পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।

পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :

১) ‘তা ছাড়া আমার বড়ো লজ্জা এই যে’- অপূর্বের লজ্জার কারণটি কী ছিল ? সেটি তার কাছে লজ্জার মনে হয়েছিল কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

অপূর্বর লজ্জার বিষয়ঃ 

উপন্যাসের অন্যতম মুখ্য চরিত্র লজ্জার কারণ অপূর্বর লজ্জার কারণ বাংলা দেশের অত্যাচারী পুলিশবাহিনীর একজন বড়োকর্তা নিমাইবাবু তার বাবার বন্ধু।

তার লজ্জিত হবার কারণঃ 

অপূর্বর লজ্জার মনে হয়েছিল কারণ, এই নিমাইবাবু দেশের শত্রু ইংরেজদের দ্বারা পুলিশবাহিনীতে নিয়োজিত হয়েছিলেন। তিনি ইংরেজদের আনুগত্য স্বীকার করে প্রতিনিয়ত ভারতীয় বিপ্লবীদের ধরপাকড় ও অত্যাচার চালাতেন। ইংরেজের দাসত্বকারী এমন একজনকে আত্মীয় বলতে অপূর্বর লজ্জা হচ্ছিল। 

 

২) ‘আমি ভীরু, কিন্তু তাই বলে অবিচারে দণ্ডভোগ করার অপমান আমাকে কম বাজে না’- বক্তা কাকে এ কথা বলেছিলেন ? কোন অবিচারের দণ্ডভোগ তাঁকে ব্যথিত করেছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ 

রচনাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্ব তার সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকরকে এ কথা বলেছিলেন। 

যে অবিচারের দণ্ডভোগ তাঁকে ব্যথিত করেছিলঃ 

ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা বিনাদোষে অপূর্বকে তার নিজের দেশে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল। অপূর্ব এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে ইংরেজ স্টেশনমাস্টার শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার অপরাধে তাকে স্টেশন থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই অকারণ লাঞ্ছনাই অপূর্বকে মনে মনে ব্যথিত করেছিল। 

 

৩) এমন তো নিত্যনিয়তই ঘটছে- কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

ঘটনার বিবরণঃ 

উদ্ধৃতাংশে অপূর্বর জীবনের এক অপমানজনক ঘটনার কথা বলা হয়েছে। অকারণে কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে সাহেব স্টেশনমাস্টার অপূর্বকে স্টেশন থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও স্টেশনটি ছিল ভারতবর্ষেরই এবং সেখানে যদিও বহু ভারতীয় উপস্থিত ছিল, তবু অপমানিত হওয়া অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় তারা এর কোনো প্রতিবাদ করেনি। এই ঘটনা পরাধীন ভারতের অত্যাচার ও অপমানের দৈনন্দিন চিত্র। 

 

৪) ‘অতএব যাওয়াই স্থির হইল’- কোথায় যাওয়া স্থির হল ? কী কারণে সেখানে যাওয়া স্থির হয়েছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

গন্তব্যস্থলঃ 

উদ্ধৃত অংশে বক্তা অপূর্ব কর্মসূত্রে তার ভামো, ম্যান্ডালে, শোএবো, মিক্‌থিলা ও প্রোম শহরে যাওয়া স্থির হওয়ার কথা বলেছে।

যাওয়ার কারণঃ

অপূর্বের বড়োসাহেব অপূর্বকে জানান যে, ভামোসহ তাদের ম্যান্ডালে, শোএবো, মিথিলা ও প্রোম শহরের অফিসে নানা ধরনের গোলযোগ ঘটছে। যেহেতু বড়োসাহেবের অবর্তমানে অপূর্বকেই সমস্ত ভার নিতে হবে, তাই সবকিছুর সঙ্গে তার পরিচয় থাকা উচিত। এইজন্য বড়োসাহেবের ইচ্ছা যে, অপূর্ব একবার সব অফিসে যাক। 

 

৫) ‘অপূর্ব হঠাৎ চকিত হইয়া বলিয়া উঠিল , ওই যে !’- ‘ওই যে’ বলে কাকে দেখানো হল ? অপূর্বের চকিত হওয়ার কারণ কী ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ 

