অদল বদল গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অদল বদল গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই অদল বদল বড়ো প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
অদল বদল গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা :
১) অদল বদল গল্পে অমৃত চরিত্রের পরিচয় দাও। ৫
উৎসঃ
গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত নামের এক কিশোর। তার চরিত্রের যে সকল গুণাবলী আমাদের তার প্রতি আকর্ষিত করে সেগুলি ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-
জেদঃ
গল্প ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অমৃত খুব জেদি প্রকৃতির ছেলে। বন্ধু ইসাবের মতো হুবহু একই রকম জামা কেনার জেদ থেকে সে মার খেতেও রাজি। সে তার মাকে জানায়- “ঠিক আছে, আমাকে বেঁধে রাখো! মারো! কিন্তু তোমাকে ইসাবের মতো একটা জামা আমার জন্য জোগাড় করতেই হবে।”
শান্তিপ্রিয়তাঃ
অমৃত জেদি হলেও শান্তিপ্রিয় স্বভাব তার চরিত্রের অপর একটি বিশেষ দিক। হোলির দিনে বন্ধু ইসাবের সঙ্গে বেড়াতে গেলে, কালিয়া তার সঙ্গে কুস্তি করতে চাইলেও অমৃত তাকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল- “দেখ্ কালিয়া, আমি কুস্তি লড়তে চাই না, আমাকে ছেড়ে দে।”
বন্ধুপ্রীতিঃ
বন্ধু ইসাবের প্রতি অমৃতের অকৃত্রিম ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায়। কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত নিজের জামা খুলে বন্ধুকে পরতে দেয়।
উপস্থিত বুদ্ধিঃ
অমৃত চরিত্রের আর একটি অন্যতম গুণ হল তার বিচক্ষণতা ও উপস্থিত বুদ্ধি। ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মধ্যে জামা অদল বদল করে নেয়। সে বন্ধুকে বলে- “তোর জামা খুলে আমারটা পর।”
অনুভূতি প্রবণতাঃ
অমৃত চরিত্রের অনুভূতি-প্রবণতার পরিচয় পাওয়া যায়, বন্ধু ইসাব যে মাতৃহীন এবং তার বাবা তাকে মারলে তাকে বাঁচানোর কেউ নেই- এই বাস্তব সত্যটি উপলব্ধি করার মধ্য দিয়ে। তার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।” অমৃতের এই সহানুভূতিশীল মানসিকতা ইসাবের বাবারও চোখ খুলে দিয়েছিলো।
অতএব, আলোচনার পরিশেষে বলা যায়, অমৃত চরিত্রটি তার সকল প্রকার চারিত্রিক গুণাবলী দ্বারা সকল পাঠকের হৃদয় জয় করতে সমর্থ হয়েছে।
২) ‘আজ থেকে আপনার ছেলে আমার’ – বক্তা কে? তিনি কাকে কেন এ কথা বলেছেন? ১+৪
উৎসঃ
গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা হলেন ইসাবের বাবা হাসান পাঠান।
মন্তব্যের ব্যাখ্যাঃ
হোলির দিন অমৃত-ইসাব ঘুরতে বের হলে কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে জোর করে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে। কালিয়া অমৃতকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে। এই ঘটনায় ইসাব রেগে যায়। সে কালিয়ার সাথে লড়ে তাকে হারিয়ে দেয়।
কিন্তু প্রিয় বন্ধু অমৃতকে বাঁচাতে গিয়ে ইসাবের সদ্য কেনা জামা ছিঁড়ে যায়। বাবা হাসানের কাছে মার খেতে হবে ভেবে ইসাব ভয় পেলে অমৃত তার জামাটা ইসাবের সাথে জামা অদল-বদলের পরামর্শ প্রদান করে। এতে ইসাব আপত্তি জানালে অমৃত তাকে বলে যে, “কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।”
ইসাবের বাবা আড়াল থেকে ঘটনাটি দেখেছিলেন। তাই বন্ধুরা অমৃত-ইসাবের জামা অদল-বদলের কথা ফাঁস করে দিতে গেলে তিনি তাদের দুজনকে নিজের কাছে ডেকে নেন এবং দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেন। অমৃত ও ইসাবের সুগভীর বন্ধুত্ব দেখে ইসাবের পিতা হাসান ভাই উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।
LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)
নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232
৩) ‘পান্নালাল প্যাটেলের অদল বদল গল্পে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নতুন ছবি ধরা পড়েছে’- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৫
উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৪) অদল বদল গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো। ৫
উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৫) ‘ও আমাকে শিখিয়েছে খাঁটি জিনিস কাকে বলে’- ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তা কে, কাকে, কীভাবে শিখিয়েছে? ২+৩
উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে