কর্ভাস প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে কর্ভাস প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা তাদের নবম শ্রেণির সহায়ক পাঠ প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রী থেকে এই প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
কর্ভাস প্রশ্ন উত্তর । নবম শ্রেণির বাংলা :
কর্ভাস প্রশ্ন উত্তর MCQ :
১) ময়নাটা হঠাৎ করে চেঁচিয়ে উঠেছিল যা বলে – ভূমিকম্প ভূমিকম্প
২) নিউটন পছন্দ করে না – পাখি
৩) শঙ্কুর বেড়ালের নাম – নিউটন
৪) নিজের পালক ছিঁড়ে খায় এবং শাবকদেরও খাওয়ায় – গ্রিব
৫) যে পাখিদের দিক্ নির্ণয়ের ক্ষমতা বেশি – যাযাবর
৬) ঘ্রাণশক্তির ক্ষমতা অধিক – শকুনের
৭) পাখি পড়ানোর যন্ত্রটির নাম – অরনিথন
৮) কাকটা চেনার উপায় ছিল – ডান চোখের নীচে সাদা ফুটকি
৯) পক্ষীবিজ্ঞানীদের কনফারেন্স ছিল – সান্তিয়াগোতে
১০) কর্ভাস হল কাক জাতীয় পাখিদের – ল্যাটিন নাম
১১) কর্ভাস নিউটনের জন্য এনেছিল – মাছের টুকরো
১২) প্রফেসর শঙ্কুর পক্ষী বিজ্ঞানী বন্ধু হলেন – রিউফাস গ্রেনফেল
১৩) একটা কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ শোনা যায় – ৩টে নাগাদ
১৪) লেখাটা পড়তে সময় লেগেছিল – আধঘন্টা
১৫) সম্মেলনের চেয়ারম্যান ছিলেন – সিনিয়র কোভারুবিয়াস
১৬) আর্গাস ছিলেন একজন – চিলিয়ান জাদুকর
১৭) শঙ্কু আর গ্রেনফেল আর্গাসের ম্যাজিক দেখতে গিয়েছিলেন – প্লাজা থিয়েটারে
১৮) আর্গাসের উচ্চতা – সাড়ে ৬ ফুটের বেশি
১৯) আর্গাসের চোখগুলি তুলে ময়ুরের পুচ্ছে বসিয়েছিলেন গ্রীকদেবী – হেরা
২০) আর্গাসের চশমার পাওয়ার ছিল – মাইনাস ২০
২১) ‘আমিও পাখিদের শিক্ষা দিয়ে থাকি’- এখানে ‘আমি’ হলেন – আর্গাস
২২) নিয়নের ফিকে আলো ঘরে প্রবেশ করছে – জানলা দিয়ে
২৩) ‘ম্যানিফিকো’ কথাটির অর্থ – অসামান্য
২৪) ‘আই ওয়ান্ট দ্যাট ক্রো’ কথাটি বলেছিলেন – আর্গাস
২৫) আর্গাসের শহরের পূর্বপ্রান্তে ছিল – ৫০ কামরার প্রাসাদ
২৬) আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি আছে – ৪টা
২৭) আর্গাস কর্ভাসের মূল্যস্বরূপ দিতে চেয়েছিলেন – প্রায় ১০ হাজার টাকা
২৮) পক্ষী বিজ্ঞানীদের সভায় ক্লান্তিকর ভাষণ দিয়েছিলেন – তোমাসাকা মেরিমোতা
২৯) শঙ্কুর হোটেলের ঘরের নম্বর ছিল – ৭১
৩০) আর্গাস ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেছেন – ১৯ বছর বয়স থেকে
৩১) ‘নরকবাস আছে তোর কপালে’ কথাটি যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে – কর্ভাসকে
৩২) ‘আমাদের কাছে বন্দুক রয়েছে’ কথাটি বলেছিল – কারেরাস
৩৩) কর্ভাস যে গাছের উঁচু ডালে বসেছিল – অ্যাকেসিয়া
৩৪) আর্গাস পালিয়েছিল – রূপোলি ক্যাডিলাক গাড়িতে
৩৫) কর্ভাস গাছের মাথা থেকে নেমে এসে বসেছিল – মারসেডিসের ছাদের উপরে
কর্ভাস প্রশ্ন উত্তর SAQ :
১) ‘কর্ভাস’ শব্দের অর্থ কী?
