অদল বদল গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অদল বদল গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই SAQ প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
অদল বদল গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা :
১) ‘সব দিক থেকেই একরকম।’ – কোন্ বিষয়ে একরকম?
উঃ অমৃত ও ইসাব হোলির দিনে যে নতুন জামাগুলি পরেছিল সেগুলির রঙ, মাপ ও কাপড় একরকম ছিল।
২) ‘তফাত শুধু এই যে’- কী বিষয়ে তফাত?
উঃ অমৃতের বাবা-মা এবং তিন ভাই ছিল কিন্তু ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউ ছিল না।
৩) ‘মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল’ – কী বলে বুঝিয়েছিল?
উঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছিল যে, ইসাবকে ক্ষেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিঁড়ে গেছে কিন্তু অমৃতের জামাটা প্রায় নতুনের মতো আছে।
৪) ‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’ – কেন এমন করেছিল?
উঃ ইসাবের মতো জামা না পেয়ে অমৃত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
৫) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।’ -কী কারণে তার মেজাজ চড়ে ছিল?
উঃ কারণ, কালিয়া একপ্রকার জোর করেই অমৃতের সঙ্গে কুস্তি শুরু করে দিয়েছিল।
৬) ‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তাে আমার মা আছে।’ – কেন এই উক্তি?
উঃ ইসাবের ছেঁড়া জামা দেখে তার বাবা তাকে মারলে বাঁচাবার মতো কেউ ছিল না। কিন্তু অমৃত জানতো যে, তার বাবা তাকে মারলে মা গিয়ে তাকে বাঁচাবে।
৭) ‘ছেলেরাও কী ঘটেছে জেনে চ্যাঁচাতে লাগল।’- কী বলে ছেলেরা চ্যাঁচাচ্ছিল?
উঃ ছেলেরা ‘অদল-বদল, অদল-বদল’ বলে চ্যাঁচাচ্ছিল।
৮) কোন্ ঘটনার জন্য ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল?
উঃ ইসাবের বাবা অমৃত-ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনার সাক্ষী ছিল। সেইজন্য সে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল।
৯) “পাঠানের গল্প শােনার জন্য ঘিরে দাঁড়াল।” – কারা ঘিরে দাঁড়াল?
উঃ পাড়াপড়শী মায়ের দল ঘিরে দাঁড়াল।
১০) ‘অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।’ – কোন জবাব?
উঃ ইসাবের প্রশ্নের উত্তরে অমৃত জবাব দিয়েছিল যে তার বাড়িতে মা আছে এবং তার বাবা তাকে মারতে এলে মা গিয়ে বাঁচাবে। এখানে এই জবাবের কথা বলা হয়েছে।
১১) ‘গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেল।’ – কে কোন্ গল্প বলেছিল?
উঃ ইসাবের বাবা ইসাব ও অমৃতের জামা অদল-বদলের গল্প বলেছিল।
১২) ‘উনি ঘােষণা করলেন’- কী ঘােষণা করেছিলেন?
উঃ উনি অর্থাৎ গ্রাম-প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, এরপর থেকে অমৃতকে অদল এবং ইসাবকে বদল বলে ডাকা হবে।
১৩) ‘এই আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠল।’ – কোন্ আওয়াজের কথা বলা হয়েছে?
উঃ ‘অমৃত-ইসাব অদল বদল, অদল বদল’- এই আওয়াজের কথা বলা হয়েছে।
১৪) ‘অদলবদল’ গল্পটি কে বাংলায় তর্জমা করেন।
উঃ ‘অদলবদল’ গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।
১৫) ‘তা দুজনকে কী করে সামলাবেন?’- এখানে কোন দুজনের কথা বলা হয়েছে?
উঃ এখানে দুজন বলতে অমৃত এবং ইসাবের কথা বলা হয়েছে।
১৬) ‘সে ওদের আনন্দ মাটি করার জন্য বলল’- ‘সে’ কে?
উঃ একটি ছেলে ওদের জামা বদলানো দেখেছিল। ‘সে’ বলতে এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
১৭) ‘সে ওদের আনন্দ মাটি করার জন্য বলল’- সে কী বলল?
উঃ সে বলল, ‘তোরা অদল-বদল করেছিস, হুম্।’
১৮) ‘এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?
উঃ কালিয়া ও ইসাবের কুস্তির কথা বলা হয়েছে।
১৯) ‘ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল’- ওরা কেন ভয়ে কাঠ হয়ে গেল?
উঃ ওরা অর্থাৎ অমৃত আর ইসাব ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল; কারণ কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামার পকেট ও ছ’ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল।
২০) ‘হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল’- বুদ্ধিটা কীরকম ছিল?
উঃ অমৃত ইসাবের ছেঁড়া জামাটা পরে নিজেরটা ইসাবকে দিয়েছিল।
২১) হোলির দিনের কোন্ সময়ের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক?
