অদল বদল গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা

WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অদল বদল গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।

অদল বদল গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর । দশম শ্রেণি বাংলা : 

 

১) ‘ছেলেদুটোর সবই একরকম, তফাত শুধু এই যে’- ছেলে দুটি কে কে ? তাদের মধ্যে তফাত কোথায় ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ছেলে-দুটোর পরিচয়ঃ 

এখানে ছেলেদুটো বলতে অমৃত ও ইসাব নামের দুই হরিহর আত্মা বন্ধুর কথা বলা হয়েছে।

তাদের মধ্যে থাকা তফাৎঃ 

গ্রামের দুটি ছোট ছেলে অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রগাঢ়। তারা একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে। রাস্তার মোড়ে তাদের সমনা-সামনি তাদের বাড়ি, তাদের দুজনের বাবাই পেশায় চাষি, তাদের জমির পরিমাণও প্রায় এক, কিন্তু তাদের মধ্যে তফাত কেবল একটি জায়গায়; ইসাবের পরিবারে কেবলমাত্র তার বাবা আছেন, অপরদিকে অমৃতের পরিবারে মা-বাবা এবং তিন ভাই রয়েছে।

 

২) ‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’- ‘ও’ কে ? স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছিল কেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ও’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

এখানে ‘ও’ বলতে গল্পের প্রধান দুই চরিত্রের অন্যতম অমৃতের কথা বলা হয়েছে।

স্কুলে যাওয়া বন্ধ করার কারণঃ 

ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাবার কারণে এবং অনেক বায়না ও মার সহ্য করে ইসাব একটি নতুন জামা হাতে পেয়েছে। এরফলে তার বন্ধু অমৃত তার বাড়িতে নতুন জামা কিনে দেবার কথা বলে। কিন্তু অমৃতের মা নতুন জামা কিনে দিতে রাজী না হলে, অমৃত হাল না ছেড়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটাই ছিল অমৃতের স্কুলে না যাওয়ার কারণ।

 

৩) ‘অমৃত সত্যি তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল’- অমৃতের এরূপ আচারণের কারণ ব্যাখ্যা করো।

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের আচরণের কারণঃ 

অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। দুই বন্ধুর রুচিগত ও মানসিকতার মিলও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই কারণে ইসাব নতুন জামা কিনলে অমৃতও বায়না জুড়েছিল, তারও ওই একই রকম নতুন জামা চাই। অমৃতের মা ছেলের এই আবদারকে প্রশ্রয় দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু ইসাবের মতো জামা কেনার ইচ্ছে অমৃতকে এতটাই তাড়িত করেছিল যে, সে কোনো কথা শুনতে রাজি ছিল না। এই কারণেই অমৃত তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল।

 

৪) ‘অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়’- অমৃত কখন কেন পিছপা হতে রাজি হয়নি ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের পিছপা হতে না চাওয়ার কারণঃ 

অমৃত তার বন্ধু ইসাবের মতো নতুন জামা নেবে বলে মায়ের কাছে বায়না জুরেছিল। কিন্তু অমৃতের মা ছেলেকে অকারণে নতুন জামা কিনে দিতে রাজি ছিলেন না এবং নানাভাবে তাকে বিরত করার চেষ্টা করছিলেন। শেষে বাধ্য হয়েই তিনি বলেছিলেন, ইসাব নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাবার হাতে মার খেয়েছিল, তাই সে-ও কি একইভাবে মার খেতে প্রস্তুত? অমৃত তখন জামা কিনতে অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব ছিল বলে মায়ের এই প্রস্তাবেও সে সায় দিয়েছিল।

 

৫) ‘ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই গররাজি’- কে কেন কুস্তি লড়তে ‘গররাজি’ ছিল ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ 

এখানে ইসাবের বন্ধু অমৃতের কথা বলা হয়েছে।

তার ‘গররাজি’ হবার কারণঃ

ইসাব এবং অমৃত ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দোলের দিন তারা, তাদের নতুন জামা পরে ঘুরতে বেড়লে তাদের কিছু বন্ধু কুস্তি লড়ার কথা বলে। তারা নতুন জামা পরে ছিল এবং তারা খুব ভালো বন্ধু বলে তারা কোনমতেই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে চায় নি। এই কারণেই, অমৃত ইসাবের সঙ্গে লড়তে রাজী ছিল না।

 

৬) ‘হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল’- অমৃতের মাথায় কী বুদ্ধি খেলে গিয়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের মাথায় খেলে যাওয়া বুদ্ধিঃ 

দোলের দিন অমৃত ও ইসাব একই ধরণের দুটি জামা পরে বেড়াতে বেরিয়েছিল। কিন্তু পথে অন্য ছেলেদের সাথে মারামারির ফলে ইসাবের জামার পকেট ছিঁড়ে যায়। ইসাবের বাবা ছিলেন রাগি প্রকৃতির, ইসাবের নতুন জামা অকারণে ছিঁড়ে গেছে জানতে পারলে তিনি ইসাবকে মারবেন এই আশঙ্কায় ইসাব ভয় পায়। এই সময়ে অমৃতের মাথায় একটি বুদ্ধি আসে, যেহেতু তাদের দুজনের জামা একই রকমের তাই অমৃত নিজের জামা ইসাবের সাথে পরিবর্তন করে নিতে চায়, যাতে ইসাবের বাবা জামা ছেঁড়ার কথা বুঝতে না পারেন।

 

৭) ‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে’ – কার উক্তি ? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা অমৃত। 

উক্তির আলোকে বক্তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ 

দোলের দিন মারামারির ফলে ইসাবের জামার পকেট ছিঁড়ে যায়, বাড়িতে বাবার হাতের মারের থেকে বাঁচানোর জন্য অমৃত নিজের জামা ইসাবের সাথে বদল করতে চায়। ইসাব এর পরিবর্তে বলে যে, ছেঁড়া জামা দেখলে অমৃতকেও তার বাড়িতে শাস্তি পেতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই অমৃত ইসাবকে বলে যে তার মা আছে, ফলে বাড়িতে ইসাবের মতো তাকে বকুনি খেতে হবে না। এই কথার মধ্য দিয়ে অমৃতের বন্ধুবৎসলতা এবং সহমর্মীতার দিকটি সুপ্রকাশিত হয়েছে।

 

৮) ‘উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন’- ‘উনি’ কে ? কেন অমৃতকে উনি জড়িয়ে ধরলেন ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘উনি’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ  

এখানে ‘উনি’ বলতে ইসাবের বাবার কথা বলা হয়েছে।

অমৃতকে জড়িয়ে ধরার কারণঃ 

মারামারির ফলে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে ইসাব যাতে বাড়িতে বাবার কাছে মার না খায়, তাই অমৃত ও ইসাব জামা অদল বদল করে। আড়াল থেকে অমৃতের এই ঘটনা ইসাবের বাবা লক্ষ্য করে। অমৃতের উদার ব্যবহার এবং বন্ধুপ্রীতি তার কঠিন মনকে প্রভাবিত করে দেয় এবং তিনি আনন্দে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেন।

 

৯) ‘অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল’- অমৃত জোর দিয়ে কী বলেছিল ? তার জোর দেবার কারণ কী ছিল ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃত জোর দিয়ে যা বলেছিলঃ 

অমৃত জোর দিয়ে বলেছিল যে, সে কুস্তি লড়তে চায় না।

তার জোর দেবার কারণঃ 

অমৃত অনেক কষ্ট, অনেক সাধ্যসাধনা করে বাবার কাছ থেকে ইসাবের মতো নতুন জামা পেয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরোবার সময় তার মা তাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, সে যদি নতুন জামাটি ময়লা করে অথবা ছিঁড়ে ফেলে তাহলে তার কপালে অশেষ দুঃখ আছে। এই কারণেই অমৃত জোর দিয়ে তার অনীহা জ্ঞাপন করেছিল।

 