বক্তা অপূর্ব তার সহকর্মীকে যাকে দেখিয়েছিলেন তিনি হলেন ছদ্মবেশী বিপ্লবী সব্যসাচী ওরফে গিরীশ মহাপাত্র।

অপূর্বের চকিত হওয়ার কারণঃ 

অপূর্ব তার ঘরে চুরির অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট গিরীশ মহাপাত্রকে দেখেছিলেন। গিরীশের বেশভূষা অপূর্বর মনে হাসি জাগালেও তার একটা সন্দেহের কথা তিনি সহকর্মী রামদাসকে বলেছিলেন। সেই গিরীশকে সহসা স্টেশনে দেখতে পেয়ে অপুর্ব চকিত হয়ে উঠেছিলেন।

 

৬) ‘আমাকে কিন্তু বাবু ঝুটমুট হয়রান করা’- কার উক্তি ? তাকে ঝুটমুট হয়রান করা হয়েছে বলার কারণ কী ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত উক্তিটি ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের।  

মন্তব্যের কারণঃ 

সব্যসাচী মল্লিকের বর্মায় আসার খবর পেয়ে পুলিশ তাকে পাকড়াও করার জন্য বর্মা ও রেঙ্গুনের কর্মরত ও কর্মপ্রার্থী বাঙালিদের ওপর নজর রাখে। সেই কারণেই গিরীশ মহাপাত্রকে থানায় জেরা ও তল্লাশি করা হয়। কিন্তু তাঁর কাছে সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। অপূর্ব সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। পরবর্তীকালে অপূর্বর সঙ্গে তাঁর দেখা হলে তিনি কথাগুলি বলেছিলেন।

 

৭) ‘বাবুজি, মায়নে আপকো তো জরুর কঁহা দেখা’- কার উক্তি ? উক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ পরিস্ফুট করো ।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর।

অন্তর্নিহিত অর্থঃ 

উক্তিটির অর্থ হল, ‘বাবুজি আমি আপনাকে অবশ্যই কোথাও দেখেছি।’ ইতিপূর্বে রামদাস হয়তো ছদ্মবেশী সব্যসাচীকে অথবা তার ছবি কোথাও দেখেছিলেন; কিন্তু সঠিক ভাবে তা মনে করতে পারছিল না। তাই তিনি বার বার সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে গিরীশ মহাপাত্র বা সব্যসাচীকে দেখে, মনে করার একটা অসহায় প্চেরষ্টা করছিলেন। 

 

৮) ‘ইচ্ছা করিলে আমি তোমাকে টানিয়া নীচে নামাইতে পারি’- প্রসঙ্গ নির্দেশ করে উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গঃ 

উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা বর্মা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর। বাঙালি যুবক অপূর্ব তার অফিসের বড়োসাহেবের নির্দেশে প্রথম শ্রেণির যাত্রী হিসেবে ভামো যাচ্ছিলেন। তল্লাশির নাম করে পুলিশ যখন বার বার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলেন তখন প্রতিবাদ করায় পুলিশ তার প্রতি এমন উক্তি করেছিলেন।

তাৎপর্যঃ 

বর্মা পুলিশের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তিটি শুধু অপূর্বর উদ্দেশ্যে নয় এ যেন সমগ্র ভারতীয়র উদ্দেশ্যে করা। এ থেকে ইংরেজ শাসনে ভারতীয়দের সামাজিক অবস্থান ও নিজের দেশে পরবাসী হয়ে থাকার ছবি স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান।

 

৯) ‘বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন’- বক্তা কে ? তাঁর বাবা কাকে, কী চাকরি করে দিয়েছিলেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বক্তাঃ

উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন অপূর্ব।

উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি ও চাকরির পরিচয়ঃ 

নিমাইবাবু ছিলেন অপূর্বর বাবার বন্ধু। অপূর্বর বাবা নিমাইবাবুকে ইংরেজশাসিত ভারতবর্ষে পুলিশের চাকরি করে দিয়েছিলেন। এখন ব্রিটিশ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা নিমাইবাবু দেশপ্রেমিকদের আটক করে ব্রিটিশের দাসত্ব করেন। 

 

১০) ‘নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন’- নিমাইবাবু কে ? তার চুপ করে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

