ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা 

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। বাংলা বিষয়ের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এছারাও শিক্ষার্থীরা আমাদের Class Note বিভাগ থেকে বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেখে নিতে পারবে।

ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা : 

 

ভাঙার গান কবিতার MCQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১)  কাজী নজরুল ইসলামকে বলা হয়- বিদ্রোহী কবি

২) ‘ভাঙার গান’ কবিতাটির রচনাকাল- ১৯২২ খ্রিঃ

৩) ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে- ভাঙার গান

৪) যে নেতার বন্দিদশায় কবি ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি রচনা করেন- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ 

৫) ‘ভাঙার গান’ যে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে- জীবন থেকে নেওয়া

৬) ‘কারা’ বলতে বোঝায়- জেলখানা 

৭) ‘লৌহ-কপাট’ বলতে বোঝায়- লোহার দরজা

৮) শিকল পূজার পাষাণ বেদিতে জমাট বেঁধে আছে- রক্ত 

৯) “ওরে ও ________ ঈষাণ”- তরুণ 

১০) ‘বিষাণ’ শব্দটির অর্থ হল- শিঙা 

১১) ‘নিশান’ শব্দের অর্থ হল- পতাকা 

১২) বাজনা বাজবে- গাজনের 

১৩) গাজন অনুষ্ঠিত হয় যে মাসে- চৈত্র 

১৪) যার ফাঁসির কথা শুনে কবির হাসি পায়- ভগবান 

১৫) পাগলা ভোলাকে যা দিতে বলা হয়েছে- প্রলয় দোলা 

১৬) “মার হাঁক”- কেমন ‘হাঁক’?- হৈদরী 

১৭) হৈদরী হাঁক হলো- উচ্চস্বরে ডাক 

১৮) মৃত্যুকে ডাকবে- জীবন পানে 

১৯) “নাচে ওই ______”- কাল- বোশেখি 

২০) তালা যেভাবে ভাঙতে বলা হয়েছে- লাথি মেরে 

ভাঙার গান কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তর : 

 

১)’ভাঙার গান’ রচনাংশটি মূল কী নামে সংকলিত হয়েছিল? 

উঃ ভাঙার গান’ রচনাংশটি মূল গ্রন্থে ‘ভাঙার গান’ নামে সংকলিত হয়েছে।

২) ‘কারার ওই লৌহকপাট’ – ‘লৌহকপাট’ কথার অর্থ কী?

উঃ লৌহকপাট কথার অর্থ -লোহার তৈরি দরজা।

৩) ‘কারার ওই লৌহকপাট / ভেঙে ফেল কর রে লোপাট” – কবি কাদের এই আহ্বান জানিয়েছেন?

উঃ পরাধীন ভারতে তরুণ বিপ্লবী বীরদের প্রতি কবি এই আহ্বান জানিয়েছেন।

৪) কারার ওই লৌহকপাট কে কবি কেন ভেঙে ফেলতে বলেছেন? 

উঃ স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বিপ্লবীদের কারাগার থেকে মুক্তকরে তাদের আরদ্ধ কাজকে সম্পূর্ণ করার জন্য কবি লৌহকপাট ভেঙে ফেলতে বলেছেন।

৫) ‘শিকল পূজার পাষাণ বেদী’তে কাদের রক্ত জমাট হয়ে আছে?  

উঃ ব্রিটিশ সরকার দ্বারা অত্যাচারিত ভারতের বীর সন্তান স্বাধীনতাসংগ্রামীদের রক্ত জমাট হয়ে আছে।

৬) ‘ওরে ও তরুণ ঈশান’ – ‘তরুণ ঈশান’কে কৰি কী করতে বলেছেন? 

উঃ তরুণ ঈশানকে কবি প্রলয় বিষাণ অর্থাৎ ধ্বংস ঘোষণাকারী শিঙা বাজাতে বলেছেন। 

৭) ‘ওরে ও তরুণ ঈশান’ – বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে কাদের বুঝিয়েছেন?

উঃ ‘তরুণ ঈশান’ বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে ভারতমাতার বীর সন্তান স্বাধীনতাসংগ্রামীদের বুঝিয়েছেন। 

৮) ‘ঈশান’ শব্দের দুটি অর্থ লেখো। 

উঃ ‘ঈশান’ শব্দের অর্থ শিব। অন্যদিকে, ঈশান হল উত্তর-পূর্ব দিক-যা দশটি দিকের একটি। 

৯) ‘কাটাবি কাল বসে কি?’ – কখন আর বসে থাকা যায় না?

উঃ কালবৈশাখী নৃত্যরত অর্থাৎ ধ্বংসের সময় সমাগত আর বসে থাকা যায় না বলে কবি মন্তব্য করেছেন।

১০) ‘শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী’-তে কাদের রক্ত জমাট হয়ে আছে?

উঃ “শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী”-তে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা অত্যাচারিত ভারতের বীর সন্তান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত জমাট হয়ে আছে।

১১) ‘ভগবান পরবে ফাঁসি?’ – ভগবান ফাঁসি পরবে কেন?

উঃ সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অত্যাচারের প্রতিবাদ ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনের কারণেই ‘ভগবান’ অর্থাৎ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ফাঁসি হয়।

১২) ‘শিখায় এ হীন তথ্য কে রে?’ – ‘হীন তথ্য’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

উঃ ‘হীন তথ্য’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন যে, ভগবানের মতো অমর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ফাঁসি দিয়ে তাঁদের স্বপ্নকে ধ্বংস করা যায়।

১৩) ‘হা হা হা পায় যে হাসি’ – কবির হাসি পাওয়ার কারণ কি?

উঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের হাসি পাওয়ার কারণ হল অত্যাচারী ইংরেজ শাসক ভগবানতুল্য মৃত্যুঞ্জয়ী বিপ্লবীদের ফাঁসি দিতে চায়।

১৪) ‘শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী’ বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন?

উঃ “শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী”- বলতে কবি কাজী নজরুল ইংরেজের অত্যাচারের প্রতীক কারাগারকে বুঝিয়েছেন।

১৫) ‘মার হাঁক হৈদরী হাঁক’- ‘হৈদরী হাঁক’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

উঃ হজরত মহম্মদের জামাতা হায়দার যেমন শত্রুর উদ্দেশ্যে হাড় হিম-করা হাঁক দিতেন, এরকমই হাঁককে বোঝানো হয়েছে।

 

ভাঙার গান কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : 

 

১) ‘কারার ওই লৌহ-কপাট/ভেঙে ফেল, কররে লোপাট’ – এই আহ্বানের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করো। ৩ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

আহ্বানের প্রেক্ষাপটঃ 

পরাধীন ভারতকে বিদেশি শক্তির বাঁধন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কবি তরুণ বিপ্লবী শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছেন। অত্যাচারী ইংরেজ শাসক দেশপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যে কারাগারে আটকে রেখেছে বা রাখতে চায় সেই সমস্ত কারাগারের লৌহকপাট ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন কবি।

 

২) ‘রক্ত-জমাট শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী’ – পঙ্ক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও। ৩ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

অন্তর্নিহিত অর্থঃ

পরাধীন ভারতবর্ষে অত্যাচারী ইংরেজ শাসক স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতীয়দের কারাগারে বন্দি করে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এইভাবে তারা দমন করতে চেয়েছিল সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামকে। শোষক ইংরেজদের অত্যাচারে বিপ্লবীদের অনেক রক্ত ঝরেছে। কারাগারে লেগেছে সেই রক্ত। আর বিপ্লবীদের রক্ত লেগে থাকা সেই কারাগারই কবির কাছে হয়েছে দেশমাতার পূজার পাষাণ বেদি, যাতে শহিদের রক্ত জমাট হয়ে আছে।

 

৩) ‘ওরে ও তরুণ ঈশান! / বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ’ –  ‘তরুণ ঈশান’ কে? সে প্রলয় বিষাণ বাজাবে কেন? ১+২ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

তরুণ ঈশানের পরিচয়ঃ

ঈশান হলেন ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা শিব। কিন্তু এখানে তরুণ ঈশান বলতে দেশের নবীন বিপ্লবীদের বোঝানো হয়েছে।
প্রলয় বিষাণ বাজানোর কারণ – জরাজীর্ণকে, অশুভকে বিনাশ করার জন্য তিনি যখন প্রলয় নৃত্য করেছিলেন, তার আগে বাজিয়েছিলেন বিষাণ অর্থাৎ শিঙা। কবি নবীন বিপ্লবীদের ঈশানের সঙ্গে তুলনা করে ইংরেজ শাসন ধ্বংসের বিষাণ বাজাতে বলেছেন। এই বিষাণ – এর অবসানের লক্ষ্যে যুদ্ধঘোষণা। যা স্বাধীনতার আবহনকে নিশ্চিত করবে।

৪) ‘কে দেয় সাজা / মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?’ – মুক্ত স্বাধীন সত্যকে কেউ সাজা দিতে পারে না কেন? ৩ 

উৎসঃ 

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

সাজা দিতে না পারার কারণঃ

যা মানবতার পক্ষে, তা-ই সত্য। সত্য সর্বদা মুক্ত এবং স্বাধীন। মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ তাকে কলুষিত করতে চাইলেও শেষপর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। সত্যকে জগতের কোনো কারাগারে বন্দি করা যায় না। সেই সত্যমন্ত্রে দীক্ষিত দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা তরুণদের ইংরেজ শাসক কারাগারের বন্দি রাখতে পারবে না। বিপ্লবী বীরদের ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতেও পারবে না। ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া যায় বা সাজা দেওয়া যায় কিন্তু তার সত্য-আদর্শ সমস্ত শাস্তির ঊর্ধ্বে।

 

৫) ‘গাজনের বাজনা বাজা!’ – ‘গাজনের বাজনা বাজা’ কথাটির তাৎপর্য লেখো। ৩ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে। 

মন্তব্যের তাৎপর্যঃ

বাংলা বছরের শেষ মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ চৈত্রসংক্রান্তিতে দেবাদিদেব শিবের পূজাকে কেন্দ্র করে গাজন উৎসব হয়। এটি একটি লৌকিক উৎসব। একে চড়কপূজাও বলা হয়। এই পার্বন উপলক্ষ্যে গ্রামবাংলায় মেলাও বসে। গাজনের উৎসবে ঢাক, ঢোল, কাঁসি, বাঁশি ইত্যাদি দেশি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রলয়ের দেবতা শিবকে বন্দনা করা হয়।

৬) ‘ভগবান পরবে ফাঁসি?/সর্বনাশী/শিখায় এ হীন তথ্য কে রে?’ – এই অংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৩ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে। 

তাৎপর্যঃ

ভগবান মৃতুঞ্জয়ী এবং সত্যের রক্ষক। তাঁকে ফাঁসির দড়ি পরানো যায় না, নিঃশেষ করা যায় না। তরুণ বিপ্লবীরা দেশের ভগবান, তাঁরা মৃত্যুহীন। ফাঁসির মঞ্চে তাঁরা জীবনের জয়গান গাইতে পারেন। ফাঁসিতে তাঁদের প্রাণ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে কিন্তু তাঁদের সত্যের আদর্শ, মানবতা, স্বাধীনতার স্বপ্নের মৃত্যু নেই। কারারুদ্ধ করে, ফাঁসি দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে স্তব্ধ করা যায়—এমন ধারণা ভুল ও অসত্য।

৭) ‘ওরে ও পাগলা ভোলা’ – পাগলা ভোলা কে? কবি তাঁকে কী করতে বলেছেন? ১+২ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

পাগলা ভোলার পরিচয়ঃ

পাগলা ভোলা কথাটির আক্ষরিক অর্থ প্রলয়ংকর মহাদেব, কিন্তু এখানে স্বাধীনতার স্বপ্নে চল তরুণদের কথা বলা হয়েছে।

কবির পরামর্শঃ

উদ্যম, স্পর্ধা এবং সাহসের কারণে দেশের তরুণদের কবি পাগলা ভোলা বলেছেন। শিব তাঁর প্রলয়রূপে যে রকম অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করে, কবি প্রত্যাশা করেছেন দেশপ্রেমিক তরুণরা ঠিক সেভাবেই শক্তি ও সাহসের উন্মত্ত প্রকাশে কারাগারের গারগুলোকে হ্যাঁচকা টান দেবে, লৌহকপাট ভেঙে ফেলবে। 

৮) ‘যত সব বন্দিশালায় / আগুন জ্বালা’ – কবি কার উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? বন্দিশালায় আগুন জ্বালাতে বলেছেন কেন? ১+২ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ

কবি স্বদেশ-চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ স্বাধীনতাকামী তরুণ সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন।

বন্দিশালায় আগুন জ্বালতে বলার কারণঃ

বন্দিশালা হল সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের শোষণ-অত্যাচারের প্রতীক। বিপ্লবীদের কারাগারে বন্দি করে তারা দমন করতে চেয়েছিল ভারতবাসীর স্বাধীনতার স্বপ্নকে। তাই সেই বন্দিশালায় আগুন জ্বালিয়ে কবি সাম্রাজ্যবাদীদের দুর্গে আঘাত করতে চেয়েছেন। দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছেন কবি। 

৯) ‘মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে’ – কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৩ 

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

মন্তব্যের তাৎপর্যঃ

ভাঙার গান কবিতায় কবি দেশের তরুণ প্রাণদের সাম্রাজ্যবাদীদের দুর্গে আঘাত হানার কথা বলেছেন। ইংরেজদের জেলখানার গারদগুলোকে উপড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দেশের জন্য এই চেষ্টা কখনোই রক্তপাতহীন হতে পারে না। আত্মদানের মধ্য দিয়েই হয়তো সাফল্য আসবে। কিন্তু মৃত্যু সেখানে আসলে জীবনকেই প্রতিষ্ঠা করবে। শহীদের আত্মদান স্বাধীনতার স্বপ্নকে সার্থক করে তুলবে।  

ভাঙার গান কবিতা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তর : 

১) “ওরে ও পাগলা ভোলা”- কবি কাদের কেন ‘পাগলা ভোলা’ বলেছেন? তাদের উদ্দেশ্যে কবির বার্তা কী? ২+৩=৫

উৎসঃ

বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।

যাদের পাগলা ভোলা বলা হয়েছেঃ

বিদ্রোহী কবি ইংরেজদের কারাগারে বন্দি বিপ্লবীদের প্রশ্নোক্ত অংশে ‘পাগলা ভোলা’ বলে সম্বোধিত করেছেন।

পাগলা ভোলা বলার কারণঃ

মহাদেব শিব ‘পাগলা ভোলা’ নামে পরিচিত। ধ্বংসের মাধ্যমে নতুনের সৃষ্টিকারী প্রলয়ংকর শিবের শক্তিতে কবি ইংরেজদের বন্দিশালায় আবদ্ধ বিপ্লবীদের উদবুদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন। দেবাদিদেব মহাদেবের মতোই তরুণ বিপ্লবীরা পরাধীনতার শৃঙ্খলের আগল ভেঙে দিয়ে স্বাধীনতার নব সূর্যদ্বয় ঘটাবে বলেই কবি প্রশ্নোক্ত উপমাটির সার্থক ব্যবহার করেছেন।

কবির বার্তাঃ

কারাগারের লৌহকপাট ভেঙে ফেলে বন্দি বিপ্লবীদের দেশমাতার মুক্তিযুদ্ধে এগিয়ে আসতে উদবুদ্ধ করেছেন কবি-

“কারার ওই লৌহ-কপাট

ভেঙে ফেল, কররে লোপাট”

বন্দি বিপ্লবীদের ‘পাগলা ভোলা’ সম্বোধন করে কবি তাদের প্রলয় দোলার মাধ্যমে কারাগারের গারদগুলো হ্যাঁচকা টানে ভেঙে ফেলতে বলেছেন। আর তরুণ বিপ্লবীদের ‘হৈদরী হাঁক’ দিয়ে যুদ্ধের আবহে মৃত্যুকে জীবনপানে ডেকে আনার আহ্বান জানিয়েছেন কবি।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

 

নিম্নের PDF প্রশ্নের উত্তরগুলি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232

 

১) ‘ভাঙার গান’ কবিতায় কবির অকৃত্রিম স্বদেশপ্রীতির প্রকাশ কীভাবে ঘটেছে, তা আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

২) ‘মার হাঁক হৈদরী হাঁক/কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক/ডাক ওরে ডাক/মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে!’- ‘হৈদরী হাঁক’ এবং ‘দুন্দুভি ঢাক’-এর প্রসঙ্গ এসেছে কেন? মৃত্যুকে জীবন পানে ডাকার তাৎপর্য কী? ৩+২

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৩) “নাচে ওই কাল-বোশেখি/কাটাবি কাল বসে কি?”- ‘কাল-বোশেখি’শব্দটি এখানে কোন তাৎপর্যে ব্যবহৃত হয়েছে? ‘কাল-বোশেখি’ যখন নৃত্যরত তখন কবির মতে কী করণীয় হওয়া উচিৎ? ২+৩ 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

৪) “আগুন জ্বালা, ফেল উপাড়ি”- কবির এই দ্বংসাত্মক আহ্বান কাদের উদ্দেশ্যে ও কেন? 

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

নবম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

class nine bengali note

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top