১০) ‘তামাশা করে হলেও এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’- কোন ব্যাপার, কীভাবে ‘ঘোরালো’ হয়ে পড়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ব্যাপারটির পরিচয়ঃ 

হোলির দিন পড়ন্ত বিকেল বেলা নতুন জামাকাপড় পরে অমৃত ও ইসাব বাইরে বেরোলে কিছু ছেলে তাদের পরস্পরকে কুস্তি লড়তে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা সেই নির্দেশ অমান্য করে।

ব্যাপারটি যেভাবে ‘ঘোরালো’ হয়ে পড়েঃ

কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে খোলা মাঠে এনে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। বন্ধুর এরূপ অসহায়তা দেখে ইসাব চুপ করে না থেকে কালিয়াকে কুস্তি লড়তে বলে এবং লড়াইয়ের শুরুতে তাকে ল্যাং মারতেই কালিয়া হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চ্যাঁচাতে থাকে। এইভাবে তামাশা বা মজার ছলে কুস্তিপর্বটি আরম্ভ হলেও ধীরে ধীরে তা জটিল বা ‘ঘোরালো’ আকার ধারণ করেছিল। 

 

১১) ‘এই বলে সে অমৃতকে খোলা মাঠে নিয়ে এল’- অমৃতকে কেন খোলা মাঠে আনা হয়েছিল ? খোলা মাঠে আনার পর কী ঘটনা ঘটেছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতকে খোলা মাঠে আনার কারণঃ

কালিয়া নামের একটি ছেলে চেয়েছিল অমৃতের সঙ্গে কুস্তি লড়তে। অমৃত রাজি না হলেও সে তাকে কুস্তি লড়ার জন্য খোলা মাঠে নিয়ে এসেছিল।

পরবর্তী ঘটনাঃ 

মাঠে নিয়ে এসে কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে এবং অমৃতকে ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। বন্ধু অমৃতর এই অপমানে ইসাব রেগে যায়। বন্ধুর হারের শোধ নিতে ইসাব নিজে কালিয়াকে তার সঙ্গে লড়তে বলে আর তাকে সে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়।

 

১২) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল’- ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল কেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ইসাবের মেজাজ চড়ে যাবার কারণঃ 

ইসাব ও অমৃত খুব ভালো বন্ধু ছিল। একে অন্যের বিপদে সবসময় এগিয়ে যেত। তাদের জামাকাপড়, বাড়ির অবস্থা সব কিছুতেই ছিল মিল। হোলির পড়ন্ত এক বিকেলে এই দুই বন্ধু নতুন জামা পড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তখনই কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে আর তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বন্ধুর এই লাঞ্ছনায় ইসাব রেগে গিয়েছিল।

 

১৩) ‘অমৃত আর ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল’- কাকে রণভূমি বলা হয়েছে ? তারা কেন সেই রণভূমি ত্যাগ করেছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

রণভূমির পরিচয়ঃ

কালিয়া নামের ছেলেটি অমৃতকে কুস্তি লড়ার জন্য যে খোলা মাঠে নিয়ে গিয়েছিল সেই মাঠটাকেই ‘রণভূমি’ বলা হয়েছে।

রণভূমি ত্যাগের কারণঃ

কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়তে গিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পরে ইসাব আর স্থির থাকতে পারে না। সে নিজেই নেমে পড়ে কুস্তি লড়তে। কালিয়াকে সে হারিয়েও দেয়। কিন্তু কালিয়ার বাবা-মা এসে সেখানে উপস্থিত ছেলেদের মারতে পারে এই ভয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়। সবাই চলে যাবার পর অমৃত আর ইসাবও মাঠ ত্যাগ করে চলে যায়।

 

১৪) ‘ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড়’- কখন, কী কারণে ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

সময়কালঃ

বন্ধু অমৃতের সঙ্গে হওয়া অপমানের বদলা নিতে ইসাব কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়েছিল। সেই কুস্তিতে কালিয়া হেরে গেলেও ইসাবের নতুন জামাটা ছিঁড়ে যায়। জামাটা কতটা ছিঁড়েছে তা পরীক্ষা করার সময় ওরা শুনতে পেল ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন। তখনই তাদের এই অবস্থা হয়।

বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার কারণঃ

জামা ছেঁড়ার জন্য ইসাবের বাবা ওর চামড়া তুলে নেবেন, এই চিন্তা করে ওদের দুজনের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিল।

 

১৫) ‘এতে দু’জনেরই ভয় কেটে গেল’- দু’জন কে কে ? কী কারণে ওদের ভয় কেটে গেল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

দুজনের পরিচয়ঃ

উদ্ধৃত অংশে ‘দুজন’ বলতে অমৃত আর ইসাবকে বোঝানো হয়েছে। 

ভয় কেটে যাওয়ার কারণঃ

ইসাবের সঙ্গে জামা অদলবদল করলেও বাড়ি ফিরে ছেঁড়া জামা দেখে অমৃতের মা কী বলবেন সেটা ছিল অমৃত-ইসাব দুজনেরই ভয়ের কারণ। কিন্তু দিনটা হোলির হওয়ায় একটু ধস্তাধস্তি টানাহ্যাঁচড়া চলেই। তাই অমৃতের মা ভুরু কোঁচকালেও শেষপর্যন্ত জামা ছেঁড়ার জন্য অমৃতকে মাফ করে দিলেন। তিনি একটা ছুঁচ-সুতো নিয়ে ছেঁড়া জামাটা রিফু করে দিলেন। এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল।

 

১৬) ‘ওঁর শান্ত গলা শুনে ওদের চিন্তা হলো’- ‘ওঁর’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? শান্ত গলা শুনে চিন্তা হওয়ার কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ওর’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘ওঁর’ বলতে ইসাবের বাবা হাসানের কথা বলা হয়েছে। 

শান্ত গলা শুনে চিন্তার কারণঃ

অমৃত-ইসাব নিজেদের জামা বদলে নিলে পাড়ার ছেলেরা তাদের উদ্দেশ্য করে অদল-বদল বলে চিৎকার করতে থাকে। আর বাড়ির লোকের কাছে ব্যাপারটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ইসাব-অমৃত তখন সেখান থেকে পালাতে থাকে। এই সময়েই দাওয়ায় খাটিয়ায় বসে হুঁকো খেতে ব্যস্ত ইসাবের বাবা তাদের দুজনকে নিজের কাছে ডাকেন। ইসাবের বাবার শান্ত গলা শুনে তাই ওদের চিন্তা হয়েছিল।

 

১৭) ‘উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন’- ‘উনি’ কে ? কেন অমৃতকে উনি জড়িয়ে ধরলেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘উনি’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘উনি’ বলতে ইসাবের বাবাকে বোঝানো হয়েছে।

অমৃতকে জড়িয়ে ধরার কারণঃ

ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায়, ইসাবকে তার বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অমৃত নিজের জামার সঙ্গে তার জামা বদলে নিয়েছিল। কারণ অমৃত বুঝেছিল তার বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার মা আছে কিন্তু ইসাবের মা নেই, তার রয়েছে শুধু বাবা। আড়াল থেকে অমৃতের মনের উদারতার এই পরিচয় পেয়ে আনন্দে ইসাবের বাবা অমৃতকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

 

১৮) ‘বাহালি বৌদি, আজ থেকে আপনার ছেলে আমার’- ‘বাহালি বৌদি’ কে ? বক্তা কেন তাঁকে এ কথা বলেছেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বাহালি বৌদির পরিচয়ঃ

বাহালি বৌদি হলেন অমৃতের মা।

এ কথা বলার কারণঃ

ইসাবের ছেঁড়া জামা নিজের গায়ে পরে নিয়ে অমৃত তাকে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিল। কারণ সে জানত, ইসাবের মা নেই। অমৃতের মা আছেন, তিনিই অমৃতকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাবেন। আড়াল থেকে জামা অদল-বদলের এই দৃশ্য দেখে ইসাবের বাবা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এত অল্প বয়সে অমৃতের এরকম বন্ধুপ্রীতি আর উদারতার পরিচয় পেয়েই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

 

১৯) ‘অমৃতের মতো ছেলে পেলে আমি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছি’- বক্তা কে ? তাঁর এমন উক্তির কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ

ইসাবের বাবা হাসান পাঠান হলেন উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা।

এমন উক্তির কারণঃ

কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত নিজের নতুন জামাটা ইসাবকে দিয়ে দেয়। সে তাকে বলে যে, তার মা তাকে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে বাঁচাবেন কিন্তু ইসাবের তো মা নেই। এ কথা ইসাবের বাবা আড়াল থেকে শুনেছিলেন। একটি ছোটোছেলের বন্ধুর প্রতি এই ভালোবাসা এবং এরকম বড়ো মনের পরিচয় পেয়েই ইসাবের বাবা উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

 

২০) ‘ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে’- ‘ও’ কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ও’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

এখানে ‘ও’ বলতে ইসাবের অভিন্নহৃদয় বন্ধু অমৃতের কথা বোঝানো হয়েছে। 

‘খাঁটি জিনিস’ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ 

কুস্তি খেলতে গিয়ে ইসাবের নতুন জামাটি ছিঁড়ে গেলে বাড়ি ফিরে বাবার কাছে মার খেতে হবে সেই ভয়ে ইসাব কাঠ হয়ে যায়। এই সময় অমৃত তার গায়ের জামা, যা ইসাবের জামার মতোই দেখতে, সেটি ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া জামাটি পড়তে চায়। ইসাবের বাবা সমস্ত কিছু আড়ালে থেকে দেখবার পর রেগে না-গিয়ে অমৃতের সহৃদয় ও সহানুভূতিশীল সত্তার পরিচয় লাভ করে মুগ্ধ হন। অমৃতের এই নির্ভেজাল বন্ধুত্ব পরোপকারী, দয়ালু মনোবৃত্তিকেই তিনি আলোচ্য প্রসঙ্গে খাঁটি জিনিস বলে উল্লেখ করেছেন।

 

২১) ‘আজ থেকে আমরা অমৃতকে অদল আর ইসাবকে বদল বলে ডাকব’- উক্তিটির তাৎপর্য সংক্ষেপে বুঝিয়ে দাও। 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

তাৎপর্যঃ 

অমৃত গভীর বন্ধুপ্রীতি এবং সহানুভূতির পরিচয় দিয়ে ইসাবকে তার বাবার মায়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ইসাবের ছেঁড়া জামাটি পড়ে তার বদলে ইসাবকে নিজের নতুন ও অক্ষত জামাটি পড়তে দিয়েছিল। সমস্ত রকম সংকীর্ণ ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে অমৃতের এই আচরণ সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল। তাই এই খবরটি সারা পাড়া ঘুরে গ্রাম প্রধানের কানে গেলে তিনি অমৃত ও ইসাবের নিবিড় বন্ধুত্বকে এক অর্থে সম্মান জানাতে উক্ত ঘোষণাটি করেছিলেন। 

 

২২) ‘গল্প শুনে তাদেরও বুক ভরে গেল’- কোন গল্প ? তা শুনে বুক ভরে যাওয়ার কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

গল্পটির পরিচয়ঃ

অমৃত আর ইসাবের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার গল্পের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

গল্প শুনে বুক ভরে যাওয়ার কারণঃ

ইসাব আর অমৃত ছিল পরস্পরের বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব এতই নিবিড় ছিল যে, তারা একে অপরের জন্য প্রাণ দিতেও রাজি ছিল। আন্তরিকতাই তাদের বন্ধুত্বকে ‘খাঁটি সোনায় পরিণত করেছিল। জামা অদলবদলের ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। উভয়ের এই অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় পেয়ে গর্বে পাড়াপ্রতিবেশীদের বুক ভরে গিয়েছিল।

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

অদল বদল গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

অদল বদল গল্পের প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে

অদল বদল - পান্নালাল প্যাটেল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top