নিমাইবাবুর পরিচয়ঃ 

নিমাইবাবু হলেন পুলিশের বড়োকর্তা বা দারোগাবাবু।

তার চুপ থাকার কারণঃ 

পুলিশের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেপ্তার করা। তিনি ছিলেন চিকিৎসাবিদ্যায় সুপণ্ডিত, বহুভাষাবিদ ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটক গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা, আচার-আচরণ ও কালচার- এসব কোনো কিছুই সব্যসাচীর সঙ্গে মেলে না। তা দেখে থানায় উপস্থিত অপূর্ব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে যে, এই ব্যক্তি যে সব্যসাচী মল্লিক নয় তার সে জামিন হতে পারে। অপূর্বর এ কথায় খানিক দ্বিধাগ্রস্ত নিমাইবাবু চুপ করে ছিলেন।

 

১১) ‘আজ্ঞে না মাইরি খাইনে’- কার উক্তি ? কী কারণে এমন উক্তি ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশস্টেশনে আটক গিরীশ মহাপাত্র।

উক্তির কারণঃ 

খানাতল্লাশির সময় অন্যান্য আরও কয়েকটি জিনিসের সঙ্গে গিরীশের কাছ থেকে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায়। থানার বড়োবাবু নিমাইবাবুর প্রশ্নের উত্তরে সে গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু নিমাইবাবুর অভিজ্ঞ চোখে মহাপাত্রের শরীরে গাঁজা খাওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই ভগ্ন স্বাস্থ্যের গিরীশকে তিনি গাঁজা খেতে নিষেধ করেন। বয়স্ক নিমাইবাবুর এমন অনুরোধে মহাপাত্র পুনরায় গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিল। 

 

১২) ‘রামদাস চুপ করিয়া রহিল, কিন্তু তাহার দুই চোখ ছলছল করিয়া আসিল’- রামদাস কে ? তার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

রামদাসের পরিচয়ঃ 

অপূর্বর রেঙ্গুনের অফিসের সহকর্মী ছিল রামদাস তলওয়ারকর।

তার অবস্থার কারণঃ 

অপূর্ব তাঁর জীবনের একটি বেদনাদায়ক ঘটনার কথা রামদাসকে বলে। একদিন অকারণে কয়েকজন ফিরিঙ্গি ছোঁড়া অপূর্বকে লাথি মেরে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরে বের করে দেয়। অথচ এর প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় সাহেব স্টেশনমাস্টারও তাকে তাড়িয়ে দেয়। ভারতের একটি রেলস্টেশনে আরেক ভারতীয় এমন অসহ্য অপমানে উপস্থিত কেউই এগিয়ে আসে না। এই ঘটনার কথা শুনে দুঃখে ও লজ্জায় এক অব্যক্ত অপমানে সহমর্মী রামদাসের দু’চোখ ছলছল করে উঠেছিল।

 

১৩) ‘কিন্তু বুনো হাঁস ধরাই যে এদের কাজ’- বক্তা কে ? তার এই বক্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর।

বক্তার কারণঃ

অপূর্ব সহকর্মী ও বন্ধু রামদাসের কাছে পুলিশস্টেশনে ঘটা গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা, আচার-আচরণের আদ্যোপান্ত বিবরণ তুলে ধরে। এ প্রসঙ্গে তথাকথিত বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশকে যেভাবে সে বোকা বনতে দেখেছে; তাও জানায়। অথচ এরাই সরকারের বহু টাকা এভাবেই ‘বুনো হাঁস’ তথা বিপ্লবীদের ধরার পিছনে ছুটোছুটি করে অপব্যয় করছে। অপূর্বর এ কথায় রামদাস হেসে জানায়, চোর ধরার বদলে আসলে ‘বুনো হাঁস’ ধরাই এখন পুলিশের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

 

১৪) গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনা দাও।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনাঃ 

পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট হিসেবে গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনা তাঁকে আটক করলেও বেশভূষা ও চেহারার বিভ্রান্তিতে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। বছর বত্রিশের সব্যসাচীর গায়ের ফরসা রং রোদে পুড়ে তামাটে হয়েছে। রোগা চেহারার মানুষটি সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপাতে ও কাশতে থাকেন। দেখে আশঙ্কা হয় সংসারের মেয়াদ বুঝি তার ফুরিয়ে এসেছে। তাকে আলাদাভাবে চোখে পড়ে তার রোগা মুখের দুটি চোখের অদ্ভুত দৃষ্টির জন্য।

 

১৫) ‘কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি’- কার চোখের কথা বলা হয়েছে ? চোখদুটির বর্ণনা দাও।  

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

যার চোখের কথা বলা হয়েছেঃ

উদ্ধৃতাংশে সব্যসাচী সন্দেহে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রের চোখের কথা বলা হয়েছে। 

চোখ দুটির বর্ণনাঃ 

অদ্ভুত বেশভূষাধারী ও রুগ্‌ণ গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তার চোখ দুটি। ‘সে চোখ ছোটো কী বড়ো, টানা কী গোল, দীপ্ত কী প্রভাহীন’ সে বিচার করতে যাওয়া বৃথা। অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের মতো চোখ দুটিতে এমন কিছু আছে যেখানে কোনো খেলা চলবে না, যেখান থেকে সাবধানে দূরে দাঁড়ানোই শ্রেয়। আসলে গিরীশ মহাপাত্রের চোখ ছদ্মবেশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ সব্যসাচী মল্লিককেই প্রকাশ করে।

 

১৬) ‘বার্বুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে’- ‘বাবুটি’ কে ? তার শখ যে বজায় আছে, তা কীভাবে বোঝা গেল ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘বাবু’র পরিচয়ঃ 

নিমাইবাবুর কথায় ‘বাবুটি’ হল ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্র।

তার শখের পরিচয়ঃ 

গিরীশ মহাপাত্রের মাথার বাহারি ছাঁট, চুলে সুগন্ধি তেল, পরনে রামধনু রঙের জাপানি সিল্কের পাঞ্জাবি ও বিলিতি মখমল পাড়ের সূক্ষ্ম কালো শাড়ি, পকেটে বাঘ আঁকা শখ বজায় থাকার লক্ষণ রুমাল, পায়ে হাঁটু পর্যন্ত লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা সবুজ মোজা ও বার্নিশ করা পাম্প শু, হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি তার শখ বজায় রাখার পরিচয় প্রদান করে। 

 

১৭) গিরীশ মহাপাত্রের চুলের পারিপাট্য কীরুপ ছিল তা সংক্ষেপে লেখো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

গিরীশ মহাপাত্রের চুলের পারিপাট্যঃ 

ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনার সঙ্গে লেখক তাঁর চুলের পারিপাট্যের সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। তাঁর মাথার সামনের দিকের চুল বড়ো থাকলেও পিছনের দিকে তা প্রায় ছিল না বললেই হয়। তেল চুলের পরিপাট্য চুপচুপে চুলের মাঝখান দিয়ে সিঁথি কাটা। চুল থেকে নেবুর তেলের উগ্র অসহনীয় গন্ধ থানাসুদ্ধ লোকের এমন মাথা ধরিয়ে দিয়েছিল যে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেও তাঁরা তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। 

 

১৮) ‘এ লোকটিকে আপনি কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন’- লোকটি কে ? তাকে কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

লোকটির পরিচয়ঃ 

উদ্ধৃত উক্তিটিতে ‘লোকটি’ হল পুলিশস্টেশনে আটক সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্র ওরফে রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিক।

তাকে ছেড়ে দেবার কারণঃ   

কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্ব যে সব্যসাচী মল্লিককে জানতেন তিনি ছিলেন বহু ভাষা ও বিষয়ে সুপণ্ডিত। লোকটিকে ছেড়ে বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে পারদর্শী এবং বিদেশি ডিগ্রিপ্রাপ্ত এক ডাক্তার। কিন্তু সেই সব্যসাচী মল্লিক হিসেবে পুলিশ যাকে আটক করেছিল তার আচার-আচরণ কোনো কিছুই সব্যসাচীর সঙ্গে মেলে না। তাই অপূর্ব অনেকটা নিশ্চিত হয়েই এমন মন্তব্য করেছেন। 

 

১৯) ‘তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ?’- কোন বস্তুর কথা বলা হয়েছে ? তা পকেটে থাকার স্বপক্ষে যে যুক্তিটি দেওয়া হয়েছিল তা কতখানি সন্তোষজনক ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