উঃ হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক।
২২) নিমগাছের নীচে একদল ছেলে জড়ো হয়ে কী করছিল ?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে নিমগাছের নীচে গায়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি খেলছিল।
২৩) হাত ধরাধরি করে কারা গ্রামের ছেলেদের কাছে এল ?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব গ্রামের ছেলেদের কাছে এল।
২৪) “সব দিক থেকেই একরকম।”—কী সবদিক থেকে একরকম?
উঃ ইসাব আর অমৃতের গায়ের জামার রং, মাপ ও কাপড় সবদিক থেকেই একরকম।
২৫) অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর কে আছে?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর তিন ভাই রয়েছে।
২৬) ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর কে আছে?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর তার বাবা আছে।
২৭) ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের কী হয়েছে?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে গরিব চাষির ছেলে ইসাব ক্ষেতে কাজ করতে যায়, তাই তার জামা ছিড়ে যায়।
২৮) অমৃত তার জামাটি কীভাবে ছিঁড়ে ফেলে?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে তার মা জামা দেয় না। তাই সে তার জামার একটা ছেড়া জায়গায় আঙুল ঢুকিয়ে আরও ছিড়ে ফেলে।
২৯) অমৃত জামা পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত কী করতে রাজি ছিল?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে দেখা যায়, জামা পাওয়ার জন্য অমৃত শেষ পর্যন্ত মার খেতেও রাজি হয়।
৩০) “শোনা মাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল…।”—অমৃত কী ফতোয়া জারি করেছিল?
উঃ অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল যে, ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না-পেলে সে স্কুলে যাবে না।
৩১) “মা ওকে অনেক বুঝিয়েছেন…।”—কার মা, কাকে, কী বুঝিয়েছেন?
উঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছেন যে, ইসাবকে খেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিড়ে গেছে, কিন্তু তারটা তো প্রায় নতুনই রয়েছে।
৩২) “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”—এতেও’বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ ‘এতেও’ বলতে নতুন জামা নেওয়ার ব্যাপারে অমৃতের মার হাতে অমৃতের মার খাওয়ার কথাকে বোঝানো হয়েছে।
৩৩) “কিন্তু অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্রও সে নয়।”—হাল না ছেড়ে সে কী কী করেছিল ?
উঃ হাল না-ছেড়ে সে স্কুলে যাওয়া বন্দ করে দিল, খাওয়া ছেড়ে দিল এবং রাত্রে বাড়ি ফিরতে রাজি হল না।
৩৪) সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমৃতের কী ইচ্ছে হয়নি?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পের অন্যতম চরিত্র অমৃত। সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জামাকাপড় নোংরা করতে তার ইচ্ছে হয়নি।
৩৫) “কালিয়া জিতেছে, অমৃত হেরে গেছে, কী মজা, কী মজা।”—এ কথা কে বলেছে?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ছেলের দল আনন্দে চিৎকার করে এ কথা বলেছে।
৩৬) অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে কে বাঁচায়?
উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে তার মা বাঁচায়।
৩৭) ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় বসে কী করছিলেন?
উঃ ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় খাটিয়ায় বসে হুঁকো খাচ্ছিলেন।
৩৮) অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া কীরূপ হয়?
উঃ অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীদের বুক গর্বে ভরে যায়।
৩৯) “ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড়…।”- ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কেন?
উঃ ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কারণ, ওরা জানে ইসাবের বাবা ছেড়া শার্ট দেখা মাত্র ওর গায়ের চামড়া তুলে নেবেন।
৪০) “কিন্তু ওর কপাল ভালো…।”—কার, কী কারণে কপাল ভালো ছিল?
উঃ অমৃতের কপাল ভালো ছিল, কারণ দিনটা ছিল হোলির দিন, তাই সে সময় সবাই জানে কিছুটা ধস্তাধস্তি টানাটানি হয়েই থাকে।
৪১) “উনি ভুরু কুঁচকোলেন।”—কে, কেন ভুরু কুঁচকেছিলেন?
উঃ অমৃতর মা অমৃতর ছেড়া জামা দেখে ভুরু কুঁচকেছিলেন।
৪২) “এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল…।”—ভয় কেটে যাওয়ায় তারা কী করল?
উঃ ভয় কেটে যাওয়ায় তারা আবার হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির সময়কার বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল।
৪৩) “আবেগ ভরা গলায় হাসান বললেন…।”— আবেগ ভরা গলায় হাসান ভাই কী বলেছিলেন?
উঃ আবেগভরা গলায় হাসান ভাই বলেছিলেন, অমৃতের মতো ছেলে পেলে তিনি একুশ জনকেও পালন করতে রাজি আছেন।