বুদ্ধিমতো ইংরেজ পুলিসের সঙ্গে লড়ে তাদের গোলা-বারুদের ভাণ্ডারটিকে দখল করে নিয়েছিলেন।

৫.২) তারা কীভাবে রেল-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন?

উঃ তাঁরা দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছিলেন, সেখানে মালগাড়ি উলটে গিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

৫.৩) ইউনিয়ন জ্যাক কী? 

উঃ ব্রিটিশ পতাকার নাম ইউনিয়ন জ্যাক। 

৫.৪) ব্রিটিশ আমলে রেস্তোরাঁর গায়ে ঝুলন্ত নোটিশে কী লেখা থাকত ?

উঃ ব্রিটিশ আমলে রেস্তোরাঁর গায়ে ঝুলন্ত নোটিশে কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ লেখা থাকত ৷

৫.৫)মাস্টারদার আসল নাম কী ছিল? 

উঃ মাস্টারদার আসল নাম ছিল সূর্যকুমার সেন। 

৫.৬)মাস্টারদা কোন্ স্কুলের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন? 

উঃ মাস্টারদা উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন।

৫.৭) মাস্টারদা কোথায় থাকতেন? 

উঃ মাস্টারদা চট্টগ্রামের দেওয়ানজি-র পুকুরপাড়ে এক মেসবাড়িতে থাকতেন।

৫.৮) সূর্যকুমার সেনের আদর্শ পুরুষ কারা ছিলেন? 

উঃ সূর্যকুমার সেনের আদর্শ পুরুষ ছিলেন রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ। 

৫.৯) মাস্টারদার প্রিয় কবি কে ছিলেন? 

উঃ মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৫.১০) রবীন্দ্রনাথকে মাস্টারদা কী বলতেন? 

উঃ রবীন্দ্রনাথকে মাস্টারদা বলতেন ‘কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ’।

৫.১১) মাস্টারদা ও তাঁর সাথিরা কোন পাহাড়ের উপর লড়াই করেছিলেন। 

উঃ মাস্টারদা ও তাঁর সাথিরা জালালাবাদ পাহাড়ের উপর লড়াই করেছিলেন।

৫.১২) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদার দুজন সহযোগীর নাম লেখো। 

উঃ গণেশ ঘোষ, লোকনাথ বল, অনন্ত সিংহ।

 

৬) সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ 

৬.১) আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও’–কারা এমন করেছিল? কেন করেছিল ? 

উঃ চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে এমন করেছিল। তাঁরা ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডার দখল করার জন্য এমন করেছিল।

 

৬.২) ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে কোন্ পতাকা উড়ত? তার বদলে বিপ্লবীরা কেমন পতাকা ওড়ালেন ?

উঃ ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ান জ্যাক উড়ত। তার বদলে বিপ্লবীরা স্বাধীন ভারতের পতাকা ওড়ালেন।

 

৬.৩) কেমন মানুষ এই মাস্টারদা’ – মাস্টারদার পরিচয় দাও।

উঃ চট্টগ্রামের মাস্টারদা হলেন উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক সূর্যকুমার সেন বা সূর্য সেন। রোগা সাধারণ চেহারার এই মানুষটির পোশাক খুবই সাদাসিধে। রঙিন জামা পরেন না। বাঙালির ধুতি পাঞ্জাবি বা ধুতি শার্টই তাঁর পোশাক। চুপচাপ এই মানুষটি যেমন কম কথা বলেন তেমনি তাঁর চলাফেরাতেও শব্দ হয় না। খুব সহজ সাধারণ মানুষ কিন্তু তাঁকে ঠকাবার উপায় নেই। তাঁর চোখের দিকে তাকালে কোনো কিছু লুকোনো যেত না। মাস্টারদাকে বাইরে থেকে দেখে বোঝা যেত না তিনি এত বড়ো একজন নেতা। সবাই তাঁকে সম্মান করত। তিনিও হাসিমুখে সবার সঙ্গে মেলামেশা করতেন।

 

৬.৪) ‘এ মানুষটি অন্যরকম— কারা কীভাবে বুঝেছিল মানুষটি অন্যরকম ?

উঃ মানুষটি হলেন উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক মাস্টারদা সূর্য সেন। তিনি নতুন মাস্টার বলে ছেলেরা প্রথমে বুঝে নিতে চেয়েছিল তিনি কেমন মানুষ? গম্ভীর না কড়া শাস্তি দেন। কিন্তু ছেলেরা অবাক হয়ে দেখল মাস্টারমশাই বন্ধুর মতো হাসিমুখে ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে মেলামেশা করেন। খুবই সহজ সাধারণ মানুষ কিন্তু তাকে ঠকাবার উপায় নেই। তাঁর চোখের দিকে তাকালে কিছু লুকোনো যায় না। তাই ছাত্রদের মনে হয়েছিল তিনি মানুষটা অন্যরকম।

 

৬.৫) মাস্টারদার ছাত্ররা তাঁর কথামতো কী কী করত?

উঃ মাস্টারদার কথা মতো তাঁর ছাত্ররা ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে ময়দানে গিয়ে ব্যায়াম করত। সংস্কৃত স্তোত্র আবৃত্তি করত। কোনো কোনো দিন ভোরবেলায় ছাত্ররা তাদের প্রিয় মাস্টারমশায়ের মেসবাড়িতে পৌঁছে দেখত তিনি অনেক আগেই উঠে রামকৃষ্ণ স্তোত্র গান করছেন।

 

৬.৬) চট্টগ্রামের ছেলেদের দল কীভাবে দেশ কে ইংরেজ দানবদের হাত থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিল?

উঃ চট্টগ্রামের ছেলের দল লড়াই করে দেশ থেকে ইংরেজ দানবদের তাড়াতে চেয়েছিল। তাদের মনে হয়েছিল ভারতবর্ষের একটা জায়গায় যদি ইংরেজদের যুদ্ধ করে তাড়ানো যায় তাহলে সারা দেশ জেগে উঠবে, আর তাহলেই সকল দেশবাসীর মনে হবে আমরাও এই ভাবে লড়াই করে ইংরেজদের অত্যাচার বন্ধ করে তাদের তাড়াতে পারি। দেশমাতা তথা ভারতমাতাকে ইংরেজ দানবদের কবল থেকে মুক্ত করতে পারি।

 

৬.৭) মাস্টারদার আদর্শ পুরুষ কারা ছিলেন ?

উঃ মাস্টারদা সূর্য সেনের জীবনের আদর্শ পুরুষরা ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি ভোরবেলায় উঠে রামকৃষ্ণ স্তোত্র গান করতেন। এই দুই মনীষীর ভক্তি, ত্যাগ ও তেজস্বিতার আদর্শে তিনি তাঁর ছাত্রদের গড়তে চেয়েছিলেন।

 

৬.৮) মাস্টারদার মনে রবীন্দ্রনাথ কতটা প্রভাব ফেলেছিলেন তা গল্পটি পড়ে বুঝিয়ে দাও।

উঃ মাস্টারদার জীবনে রবীন্দ্রনাথ এক বিশেষ স্থান গ্রহণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এত প্রিয় ছিলেন যে তাঁকে তিনি বলতেন ‘কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ’। শুধু বলা নয় রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা ছিল তাঁর মুখস্থ। জালালাবাদ পাহাড়ে লড়াই-এর আগেও তিনি রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা শুনতেন। জেলে বন্দি থাকাকালীন তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তেন, চিঠিতে উদ্ধৃত করতেন তাঁর কবিতার লাইন। সঙ্গী সাথিদের রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে অনুরোধ করে বলতেন যে রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ।

 

৬.৯) ইংরেজ আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত? 

উঃ এদেশে রাজত্ব করতে এসে ইংরেজদের স্পর্ধা আকাশ ছুঁয়েছিল। প্রতিবাদ করতে গেলেই ইংরেজরা ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার চালাত। ভারতবাসী দিনের পর দিন খেটে গেছে আর সেই খাটুনির ফল ইংরেজরা ভোগ করেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সাদা চামড়ার লোক ছাড়া অন্য কারোর ঢোকার অনুমতি ছিল না। রেস্তোরাঁর গায়ে নোটিশ ঝুলত – কালো চামড়ার – লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ।

 

৬.১০) ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল ? 

উঃ মাস্টারদা সূর্য সেন চট্টগ্রাম শহরের কিছু অল্পবয়সি ছেলেদের নিয়ে তাদের দেশের কথা বলে, খেলাধুলো, বন্দুক চালানো শিখিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বার উপযুক্ত করে গড়ে তুললেন। তারা ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে লড়ে তাদের গোলা-বারুদের ভাণ্ডারটিকে দখল করে নিয়েছিল। আগুন লাগিয়েছিল টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসে। দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছিল। সেখানে মালগাড়ি উলটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারা পুড়িয়ে দিয়েছিল ইংরেজ পুলিশ ঘাঁটিতে উড়তে থাকা ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক। সেখানে বিপ্লবীরা উড়িয়েছিল স্বাধীন ভারতের পতাকা।

PDF DOWNLOAD LINK ONLY FOR SUBSCRIBERS

মাস্টারদা প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top