bagdhara-class-seven-bengali

বাগ্‌ধারা । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাগ্‌ধারা । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ প্রদান করা হলো। আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রদান করা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের নোট বিভাগে সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে।

বাগ্‌ধারা । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ : 

 

অকালের বাদলা (অসময়ে বা অপ্রত্যাশিত বা বিপদ) – দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয় যেনো ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে অকালের বাদলা। 

আক্কেল গুড়ুম (হতবুদ্ধি অবস্থা) – হঠাৎ করে শচীনকে সামনে দেখে রবীনের আক্কেল গুড়ুম।  

ইঁদুরের কলে পড়া (লোভ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়া) – তৃতীয়বার একই কায়দায় চুরি করতে গিয়ে সে পুলিশের কাছে ইঁদুরের কলে পড়লো। 

উচ্ছন্নে যাওয়া (অধঃপাতে যাওয়া, চরিত্রের অবনতি হওয়া) – বড়োলোকের ছেলে পড়াশোনা না করে উচ্ছন্নে যাচ্ছে। 

এঁচড়ে (ইঁচড়ে) পাকা (অকালপক্ক) – সপ্তম শ্রেণির ছেলেটি অল্প বয়সেই এঁচড়ে পেকে গিয়েছে। 

একাই একশো (একাই সমস্ত প্রতিকূল অবস্থা সামলাতে পারে এমন) – বিয়ে বাড়িতে পাড়ার টেনিদা একাই একশো, সব কাজ একা হাতে সামলাচ্ছে। 

ওজন বুঝে চলা (মর্যাদা ও গুরুত্ব বুঝে চলা) – আমাদের সবসময় ওজন বুঝে চলা উচিত। 

কড়ায় গণ্ডায় (সূক্ষ্ম হিসাব মতো) – মহাজন করায় গন্ডায় তার পাওনা বুঝে নিলেন। 

করাতের দাঁত (উভয় সংকট) – বাবা-মায়ের বিবাদে ছেলেটি করাতের দাঁতের মুখে পরেছে। 

কুপমণ্ডুক (সংকীর্ণচেতা লোক) – কুপমন্ডুক মানুষেরা বৃহত্তর জীবনের স্বাদ কখনোই উপলব্ধি করতে পারেন না। 

খাতা খোলা (হিসাব পত্র আরম্ভ করা) – ১লা বৈশাখে তার দোকানে আমার খাতা খুললো। 

গড্ডালিকা প্রবাহ (ভালোমন্দ বিচার না করে সকলে যা করে তাই অনুসরণ করা) – মাধ্যমিক পাশ করে অনিল বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার গডালিকা প্রবাহে গা ভাসালো। 

গলগ্রহ (দায় বা বোঝা) – ছেলেটি মামার গলগ্রহে বেঁচে আছে। 

ঘর আলো করা (ঘরের বা পরিবারের শোভা বা গৌরব বৃদ্ধি করা) – মেয়েটি মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করে ঘর আলো করলো। 

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া (উপরওলাকে উপেক্ষা করে বা অতিক্রম করে কার্যসিদ্ধির চেষ্টা করা) – অফিসের ছোটবাবুকে না জানিয়ে বড়বাবুর কাছে গিয়ে সে যেন ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেলো।  

ঘোল খাওয়া (নাকাল বা জব্দ হওয়া) – হ্যাকার ছেলেটি পুলিশকে একেবারে ঘোল খাইয়ে রেছেছিল। 

চড়ুইপাখির প্রাণ (ক্ষীণজীবী) – গরিবের চড়ুইপাখির প্রাণের কদর ক’জনই বা করে! 

চোখে চোখে রাখা (সতর্ক দৃষ্টি রাখা) – রমেন তার ভাইটিকে সর্বদা চোখে চোখে রাখে। 

ছড়ি ঘোরানো (মাতব্বরি করা) – মেয়ের নতুন সংসারে মা ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন। 

জড়ভরত (জড়বুদ্ধি বা জড়তাগ্রস্ত লোক) – অমন জড়ভরতের মতো বসে না থেকে হিসেবটা করে ফেলো। 

ঝড় তোলা (গতিসম্পন্ন উদ্যোগ শুরু করা) – কম্পিউটারের কিবোর্ডে সে ঝড় তুলেছে। 

টিপ্পনি কাটা (ছোটো ছোটো বাঁকা মন্তব্য করা) – শাশুড়ির টিপ্পনি কাটা স্বভাবের জন্য নতুন বউ বাড়ি ছাড়তে চলেছে। 

ধড়ে প্রাণ আসা (বিপদ থেকে পরিত্রাণের সম্ভবনা দেখে উদ্ধার পাওয়ায় স্বস্তিলাভ) – ঝড়ের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসায় এলাকাবাসীর ধড়ে প্রাণ এলো। 

নয়-ছয় করা (অপব্যয় করা) – মন্ত্রীমশাই অনেক টাকা নয়-ছয় করেছেন। 

পটের বিবি (সেজেগুজে বসে থাকে এমন বিলাসী ও নিষ্কর্মা মেয়ে) – পটের বিবির মতো বসে না থেকে মায়ের হাতে হাতে কাজ কর গিয়ে। 

ফাটাকপাল (মন্দভাগ্য) – এমন ফাটাকপাল যে, জঙ্গলের মাঝে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেলো। 

বাঘা-বাঘা (বড়ো বড়ো) – তপনবাবুর মেয়ের বিয়েতে সব বাঘা বাঘা মানুষরা নিমন্ত্রীত হয়েছেন। 

ভাঁড়ে মা ভবানী (ভাণ্ডার শূন্য) – জুয়ার নেশায় এখন তার ভাঁড়ে মা ভবানী। 

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা (দুর্বল লোকের উপর পীড়ন) – একে তো পড়া হয় নি, তার উপরে আজ আবার পরীক্ষা; এ যে মড়ার উপর খঁড়ার ঘা।  

যত নষ্টের গোড়া (সবরকম অন্যায় বা ক্ষতির আসল কারণ) – সুগার হলো যত নষ্টের গোড়া, সব অসুখকে ত্বরান্বিত করে। 

রাঘব-বোয়াল (অত্যাচারী এবং অন্যের ধনসম্পদ আত্মসাৎকারী প্রভাবশালী লোক) – রাঘব বোয়াল জমিদারদের জন্যই বাংলার মানুষকে দীর্ঘদিন কষ্টের জীবন কাটাতে হয়েছে। 

হরিহর আত্মা (অভিন্ন হৃদয় বন্ধু) – নোবিতা ও ডোরিমন যেন হরিহর আত্মা। 

শিরে সংক্রান্তি (সমূহ বিপদ) – আগামীকাল পরীক্ষা; এখন আমার শিরে সংক্রান্তি। 

হাতের পাঁচ (শেষ অবলম্বন) – সব কথা আগে বলে দিতে নেই। হাতের পাঁচ হাতে রেখে দেওয়া ভালো।

বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী) – রোহিত ও বিরাটের সম্পর্কটা বালির বাঁধে পরিণত হচ্ছে। 

বিনা মেঘে বজ্রপাত (অপ্রত্যাশিত বিপদ) – পড়তে এসে শুনছি স্যার পরীক্ষা নেবেন; এ যে বিনা মেঘে বজ্রপাত। 

ভস্মে ঘি ঢালা (অপাত্রে দান করা) – ওকে পড়াশোনা শেখানো মানে ভষ্মে ঘি ঢালা, কিছুই হবে না। 

বকধার্মিক (ভণ্ড ধার্মিক) – অনেক সময় শিক্ষিত মানুষও বকধার্মিকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যান। 

তীর্থের কাক (প্রত্যাশী) – একটু খাবারের আশায় দরিদ্র মানুষটি তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে। 

ঠোঁটকাটা (স্পষ্টভাষী) – ঠোঁটকাটা ব্যক্তিরা অনেকের অপছন্দের হয়ে থাকেন। 

টাকার কুমির (বিপুল পরিমাণ অর্থের অধিকারী) – আমাদের পাড়ার নীতিনবাবু টাকার কুমির হলেও সমাজসেবা করতে চান না। 

নিম্নের PDF LINK -টি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232 

বাগ্‌ধারা । সপ্তম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ

সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top