জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর
WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই জ্ঞানচক্ষু গল্পের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর :
১) “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”- ‘রত্ন’ ও ‘জহুরি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। ২+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
‘রত্ন’ ও ‘জহুরি’র পরিচয়ঃ
‘রত্ন’ শব্দটির অর্থ ‘জহর’ বা বহু মূল্যবান প্রস্তর। প্রশ্নোক্ত অংশে ‘রত্ন’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন কুমার রায় অর্থাৎ তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটিকে বোঝানো হয়েছে।
‘জওহর’শব্দটি এসেছে ‘জহর’ থেকে। বহুমূল্য রত্নের বিশুদ্ধতা যিনি পরীক্ষা করেন তাকে জহুরি বলা হয়। উদ্ধৃতাংশে ‘জহুরি’ বলতে তপনের লেখক ছোটমেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে।
তাৎপর্যঃ
একজন জহুরি তার নিজ দক্ষতার সাহায্যে রত্নের প্রকৃত মূল্য খুব সহজেই নির্ণয় করতে সক্ষম হন। তপনের ছোটমেসো একজন প্রফেসর ও দক্ষ লেখক। সাহিত্যবোধসম্পন্ন লেখক ছোটমেসো তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত গুণমান উপলব্ধি করতে পারবেন বলেই তপনের মনে হয়েছে। জীবন সম্পর্কে স্বল্প অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তপনের মনে হয়েছে, স্বর্ণকার যেমন সোনা চেনেন এবং খুব সহজেই কোন্টি খাঁটি ও কোন্টি নকল তা নির্ণয় করতে পারেন, তেমনই লেখক ছোটমেসোও তার লেখা গল্পের প্রকৃত মান মূল্যায়ণ করতে সক্ষম হবেন।
২) ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’- তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী? ৩
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
তপনের মনোভাবের কারণঃ
গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল। তার ছোটমেসো গল্পটি পড়ে লেখার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছেপে বের হবে- এরকম চমকপ্রদ ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল।
তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর। লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ ‘এ বিষয়ে সন্দেহ ছিলো তপনের’। কিন্তু তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে। আর সে নিজেও গল্প লেখার অনুপ্রেরণা লাভ করে।
তপন তার মামার বাড়ির তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্পটি পড়ে তপনের মেসো লেখার প্রশংসা করেন এবং নিজের থেকে গল্পটা ‘একটু কারেকশন করে ইয়ে করে’ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপাতে দেবেন বলে নিয়ে যান। অবশেষে তার গল্প পত্রিকায় ছেপে বের হয়।
তার লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।
LINK TO VIEW PDF FILE
জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
“কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”- কীভাবে তপনের প্রথম জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল? তার সত্যিকারের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কীভাবে?
“আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”- ‘তার’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? ‘আজ’ বলতে কোন্ দিনটির কথা বলা হয়েছে? সেটি কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন?
‘জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপনের চরিত্র আলোচনা করো।