অধিকরণ কারক কাকে বলে? অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি?
আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা ব্যাকরণের অন্তর্ভুক্ত কারক থেকে অধিকরণ কারক কাকে বলে? অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনাগুলি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অধিকরণ কারক ও তার শ্রেণিবিভাগ থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
অধিকরণ কারক কাকে বলে? অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি? :
অধিকর কারকঃ
যে আধারে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ বলে। সেই অধিকরণ পদের সঙ্গে ক্রিয়ার যে সম্পর্ক তাকেই অধিকরণ কারক বলে।
যেমনঃ
হলদিবাড়িতে হুজুরের মেলা হয়।
অধিকরণ কারকের শ্রেণিবিভাগঃ
নিম্নে অধিকরণ কারকের বিবিধ ভাগগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল –
স্থানাধিকরণঃ
প্রধানত স্থান ও পাত্রকে কেন্দ্র করে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে যে অধিকরণ কারক গড়ে ওঠে তাকে স্থানাধিকরণ কারক বলে।
যেমনঃ
আমি আগামীকাল মালবাজার যাবো।
স্থানাধিকরণ কারককে আবার চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা-
ক) স্থানবাচক অধিকরণঃ
সাধারণভাবে স্থান বোঝাতে যে অধিকরণ কারক ব্যবহার করা হয়, তাকে স্থানবাচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
এখন সে বাড়িতেই আছে।
খ) ব্যাপ্তিবাচক অধিকরণঃ
ব্যাপ্তি বোঝাতে যে অধিকরণ কারক হয়, তাকে ব্যাপ্তিবাচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
গোটা শরীরে রঙ লেগেছে।
গ) সামীপ্যবাচক অধিকরণঃ
নিকট বোঝাতে যে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়, তাকে সামীপ্যবাচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
বাড়িতে কেউ নেই।
ঘ) একদেশ সূচক অধিকরণঃ
সমগ্র স্থানে বিস্তার লাভ করেনি, কোনো একটি অংশে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বোঝাতে যে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়, তাকে একদেশসূচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।
কালাধিকরণঃ
প্রধানত সময় ও কালকে কেন্দ্র করে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে যে অধিকরণ কারক গড়ে ওঠে, তাকে কালাধিকরণ বলা হয়।
যেমনঃ
সকাল সাতটায় পড়তে আসবে।
কালাধিকরণ কারককে আবার দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যথা –
ক) মুহূর্তবাচক অধিকরণঃ
নির্দিষ্ট সময় বা বিশেষ মুহূর্তে ক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে যে অধিকরণকে নির্দেশ করা হয়, তাকে মুহূর্তবাচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
বিকেল পাঁচটায় বাড়ি ঢুকতেই হবে।
খ) ব্যাপ্তিবাচক অধিকরণঃ
ক্রিয়া সম্পাদনের সময়ের ব্যাপ্তিকে নির্দেশ করা হয় যে অধিকরণে, তাকে ব্যাপ্তিবাচক অধিকরণ বলে।
যেমনঃ
শীতকালে রাত্রে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।
বিষয়াধিকরণঃ
প্রধানত বিষয়কে অবলম্বন করে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে যে অধিকরণ কারক গড়ে ওঠে, তাকে বিষয়াধিকরণ কারক বলে।
যেমনঃ
অনুপম স্যার শিক্ষার্থীদের বাংলা পড়ান।
ভাবাধিকরণঃ
বাক্যে ক্রিয়ার আধার ভাব বা অনুভূতি বোঝালে তাকে ভাবাধিকরণ বলে।
যেমনঃ
সকলে আনন্দে গান গাইছে।
বীপ্সা অধিকরণঃ
অধিকরণ কারকে পুনরাবৃত্তির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলে, তাকে বীপ্সা অধিকরণ বলা হয়।
যেমনঃ
ফাগুন লেগেছে বনে বনে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ = ট্রেন জলপাইগুড়ি পৌঁছোল।
অধিকরণ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার = সবার উপরে মানুষ সত্য।
LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)
কারক ও অকারক থেকে সকল প্রকার আলোচনা দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে