নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণি বাংলা প্রদান করা হলো। বাংলা বিষয়ের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এছারাও শিক্ষার্থীরা আমাদের Class Note বিভাগ থেকে বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেখে নিতে পারবে।
নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা :
নিরুদ্দেশ গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর :
১) দিনটা ভারী – বিশ্রী
২) ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে যে ঋতুর কথা আছে – শীত
৩) শীতের দিনে সব থেকে অস্বস্তিকর হল – বাদলা
৪) কথকের বাড়িতে যে এসেছিল – সোমেশ
৫) খবরের কাগজে একসঙ্গে নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল – সাতটা
৬) কথকের কল্পনায় ছেলের মা যেখান থেকে ছেলেকে টাকা দেয় – লুকানো পুঁজি থেকে
৭) ‘এমন ছেলের আমার দরকার নেই’ কথাটি বলেছেন – ছেলের বাবা
৮) ছেলে চলে যাবার পরে রাতে মা – ঘুমাননি
৯) ‘কেন আমাদের খবরগুলো পছন্দ হচ্ছে না?’ কথাটি বলেছে – নিরীহ চেহারার লোকটি
১০) সংবাদপত্রের অফিসে বাবাকে সাহায্য করেছিলেন – রূঢ় প্রকৃতির লোকটি
১১) অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই – হাস্যকর
১২) ‘এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজেডি থাকে’ বক্তা হল – সোমেশ
১৩) ‘প্রথমে দেখা যায় মায়ের কাতর অনুরোধ’ অনুরোধটি ছিল – ছেলে যেন ঘরে ফিরে আসে
১৪) ‘শুধু পিতার নিজেকে সামলাবার আর ক্ষমতা নেই’ যার পিতার কথা বলা হয়েছে – শোভনের
১৫) শোভন গৃহত্যাগের যত বছর পরে দেশে ফিরেছিল – প্রায় দুই বছর
১৬) ‘শোভনই তার একমাত্র উত্তরাধিকারী’ এখানে যে বিষয়ের কথা বলা হয়েছে – শোভনের বাবার জমিদারির
১৭) শোভন বাড়িতে ফিরে এলে তাকে প্রথম বাধা দিয়েছিলেন যিনি – নায়েবমশায়
১৮) ‘…সে যেন আশ্বস্ত হলো”- শোভন আশ্বস্ত হয়েছে, কারণ – সে তার পরিচিত বৃদ্ধ খাজাঞ্চিমশাইকে দেখতে পেয়েছে
১৯) ‘মা ভালো আছেন?’ যে জানতে চেয়েছে – শোভন
২০) “তাঁরা সবাই ভালো আছেন।” – এখানে যাদের কথা বলা হয়েছে – শোভনের বাবা-মা
২১) “ইনি ভেতরে যেতে চাইছেন!” – এ কথা বলেছেন – নায়েবমশাই খাজাঞ্চিমশাইকে
২২) ‘ওঃ ইনি আজই এসেছেন বুঝি!’ কথাটা বলেছেন – খাজাঞ্চিমশাই
২৩) “পাশের ঘরে গিয়ে টেবিলের একটা ড্রয়ার খুলে তিনি একটা জিনিস এনে শোভনের হাতে দিলেন।” – জিনিসটা হল – শোভনের একটি পুরোনো ছবি
২৪) ‘কেমন করে মারা গেল?’ উত্তর এসেছিল – রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে
২৫) “শোভন দৌড়ে ঘর থেকে বার হয়ে গেল।” – কারণ – সে তার বাবাকে দেখতে পেয়েছিল
২৬) “বৃদ্ধ কম্পিত হাত তুলে, কম্পিত স্বরে বললেন” – এই বৃদ্ধ হলেন – শোভনের বাবা
২৭) ‘কিছু বোলো না, চলে যেতে দাও’ কথাটি বলেছিলেন – শোভনের বাবা
২৮) নায়েবমশাই নোটের তাড়া এনে দিয়েছিলেন যার হাতে – শোভন
২৯) ‘কন্ঠস্বরে তাঁর মিনতি’ যার কন্ঠস্বরের কথা বলা হয়েছে – নায়েবমশাই
৩০) বাড়ির কর্ত্রী যে সংবাদ পাননি – পুত্র শোভনের মৃত্যুসংবাদ
৩১) সোমেশের জড়ুল ছিল – কানের কাছে
৩২) ‘সোমেশ তোমার কানের কাছে একটা জড়ুল আছে’ উত্তরে সোমেশ বলেছিল – সেই জন্যেই গল্প বানানো সহজ হল
গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর :
১) “দিনাটা ভারী বিশ্রী”- দিনটা ‘বিশ্রী’ কেন?
উঃ শীতের দিন হলেও বাদলার কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে। তাই দিনটা এত ‘বিশ্রী।
২) “একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছ?”- “আশ্চর্য ব্যাপারটি কী ছিল?
উঃ ‘আশ্চর্য ব্যাপারটি ছিল খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত- সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরােনাে।
৩) সােমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের কী সুবিধা হয়েছিল?