উঃ ল্যাটিন শব্দ কর্ভাসের অর্থ হল কাক।
২) পক্ষীবিষয়ক বিজ্ঞান শাখাটির নাম কী?
উঃ পক্ষীবিষয়ক বিজ্ঞান শাখাটির নাম হল ‘অরনিথলজি’।
৩) শঙ্কুর বেড়ালের নাম কী?
উঃ প্রফেসর শঙ্কুর বেড়ালের নাম নিউটন।
৪) মাটির ভেতর কোন পাখি বাসা বাঁধে?
উঃ অস্ট্রেলিয়ার ম্যালি-ফাউল পাখি মাটির ভেতর বাসা বাঁধে।
৫) মাটির ভেতর ম্যালি-ফাউলের বাসার তাপমাত্রা কত থাকে?
উঃ মাটির ভেতর ম্যালি-ফাউলের বাসার তাপমাত্রা থাকে ৭৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
৬) গ্রিব পাখির বিশেষত্ব কী?
উঃ গ্রিব পাখির বিশেষত্ব হল তারা নিজের পালক ছিঁড়ে নিজে খায় আর তার শাবকদের খাওয়ায়।
৭) ‘অরনিথন’ যন্ত্রের কয়টি অংশ?
উঃ ‘অরনিথন’ যন্ত্রের দুটি অংশ।
৮) শঙ্কুকে বিশেষভাবে কোন পাখি আকর্ষণ করত?
উঃ শঙ্কুকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করত একটি সাধারণ কাক।
৯) আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করে ?
উঃ আর্গাস ১৯ বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করে।
১০) কর্ভাস কোন গাছের উপর বসেছিল ?
উঃ কর্ভাস অ্যাকাসিয়া গাছের উপর বসেছিল।
১১) এসকুডো কি ?
উঃ চিলির মুদ্রার নাম এসকুডো।
১২) কর্ভাস কিভাবে আর্গাকে জব্দ করেছিল ?
উঃ কর্ভাস আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা ঠোঁটে করে নিয়ে গাছের উঁচু ডালে উঠে পড়ে তাকে জব্দ করেছিল।
১৩) কর্ভাস কে ?
উঃ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম হল কর্ভাস।
১৪) শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্রের নাম কি ?
উঃ প্রফেসর শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্রটির নাম হলো অরনিথন।
১৫) আর্গাস কে ছিলেন ?
উঃ আর্গাস ছিলেন একজন বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর।
১৬) আর্গাসের আসল নাম কি ছিল ?
উঃ আর্গাসের আসল নাম ছিল দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েনতো।
১৭) কর্ভাস কি ?
উঃ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম হল কর্ভাস।
১৮) শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্রের নাম কি ?
উঃ অরনিথন যন্ত্র।
১৯) অরনিথন যন্ত্র- টীকা লেখো।
উঃ প্রফেসর শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্র বিশেষ হল অরনিথন যন্ত্র। এই যন্ত্রের দুটি অংশ ছিল- একটি অংশ খাঁচার মতো, যেখানে পাখি থাকবে আর একটি অংশ খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ থাকবে। সেই দ্বিতীয় অংশ থেকেই পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালিত হবে। কাকটিকে অরনিথন যন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে যন্ত্রের বোতাম টিপলেই কাকটির চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসত এবং নড়াচড়া বন্ধ করে স্থির হয়ে থাকতো।
২০) অরনিথন যন্ত্রের কাজ কবে শেষ হয়েছিল ?
উঃ 27 শে সেপ্টেম্বর।
২১) আর্গাস কে ছিলেন ?
উঃ একজন বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর ।
২২) আর্গাসের চশমার পাওয়ার কত ছিল ?
উঃ মাইনাস কুড়ি।
২৩) ম্যানিফিকো শব্দের অর্থ কি ?
উঃ চমকপ্রদ বা অসামান্য।
২৪) আর্গাসের হাতে কোন রঙের নেলপালিশ ছিল ?
উঃ রুপালি রঙের।
২৫) আর্গাসের আসল নাম কি ছিল ?
উঃ দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েনতো।
২৬) আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করে ?
উঃ ১৯ বছর বয়স থেকে আর্গাস ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করে।
২৭) ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কী ধারণা ছিল ?
উঃ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে এই ধারণা ছিল যে, পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।
২৮) ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু কাকে একশোর ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন ?
উঃ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বাড়ির পোষা ময়নাকে একশোটির ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন।
২৯) প্রফেসারের পোষা বিড়ালের নাম কী ?
উঃ প্রফেসারের পোষা বিড়ালের নাম নিউটন।
৩০) নিউটন কী পছন্দ করে না ?
উঃ নিউটন একেবারেই পাখি পছন্দ করে না।
৩১) অস্ট্রেলিয়ার কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে ?
উঃ অস্ট্রেলিয়ায় ম্যালিফাউল নামে একরকম পাখি আছে যারা মাটিতে বালি, মাটি আর উদ্ভিজ্জ দিয়ে বাসা বাঁধে।
৩২) ম্যালিফাউল পাখি ডিমে তা না দেওয়া সত্ত্বেও কী উপায়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয় ?
উঃ ম্যালিফাউল আশ্চর্য উপায়ে তার বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখায় ডিমে তা না দিয়েও ডিম ফোটাতে পারে।
৩৩) কোন পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায় ?
উঃ গ্রিব নামের এক ধরনের পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায়।
৩৪) গ্রিব পাখি কী উপায়ে জলে ভেসে থাকে ?
উঃ গ্রিব পাখি নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে।
৩৫) সব পাখির মধ্যে কোন্ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ?
উঃ সব পাখির মধ্যে একটি কাক বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
৩৬) প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু পাখি পড়ানোর যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন।
৩৭) প্রোফেসর শঙ্কুর যন্ত্রটির নাম কী ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর যন্ত্রটির নাম হল অরনিথন।
৩৮) অরনিথন যন্ত্রটির কাজ কী ?
উঃ বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালনা করাই হল অরনিথন যন্ত্রের কাজ।
৩৯) প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে আলাদাভাবে কী করে চিনতেন ?
উঃ কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি থাকায় এবং তার হাবভাব অন্য রকম হওয়ায় শঙ্কু তাকে চিনতে পারতেন।
৪০) কর্ভাস্ কোন্ জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম ?
উঃ কর্ভাস্ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম।
৪১) কবে, কোথায় সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল ?
উঃ নভেম্বর মাসে চিলির রাজধানী সানতিয়াগো শহরে সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল।
৪২) প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম কী ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম হল রিউফাস গ্রেনফেল।
৪৩) প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু কোথায় থাকেন ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু মিনেসোটাতে থাকেন।
৪৪) আমার ছাত্রটিকে আমি ওই নামেই ডাকছি। — ছাত্রটি কে ?
উঃ ছাত্রটি হল শঙ্কুর পোষা একটি বুদ্ধিমান কাক।
৪৫) প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কী নামে ডাকতেন ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কর্ভাস নামে ডাকতেন।
৪৬) কর্ভাস কাগজে কীভাবে নিজের নাম ইংরেজিতে লেখে ?
উঃ কাগজটাকে টেবিলের উপরে ফেলে দিতে হয়। কর্ভাস তার উপরে দাঁড়িয়ে নিজের নাম লেখে।
৪৭) কভার্স শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে কী কী শিখেছিল ?
উঃ কভার্স অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা – সহ অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি শিখেছিল।
৪৮) কর্ভাসের মধ্যে যে মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে উঠেছিল, তার উদাহরণ পাওয়া যায় কোন্ ঘটনায় ?
উঃ সানতিয়াগো যাবার জন্য শঙ্কুর সুটকেস গোছানোর শেষে ঠোঁটে করে চাবি এগিয়ে দেওয়াই কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ।
৪৯) কর্ভাস কীভাবে প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল ?
উঃ প্রথমে খাঁচায় ছটফট করে এবং পরে ঠোঁট দিয়ে দেরাজে টোকা মেরে কর্ভাস শঙ্কুকে পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।
৫০) প্লেনে কর্ভাসের আচরণ কেমন ছিল ?
উঃ কর্ভাস প্লেনে সাধারণ কাকের মতোই আচরণ করেছিল।
৫১) প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর কোথায় ছিলেন ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর চিলির সানতিয়াগো শহরে ছিলেন। সেখানে হোটেল একসেলসিয়রে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল।
৫২) সানতিয়াগোর কোন্ কাগজে কর্ভাসের খবর ও কী ছবি বেরিয়েছিল ?
উঃ কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগোর সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের খবর ও পেনসিল – মুখে একটা ছবি বেরিয়েছিল।
৫৩) মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু কাদের সাথে সানতিয়াগো শহরটা দেখতে বেরিয়েছিলেন ?
উঃ মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বন্ধু গ্রেনফেল ও সম্মেলনের চেয়ারম্যান সিনিয়র কোভারুবিয়াসের সঙ্গে শহর দেখতে বেরিয়েছিলেন।
৫৪) কোন্ পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে ?
উঃ পূর্ব দিকে আন্ডিজ (আন্দিজ) পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
৫৫) প্রোফেসর শঙ্কু চিলিতে গিয়ে কার ম্যাজিক দেখেছিলেন ?
উঃ চিলিতে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক দেখেছিলেন।
৫৬) চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব কী ছিল ?
উঃ চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব ছিল তিনি ম্যাজিকে নানা ধরনের পাখি ব্যবহার করতেন।
৫৭) আর্গাস নামটি কোথায় রয়েছে ?
উঃ আর্গাস নামটি রয়েছে গ্রিক উপকথায়। গ্রিক দেবী হেরা আর্গাসের চোখগুলি তুলে ময়ূরের পুচ্ছে বসিয়ে দিয়েছিলেন।
৫৮) ‘নামটা শুনে বাধ্য হয়েই ভদ্রলোককে উপরে আসতে বলতে হলো’- কোন নাম ?
উঃ নামটি হল আর্গাস। ইনি বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর। ইনি রাতে হোটেলে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
৫৯) ‘সেই কীর্তিমান পুরুষটির সঙ্গে পাখির একটা সম্পর্ক রয়েছে’ — কার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ এখানে গ্রিক উপকথায় উল্লিখিত সর্বাঙ্গে সহস্র চোখবিশিষ্ট আর্গাস নামের কীর্তিমান পুরুষের কথা বলা হয়েছে।
৬০) কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস কোন্ স্প্যানিশ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন ?
উঃ কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস স্প্যানিশ ম্যানিফিকো শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন।
৬১) স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ কী ?
উঃ স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ চমকপ্রদ, অসামান্য।
৬২) ‘বেশ তো — তাই হোক’ – কী হয়েছিল ?
উঃ আর্গাসের অনুরোধে শঙ্কু খাঁচার দরজা খোলায় কর্ভাস বেরিয়ে ঠোঁটের ঠোকরে টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়ে খাঁচায় ঢুকে গিয়েছিল।
৬৩) ‘সেই থেকেই ময়ূরের লেজে চাকা চাকা দাগ’ – কখন থেকে ?
উঃ গ্রিক উপকথা অনুসারে দেবী হেরা আর্গাসের সহস্র চোখ ময়ূরের লেজে বসানোর সময় থেকেই তাতে চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।
৬৪) ‘ওই পাখি আমার চাই আমার চাই আমার চাই’ – কে, কার কাছে কোন্ পাখি চেয়েছিলেন ?
উঃ চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে তাঁর পোষা বুদ্ধিমান কাক কর্ভাসকে চেয়েছিলেন।
৬৫) আর্গাস তাঁর ক্রোড়পতি হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কী কী উদাহরণ দিয়েছিলেন ?
উঃ আর্গাস বলেছিলেন যে তাঁর পঞ্চাশ কামরাবিশিষ্ট প্রাসাদ রয়েছে। বাড়িতে ছাব্বিশ জন চাকর আর চারটে ক্যাডিলাক গাড়ি রয়েছে।
৬৬) কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন ?
উঃ কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে দশ হাজার এস্কুডো অর্থাৎ পনেরো হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
৬৭) কোন্ জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানীর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল ?
উঃ জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানী তোমাসাকা মোরিমোতোর ক্লান্তিকর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল।
৬৮) মুহূর্তের মধ্যে একটা চরম বিপদের আশঙ্কা আমার রক্ত জল করে দিল। — কোন্ বিপদের আশঙ্কা ?
উঃ হোটেলের ঘরের দরজা খোলা দেখে শঙ্কুর মনে এই আশঙ্কা হয় যে নিশ্চয়ই কর্ভাস চুরি হয়ে গেছে।
৬৯) আর্গাসের আসল নাম কী ?
উঃ চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের আসল নাম হল দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েন্তো।
৭০) কারেরাস কে ছিলেন ?
উঃ প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আর্গাসের সন্ধানে যাওয়া দুই পুলিশকর্মীর অন্যতম ছিলেন তরুণ কারেরাস।
৭১) আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন ?
উঃ আর্গাস উনিশ বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন।
৭২) আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি কোন্ পথে গিয়েছিল বলে জানা যায় ?
উঃ আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি হাইওয়ে থেকে পশ্চিমে ভালপারাইজোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিল বলে জানা যায়।
৭৩) ‘কিন্তু সামনে ওটা কী’ — সামনে কী ছিল ?
উঃ হাইওয়েতে শঙ্কুদের গাড়ি থেকে সিকি মাইল দূরে আর্গাসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি গাছে ধাক্কা খেয়ে একপাশে বেঁকে দাঁড়িয়েছিল।
৭৪) সানতিয়াগোতে আর্গাস ছাড়া আর কার সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল ?
উঃ সানতিয়াগোতে আর্গাসের ছাড়া ব্যাংকার সিনিয়র গাল্দামেসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল।
৭৫) কর্ভাসকে শেষপর্যন্ত কোথায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ?
উঃ ভালপারাইজো যাওয়ার পথে যেখানে আর্গাসের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল সেখানেই একটা ন্যাড়া অ্যাকেসিয়া গাছের উপরে কর্ভাসকে পাওয়া গিয়েছিল।
৭৬) “যেন জিনিসটার মূল্য সে ভালোভাবেই জানে”– কে কোন জিনিসের মূল্য জানে ?
উঃ কর্ভাস আর্গাসের -20 পাওয়ারের সোনার চশমার কথা ভালোভাবেই জানে।
৭৭) কর্ভাস কোন গাছের উপর বসেছিল ?
উঃ এ্যাকেসিয়া।
৭৮) আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিল ?
উঃ ১০০০০ এসকুডো অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
৭৯) এসকুডো কি ?
উঃ চিলির মুদ্রার নাম।
৮০) কর্ভাস কিভাবে আর্গাকে জব্দ করেছিল ?
উঃ কর্ভাস আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা ঠোঁটে করে নিয়ে গাছের উঁচু ডালে উঠে পড়েছিল। ফলে প্রায় অন্ধ আর্গাস পুলিশসহ শঙ্কুর হাতে ধরা পড়েছিল।
৮১) আর্গাসের চেহারার বর্ণনা দাও।
উঃ জাদুকর আর্গাসের নাক ছিল পাখির মতো, মাঝখানে সিঁথি করা চুল পিছনে আঁচড়ানো, চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা দিয়ে মনিগুলোকে দেখাতো বিন্দুর মতো এবং উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে ছয় ফুট।
কর্ভাস গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১) “কর্ভাস যে এখন সাধারণ সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়”— কি করে বোঝা যায় কর্ভাস সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায় ? ৩
উঃ সেদিন ছিল ২২শে অক্টোবর। দুপুরে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। বেলা তিনটে নাগাদ একটা কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ শুনে জানালার কাছে গিয়ে প্রফেসর শঙ্কু দেখলেন যে, তার বাগানের শিমুল গাছের মাথা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থামার পর, সেই তল্লাটে যত কাক ছিল সব ওই মরা শিমুল গাছটার জড়ো হয়ে কোলাহল করছিল। তখন তিনি চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালেন। সে ফিরে এসে জানালো একটা কাক মরে পড়ে আছে গাছটার নিচে। তাই সমস্ত কাক সেখানে হল্লা লাগিয়েছে। কিন্তু কর্ভাস ঘর থেকে বের হবার কোনো আগ্রহ দেখালো না। সে একমনে পেন্সিল মুখে দিয়ে প্রাইম নাম্বার লিখে যাচ্ছিল। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে,কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়।
২) পাখি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর কৌতুহলের পরিচয় দাও। ৩
উঃ প্রত্যেক প্রাণীরই কিছু নির্দিষ্ট সহজাত ক্ষমতা থাকে। প্রফেসর শঙ্কুর ধারণায়, অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরো বেশি বিস্ময়কর। একটা বাবুই পাখির বাসা হাতে নিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। একজন মানুষকে যদি ঐরকম একটা বাসা তৈরি করতে বলা হয় সেই কাজটা আদৌ করতে পারা যাবে না আর করা গেলেও অনেক পরিশ্রম লেগে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যানিফাউল পাখি মাটিতে বাস করে। তারা ডিম পাড়ে বাসার ভেতরে কিন্তু ডিমে তা দেয় না। তারা এক আশ্চর্য অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভেতরে তাপমাত্রা 78 ডিগ্রী ফারেনহাইটের 1 ডিগ্রীও এদিক ওদিক হতে দেয় না। তারা নিজেদের পালক নিজেরাই ছিঁড়ে খায় এবং শাবকদের খাওয়ায়। এরা জলে ভাসমান অবস্থায় কোন শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে নিজের দেহে ও পালক থেকে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরে স্পেসিফিক গ্রাভিটি বাড়িয়ে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। এছাড়াও যাযাবর পাখির দিক নির্ণয় ক্ষমতা, ঈগল,বাজের শিকার ক্ষমতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি প্রভৃতি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর এরকম ধারনা ছিল।
৩) “ওই পাখি আমার চাই প্রফেসর”– বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? ১+২
উঃ সত্যজিৎ রায় রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি” গল্পের অন্তর্গত কর্ভাস” অংশের আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।
আর্গাস পাখি নিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। তিনি খবরের কাগজে কর্ভাসের সংবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই তিনি হোটেলে প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ভদ্রতাবশত শঙ্কু তাকে ঘরে ডেকে পাঠান। কর্ভাস বিরক্ত হয়ে খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে আলো নিভিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোট দিয়ে খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেয়। আর্গাস সামান্য পাখির এই কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায়। তাই তিনি যে কোন প্রকারে কর্ভাসকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।
কর্ভাস গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর :
১) কর্ভাস কে ? তার চরিত্রের কী পরিচয় এই গল্পে পাওয়া যায় ? ১+৪
উৎসঃ
আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যে গোয়েন্দাপ্রধান গবেষণাধর্মী রচনাধারার সার্থক স্রষ্টা “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-এর অন্তর্গত “কর্ভাস” গল্পে আমরা কর্ভাস নামক কাকের পরিচয় পাই।
কর্ভাসের পরিচয়ঃ
সত্যজিৎ রায়ের ‘কর্ভাস’ কাহিনিতে কর্ভাস হল একটি কাক যাকে প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর পাখি সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
কর্ভাসের চরিত্রের পরিচয়ঃ
প্রোফেসর শঙ্কু অন্যান্য অনেক পাখির মধ্য থেকে এই কাকটিকেই বেছে নিয়েছিলেন, কারণ তার চেহারা ও আচরণের মধ্যে কিছু বিশেষত্ব ছিল। ‘কর্ভাস’-এর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নীচে দেওয়া হল —
বন্ধুপ্রীতিঃ
একদিন কর্ভাস প্রফেসারের বিড়াল নিউটনের জন্য বাইরে থেকে সদ্য-কাটা মাছের টুকরো নিয়ে আসে, যেটি নিঃসন্দেহে বন্ধুত্বসুলভ।
স্বাতন্ত্র্যবোধঃ
কর্ভাস অন্য কাকেদের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছিল। একদিন বাজ পড়ে একটি কাক মারা যায়। কাকের দল কোলাহল শুরু করলেও কর্ভাস সেই ঘটনায় কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
মানবসুলভ বুদ্ধি ও সচেতনতাঃ
শিক্ষা চলাকালীন কর্ভাসের মধ্যে একপ্রকার মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে ওঠে। প্রোফেসর শঙ্কুর সুটকেসের চাবি ঠোঁটে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা তাঁকে পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার ঘটনা তার মানবসুলভ বুদ্ধি ও সচেতনতারই প্রমাণ।
মানবসুলভ অনুভূতি ও উপস্থিত বুদ্ধিঃ
জাদুকর আর্গাসের সামনে টেবিল ল্যাম্পের আলো নিভিয়ে দেওয়া কিংবা তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আর্গাসের চশমা খুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে কর্ভাসের মানবসুলভ অনুভূতি ও উপস্থিত বুদ্ধিরই প্রমাণ মেলে।
রসিকতায় পারদর্শিতাঃ
জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানীর ক্লান্তিকর ভাষণের সময় চেয়ারের হাতলে কর্ভাসের ঠোঁটতালি সবাইকে আনন্দ দিয়েছিল। এই ঘটনা কর্ভাসের রসবোধেরই প্রমাণ।
এইরূপে আমরা কর্ভাস চরিত্রের পরিচয় লাভ করি।
২) চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের চরিত্র সম্পর্কে যা জান লেখো।
উৎসঃ
আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যে গোয়েন্দাপ্রধান গবেষণাধর্মী রচনাধারার সার্থক স্রষ্টা “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-এর অন্তর্গত “কর্ভাস” গল্পে আমরা চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের কথা জানতে পারি।
আর্গাসের চরিত্রঃ
সত্যজিৎ রায়ের ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে নিয়ে সানতিয়াগোতে পক্ষীবিজ্ঞানীদের সম্মেলনে গিয়ে চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক দেখেছিলেন।
এই গল্পে আর্গাসের চরিত্রের যে সকল পরিচয় পাই তা নিম্নরূপ-
চেহারার স্বতন্ত্রতাঃ
আর্গাস ছিলেন ছ-ফুটেরও বেশি লম্বা। তাঁর টিয়াপাখির মতো নাক, গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো চকচকে চুল সামনে সিঁথি করে পিছনে টান করে আঁচড়ানো আর চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা। এই চেহারা এবং শীর্ণ ও ফ্যাকাশে হাতের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দ্বারা তিনি দর্শকদের সম্মোহিত করতেন।
অতিরিক্ত কৌতূহলঃ
আর্গাসের ম্যাজিকের একটি বিশেষত্ব ছিল যে, তিনি তাঁর ম্যাজিকের খেলায় বিভিন্ন পাখিকে ব্যবহার করতেন। কর্ভাসের খবর পেয়ে তিনি সেই রাত্রেই হোটেলে কর্ভাসকে দেখতে চলে আসেন তাঁর কৌতূহল মেটাতে। কর্ভাসের বুদ্ধির নমুনা তিনি তক্ষুনিই দেখতে চান ৷
লোভ ও অহংকারঃ
কর্ভাসের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়ার পর আর্গাস আর নিজের লোভ সংবরণ করতে পারেননি। টাকার বিনিময়ে তিনি প্রফেসারের কাছ থেকে কর্ভাসকে কিনে নিতে চান। তিনি অহংকারের সঙ্গে এও বুঝিয়েও দেন যে তিনি কোটিপতি, তাই তিনি চাইলে কর্ভাসকে যে-কোনো মূল্যে কিনে নিতে পারেন। কিন্তু প্রোফেসর শঙ্কু সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি চালাকির আশ্রয় নিয়ে কর্ভাসকে চুরি করে নিয়ে যান।
৩) কর্ভাসের মধ্যে ‘মানবসুলভ বুদ্ধি’ জেগে উঠেছে এমন দুটি ঘটনা উল্লেখ করো। ৫
উৎসঃ
আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যে গোয়েন্দাপ্রধান গবেষণাধর্মী রচনাধারার সার্থক স্রষ্টা “সত্যজিৎ রায়” রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি”-এর অন্তর্গত “কর্ভাস” গল্পে আমরা কর্ভাস নামক কাকের পরিচয় পাই।
দুটি ঘটনার পরিচয়ঃ
কর্ভাস অরনিথন যন্ত্রের মাধ্যমে অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার পাশাপাশি মানবসুলভ বুদ্ধি বা ‘হিউম্যান ইনটেলিজেনস্’-এরও অধিকারী হয়ে উঠেছিল। তেমনই দুটি ঘটনা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা যেতে পারে-
প্রথম ঘটনাঃ
চিলির রাজধানী সানতিয়াগোতে পক্ষীবিজ্ঞানীদের সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে যাবেন বলে প্রফেসর শঙ্কু তার ব্যাগ গোছাচ্ছিলেন। তার কাজ সমাপ্ত হলে যখন তিনি বাক্সের ঢাকনা বন্ধ করেন তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন কর্ভাস সেই সুটকেসের চাবিটা ঠোঁটে নিয়ে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে।
দ্বিতীয় ঘটনাঃ
চিলির উদ্দেশ্যে রওনা দেবার পূর্বে প্রফেসর শঙ্কু লক্ষ্য করেছিলেন কর্ভাস তার খাঁচার থেকে বেরিয়ে আসবার জন্য ছটফট করছে। প্রকৃত বিষয়টি অনুধাবন করতে অসমর্থ প্রফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে খাঁচা থেকে মুক্তি প্রদান করলে সে প্রফেসর শঙ্কুর লেখার টেবিলের উপর গিয়ে বসে এবং তার ঠোঁট দিয়ে উপরের দেরাজে ভীষণ ব্যস্তভাবে টোকা দিতে থাকে। তখন প্রফেসর শঙ্কু দেরাজ খুলে দেখেন যে, তার পাসপোর্টটা সেখানেই রয়ে গিয়েছিল।
মূল্যায়ণঃ
অতএব আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম কর্ভাসের মধ্যে যে, মানবসুলভ বুদ্ধি বা ‘হিউম্যান ইনটেলিজেন্স’ জেগে উঠেছিল সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
২) কর্ভাসের আশ্চর্য প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও। ৫
৩) প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্র আলোচনা করো। ৫
৪) “ওই পাখি আমার চাই”- বক্তা কে? এমন উক্তির কারণ আলোচনা করো। ৫
৫) কর্ভাস গল্প অবলম্বনে আর্গাস চরিত্র আলোচনা করো। ৫
৬) কর্ভাসকে কীভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল তার পরিচয় দাও। ৫