যে বস্তুর কথা বলা হয়েছেঃ 

উদ্ধৃতাংশে যে বস্তুর কথা বলা হয়েছে তা হল একটি গাঁজার কলকে। 

স্বপক্ষে দেওয়া যুক্তিঃ

পুলিশস্টেশনে তল্লাশির সময় গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে গাঁজার কলকেটি পাওয়া যায়। দারোগা নিমাইবাবু কলকেটির সম্পর্কে জানতে চাইলে মহাপাত্র জানায় সে গাঁজা খায় না, কিন্তু সপক্ষে যুক্তি পথে কুড়িয়ে পেয়ে সেটি বন্ধুদের প্রয়োজনার্থেই পকেটে রেখেছে। অভিজ্ঞ দারোগা নিমাইবাবুর কাছে এই বক্তব্য যুক্তিগ্রাহ্য লাগেনি; কারণ গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার মধ্যে গাঁজা সেবনের লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। 

 

২০) ‘বুড়োমানুষের কথাটা শুনো’- ‘বুড়োমানুষ’ কে ? তাঁর কোন কথা শুনতে বলা হচ্ছে ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘বুড়োমানুষ’-এর পরিচয়ঃ 

উদ্ধৃতাংশে ‘বুড়োমানুষ’ বলতে দারোগা নিমাইবাবু নিজেকে বুঝিয়েছেন।

যে কথা শুনতে বলা হয়েছেঃ

গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে বিপ্লবী সব্যসাচী বর্মায় আসেন। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তল্লাশিতে তাঁর পকেটে গাঁজার কলকে পাওয়া গেলেও তিনি গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। দারোগা নিমাইবাবু তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে মহাপাত্রের চেহারার মধ্যে গাঁজা খাওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ প্রত্যক্ষ করেন। তাই ভগ্ন স্বাস্থ্যের মহাপাত্রকে নিমাইবাবু গাঁজা না খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

২১) ‘দয়ার সাগর ! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার !’- কার উদ্দেশ্যে এই উক্তি ? তাকে ‘দয়ার সাগর’ ও ‘মিথ্যেবাদী’ বলার কারণ কী ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ 

পুলিশকর্মী জগদীশবাবু থানায় আটক যার উদ্দেশ্যে উক্তি সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্রের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন।

‘দয়ার সাগর’ ও ‘মিথ্যেবাদী’ বলার কারণঃ 

থানায় গিরীশ মহাপাত্রের পকেট তল্লাশি করে গাঁজার কলকে পেয়ে নিমাইবাবু তাকে গাঁজা খাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে সে জানায় সে খায় না, তবে বন্ধুদের তৈরি করে দেয়। এ কথা শুনে সেখানে উপস্থিত জগদীশবাবু তাকে ‘দয়ার সাগর’ বলে বাচ্চা করেন এবং তার মধ্যে গাঁজা খাওয়ার সব লক্ষণ প্রকট থাকায় তাকে মিথ্যেবাদী বলেন। 

 

২২) ‘সে যে বর্মায় এসেছে এখবর সত্য’- ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? তার আসার খবরে পুলিশকর্মীরা কী কী করেছিলেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘সে’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

উদ্ধৃতাংশে ‘সে’ বলতে পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশিকর্মীদের ভূমিকাঃ 

সরকারি পুলিশ বাহিনীর কাছে রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিকের বর্মায় আসার খবর পৌঁছোনো মাত্রেই তাঁরা তল্লাশির মাত্রাও বাড়িয়ে দেন। তারা বর্মা এবং রেঙ্গুনে কর্মরত ও কাজের সন্ধানে আসা বাঙালিদের আটক করে তল্লাশি চালান। এমনকি রাতের মেল ট্রেনের উপরও বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়। 

 

২৩) ‘অপূর্ব কিছু আশ্চর্য হইয়া কহিল’- অপূর্ব কেন আশ্চর্য হল ? তার আশ্চর্য হওয়ার প্রকৃত কারণটি কী ছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

অপূর্বর আশ্চর্য হবার কারণঃ 

অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর অপূর্বকে অন্যমনস্কভাবে বসে থাকতে দেখে সে বাড়ির চিঠি পেয়েছে কিনা এবং বাড়ির সবাই ভালো আছে কিনা এমন প্রশ্ন করে বসে। হঠাৎ এমন প্রশ্ন শুনে অপূর্ব আশ্চর্য হয়। 