উঃ সােমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের শীতের মেঘলা দুপুর কাটানাের সুবিধা হয়েছিল।
৪) কাগজে সাতটি বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সােমেশের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
উঃ বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সােমেশ কোনাে কৌতূহল না দেখিয়ে উদাসীনভাবে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকে।
৫) ‘আমার হাসি পায়’—কীসে বক্তা হাসি পাওয়ার কথা বলেছেন?
উঃ কথক বলেছেন যে, কাগজে ‘নিরুদ্দেশ’-এর বিজ্ঞাপনগুলাে দেখলে তার হাসি পায়।
৬) ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে ছেলের পীড়াপীড়িতে মা কী করেছিলেন?
উঃ ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে ছেলের পীড়াপীড়িতে মা লুকোনাে পুঁজি থেকে টাকা বের করে তাকে দিয়েছিলেন।
৭) ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাবা তার থিয়েটার-দেখতে যাওয়া ছেলে ফিরলে কী করবেন বলেছেন?
উঃ ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাবা তার থিয়েটার দেখে ফেরা ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন বলেছেন।
৮) ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মার কী অবস্থা হয়?
উঃ ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা খাওয়া বন্ধ করে দেন এবং বিছানা ছেড়ে ওঠেন না
৯) ‘এতটা আশঙ্কা করেনি’—কী আশঙ্কা না করার কথা বলা হয়েছে?
উঃ দুবছর নিরুদ্দেশে থাকার ফলে তার কিছু পরিবর্তন হলেও জমিদারির কর্মচারীরা তাকে চিনতে পারবে না- এটা শােভন আশঙ্কা করেনি।
১০) বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য কী করতে গিয়েছিলেন?
উঃ বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়েছিলেন।
১১) বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির বাবার কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়েছিল?
উঃ বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির বাবার কাছে স্পেসের পরিমাপ ও বিজ্ঞাপনের কপি এনেছেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
১২) নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে বাবা কী লিখতে চেয়েছিলেন ?
উঃ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে বাবা ছেলেকে ফিরে আসার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন।
১৩) ছেলের নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে বাবা সবথেকে বেশি কী নিয়ে চিন্তিত ছিলেন?
উঃ বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির মায়ের জলগ্রহণ না করার বিষয়টি নিয়েই তার বাবা সবথেকে বেশি চিন্তিত ছিলেন।
১৪) খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগেই কী ঘটনা ঘটল?
উঃ খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগেই নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছিল।
১৫) ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছিল কেন?
উঃ ছেলেটি তার গােটাকতক বই নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে এসেছিল।
১৬) ‘অত আদর ভালাে নয়!’– কে কাকে বলেছেন?
উঃ ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ও শ্রাবার ফিরে আসা ছেলের মা তার বাবাকে আলােচ্য কথাটি বলেছেন।
১৭) ‘পুরানাে খবরের কাগজের ফাইল যদি উলটে দেখাে’ —কী দেখা যাবে?
উঃ পুরােনাে খবরের কাগজের ফাইল উল্টালে দেখা যাবে, দিনের পর দিন একটি বিশেষ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছে।
১৮) “মনে হয় ছাপার লেখায় সত্যি যেন কান পাতলে কাতর আর্তনাদ শোনা যাবে।”– এই আর্তনাদ কীসের জন্য ছিল?
উঃ এই আর্তনাদ ছিল নিরুদ্দিষ্ট ছেলের ফিরে আসার জন্য মায়ের কাতর আবেদন।
১৯) নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির পরিচয়ের কী বিশেষ চিহ্ন ছিল?
উঃ নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির পরিচয়ের বিশেষ চিহ্ন হিসেবে তার ঘাড়ের দিকে ডান কানের কাছে ছিল একটি বড়াে জডুল।
২০) ‘তা মনে কোরাে না’—কী মনে না করার কথা বলা হয়েছে?
উঃ শােভন নামের ছেলেটি বাড়ি ছেড়েছিল কোনাে অভিমানের বশে, মনটা মনে না করার কথা বলা হয়েছে।
গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১) “এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।” – কে, কেন এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছেন? ১+২
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
ব্যাখ্যাঃ
গল্পে আমরা নিরুদ্দেশ হওয়ার একটি মজার গল্প জানতে পারি। একদিন বেশি রাত করে ফেরার কারণে একজন ভদ্রলোক তার ছেলেকে শাসন করেন এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ছেলেটি বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং এই ঘটনার ফলে ছেলেটির মা শোকে কাতর হয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেন। পরদিন সন্ধ্যাবেলায় ভদ্রলোক অফিস থেকে ফিরে দেখেন যে তার ছেলে তখনও বাড়ি ফিরে আসেনি এবং তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়েছেন। এই পারিবারিক অশান্তি তার মনে প্রবল বিরক্তির উদ্রেক করে এবং তার প্রতিফলন হিসাবেই তিনি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন।
২) “এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্রাজিডি থাকে।” – বক্তা কে? মন্তব্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ১+২
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
গল্পের অন্যতম চরিত্র সোমেশ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
মন্তব্যটির তাৎপর্যঃ
এক বৃষ্টিস্নাত শীতের দুপুর বেলায় দুই বন্ধুর মধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপন বিষয়ে আলোচনা চলছিল। গল্পের কথকের মতে অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের কারণ পারিবারিক ছোটখাটো মনমালিন্য, যা অতি সহজেই মিটে যায় এবং কোনো বিশেষ প্রয়াস ছাড়াই নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তি বাড়ি ফিরে আসে। সোমেশ, গল্প কথকের এই ভাবনার বিরোধিতা করে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিল, তার মতে সকল নিরুদ্দেশের বিজ্ঞপনের ইতিহাস সহজ হয় না বরং তার পিছনে অনেক দুঃখের ঘটনা জড়িয়ে থাকে।
৩) “হঠাৎ শোভনের কাছে সমস্ত ব্যাপারটা ভয়ংকরভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠল” – কোন ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে উঠলো? ৩
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
যে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছেঃ
গল্পে আমরা শোভনের জীবনের এক বেদনাদায়ক ঘটনার কথা জানতে পারি। জমিদার পরিবারের একমাত্র ওয়ারিশ শোভন অল্প বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তার উদ্দেশ্যে বহুবার নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলেও, শোভন বাড়ি ফিরে আসেনি। শেষ বিজ্ঞাপন প্রকাশের কিছুবছর পর শোভন বাড়ি ফিরে আসে এবং জমিদার বাড়ির নায়েবমশাই এবং খাজাঞ্চিমশাইয়ের কাছ থেকে রুঢ় ব্যবহার পায়। এমনকি তারা শোভনকে তার মা ও পরিবার সম্পর্কে সামান্য তথ্য জানাতেও অস্বীকার করেন। তাদের এই শুষ্ক ব্যবহারে শোভন বুঝতে পারে যে তারা তাঁকে নিরুদ্দিষ্ট শোভন বলে মেনে নেবেন না। প্রশ্নোক্ত অংশে এই বিষয়টির প্রতিই ঈঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।
৪) ‘সেই জন্যেই গল্প বানানো সহজ হলো।’ – বক্তা কে? কোন গল্প সে বানিয়েছে? ১+২
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা হল সোমেশ।
সে যে গল্প বানিয়েছেঃ
এই গল্পে সোমেশ গল্প কথকের বন্ধু। তাদের মধ্যে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনা চলছিল, গল্পকথক নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন নিয়ে একটি কল্পিত গল্প সোমেশকে শুনিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমেশ তাকে একটি বেদনাদায়ক ঘটনার কথা বলেন। সেই গল্পের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
নিরুদ্দেশ গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর :
১) “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই”-উক্তিটি কার? নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের ইতিহাস বিবৃত করো। ১+৪=৫
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
গল্পের কথক সংবাদপত্রের পাতায় সাত-সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দেখে বন্ধু সোমশকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
বিজ্ঞাপনের ইতিহাসঃ
কথকের বর্ণনা অনুসারে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, মায়ের প্রশ্রয়ে থিয়েটার দেখতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি করলে তার পিতার ক্রোধের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, “পয়াসাগুলো আমার খোলামকুচি কিনা, তাই নবাবপুত্তুর যা খুশি তাই করছেন। দূর করে দেবো, এবার দূর করে দেবো।”
বাড়ির এই উতপ্ত পরিস্থিতিতে গুণধর পুত্র বাড়ি ফিরলে বাবা তার রাগকে সমলে রাখতে না পেরে বলে ফেলেন, “এমন ছেলের আমার দরকার নেই- বেরিয়ে যা।” অভিমানী ছেলে তার পিতার অন্যান্য আদেশ অমান্য করলেও এই কথাটিকে আপ্তবাক্য বলে স্বীকার করে নিয়ে গৃহত্যাগী হয়।
পুত্রের অবর্তমানে মা আহার-নিদ্রা ত্যাগ করলে বাবা একপ্রকার বাধ্য হয়েই খবরের কাগজে পুত্রের নিরুদ্দেশের খবর ছাপাতে দিয়ে বলেন, “একটু ভালো করে লিখে দেবেন। ওর মা কাল থেকে জলগ্রহণ করেনি।”
কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশের পূর্বেই দেখা যায় ছেলে তার কিছু বই নিতে বাড়ি ফিরলে মায়ের অভিমান দূর করতে ও পিতার ভালোবাসার পরিচয় লাভ করে বাড়িতেই থেকে যায়।
মূল্যায়ণঃ
উপরোক্ত কাহিনিটি তার বন্ধু সোমেশকে শুনিয়ে কথক তাই বলে ওঠেন, “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই।”
LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)
নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232
২) “এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজেডি থাকে”- এই সত্যকার ট্র্যাজেডির পরিচয় দাও।
৩) “তার হাসিটাই বিশ্বাস করিতে আমার প্রবৃত্তি হইল না।”- বক্তা কেন উদ্দিষ্ট ব্যক্তির হাসিটা বিশ্বাস করতে চাননি?