আশ্চর্য হওয়ার প্রকৃত কারণঃ 

রাজদ্রোহী সব্যসাচীর বর্মায় আসার খবর পেয়ে পুলিশ খানাতল্লাশি বাড়িয়েও তাকে ধরতে ব্যর্থ হন। সব্যসাচীর ধরা না পড়া বা কোনো দুর্ঘটনা না ঘটার মতো সৌভাগ্যকে অপূর্বর অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। তাই দৈনন্দিন কাজের মাঝে অপূর্ব কোথাও যেন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল।

 

২৪) ‘বাস্তবিক, এমন তৎপর, এত বড়ো কার্যকুশলা মেয়ে আর যে কেহ আছে মনে হয় না হে তলওয়ারকর’- মেয়েটি কে ? তাকে ‘কার্যকুশলা’ বলার কারণ কী ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

মেয়েটির পরিচয়ঃ 

আলোচ্য অংশে ‘মেয়ে’ বলতে অপূর্বর বাড়ির উপরতলায় বসবাসকারী একজন ক্রিশ্চান মেয়েকে বোঝানো হয়েছে।

তাকে ‘কার্যকুশলা’ বলার কারণঃ 

যেদিন অপূর্বের ঘরে চোর ঢুকেছিল, সেদিন এই মেয়েটির জন্যই তার টাকাপয়সা ছাড়া বাকি সব জিনিসপত্র চুরি থেকে রক্ষা পেয়েছিল। শুধু তাই নয়, মেয়েটি অপূর্বর সব ছড়ানো জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়ে, ফর্দ করে কী আছে আর কী কী চুরি গেছে তার নিখুঁত হিসাব পর্যন্ত তৈরি করে রাখে। মেয়েটির তৎপরতায় অপূর্ব মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘কার্যকুশলা’ বিশেষণে ভূষিত করে।

 

২৫) ‘কিন্তু পুলিশের দল এমন কাণ্ড করলে, এমন তামাশা দেখালে যে ও – কথা আর মনেই হলো না’- ‘ও-কথা’ বলতে কোন কথার উল্লেখ করা হয়েছে ? পুলিশের দল কী কাণ্ড করেছিল ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘ও-কথা’র পরিচয়ঃ 

গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ‘ও-কথা’ বলতে অপূর্বর ঘরের চুরির অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশের দলের কান্ডঃ 

রাজদ্রোহী সব্যসাচীর বর্মায় আসার খবরে সরকারি পুলিশ বর্মা ও রেঙ্গুনে কর্মরত ও কর্মপ্রার্থী বাঙালিদের আটক করে তল্লাশি চালাতে শুরু পুলিশের দলের কাণ্ড করেন। এই সময় গিরীশ মহাপাত্ররূপী সব্যসাচী ধরা পড়লেও তাঁর অদ্ভুত পোশাক ও চেহারা দেখে খানিকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। একজন বিপ্লবীকে ধরতে পুলিশের কাণ্ডকারখানা দেখে অপূর্ব তার অভিযোগটি জানাতেই ভুলে গিয়েছিলেন।

 

২৬) ‘তাহার উৎকট হাসির বেগ কোনোমতে আর একবার সংবরণ করিয়া শেষে কহিল’- ‘তাহার’ হাসির উদ্রেকের কারণ কী ? সে শেষে কী বলল ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘তাহার’ হাসির উদ্রেকের কারণঃ 

উদ্ধৃতাংশে ‘তাহার’ বলতে অপূর্বর কথা বলা হয়েছে। বন্ধুর কাছে পুলিশস্টেশনে দেখা গিরীশ মহাপাত্রর অদ্ভুত আচার-আচরণ ও বেশভূষার বিবরণ দিতে গিয়ে হাসির উদ্রেকের কারণ তাঁর হাসির উদ্রেক হয়েছিল। 

তার বক্তব্যঃ 

অপূর্ব কোনো মতে তাঁর হাসির বেগকে সংবরণ করে বন্ধু রামদাসকে জানালেন, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশকে যেভাবে সে বোকা হতে দেখেছে তা আর কেউ দেখেনি। অথচ এরাই সরকারের বহু টাকা অপব্যয় করে অসম্ভবের আশায় ছুটে চলেছে। 

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

পথের দাবী গল্পের প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । দশম শ্রেণি বাংলা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top